রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না ইনশাল্লাহ।
ফতোয়া নং: ৫৭৪৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের একটি সমিতি আছে। কিছুদিন পূর্বে এক লোক একটি গরু...
প্রশ্ন
আমাদের একটি সমিতি আছে। কিছুদিন
পূর্বে এক লোক একটি গরু ক্রয়ের জন্য আমাদের সমিতির কাছ থেকে দশ হাজার টাকা
ঋণ চাইলে সমিতির পরিচালক সাহেব তাকে বলেন যে, আমরা আপনাকে ঋণ দিতে পারব
না। তবে আপনার সাথে শরীকানায় গরুটি কিনতে পারি। পরে আমাদের অংশটা আপনার
কাছে বাকিতে বিক্রি করে দিব। তবে এখনই বিক্রির চুক্তি নয় কেবল ওয়াদা
করছি। এতে ঐ লোক রাজি হয়ে গেল। ফলে গরুটি শরীকানায় ক্রয় করে কিছুদিন পর
আমাদের অংশটা কিছু লাভে ঐ লোকের কাছে বিক্রি করে দেই। জানার বিষয় হল,
উল্লেখিত অবস্থায় আমাদের কারবারটি সহীহ হয়েছে কি?
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী
আপনাদের ঐ কারবারটি বৈধ হয়েছে। কেননা, যৌথভাবে কোনো পশু/বস্ত্ত ক্রয় করে
হস্তগত হওয়ার পর তা শরীকের কাছে বিক্রি করা জায়েয আছে।
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৩; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৬৬; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ১/২৫১; আলমাবসূত, সারাখসী ১১/১৫১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৪৫৮; ফাতহুল কাদীর ৫/৩৭৮
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৩; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৬৬; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ১/২৫১; আলমাবসূত, সারাখসী ১১/১৫১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৪৫৮; ফাতহুল কাদীর ৫/৩৭৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৯৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বর্তমান বিশ্বের প্রায় দেশে দেখা যায়, অধিকাংশ বিত্তবান ব্যক্তিরা নিজেদের...
প্রশ্ন
বর্তমান বিশ্বের প্রায় দেশে দেখা
যায়, অধিকাংশ বিত্তবান ব্যক্তিরা নিজেদের ছোট ছোট ছেলেমেয়ের নামে
ব্যাংক-একাউন্ট খুলে টাকা জমা রাখে। যেন তারা বড় হয়ে ঐ টাকা দিয়ে
ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, জমাকৃত টাকা যদি নেসাব পরিমাণ বা
তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে তাদের উপর সদকাযে ফিতর ওয়াজিব হবে কি না? আর
ওয়াজিব হলে কার মাল থেকে তা আদায় করতে হবে? পিতা নিজের মাল থেকে আদায়
করবে, না বাচ্চার মাল থেকে?
উত্তর
নেসাবের মালিক নাবালেগ ছেলে-মেয়ের
উপর সদকাতুল ফিতর তার সম্পদ থেকে আদায় করাই নিয়ম। তাই অভিভাবক বাচ্চার
সম্পদ থেকে ফিতরা আদায় করে দিবে। তবে পিতা ইচ্ছা করলে নিজ সম্পদ থেকেও তা
আদায় করে দিতে পারেন।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৩/৬৩; সহীহ বুখারী ১/২০৪; বাদায়েউস সানায়ে ২/১৯৯; আলবাহরুর রায়েক ২/৪৩৯-৪৪০; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/১০৪; হেদায়া ২/২২১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৪২৩; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯২; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৩১২; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৪/২৮৩
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৩/৬৩; সহীহ বুখারী ১/২০৪; বাদায়েউস সানায়ে ২/১৯৯; আলবাহরুর রায়েক ২/৪৩৯-৪৪০; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/১০৪; হেদায়া ২/২২১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৪২৩; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯২; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৩১২; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৪/২৮৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৮২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক প্রতিবেশী আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ চেয়েছে। তার...
প্রশ্ন
এক প্রতিবেশী আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা
ঋণ চেয়েছে। তার একটি চার তলা বাড়ি আছে, যার ছাদ ও দেয়ালের নির্মাণ কাজ
সমাপ্ত হয়েছে। তবে বাসোপযোগী হতে আরও কাজ বাকি আছে। আমি তাকে বলেছি, তোমার
নির্মাণাধীন ভবনের একটি ফ্ল্যাট পাঁচ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকায় ভাড়া দাও।
এতে সে সম্মত হয়েছে। এখন আমি কি এই ফ্ল্যাটটি অন্য কারো কাছে ভাড়া দিতে
পারব? আমি যে মূল্যে ভাড়া নিয়েছি তার চেয়ে বেশি মূল্যে ভাড়া দিতে পারব
কি?
উত্তর
ভবনের নির্মাণাধীন ঐ ফ্ল্যাটটি আপনি
নিজে যেমন ব্যবহার করতে পারবেন তেমনি মালিকের অনুমতি থাকলে অন্য কারো কাছে
ভাড়াও দিতে পারবেন। তবে আপনি যে মূল্যে ভাড়া নিয়েছেন তার চেয়ে বেশিতে
তখনই ভাড়া দিতে পারবেন যদি আপনি ফ্ল্যাটটিতে কোনো সংস্কার বা সংযোজনমূলক
কাজ করেন কিংবা তা মেরামত করেন। যেমন দরজা, জানালা লাগানো, দেয়ালের
প্লাস্টার বা ডেকোরেশন ইত্যাদি। আশআছ রাহ. বলেন, ‘আমি শাবী ও হাকামকে
জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যক্তি একটি উট ভাড়া নিয়ে যে মূল্যে ভাড়া নিয়েছে
তার চেয়ে বেশি মূল্যে অন্যত্র ভাড়া দেয়-এটা কি বৈধ? জবাবে তারা বললেন,
সে যদি তাতে নিজে শ্রম দেয় বা কোনো মজুর রাখে তাহলে অসুবিধা নেই।’
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৩৭৬৩)
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আমের রাহ. ভাড়া মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে অন্যত্র ভাড়া প্রদানকে অপছন্দ করতেন। তবে তাতে কোনো সংস্কার করা হলে অপছন্দ করতেন না।’ (প্রাগুক্ত, হাদীস : ২৩৭৬৮)
ভাড়া নেওয়ার পর ভবনটিতে কোনো কাজ না করে অধিক মূল্যে ভাড়া দিলে যা বাড়তি নেওয়া হল তা সদকা করে দিতে হবে। ইবরাহীম নাখাঈ রাহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, যে মূল্যে ভাড়া নেওয়া হয়েছে তার চেয়ে অতিরিক্ত সুদ। (প্রাগুক্ত, হাদীস : ২৩৭৫৪)
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আমের রাহ. ভাড়া মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে অন্যত্র ভাড়া প্রদানকে অপছন্দ করতেন। তবে তাতে কোনো সংস্কার করা হলে অপছন্দ করতেন না।’ (প্রাগুক্ত, হাদীস : ২৩৭৬৮)
ভাড়া নেওয়ার পর ভবনটিতে কোনো কাজ না করে অধিক মূল্যে ভাড়া দিলে যা বাড়তি নেওয়া হল তা সদকা করে দিতে হবে। ইবরাহীম নাখাঈ রাহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, যে মূল্যে ভাড়া নেওয়া হয়েছে তার চেয়ে অতিরিক্ত সুদ। (প্রাগুক্ত, হাদীস : ২৩৭৫৪)
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৮১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
ব্যাংকে আমার ১০ লক্ষ টাকা ছিল। এগুলো দিয়ে একটি জমি...
প্রশ্ন
ব্যাংকে আমার ১০ লক্ষ টাকা ছিল।
এগুলো দিয়ে একটি জমি কিনেছিলাম। কিছুদিন পর জমিটি ৫ বছরের মেয়াদে বাকিতে
১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছি, যা বর্তমান বাজারদরের চেয়ে বেশি। এই লেনদেন
সম্পর্কে জানতে পেরে একজন বলল যে, এটি বৈধ হয়নি। কেননা তা সুদি কারবারের
অন্তর্ভুক্ত। এখন আমি জানতে চাই, ঐ ব্যক্তির কথা কি সঠিক?
উত্তর
কারবারটি বৈধ হয়েছে। বাকি লেনদেনে
নগদ মূল্যের চেয়ে কিছু বেশি দাম রাখা জায়েয। তবে মেয়াদ ও মূল্য
নির্ধারিত হতে হবে। প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উক্ত ক্রয়-বিক্রয়ের সময়
যেহেতু জমির মূল্য ও বাকির মেয়াদ চূড়ান্ত করা হয়েছে তাই লেনদেনটি জায়েয
হয়েছে। এটি সুদি কারবার নয়। হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে ওতাইবা এবং হাম্মাদ রাহ.কে জিজ্ঞাসা করেছি, একজন
ব্যবসায়ী পণ্য বিক্রয়ের সময় ক্রেতাকে বলে-নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর
বাকিতে কিনলে এত টাকা (বেশি)-এটা কি বৈধ? তারা উভয়ে বলেছেন,
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি মজলিস ত্যাগ করার আগে কোনো একটিকে চূড়ান্ত করে
নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১০/৫৯৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৪৪০, ৫/১৪২; আলবাহরুর রায়েক ৬/১১৪; ফাতহুল কাদীর ৬/১৩৩; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যা মুআছিরা ১/১২
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১০/৫৯৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৪৪০, ৫/১৪২; আলবাহরুর রায়েক ৬/১১৪; ফাতহুল কাদীর ৬/১৩৩; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যা মুআছিরা ১/১২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি প্রতি সপ্তাহে শহর থেকে বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী যেমন জগ,...
