আল্লাহকে সরাসরি দেখা, কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করা, সবাই সেদিন আল্লাহকে সরাসরি দেখতে পাবে ৷


৫/১০৫৮। জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পূর্ণিমার রাতে বসে ছিলাম। তিনি চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “নিঃসন্দেহে তোমরা (পরকালে) তোমাদের প্রতিপালককে ঠিক এইভাবে দর্শন করবে, যেভাবে তোমরা এই পূর্ণিমার চাঁদ দর্শন করছ। তাঁকে দেখতে তোমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। সুতরাং যদি তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগে (নিয়মিত) নামায পড়তে পরাহত না হতে সক্ষম হও (অর্থাৎ এ নামায ছুটে না যায়), তাহলে অবশ্যই তা বাস্তবায়ন কর।” (বুখারী, মুসলিম)[1] অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি চৌদ্দ তারিখের রাতের চাঁদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন---।
[1] সহীহুল বুখারী ৫৫৪, ৫৭৩, ৪৮৫১, ৭৪৩৪, ৭৪৩৫, ৭৪৩৬, মুসলিম ৬৩৩, তিরমিযী ২৫৫১, আবূ দাউদ ৪৭৪৭২৯, ইবনু মাজাহ ১৭৭, আহমাদ ১৮৭০৮, ১৮৭২৩, ১৮৭৬৬ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
সূনান তিরমিজী (ইফাঃ১০৬৭) হুমায়দ ইবনু মাসআদা, মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও মুহাম্মাদ ইবনু বাকর (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি উল্লেখ করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে মুলাকাত ভালবাসে আল্লাহ্ও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতকে বালবাসেন আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে মুলাকাতকে অপছন্দ করে আল্লাহ্ও তার সাক্ষাতকে না পছন্দ করেন। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্, আমরা সবাইতো মৃত্যুকে না পছন্দ করি! তিনি বললেন, আসল ব্যপার তা নয়। বরং কথা হচ্ছে, মু’মিনকে যখন (মৃত্যুর সময়) আল্লাহর রহমত ও তাঁর সন্তুষ্টি এবং জান্নাতের খোশ খবরী দেওয়া হয় তখন তার নিকট আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত প্রিয় হয়ে উঠে আর আল্লাহ্ও তার সাক্ষাতকে ভালবাসেন। পক্ষান্তরে কাফিরকে যখন (মৃত্যুর সময়) আল্লাহর আযাব ও তাঁর অসন্তুষ্টির খবর দেওয়া হয় তখন তার কাছে আল্লাহর সঙ্গে মুলাকাত অপ্রিয় হয়ে উঠে আর আল্লাহ্ও তার সাক্ষাতকে না পছন্দ করেন। - ইবনু মাজাহ ৪২৬৪, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০৬৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

Post a Comment

0 Comments