যাকাত- ইসলামের
দ্বিতীয় বৃহত্তম বিধান। পবিত্র কুরআনে
আল্লাহ তাআলা নামায
আদায়ের সাথে সাথে অধিকাংশ আয়াতে যাকাত আদায়েরও নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, “নামায কায়েম করো এবং যাকাত আদায় করো”। [দেখুন ২:৪৩,
২:৮৩, ২:১১০, ২৪:৫৬,
৫৮:১৩ ইত্যাদি
আয়াতগুলো।
এসব আয়াতের আলোকে
যাকাত ইসলামের অন্যতম অপরিহার্য ফরয দায়িত্ব বলে প্রমাণিত হয়; যার অস্বীকারকারী বা তুচ্ছ তাচ্ছিল্যকারী
কাফির বলে গণ্য; আর অনাদায়কারী ফাসিক এবং কঠিন শাস্তির যোগ্য। অথচ এ বিধানটাকে আমরা কতই না অবহেলা করি!
পবিত্র কুরআনের
একেবারে শুরুর দিকে, সূরা বাক্বারায়, হেদায়াতপ্রাপ্ত মুত্তাকীদের পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ
তাআলা বলেছেন, “…আমার দেয়া রিযক হতে যাকাত প্রদান করে”। এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে,
আল্লাহর ভয়
অন্তরে লালন করা ও হেদায়াতের পূর্ণতায় পৌঁছুতে
যাকাত প্রদানের কোনো বিকল্প নেই।
যে ব্যক্তি যাকাত
ফরয হওয়ার পরও তা আদায় করে না, তার পক্ষে পূর্ণ হেদায়াত লাভ করা কখনো সম্ভব নয়।
0 Comments