প্রশ্ন
আমি প্রতি সপ্তাহে শহর থেকে বিভিন্ন
প্লাস্টিক সামগ্রী যেমন জগ, বদনা, বাটি ইত্যাদি কিনে গ্রামে নিয়ে যাই এবং
কয়েকজন ছেলেকে দিয়ে তা মানুষের বাড়িতে ফেরি করে বিক্রি করতে পাঠাই।
তাদেরকে মাল বুঝিয়ে দেওয়ার সময় পণ্যের দামও নির্দিষ্ট করে দেই। তাদের
সাথে এ মর্মে চুক্তি হয় যে, নির্দিষ্ট দামের অতিরিক্ত যত টাকায় বিক্রি
করতে পারবে তা তাদের। এ চুক্তিতে তারা সম্মত থাকে। জানার বিষয় হল, এভাবে
চুক্তি করা বৈধ হয়েছে কি না?
উত্তর
এভাবে চুক্তি করা বৈধ নয়। কারণ
এক্ষেত্রে পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট হয় না। অথচ চুক্তি সহীহ হওয়ার জন্য তা
নির্দিষ্ট হওয়া জরুরি। বিশিষ্ট সাহাবী আবু সায়ীদ খুদরী রা. বলেন, ‘যখন
তুমি কাউকে মজুর হিসেবে নিয়োগ কর তখন তার মজুরি নির্দিষ্ট করে দাও।’
(সুনানে নাসাঈ ৭/৩১-৩২)
এক্ষেত্রে সহীহ পদ্ধতিতে কারবার করতে চাইলে বিক্রয় মূল্যের কত অংশ বিক্রেতাগণ কমিশন হিসেবে পাবে তা সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যেমন এভাবে বলবে যে, পণ্যটি যত টাকা বিক্রি হবে তুমি এর ৫% (বা অন্য কোনো হার) পাবে। এক্ষেত্রে একটি সর্বনিম্ন মূল্যও ঠিক করে দিতে পারবে।
আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২১৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৫১; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়াহ, মাদ্দাহ : ৪৫০; রদ্দুল মুহতার ৬/৬৩
এক্ষেত্রে সহীহ পদ্ধতিতে কারবার করতে চাইলে বিক্রয় মূল্যের কত অংশ বিক্রেতাগণ কমিশন হিসেবে পাবে তা সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যেমন এভাবে বলবে যে, পণ্যটি যত টাকা বিক্রি হবে তুমি এর ৫% (বা অন্য কোনো হার) পাবে। এক্ষেত্রে একটি সর্বনিম্ন মূল্যও ঠিক করে দিতে পারবে।
আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২১৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৫১; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়াহ, মাদ্দাহ : ৪৫০; রদ্দুল মুহতার ৬/৬৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি, যার সুদের কারবার ছাড়াও আরো কিছু...
প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি, যার
সুদের কারবার ছাড়াও আরো কিছু ব্যবসা আছে সে যখন মসজিদ বা মাদরাসার
উন্নয়নকল্পে দান করে তখন বলে এটা আমার সুদের টাকা না। এই ব্যক্তির টাকা
মসজিদ বা মাদরাসার কাজে ব্যবহার করা যাবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু
লোকটির সুদের কারবার ছাড়াও অন্যান্য হালাল ব্যবসা আছে এবং সে
মসজিদ-মাদরাসায় দান করার সময় তা সুদের টাকা নয়-বলে উল্লেখ করছে তাই
এক্ষেত্রে তার অনুদান গ্রহণ করা এবং তা মসজিদ-মাদরাসার কাজে ব্যবহার করা
জায়েয হবে। আর মসজিদ-মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসীর দ্বীনী দায়িত্ব
হল, লোকটিকে সুদের ভয়াবহতা বোঝানো এবং সুদী কারবার থেকে নিবৃত্ত করার
চেষ্টা করা।
সহীহ বুখারী ১/১৮৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৭৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৪৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৩; রদ্দুল মুহতার ১/৬৫৮
সহীহ বুখারী ১/১৮৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৭৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৪৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৩; রদ্দুল মুহতার ১/৬৫৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৫০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের বাসায় রংয়ের কাজ করার জন্য দুজন লোককে দৈনিক ১০০/-টাকা...
প্রশ্ন
আমাদের বাসায় রংয়ের কাজ করার জন্য
দুজন লোককে দৈনিক ১০০/-টাকা চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। দুদিন কাজ করার
পর তৃতীয় দিনও তারা কাজ করার জন্য বাসায় এসেছিল। কিন্তু ঐ দিন বৃষ্টির
কারণে কোনো কাজ করতে পারেনি। তারা বলছে, ঐ দিনের পারিশ্রমিকও তাদেরকে দিতে
হবে। একজন বলছে, পুরো না দিলে অর্ধেক দিতে হবে। জানতে চাই, শরীয়তের
দৃষ্টিতে তাদেরকে ঐ দিনের মজুরি দেওয়া কি জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী বৃষ্টির
কারণে তারা যেহেতু কাজ শুরুই করতে পারেনি তাই তারা ঐ দিনের মজুরি পাবে না।
সুতরাং তারা পারিশ্রমিক (পূর্ণ বা আংশিক) দাবি করলেও তা দেওয়া জরুরি নয়।
-আলবাহরুর রায়েক ৮/২৯; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৪৮৭, মাদ্দাহ : ৪২৫
-আলবাহরুর রায়েক ৮/২৯; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৪৮৭, মাদ্দাহ : ৪২৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৯৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের মসজিদের একটি পুকুর আছে, ঐ পুকুরে মাছ চাষ করা...
প্রশ্ন
আমাদের মসজিদের একটি পুকুর আছে, ঐ
পুকুরে মাছ চাষ করা হয়েছে। তা পুকুরে থাকা অবস্থায় ২০ হাজার টাকায়
বিক্রি করা হয়েছে। একদিনেই সকল আয়োজন সম্পন্ন করে পুকুরের সব মাছ ধরে
ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে ফেলেছে। পরবর্তীতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে,
উক্ত বেচা-কেনা সহীহ হয়নি। জানার বিষয় হল, ওই বিশ হাজার টাকা কি মসজিদের
কাজে ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী মসজিদ
কর্তৃপক্ষের জন্য ঐভাবে পুকুরের মাছ বিক্রি করা জায়েয হয়নি। তাদের
কর্তব্য হল এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে সকল লেনদেনের
ক্ষেত্রে মাসআলা জেনে সতর্কতার সাথে আমল করা। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কারবারটি
যেহেতু নাজায়েয হয়েছে এখন ঐ চুক্তি ধর্তব্য হবে না। অতএব যে পরিমাণ মাছ
পাওয়া গেছে তার পাইকারি বাজার-মূল্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ পাবে। তাই পুকুর থেকে
যে পরিমাণ মাছ ধরা হয়েছে ঐ পরিমাণ মাছের ঐ দিনের বাজারদর নির্ধারণ করবে।
বাজার দর যদি ২০ হাজার টাকা হয়ে যায় তবে তো ঠিক আছে। আর যদি কম হয় তাহলে
বাজার দর হিসেবে যত টাকা হয় তত টাকাই মসজিদের পাওনা, অতিরিক্ত টাকা
ক্রেতা মাছ ব্যবসায়ীদেরকে ফেরত দিতে হবে। আর বাজার দর যদি ২০ হাজার টাকা
থেকে বেশি হয় সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা মসজিদের পাওনা। মোটকথা, যে পরিমাণ
মাছ পাওয়া গেছে তার ঐ দিনের বাজার দরই মসজিদের প্রাপ্য। সে অনুযায়ী
লেনদেন নিষ্পত্তি করতে হবে। এবং এভাবে গৃহীত টাকা মসজিদের কাজে ব্যবহার করা
যাবে।
-ফাতহুল কাদীর ৬/৯২, ৯৮, ৪৯; জামিউল ফুছুলাইন ২/৪৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/১১৩; রদ্দুল মুহতার ৫/৯২, ৭১
-ফাতহুল কাদীর ৬/৯২, ৯৮, ৪৯; জামিউল ফুছুলাইন ২/৪৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/১১৩; রদ্দুল মুহতার ৫/৯২, ৭১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৮৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
জনৈক ওয়ায়েযকে হাদীসেরما كنت تقول هذا الرجلঅর্থাৎ এ ব্যক্তি সম্পর্কে...
প্রশ্ন
জনৈক ওয়ায়েযকে হাদীসের
ما كنت تقول هذا الرجل
অর্থাৎ এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার বিশ্বাস কী ছিল?-এ অংশের ব্যাখ্যায় বলতে শুনেছি যে, ‘কবরে মৃত ব্যক্তিকে সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, ইনি কে? তুমি কি তাকে চিন?’ জানতে চাই এ ব্যাখ্যা কি সঠিক?
ما كنت تقول هذا الرجل
অর্থাৎ এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার বিশ্বাস কী ছিল?-এ অংশের ব্যাখ্যায় বলতে শুনেছি যে, ‘কবরে মৃত ব্যক্তিকে সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, ইনি কে? তুমি কি তাকে চিন?’ জানতে চাই এ ব্যাখ্যা কি সঠিক?
উত্তর
কবরে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে যখন জিজ্ঞাসা করা হবে তখন তাঁকে দেখানোর কথা
কুরআন-হাদীসে উল্লেখ নেই। তাই হাদীস বিশারদগণ দেখানোর কথা প্রত্যাখ্যান
করেছেন।
-মাজমুআতুর রাসায়িলিল মুনীরিয়া, ইবনে হাজার আসকালানী ৪/৪১; তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৬/২৪১; শরহুস সুদূর, ইমাম সুয়ূতী ১৪৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪/১৫৩; মিরকাত ১/১৯৯
-মাজমুআতুর রাসায়িলিল মুনীরিয়া, ইবনে হাজার আসকালানী ৪/৪১; তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৬/২৪১; শরহুস সুদূর, ইমাম সুয়ূতী ১৪৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪/১৫৩; মিরকাত ১/১৯৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৮৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
সিএনজি অটো রিকশার ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে সরকার এবং চালকপক্ষের মাঝে...
প্রশ্ন
সিএনজি অটো রিকশার ভাড়া নির্ধারণ
নিয়ে সরকার এবং চালকপক্ষের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে। সরকার তাদের জমা কমিয়ে
মিটারের কিলোমিটার প্রতি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে মিটারে চলতে বাধ্য করছে।
কিন্তু অনেক চালক আইন অমান্য করে পূর্বের ন্যায় চুক্তিতে চালাচ্ছে। অপর
দিকে অনেক যাত্রী আইনের কারণে তাদেকে মিটারে যেতে বাধ্য করছে। অন্যথায়
পুলিশের নিকট ধরিয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমার জানার বিষয় হল :
ক) সরকারের জন্য উক্ত আইন করা ঠিক হয়েছে কি না?
খ) ঠিক হয়ে থাকলে চালকদের জন্য আইন অমান্য করে টাকা কামানো বৈধ কি না?
গ) চালকের অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও যাত্রীদের জন্য সরকারি নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করা ঠিক কি না?
ক) সরকারের জন্য উক্ত আইন করা ঠিক হয়েছে কি না?
খ) ঠিক হয়ে থাকলে চালকদের জন্য আইন অমান্য করে টাকা কামানো বৈধ কি না?
গ) চালকের অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও যাত্রীদের জন্য সরকারি নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করা ঠিক কি না?
উত্তর
ভাড়ায় চালিত সিএনজি অটো
রিক্সাগুলো নির্ধারিত মিটারের ভাড়ায় চালানোর শর্তেই শুল্ক ইত্যাদি
রেয়ায়েত দিয়ে আমদানি ও বাজারজাত করার সুযোগ হয় এবং এ শর্তেই তাদেরকে
রুট পারমিট দেওয়া হয়। মালিকরা উক্ত শর্ত মেনেই তা ক্রয় করে থাকে এবং
চালকগণও সে শর্ত মেনে নিয়েই রাস্তায় গাড়ি চালায়। তাই সিএনজি মালিক ও
চালকদের জন্য সরকারের এ সিদ্ধান্ত মানা জরুরি। তাদের জন্য মিটার থেকে বেশি
ভাড়া আদায় করা ঠিক হবে না। আর যাত্রীদের জন্য মিটার অনুযায়ী ভাড়া
পরিশোধ করা বৈধ। এক্ষেত্রে চালকদের অসন্তুষ্টি গ্রহণযোগ্য নয়; বরং
চালক-মালিকের জন্য যাত্রীদের সাথে অসন্তোষ প্রকাশ করা বা অতিরিক্ত ভাড়া
দাবি করা অন্যায়।
-সূরা মায়িদা : ১০; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/২৯৫; সহীহ মুসলিম ২/১২৫; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৩/৩২৩; আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৬৪; রদ্দুল মুহতার ২/১৮৫
-সূরা মায়িদা : ১০; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/২৯৫; সহীহ মুসলিম ২/১২৫; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৩/৩২৩; আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৬৪; রদ্দুল মুহতার ২/১৮৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৮৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আগে আমার কাপড়ের ব্যবসা ছিল। বর্তমানে নেই। পুরোনা অভিজ্ঞতার কারণে...
প্রশ্ন
আগে আমার কাপড়ের ব্যবসা ছিল।
বর্তমানে নেই। পুরোনা অভিজ্ঞতার কারণে আমার চাচাতো ভাই আমাকে মোটা অংকের
টাকা দিয়ে বলল যে, চট্টগ্রামে কাপড়ের ব্যবসা কর, যা লাভ হবে তার ৩০%
তোমার আর ৭০% আমার। আমি সেখানে গিয়ে একটি দোকান নেই এবং এক মাস পর্যন্ত
ব্যবসা করি। এতে সামান্য কিছু লাভ হয়েছে। আর এই লাভ আমাদের সেখানে
থাকা-খাওয়া, দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদির সমান। অতিরিক্ত আর
কোনো লাভ হয়নি। আমি ঢাকায় এসে চাচাতো ভাইকে বললাম, ব্যবসায় লাভ হয়নি।
কিন্তু আমি তো একমাস শ্রম দিয়েছি আমাকে কিছু মজুরী দাও। সে বলল, লাভ না
হলে কিভাবে দিব? শরীয়তের দৃষ্টিতে সে আমাকে মজুরি দিতে বাধ্য কি না?
জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাকে
পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু দেওয়া তার জন্য জরুরি নয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে
আপনাদের কারবারটি মুদারাবা কারবার হয়েছে, অর্থাৎ এক পক্ষের মূলধন, অপর
পক্ষের শ্রম। এক্ষেত্রে শরীয়তের নীতিমালা হল, ব্যবসা সংক্রান্ত খরচ বাদ
দেওয়ার পর কোনো লাভ থাকলে তা পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষের মাঝে
বণ্টন হবে। কিন্তু যদি লাভ না হয় তাহলে শ্রমদাতা পারিশ্রমিক হিসেবে কিছুই
পাবে না।
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/১৫২; দুরারুল হুক্কাম ৩/৪৫৮; আলমাআইরুশ শরইয়্যাহ ২৪১
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/১৫২; দুরারুল হুক্কাম ৩/৪৫৮; আলমাআইরুশ শরইয়্যাহ ২৪১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৮০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একজন চাকরিজীবী। চাকরির পয়সায় মাস চালাতে চরম হিমশিম খেতে...
প্রশ্ন
আমি একজন চাকরিজীবী। চাকরির পয়সায়
মাস চালাতে চরম হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু একটি সংস্থা সম্মেলন করার জন্য
আমাদের থেকে প্রতি বছর টাকা নিয়ে থাকে। গত বছর কোনো কথা ছাড়াই বেতন থেকে
টাকা কেটে নিয়েছে। পরে কর্মচারীরা তা জানতে পারে। এই বছর একটু বলা হয়েছে
যে, কত টাকা নেয়া হবে। আমরা আলিমদের মুখে শুনেছি যে, কারো সম্পদ তার
সন্তুষ্টি ছাড়া নেওয়া বৈধ নয়। ইসলামী সম্মেলনের জন্য এভাবে টাকা নেওয়া
কতটুকু বৈধ? আশা করি জানাবেন।
উত্তর
মাসিক বেতনের নিরঙ্কুশ মালিক হচ্ছেন
চাকুরিজীবীরা। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি ছাড়া বেতনের টাকা কেটে রাখা
জায়েয হবে না। কর্তন করলে তা ফেরত দিতে হবে।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৪৮৮, ২৩৬০৫; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়া, মাদ্দাহ : ৪২৫; রদ্দুল মুহতার ৬/৬৪
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৪৮৮, ২৩৬০৫; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়া, মাদ্দাহ : ৪২৫; রদ্দুল মুহতার ৬/৬৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৪৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
মোমেনশাহীর দুই ব্যক্তি ঢাকায় চাকরি করেন। তারা শুক্রবার সকাল ১১...
প্রশ্ন
মোমেনশাহীর দুই ব্যক্তি ঢাকায়
চাকরি করেন। তারা শুক্রবার সকাল ১১ টায় মোমেনশাহীর উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
রাস্তায় জুমআর নামায পড়তে পারেননি। বেলা ৩টায় বাড়ি পৌঁছে দু’জন মিলে
জামাতের সাথে যোহরের নামায আদায় করেছেন। প্রশ্ন হল, তাদের জন্য জামাতের
সাথে যোহরের নামায পড়া ঠিক হয়েছে নাকি একাকী পড়া উচিত ছিল? জানালে খুশি
হব।
উত্তর
তাদের যোহরের নামায আদায় হয়েছে।
তবে তাদের জন্য যোহরের নামায একাকী পড়া উত্তম ছিল। কারণ জুমার জামাত না
পেলে যোহর একাকী আদায় করা উত্তম।
-কিতাবুল আসল ১/৩৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৭৩; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৪; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ২৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/১৫৭
-কিতাবুল আসল ১/৩৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৭৩; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৪; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ২৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/১৫৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের গ্রামের ঈদগাহের জন্য একটি জমি প্রায় এক শ’ বছর...
প্রশ্ন
আমাদের গ্রামের ঈদগাহের জন্য একটি
জমি প্রায় এক শ’ বছর পূর্বে ওয়াকফ করা হয়। এরপর থেকে সেখানে ঈদের নামায
হয়ে আসছে। কিছুদিন পূর্বে ঈদগাহের সীমানা দেয়াল নির্মাণ এবং আরো কিছু
প্রয়োজনে ঈদগাহের সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে দেখা যায়, ঈদগাহ সংলগ্ন
জমির মালিক অনেকগুলো ফলদ ও কাঠের গাছ ভুলবশত ঈদগাহের সীমানার ভিতরে লাগিয়ে
ফেলেছে। গাছগুলো অন্তত ২০/২৫ বছর পূর্বে লাগানো হয়েছিল এবং এতদিন যাবৎ
গাছের ফল রোপনকারী ভোগ করে আসছে। এখন মুসল্লিরা দাবি করছে, যেহেতু গাছগুলো
ঈদগাহের জমিতে বড় হয়েছে সুতরাং এগুলো ঈদগাহের গাছ। আর রোপনকারীর বক্তব্য,
আমার গাছ আমি কেটে নিয়ে যাব। এ বিষয়ে শরঈ সমাধান জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির
জন্য ঈদগাহে গাছ লাগানো ঠিক হয়নি। তাকে এর জন্য তাওবা-ইস্তিগফার করতে হবে
আর বিগত যত বছর ঈদগাহের সীমানার ভিতরে জমিতে তার গাছ ছিল তত বছরের ন্যায্য
ভাড়া ঈদগাহ ফান্ডে আদায় করতে হবে। তবে রোপনকারী গাছগুলোর মালিক। ঈদগাহ
কর্তৃপক্ষ তাকে গাছগুলো কেটে নিয়ে মাঠ খালি করে দিতে বাধ্য করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গাছের ছায়া বা অন্য কোনো সুবিধার জন্য ঈদগাহ কর্তৃপক্ষ গাছগুলো রেখে দিতে চাইলে রোপনকারীর সম্মতিতে গাছের বর্তমান মূল্য পরিশোধ করে দিতে হবে।
জামেউল ফুসূলাইন ২/১০১; কিতাবুল ওয়াকফ, পৃষ্ঠা : ৩৮৫
উল্লেখ্য, গাছের ছায়া বা অন্য কোনো সুবিধার জন্য ঈদগাহ কর্তৃপক্ষ গাছগুলো রেখে দিতে চাইলে রোপনকারীর সম্মতিতে গাছের বর্তমান মূল্য পরিশোধ করে দিতে হবে।
জামেউল ফুসূলাইন ২/১০১; কিতাবুল ওয়াকফ, পৃষ্ঠা : ৩৮৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫২২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা জায়গা ও...
প্রশ্ন
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে
অনেক কোম্পানি আছে যারা জায়গা ও বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। টাকা
পরিশোধের ব্যাপারে শর্ত থাকে যে, এককালীন পরিশোধ করলে কিছুটা কম আর
কিস্তিতে পরিশোধ করলে কিছুটা বেশি পরিশোধ করতে হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
কিস্তির অতিরিক্ত টাকা কি সুদ? এ জাতীয় ক্রয়-বিক্রয় জায়েয আছে কি?
উত্তর
কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করলে নগদের
চেয়ে বেশি মূল্য নেওয়া জায়েয। তবে কিস্তির বিক্রির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত
শর্তের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে-
১. পণ্যের মূল্য ও আদায়ের তারিখ সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
২. চুক্তির সময় পণ্যের মূল্য চূড়ান্ত হওয়ার পর কিস্তি আদায়ে বিলম্ব বা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না।
৩. কিস্তি আদায়ের জন্য পণ্য আটকে রাখা যাবে না; বরং চুক্তির পরই পণ্য ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী জিদ্দা ৭/২/৩২-৩৬; বাইউত তাকসীত ওয়া আহকামুহু, সুলাইমান আততুরকী পৃষ্ঠা : ২২৮; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা, আল্লামা তাকী উসমানী ১/৭
১. পণ্যের মূল্য ও আদায়ের তারিখ সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
২. চুক্তির সময় পণ্যের মূল্য চূড়ান্ত হওয়ার পর কিস্তি আদায়ে বিলম্ব বা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না।
৩. কিস্তি আদায়ের জন্য পণ্য আটকে রাখা যাবে না; বরং চুক্তির পরই পণ্য ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী জিদ্দা ৭/২/৩২-৩৬; বাইউত তাকসীত ওয়া আহকামুহু, সুলাইমান আততুরকী পৃষ্ঠা : ২২৮; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা, আল্লামা তাকী উসমানী ১/৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৮৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
চার ব্যক্তি সমান হারে অর্থ দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য...
প্রশ্ন
চার ব্যক্তি সমান হারে অর্থ দিয়ে
মাছ শিকার করার জন্য একটি জাল ক্রয় করেছে। তারা এভাবে চুক্তি করেছে যে, এ
জাল দিয়ে বিল ও নদী থেকে মাছ শিকার করবে এবং সমানভাবে বণ্টন করে নিবে। তবে
মাছ শিকার করার জন্য সকলকে থাকতে হবে না। দু’জন মিলে শিকার করলেও চার জন
ভাগ করে নিবে। প্রশ্ন হল, মাছ শিকারের উক্ত চুক্তিটি সহীহ কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে চারজন একসাথে
মাছ শিকার করে সমানভাবে বণ্টন করে নেওয়া জায়েয হবে। কিন্তুমাছ শিকারে কেউ
অনুপস্থিত থাকলে সে মাছের ভাগ পাবে না। এক্ষেত্রে অন্যদের মতো মাছের সমান
অংশ নেওয়া জায়েয হবে না। হ্যাঁ, উক্ত জালে তার যে অংশ রয়েছে সেটার
ন্যায্য ভাড়া সে পাবে। অথবা ভাড়া হিসেবে ইনসাফ করে মাছও নিতে পারবে।
- হেদায়া ২/৬৩৪; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৬২৪; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২২৭; ফাতহুল কাদীর ৫/৪০৯; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২৫
- হেদায়া ২/৬৩৪; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৬২৪; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২২৭; ফাতহুল কাদীর ৫/৪০৯; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৪৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের দাদারা আমাদের গ্রামের বাড়ির সম্মুখে দক্ষিণ পার্শ্বে ৫৩ শতাংশ...
প্রশ্ন
আমাদের দাদারা আমাদের গ্রামের
বাড়ির সম্মুখে দক্ষিণ পার্শ্বে ৫৩ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য দান
করে গিয়েছেন। জমিটি পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা। উক্ত জমির উত্তরাংশে পূর্ব দিকে
একটি টিনের মসজিদ ঘর এবং মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে পারিবারিক কবরস্থান
হিসেবে তারা ব্যবহার করে আসছেন, যার উত্তর দিকে পূর্ব পশ্চিমে লম্বা এবং
পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে উত্তর দক্ষিণে লম্বা নিজ বাড়িতে ও মসজিদে চলাচলের
রাস্তা আছে। রাস্তার উত্তর পার্শ্বে প্রায় চার একর জমির উপর দাদাদের
বসতবাড়ি। মসজিদ-কবরস্থানের উল্লেখিত ৫৩ শতাংশ প্লটের অবশিষ্ট প্রায়
অর্ধেক অংশে পূর্ব পার্শ্বে মসজিদের জন্য বিরাট ইঁদারা এবং ইঁদারার পশ্চিম
পার্শ্বের অবশিষ্ট জায়গা খালি পড়ে ছিল। পরবর্তীতে বাপ-চাচাদের আমলে
ইঁদারার পশ্চিম পার্শ্বের খালি জায়গায় মসজিদ ঘরটি স্থানান্তর করা হয়।
আর ঐ সময় থেকে অদ্যাবধি মসজিদের সাবেক জায়গাটি খালি পড়ে আছে।
আমাদের জামানায় ১৯৯২ ঈ.সালে এলাকায় সর্বশেষ ভূমিজরিপ হলে আমরা উক্ত ৫৩ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের নামে ২৭ ও ২৬ শতাংশ করে আলাদা আলাদা ভাগ করে রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত করে দেই এবং যেহেতু দক্ষিণ পার্শ্বে ইঁদারা ও মসজিদ ঘর স্থানান্তরিত হয়েছে সে হিসাবে দক্ষিণের অংশ মসজিদের নামে এবং উত্তরের অংশ কবরস্থানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে মসজিদের সাবেক জায়গাটি কবরস্থানের অংশে পড়ে গিয়েছে। মসজিদ ও কবরের জায়গা মেপে বুঝ করতে গিয়ে দেখা গেল যে, মসজিদ ও কবরস্থানের উত্তর পার্শ্বে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটিও সম্পূর্ণ মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে। এমনকি রাস্তার উত্তর পার্শ্বে আমাদের বাড়ির সিমানা মনে করে আমাদের ভাইয়েরা (শরিক) সারিবদ্ধভাবে যে সমস্ত ফলের ও কাঠের গাছ লাগিয়েছিলেন সেগুলোও সারিবদ্ধভাবে মসজিদ-কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় ভাইয়েরা মসজিদ-কবরস্থানের উল্ল্লেখিত জায়গা ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের লাগানো কিছু গাছ কেটে কাজে লাগিয়েছেন এবং কিছু গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। অবশিষ্ট গাছগুলিও কেটে ফেলে জায়গাটি খালি করে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন। আর আমাদের বাড়িতে ও মসজিদে চলাচলের যে সরু রাস্তাটি আছে, উক্ত রাস্তাটি প্রশস্ত করে অন্য বড় এক রাস্তার সাথে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ এখন মাপের পর দেখা গেছে যে, রাস্তাটি মসজিদ-কবরস্থানের সিমানার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে।
এখন আমাদের জানার বিষয় হল :
ক) মসজিদ ও কবরস্থানের উল্লেখিত ৫৩ শতাংশ জায়গা আমরা যেভাবে ১৯৯২ সালের রেকর্ডে ভাগ করে দিয়েছি তা সঠিক হয়েছে কি না? না হয়ে থাকলে এখন করণীয় কী? আর মসজিদের সাবেক স্থানটি কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে সে বিষয়ে করণীয় কী?
খ) বর্তমানে মসজিদটি বড় ও পাকা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় যদি কবরস্থানের কিছু জায়গা ব্যবহার করতে হয় তাহলে তা করা যাবে কি না?
গ) মসজিদ ও কবরস্থানের সিমানায় ভাইদের লাগানো গাছগুলো তারা কেটে ব্যবহার করেছে ও বিক্রি করেছে তা সঠিক হয়েছে কি না? না হয়ে থাকলে এখন করণীয় কী? আর অবশিষ্ট গাছের হুকুম কি?
ঘ) মসজিদ-কবরস্থানের সিমানায় পড়ে যাওয়া উল্লেখিত রাস্তাটি সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরও প্রশস্ত করে অন্য বড় রাস্তার সাথে মিলানো যাবে কি না? যদি না যায় তাহলে মসজিদ-কবরস্থানের অর্ধেক এবং আমাদের বাড়ির অংশ থেকে অর্ধেক জায়গার মাধ্যমে রাস্তাটি করা যাবে কি না? আর যদি তাও না হয় তাহলে যেভাবে রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছি অন্তত সেভাবে ব্যবহার করতে পারব কি না?
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিষয়গুলোর সমাধান দিলে ইনশাআল্লাহ আমরা সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আমাদের জামানায় ১৯৯২ ঈ.সালে এলাকায় সর্বশেষ ভূমিজরিপ হলে আমরা উক্ত ৫৩ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের নামে ২৭ ও ২৬ শতাংশ করে আলাদা আলাদা ভাগ করে রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত করে দেই এবং যেহেতু দক্ষিণ পার্শ্বে ইঁদারা ও মসজিদ ঘর স্থানান্তরিত হয়েছে সে হিসাবে দক্ষিণের অংশ মসজিদের নামে এবং উত্তরের অংশ কবরস্থানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে মসজিদের সাবেক জায়গাটি কবরস্থানের অংশে পড়ে গিয়েছে। মসজিদ ও কবরের জায়গা মেপে বুঝ করতে গিয়ে দেখা গেল যে, মসজিদ ও কবরস্থানের উত্তর পার্শ্বে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটিও সম্পূর্ণ মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে। এমনকি রাস্তার উত্তর পার্শ্বে আমাদের বাড়ির সিমানা মনে করে আমাদের ভাইয়েরা (শরিক) সারিবদ্ধভাবে যে সমস্ত ফলের ও কাঠের গাছ লাগিয়েছিলেন সেগুলোও সারিবদ্ধভাবে মসজিদ-কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় ভাইয়েরা মসজিদ-কবরস্থানের উল্ল্লেখিত জায়গা ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের লাগানো কিছু গাছ কেটে কাজে লাগিয়েছেন এবং কিছু গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। অবশিষ্ট গাছগুলিও কেটে ফেলে জায়গাটি খালি করে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন। আর আমাদের বাড়িতে ও মসজিদে চলাচলের যে সরু রাস্তাটি আছে, উক্ত রাস্তাটি প্রশস্ত করে অন্য বড় এক রাস্তার সাথে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ এখন মাপের পর দেখা গেছে যে, রাস্তাটি মসজিদ-কবরস্থানের সিমানার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে।
এখন আমাদের জানার বিষয় হল :
ক) মসজিদ ও কবরস্থানের উল্লেখিত ৫৩ শতাংশ জায়গা আমরা যেভাবে ১৯৯২ সালের রেকর্ডে ভাগ করে দিয়েছি তা সঠিক হয়েছে কি না? না হয়ে থাকলে এখন করণীয় কী? আর মসজিদের সাবেক স্থানটি কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে সে বিষয়ে করণীয় কী?
খ) বর্তমানে মসজিদটি বড় ও পাকা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় যদি কবরস্থানের কিছু জায়গা ব্যবহার করতে হয় তাহলে তা করা যাবে কি না?
গ) মসজিদ ও কবরস্থানের সিমানায় ভাইদের লাগানো গাছগুলো তারা কেটে ব্যবহার করেছে ও বিক্রি করেছে তা সঠিক হয়েছে কি না? না হয়ে থাকলে এখন করণীয় কী? আর অবশিষ্ট গাছের হুকুম কি?
ঘ) মসজিদ-কবরস্থানের সিমানায় পড়ে যাওয়া উল্লেখিত রাস্তাটি সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরও প্রশস্ত করে অন্য বড় রাস্তার সাথে মিলানো যাবে কি না? যদি না যায় তাহলে মসজিদ-কবরস্থানের অর্ধেক এবং আমাদের বাড়ির অংশ থেকে অর্ধেক জায়গার মাধ্যমে রাস্তাটি করা যাবে কি না? আর যদি তাও না হয় তাহলে যেভাবে রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছি অন্তত সেভাবে ব্যবহার করতে পারব কি না?
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিষয়গুলোর সমাধান দিলে ইনশাআল্লাহ আমরা সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উত্তর
ক ও খ) প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী
ওয়াক্ফকারীগণ যেহেতু ৫৩ শতাংশ জায়গা মসজিদ ও কবরস্থান উভয়টির জন্য
যৌথভাবে ওয়াক্ফ করেছেন তাই মসজিদ এবং কবরস্থান উভয়ের জন্য সমান ভাগে
অর্থাৎ সাড়ে ছাব্বিশ শতাংশ করে ভাগ করতে হবে। আর ওয়াক্ফকারীগণ প্রথমে যে
স্থানে মসজিদ করেছিলেন সেটিকেই মসজিদ হিসেবে বহাল রাখা জরুরি। পাকা মসজিদ
বানালে পুরাতন মসজিদের স্থানেই বানাতে হবে। সুতরাং উত্তর-পূর্ব দিকের
পুরাতন মসজিদের আশপাশে উত্তর-দক্ষিণে কিংবা পূর্ব-পশ্চিমে যেভাবে সুবিধা
হয় সাড়ে ছাব্বিশ শতাংশ মসজিদের জন্য রেখে বাকি অর্ধেক কবরস্থানের জন্য
নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। অতএব দক্ষিণ-পশ্চিমে নতুন করে যে মসজিদ বানানো
হয়েছে তা মসজিদ থাকবে না। সেটা কবরস্থানের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। আর ১৯৯২
সালের রেকর্ড শুদ্ধ হয়নি। উপরে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে তা সংশোধন করে
নেওয়া জরুরি।-সহীহ বুখারী ১/৩৮২; হেদায়া ২/৬৪৫; ফাতহুল কাদীর ৫/৪৩৯
গ) ভাইদের লাগানো গাছগুলো নিজেদের ব্যবহারে নেওয়া বা বিক্রি করা সঠিক হয়েছে। অবশিষ্ট গাছগুলো দ্রুতি সরিয়ে ফেলতে হবে। আর মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গায় গাছ লাগানোর কারণে জায়গার ন্যায্য ভাড়া দিয়ে দিতে হবে।-তানকীহুল ফাতাওয়া হামীদিয়া ২/১৮২
ঘ) ওয়াক্ফের জায়গা যথাসম্ভব রাস্তার জন্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজস্ব জমিতে রাস্তা বের করা সম্ভব হলে সেটাই করতে হবে। একান্ত ওয়াক্ফের জমি থেকে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়লে ওয়াক্ফ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এভাবে ইনসাফ অনুযায়ী নিতে পারবে।-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩০৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৬৮
গ) ভাইদের লাগানো গাছগুলো নিজেদের ব্যবহারে নেওয়া বা বিক্রি করা সঠিক হয়েছে। অবশিষ্ট গাছগুলো দ্রুতি সরিয়ে ফেলতে হবে। আর মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গায় গাছ লাগানোর কারণে জায়গার ন্যায্য ভাড়া দিয়ে দিতে হবে।-তানকীহুল ফাতাওয়া হামীদিয়া ২/১৮২
ঘ) ওয়াক্ফের জায়গা যথাসম্ভব রাস্তার জন্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজস্ব জমিতে রাস্তা বের করা সম্ভব হলে সেটাই করতে হবে। একান্ত ওয়াক্ফের জমি থেকে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়লে ওয়াক্ফ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এভাবে ইনসাফ অনুযায়ী নিতে পারবে।-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩০৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৬৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৩৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার একটি লন্ড্রি দোকান আছে। পূর্বে বেতনভুক্ত একজন কর্মচারী রেখেছিলাম।...
প্রশ্ন
আমার একটি লন্ড্রি দোকান আছে।
পূর্বে বেতনভুক্ত একজন কর্মচারী রেখেছিলাম। দু’জন মিলে কাজ করতাম। কোনো
কারণে সে চলে যায়। এখন এক ব্যক্তি আমাকে প্রস্তাব করেছে যে, সে আমার
দোকানে আসবে। দু’জন মিলে মানুষ থেকে কাপড় গ্রহণ করব, ধোলাই ও ইস্ত্রি করব।
যা উপার্জন হবে তা অর্ধাঅর্ধি হারে বণ্টিত হবে।
জানার বিষয় এই যে, এই পদ্ধতিতে তাকে নেওয়া বৈধ হবে কি না? চাইলে তার সঙ্গে এভাবে চুক্তি করতে পারব কি না যে, যা উপার্জন হবে তার দুই ভাগ আমার, এক ভাগ তার? জানিয়ে বাধিত করবেন।
জানার বিষয় এই যে, এই পদ্ধতিতে তাকে নেওয়া বৈধ হবে কি না? চাইলে তার সঙ্গে এভাবে চুক্তি করতে পারব কি না যে, যা উপার্জন হবে তার দুই ভাগ আমার, এক ভাগ তার? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দু’জনের
মাঝে যা লাভ হবে তা নির্ধারিত হারে বণ্টনের চুক্তি করা জায়েয হবে।
দু’জনের কে কত ভাগ পাবে তা আগে থেকে নির্ধারণ করে নিবে। উভয়ের সম্মতিতে
একজনের এক ভাগ ও অপরজনের দুই ভাগও হতে পারে। আবার অন্য কোনো হারেও হতে
পারে।
-মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়াহ পৃ. ২৬৭, মাদ্দাহ : ১৩৮৫; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/২৫৬; ফাতহুল কাদীর ৫/৪০৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/২৫১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৩১; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২২
-মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়াহ পৃ. ২৬৭, মাদ্দাহ : ১৩৮৫; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/২৫৬; ফাতহুল কাদীর ৫/৪০৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/২৫১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৩১; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৩৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
জনৈক আহলে হাদীস আলেম বলেছেন, উমর রা. মদীনায় বসে যে...
প্রশ্ন
জনৈক আহলে হাদীস আলেম বলেছেন, উমর
রা. মদীনায় বসে যে ‘ইয়া সারিয়াতুল জাবাল’ বলেছেন এ ঘটনাটি সত্য নয়।
কারণ এটি সত্য হলে এর দ্বারা প্রমাণ হবে যে, উমর রা. গায়েব জানেন। অথচ
আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ গায়েব জানেন না-এটি চির সত্য। তাই উক্ত ঘটনাটি
বর্ণনাযোগ্য নয়। জানতে চাই, তার কথা কি সঠিক?
উত্তর
খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উমর রা.-এর
জুমার খুৎবা অবস'ায় পারস্যের যুদ্ধরত মুসলিম সেনাপতিকে ইয়া সারিয়াতুল
জাবাল বলে সম্বোধন করার ঘটনাটি সত্য। এ সম্পর্কিত একটা বর্ণনা সম্পর্কে
ইবনে হাজার রাহ. বলেছেন, তার সনদ হাসান পর্যায়ের এবং ইবনে কাছীর রাহ.
বলেছেন, হাযা ইসনাদুন জাইয়্যেদুন হাসানুন। দেখুন : আলইসাবা ৩/৫-৭;
আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ১০/১৭৩
অতএব ঘটনাটি বর্ণনাযোগ্য। আর এ কথাও সত্য এবং ঈমানের অংশ যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ গায়েব জানেন না। তবে আল্লাহ তাআলা যাকে গায়েবের কোনো খবর সম্পর্কে অবগত করেন তিনি ঐ বিষয়টি জানতে পারেন। যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের অনেক আলামত সম্পর্কে অবগত করেছেন। তাই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা বর্ণনা করেছেন। এ সূত্রে আমরাও জেনেছি। এতে করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মত গায়েব জানেন-এ কথা বলা যায় না। তদ্রূপ আল্লাহ তাআলা হযরত উমর রা.-এর অন্তরে পারস্যের সৈন্যবাহিনীর অবস্থা ঢেলে দিয়েছিলেন এবং তার আওয়াজ সুদূর পারস্যে পৌঁছে দিয়েছিলেন-এটি আল্লাহ তাআলা কুদরতের প্রকাশ। আর তার কুদরতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কেয়ামতের আলামতসমূহ জানার দ্বারা যেমনিভাবে গায়েব সম্পর্কে জ্ঞাত বলা যায় না তেমনি হযরত উমর রা.-এর ঐ ঘটনাও তাঁর গায়েব জানার প্রমাণ বহন করে না; বরং আল্লাহ তাআলার কুদরতেরই প্রমাণ। এ কারণে তিনি নিজেও কখনো এ দাবি করেননি যে, তিনি গায়েব জানেন এবং তার সম্পর্কে কোনো সাহাবী, তাবেয়ী, ইমাম ও মুহাদ্দিসও এমন কথা বলেননি। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির ঐ কথা সঠিক নয়। খোঁড়া যুক্তি দিয়ে ইসলামের সোনালী ইতিহাসকে অস্বীকার করা অন্যায় এবং কম ইলমীর পরিচায়ক।
-আল ইসাবা ফী তাময়িযিস সাহাবা ৩/৫-৭, হাদীস : ৩০৩৬; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ১০/১৭৩; আলকামিল ফিততারীখ ৩/৪২; আলমুনতাযাম ফী তারীখিল মুলূক ওয়াল উমাম ৪/৩২৫-৩২৬; তারীখে তবারী পৃ. ৬৯৮; সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা ৩/১০১, হাদীস : ১১১০; তারিখে দামেশক ২০/২৪
অতএব ঘটনাটি বর্ণনাযোগ্য। আর এ কথাও সত্য এবং ঈমানের অংশ যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ গায়েব জানেন না। তবে আল্লাহ তাআলা যাকে গায়েবের কোনো খবর সম্পর্কে অবগত করেন তিনি ঐ বিষয়টি জানতে পারেন। যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের অনেক আলামত সম্পর্কে অবগত করেছেন। তাই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা বর্ণনা করেছেন। এ সূত্রে আমরাও জেনেছি। এতে করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মত গায়েব জানেন-এ কথা বলা যায় না। তদ্রূপ আল্লাহ তাআলা হযরত উমর রা.-এর অন্তরে পারস্যের সৈন্যবাহিনীর অবস্থা ঢেলে দিয়েছিলেন এবং তার আওয়াজ সুদূর পারস্যে পৌঁছে দিয়েছিলেন-এটি আল্লাহ তাআলা কুদরতের প্রকাশ। আর তার কুদরতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কেয়ামতের আলামতসমূহ জানার দ্বারা যেমনিভাবে গায়েব সম্পর্কে জ্ঞাত বলা যায় না তেমনি হযরত উমর রা.-এর ঐ ঘটনাও তাঁর গায়েব জানার প্রমাণ বহন করে না; বরং আল্লাহ তাআলার কুদরতেরই প্রমাণ। এ কারণে তিনি নিজেও কখনো এ দাবি করেননি যে, তিনি গায়েব জানেন এবং তার সম্পর্কে কোনো সাহাবী, তাবেয়ী, ইমাম ও মুহাদ্দিসও এমন কথা বলেননি। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির ঐ কথা সঠিক নয়। খোঁড়া যুক্তি দিয়ে ইসলামের সোনালী ইতিহাসকে অস্বীকার করা অন্যায় এবং কম ইলমীর পরিচায়ক।
-আল ইসাবা ফী তাময়িযিস সাহাবা ৩/৫-৭, হাদীস : ৩০৩৬; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ১০/১৭৩; আলকামিল ফিততারীখ ৩/৪২; আলমুনতাযাম ফী তারীখিল মুলূক ওয়াল উমাম ৪/৩২৫-৩২৬; তারীখে তবারী পৃ. ৬৯৮; সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা ৩/১০১, হাদীস : ১১১০; তারিখে দামেশক ২০/২৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৩২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার নিজস্ব একটি লাইব্রেরী আছে। তাতে বই, খাতা-কলম ইত্যাদি বিক্রি...
প্রশ্ন
আমার নিজস্ব একটি লাইব্রেরী আছে।
তাতে বই, খাতা-কলম ইত্যাদি বিক্রি করি। একদিন আমার এক বন্ধু এসে বলল, তার
একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন আছে। সেটি আমার দোকানে রাখবে। দু’জন মিলে ফটোস্ট্যাট
করব। যা উপার্জন হবে তা উভয়ের মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হবে।জানতে চাই,
চুক্তিটি শরীয়তসম্মত হবে কি না?
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি সহীহ হয়েছে।
খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/২৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৩৪; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়াহ, মাদ্দাহ : ১৩৯৫; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩১৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৫/৬২৮; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২২
খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/২৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৩৪; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়াহ, মাদ্দাহ : ১৩৯৫; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩১৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৫/৬২৮; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪২৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের দেশে বর্তমানে শুধু পেনশনভোগী অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারি-কর্মকর্তাদের জন্য মুনাফাভিত্তিক...
প্রশ্ন
আমাদের দেশে বর্তমানে শুধু
পেনশনভোগী অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারি-কর্মকর্তাদের জন্য মুনাফাভিত্তিক
একটা সুবিধা চালু করা হয়েছে। তা হল, অবসরপ্রাপ্তির সময় জিপি ফাণ্ড ও
গ্রাচুয়িটি থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র খরিদ করতে হয়। নির্দিষ্ট
মেয়াদ (৩ বা ৫ বছর)। এই সঞ্চয়কৃত টাকার বিনিময়ে প্রতি তিন মাস অন্তর
নির্ধারিত একটি মুনাফা দেওয়া হয়। মেয়াদকাল শেষ হলে জমা রাখা মূল টাকা
সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়া হয়। এ সুবিধা শুধু সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তাদের
জন্য।
জানার বিষয় এই যে, এ মুনাফার সুবিধা গ্রহণ করা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ কি না? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
প্রকাশ থাকে যে, মাসিক মদীনায় তা বৈধ বলা হয়েছে। নিম্নে মাসিক মদীনার এ সম্পর্কিত কয়েকটি উত্তর উল্লেখ করা হল :
১। সরকার কর্তৃক জিপিফাণ্ডে যে মুনাফা দেওয়া হয় সেটাকে কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য অনুদান হিসাবে গণ্য করত ফেকাহবিদগণ হালাল সাব্যস্ত করেছেন। ইদানীং প্রবর্তিত পেনশনের সঞ্চয়পত্রকে জিপিফাণ্ডেরই একটি বর্ধিত ছুরত রূপে গণ্য করে এটাকেও হালাল বলে গণ্য করেন ফেকাহবিদগণ। (মাসিক মদীনা, জুন ২০০৭)
২। এ যুগের বিজ্ঞ আলেমগণ এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, কর্মচারীগণের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রভিডেন্ট ফাণ্ড, পেনশন, প্রাচুয়িটি এবং সর্বশেষ সুযোগ পেনশনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ইত্যাদি হালাল। এসবের মুনাফা বাহ্যত সুদ বলে মনে হলেও শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদের মধ্যে গণ্য হয় না। (মাসিক মদীনা, জুলাই ২০০৭)
৩। যেহেতু এটা শুধুমাত্র সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বিশেষ স্কীম, সে কারণে সরকারী পেনশন ভোগীদের জন্য এই স্কীম থেকে প্রাপ্ত মুনাফা নাজায়েয হবে না। (মাসিক মদীনা, ডিসেম্বর ২০০৪)
জানার বিষয় এই যে, এ মুনাফার সুবিধা গ্রহণ করা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ কি না? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
প্রকাশ থাকে যে, মাসিক মদীনায় তা বৈধ বলা হয়েছে। নিম্নে মাসিক মদীনার এ সম্পর্কিত কয়েকটি উত্তর উল্লেখ করা হল :
১। সরকার কর্তৃক জিপিফাণ্ডে যে মুনাফা দেওয়া হয় সেটাকে কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য অনুদান হিসাবে গণ্য করত ফেকাহবিদগণ হালাল সাব্যস্ত করেছেন। ইদানীং প্রবর্তিত পেনশনের সঞ্চয়পত্রকে জিপিফাণ্ডেরই একটি বর্ধিত ছুরত রূপে গণ্য করে এটাকেও হালাল বলে গণ্য করেন ফেকাহবিদগণ। (মাসিক মদীনা, জুন ২০০৭)
২। এ যুগের বিজ্ঞ আলেমগণ এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, কর্মচারীগণের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রভিডেন্ট ফাণ্ড, পেনশন, প্রাচুয়িটি এবং সর্বশেষ সুযোগ পেনশনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ইত্যাদি হালাল। এসবের মুনাফা বাহ্যত সুদ বলে মনে হলেও শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদের মধ্যে গণ্য হয় না। (মাসিক মদীনা, জুলাই ২০০৭)
৩। যেহেতু এটা শুধুমাত্র সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বিশেষ স্কীম, সে কারণে সরকারী পেনশন ভোগীদের জন্য এই স্কীম থেকে প্রাপ্ত মুনাফা নাজায়েয হবে না। (মাসিক মদীনা, ডিসেম্বর ২০০৪)
উত্তর
সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তার জন্য
যে সরকারী সঞ্চয় ফাণ্ড করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ সুদী। এটি জিপি ফাণ্ডের মতো
নয়। জিপি ফাণ্ডের সাথে এর অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখানে দুটি মৌলিক
পার্থক্য উল্লেখ করা হচ্ছে।
ক) জিপি ফান্ড বাধ্যতামূলক, কিন্তু সঞ্চয় ফাণ্ড বাধ্যতামূলক নয়। একজন চাকরিজীবী এই সুবিধা গ্রহণ করতেও পারে আবার নাও করতে পারে।
খ) বাধ্যতামূলক জিপি ফাণ্ডের টাকা চাকরিজীবীকে দেওয়া হয় না; বরং তা সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে ঐ খাতের জন্য কেটে রাখা হয়। ফলে এই সময় এ টাকার উপর চাকরিজীবীর নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় না। অতএব এ কথা বলা যাবে না যে, অল্প জমা দিয়ে মেয়াদান্তে বেশি নিচ্ছে; বরং মূল ও অতিরিক্ত পুরোটাই সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমের বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে। যা চাকরি শেষে একত্রে গ্রাচুয়িটি, জিপি ফাণ্ড ইত্যাদি নামে চাকুরেকে দিয়ে দেওয়া হয়। কেবল তখনই তার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সঞ্চয় ফাণ্ডের জমা এমন নয়। এ খাতে জমা টাকার উপর পূর্ব থেকেই জমাকারীর মালিকানা এসে যায়। অর্থাৎ সঞ্চয় ফাণ্ডে জমাকারী নিজ মালিকানাধীন টাকা জমা রেখে মেয়াদান্তে অতিরিক্ত নিচ্ছে, যা সুস্পষ্ট সুদ।
মাসিক মদীনার এ সংক্রান্ত জবাবগুলো সহীহ নয়। সরকার কর্তৃক সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা হলেই তা আর সুদী লেনদেন হয় না-একথা ভাবা ঠিক নয়।
-আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৪-৪৬৫; আলবাহরুর রায়েক ৭/৩০০; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৯; ইমদাদুল আহকাম ৩/৪৮০; জাদীদ মাসায়েল কে শরয়ী আহকাম, মুফতী শফী রাহ. পৃ. ৬৬-৬৭
ক) জিপি ফান্ড বাধ্যতামূলক, কিন্তু সঞ্চয় ফাণ্ড বাধ্যতামূলক নয়। একজন চাকরিজীবী এই সুবিধা গ্রহণ করতেও পারে আবার নাও করতে পারে।
খ) বাধ্যতামূলক জিপি ফাণ্ডের টাকা চাকরিজীবীকে দেওয়া হয় না; বরং তা সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে ঐ খাতের জন্য কেটে রাখা হয়। ফলে এই সময় এ টাকার উপর চাকরিজীবীর নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় না। অতএব এ কথা বলা যাবে না যে, অল্প জমা দিয়ে মেয়াদান্তে বেশি নিচ্ছে; বরং মূল ও অতিরিক্ত পুরোটাই সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমের বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে। যা চাকরি শেষে একত্রে গ্রাচুয়িটি, জিপি ফাণ্ড ইত্যাদি নামে চাকুরেকে দিয়ে দেওয়া হয়। কেবল তখনই তার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সঞ্চয় ফাণ্ডের জমা এমন নয়। এ খাতে জমা টাকার উপর পূর্ব থেকেই জমাকারীর মালিকানা এসে যায়। অর্থাৎ সঞ্চয় ফাণ্ডে জমাকারী নিজ মালিকানাধীন টাকা জমা রেখে মেয়াদান্তে অতিরিক্ত নিচ্ছে, যা সুস্পষ্ট সুদ।
মাসিক মদীনার এ সংক্রান্ত জবাবগুলো সহীহ নয়। সরকার কর্তৃক সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা হলেই তা আর সুদী লেনদেন হয় না-একথা ভাবা ঠিক নয়।
-আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৪-৪৬৫; আলবাহরুর রায়েক ৭/৩০০; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৯; ইমদাদুল আহকাম ৩/৪৮০; জাদীদ মাসায়েল কে শরয়ী আহকাম, মুফতী শফী রাহ. পৃ. ৬৬-৬৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪২২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
পীরকে কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক মনে করা, তার কাছে গিয়ে সন্তান চাওয়া,...
প্রশ্ন
পীরকে কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক মনে
করা, তার কাছে গিয়ে সন্তান চাওয়া, বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্যে
উন্নতি কামনা করা ইত্যাদি কাজের হুকুম কী? কিছু লোক মাজারে গিয়ে এসব চায়।
আবার জিন্দা পীরকেও এসব বিষয়ে ক্ষমতাবান মনে করে। জানতে চাই এমন ধারণা করা
ঠিক কি না? এতে কোনো ক্ষতি আছে কি না?
উত্তর
কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক একমাত্র
আল্লাহ তাআলা। রিযিকদাতা,সন্তানদাতা, ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতিদানকারী এবং
মনোবাঞ্ছা পূরণকারী একমাত্র আল্লাহ। কোনো পীর, তিনি জীবিত হোন বা মৃত এসব
কাজের ক্ষমতা রাখেন না।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ তাআলা আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক, তারা কি সেই অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারবে? বলুন, আমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁর উপরই নির্ভর করে।’ (সূরা যুমার : ৩৮)
বোঝা গেল, কল্যাণ-অকল্যাণএবং উপকার-অপকারের মালিক একমাত্র আল্লাহ।
অন্যত্র এসেছে, (তরজমা) ‘আল্লাহ ব্যতীত এমন কোনো স্রষ্টা আছে কি যে তোমাদেরকে আসমান ও জমিন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। অতএব তোমরা কোথায় ঘুরপাক খাচ্ছ।’ (সূরা ফাতির : ৩)
রিযিকের বরকত একমাত্র আল্লাহ তাআলার হাতে। সন্তানসন্ততিও আল্লাহই দান করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। এ মর্মে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) আসমান ও জমিনের রাজত্ব আল্লারই। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।’ (সূরা শুরা : ৪৯-৫০)
অতএব বোঝা গেল আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কারো কাছে সন্তান চাওয়া, কাউকে লাভক্ষতির মালিক মনে করা, আয়-উপার্জনে উন্নতিদানকারী মনে করা সম্পূর্ণ শিরক ও ঈমান পরিপন্থী আকীদা। কেউ যদি কখনো এমন কাজ করে থাকে তাহলে তাকে খাঁটি অন্তরে তওবা করে নতুনভাবে ঈমান আনয়ন করতে হবে এবং এগুলো যে একমাত্র আল্লাহ তাআলারই ক্ষমতা এ ব্যাপারে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ তাআলা আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক, তারা কি সেই অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারবে? বলুন, আমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁর উপরই নির্ভর করে।’ (সূরা যুমার : ৩৮)
বোঝা গেল, কল্যাণ-অকল্যাণএবং উপকার-অপকারের মালিক একমাত্র আল্লাহ।
অন্যত্র এসেছে, (তরজমা) ‘আল্লাহ ব্যতীত এমন কোনো স্রষ্টা আছে কি যে তোমাদেরকে আসমান ও জমিন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। অতএব তোমরা কোথায় ঘুরপাক খাচ্ছ।’ (সূরা ফাতির : ৩)
রিযিকের বরকত একমাত্র আল্লাহ তাআলার হাতে। সন্তানসন্ততিও আল্লাহই দান করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। এ মর্মে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) আসমান ও জমিনের রাজত্ব আল্লারই। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।’ (সূরা শুরা : ৪৯-৫০)
অতএব বোঝা গেল আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কারো কাছে সন্তান চাওয়া, কাউকে লাভক্ষতির মালিক মনে করা, আয়-উপার্জনে উন্নতিদানকারী মনে করা সম্পূর্ণ শিরক ও ঈমান পরিপন্থী আকীদা। কেউ যদি কখনো এমন কাজ করে থাকে তাহলে তাকে খাঁটি অন্তরে তওবা করে নতুনভাবে ঈমান আনয়ন করতে হবে এবং এগুলো যে একমাত্র আল্লাহ তাআলারই ক্ষমতা এ ব্যাপারে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪১৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
জনৈক ব্যক্তি পোস্ট অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে...
প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি পোস্ট অফিস কর্তৃক
ইস্যুকৃত পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে ইচ্ছুক। তার জন্য কি ঐ সঞ্চয়পত্র
ক্রয় করা জায়েয হবে? জায়েয না হলে তার সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করে বাধিত
করবেন। পেনশনার সঞ্চয়পত্র এর ৪র্থ পৃষ্ঠায় রয়েছে, ‘২ লক্ষ টাকায় তিন মাস
অন্তর ৫৫০/- টাকা মুনাফা প্রদান করা হবে। ... এক বছরান্তে ৭.৫০%, দুই
বছরান্তে ৮.২৫% হারে মুনাফা দেওয়া হবে। অর্থাৎ মূলের উপর এত হারে মুনাফা
দেওয়া হবে।
উত্তর
পোস্ট অফিস পেনশনার সঞ্চয়পত্র-এর
বিবরণ থেকে এ কথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এটি পুরোপুরি সুদী প্রকল্প। যেখানে
জমাকারীকে মেয়াদান্তে নির্দিষ্ট অংকে লাভ দেওয়া হয়। বলাবাহুল্য যে, এটিই হল
কুরআন মজীদের নিষিদ্ধ সুদ-রিবান নাসিআহ।
এই সুদ সম্পর্কেই কুরআন মজীদে ঘোষণা করা হয়েছে, (তরজমা) ‘ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে তা পরিত্যাগ কর যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস'ত হয়ে যাও।’ (সূরা বাকারা : ২৭৮,২৭৯) আরো দেখুন : সূরা বাকারা : ২৭৫, ২৭৬; সূরা আল-ইমরান : ১৩০; আহকামুল কুরআন, যফর আহমদ থানভী ১/৬৬৬, ৬৭০; তাফসীরে কুরতুবী ৩/২২৬; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৭
অতএব প্রশ্নোক্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্রে জমা করা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। নিম্নে আরো কয়েকটি বরাত পেশ করা হল।
জামে তিরমিযী ১/২২৯; সুনানে কুবরা বায়হাকী ৫/২৭৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১০/৬৪৮; ফাতাওয়া খানিয়া ২/২৮০; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬
জামে তিরমিযী ১/২২৯; সুনানে কুবরা বায়হাকী ৫/২৭৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১০/৬৪৮; ফাতাওয়া খানিয়া ২/২৮০; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬
এই সুদ সম্পর্কেই কুরআন মজীদে ঘোষণা করা হয়েছে, (তরজমা) ‘ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে তা পরিত্যাগ কর যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস'ত হয়ে যাও।’ (সূরা বাকারা : ২৭৮,২৭৯) আরো দেখুন : সূরা বাকারা : ২৭৫, ২৭৬; সূরা আল-ইমরান : ১৩০; আহকামুল কুরআন, যফর আহমদ থানভী ১/৬৬৬, ৬৭০; তাফসীরে কুরতুবী ৩/২২৬; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৭
অতএব প্রশ্নোক্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্রে জমা করা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। নিম্নে আরো কয়েকটি বরাত পেশ করা হল।
জামে তিরমিযী ১/২২৯; সুনানে কুবরা বায়হাকী ৫/২৭৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১০/৬৪৮; ফাতাওয়া খানিয়া ২/২৮০; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬
জামে তিরমিযী ১/২২৯; সুনানে কুবরা বায়হাকী ৫/২৭৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১০/৬৪৮; ফাতাওয়া খানিয়া ২/২৮০; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৯৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বর্তমানে কোনো ব্যাংকই সুদমুক্ত বলে দাবি করা যায় না। এ...
প্রশ্ন
বর্তমানে কোনো ব্যাংকই সুদমুক্ত বলে
দাবি করা যায় না। এ পরিস্থিতিতে টাকা-পয়সা হেফাযতের জন্য কি করণীয় আছে।
সুদী ব্যাংকে আমার একটি একাউন্ট আছে। তার সুদ সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে
দিলে একাউন্টটি ব্যবহার করা যাবে কি? বা এ উদ্দেশ্যে একাউন্ট খোলা যাবে কি?
উত্তর
সুদী ব্যাংকে অতিরিক্ত অংশ গ্রহণ না
করলেও সেভিংস একাউন্ট খোলা মানেই সুদী চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া। পরবর্তীতে সুদ
গ্রহণ না করলেও সুদী চুক্তির গুনাহ হবে। আর পরে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে তাতে
সুদ গ্রহণ ও ভোগ করার গুনাহ হবে ভিন্নভাবে। তাই সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা
আবশ্যক হলে কারেন্ট একাউন্ট তথা চলতি হিসাব খোলা যাবে। অবশ্য আজকাল কোনো
কোনো ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্টেও কিছু সুদ দেওয়া হয় যাকে এস.টি.ডি. বলে।
কোনো কোনো ব্যাংকে ভিন্ন নামও আছে। এ ধরনের কারেন্ট একাউন্ট খোলার হুকুম
সুদী ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের মতোই। একাউন্ট করলেই সুদী চুক্তির গুনাহ
হবে। তাই সুদী ব্যাংকে একাউন্ট করতে অতিরিক্ত দেয় না এমন কারেন্ট একাউন্ট
করতে পারবে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৯২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক ব্যক্তি জমিতে ফুলকপির চাষ করেছে। তবে ফুলকপি হওয়ার আগেই...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি জমিতে ফুলকপির চাষ
করেছে। তবে ফুলকপি হওয়ার আগেই অন্য ব্যক্তির কাছে তিন হাজার টাকায় বিক্রি
করেছে। তার সাথে এভাবে চুক্তি হয়েছে যে, ঐ জমিতে ফুলকপি হওয়ার পর দুই হাজার
টাকার বিনিময়ে ৩০০ টি ফুলকপি দিতে হবে। জানার বিষয় হল, উক্ত লেনদেনটি সহীহ
হয়েছে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত লেনদেনটি সহীহ হয়নি।
কেননা এতে ফলনের পূর্বেই নির্দিষ্ট ক্ষেতের শস্য বিক্রি করা হয়েছে। আর কোনো
নির্দিষ্ট ক্ষেতের শস্য ফলনের পূর্বে বিক্রি করা জায়েয নেই। হাদীস শরীফে এ
ধরনের বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এক্ষেত্রে সহীহ পদ্ধতিতে কারবার
করতে চাইলে কোন ক্ষেতের শস্য নির্দিষ্ট না করে মেয়াদান্তে প্রদানের শর্তে
অগ্রিম মূল্য দিয়ে খরিদ করে নিবে। ঐ শস্য কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেতের হতে হবে
এমন শর্ত করা যাবে না। আর উক্ত আগাম খরিদ চুক্তিতে নিম্নে বর্ণিত শর্তগুলো
থাকা আবশ্যক।
১. চুক্তির সময় পরিপূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা।
২. কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেতের শস্য দেওয়ার শর্ত না করা।
৩. যে দ্রব্য অগ্রিম মূল্যে খরিদ করতে চাচ্ছে তার ধরন এবং গুণগত মান সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা।
৪. বিক্রিত দ্রব্যের পরিমাণ নির্ধারণ করে নেওয়া।
৫. বিক্রিত দ্রব্য সরবরাহের তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করে নেওয়া।
৬. বিক্রিত দ্রব্যটি এমন হওয়া, যা সাধারণত সব সময় বাজারে পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত পদ্ধতিতে চুক্তি করার পর বিক্রেতা যেকোনো ক্ষেতের শস্য ক্রেতাকে দিতে পারবে।
সহীহ মুসলিম ২/৭; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৩৮৩; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫৯; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩২৬; ফাতহুল কাদীর ৬/২০৭; আননাহরুল ফায়েক ৩/৩৫৯; রদ্দুল মুহতার ৪/৫৫৫; সহীহ বুখারী ১/২৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১৮০; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/২৭৮; আলমাআইরুশ শারঈয়্যাহ পৃ. ১৭০; ইতরুল হেদায়া পৃ. ১৪২
১. চুক্তির সময় পরিপূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা।
২. কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেতের শস্য দেওয়ার শর্ত না করা।
৩. যে দ্রব্য অগ্রিম মূল্যে খরিদ করতে চাচ্ছে তার ধরন এবং গুণগত মান সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা।
৪. বিক্রিত দ্রব্যের পরিমাণ নির্ধারণ করে নেওয়া।
৫. বিক্রিত দ্রব্য সরবরাহের তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করে নেওয়া।
৬. বিক্রিত দ্রব্যটি এমন হওয়া, যা সাধারণত সব সময় বাজারে পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত পদ্ধতিতে চুক্তি করার পর বিক্রেতা যেকোনো ক্ষেতের শস্য ক্রেতাকে দিতে পারবে।
সহীহ মুসলিম ২/৭; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৩৮৩; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫৯; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩২৬; ফাতহুল কাদীর ৬/২০৭; আননাহরুল ফায়েক ৩/৩৫৯; রদ্দুল মুহতার ৪/৫৫৫; সহীহ বুখারী ১/২৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১৮০; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/২৭৮; আলমাআইরুশ শারঈয়্যাহ পৃ. ১৭০; ইতরুল হেদায়া পৃ. ১৪২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৯১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
কেউ কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ১০০/- টাকা ভাড়া নির্ধারণ...
প্রশ্ন
কেউ কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাওয়ার
উদ্দেশ্যে ১০০/- টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে বাসে উঠল। অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পর
দীর্ঘ জ্যামের কারণে লোকটি ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে এবং বাস থেকে
নেমে আসে। আমার জানার বিষয় হল এমতাবস্থায় লোকটি কি অর্ধেক ভাড়া দিবে, না
পূর্ণ ভাড়া দিতে বাধ্য থাকবে?
উত্তর
পথে লোক নামায় এবং ওঠায় এমন লোকাল
বাস না হলে পুরো ১০০/- টাকাই দিতে হবে। কিন্তু যদি লোকাল বাস হয় যাতে
পূর্বে ভাড়া ঠিক হয়ে গেলেও পথে নামার সুযোগ থাকে এবং গন্তব্য অনুযায়ী ভাড়া
কম-বেশি নেওয়া হয় তাহলে এক্ষেত্রে যতদূর এসেছে সে অনুযায়ী ন্যায্য ভাড়া
দেওয়া জরুরি। যদি তা ৫০/- টাকার বেশি হয় তবে তাই দিতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্ব
নির্ধারিত ভাড়ার অর্ধেক দেওয়া যাবে না। অবশ্য পুরো ১০০/- টাকাও দিতে হবে
না।
আলআশবাহ ওয়াননাযাইর পৃ. ৩২২; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২২৩, ২২৪ ও ২২৬; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩১৫, ৩১৬ ও ৩২২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪১৪, ৪৫৮; শরহুল মাজাল্লাহ, খালেদ আতাসী ২/৫৫৪, মাদ্দাহ : ৪৭০ ও ২/৬৩৫; শরহুল মাজাল্লাহ, সলীম রুস-ম বায ১/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১০, ১১
আলআশবাহ ওয়াননাযাইর পৃ. ৩২২; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২২৩, ২২৪ ও ২২৬; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩১৫, ৩১৬ ও ৩২২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪১৪, ৪৫৮; শরহুল মাজাল্লাহ, খালেদ আতাসী ২/৫৫৪, মাদ্দাহ : ৪৭০ ও ২/৬৩৫; শরহুল মাজাল্লাহ, সলীম রুস-ম বায ১/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১০, ১১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৮৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার বাসা উত্তরায় আর অফিস গাজীপুরে। প্রতিদিন বাসা থেকে গিয়ে...
প্রশ্ন
আমার বাসা উত্তরায় আর অফিস
গাজীপুরে। প্রতিদিন বাসা থেকে গিয়ে অফিস করি। যাতায়াতে ভীষণ কষ্ট হয়। এ
ছাড়া খরচ তো আছেই। তাই গাজীপুরে বাসা খুজছিলাম। ইতিমধ্যে এক ব্যক্তির সাথে
পরিচয় হল, যার বাসা গাজীপুরে আর অফিস উত্তরায় এবং আমার মতোই বাসা থেকে
যাতায়াত করে অফিস করেন।
আমি তাকে প্রস্তাব করি যে, উত্তরায় আমার নিজস্ব বাসা আছে। আপনি সেখানে থাকবেন বিনিময়ে আপনার এই বাসায় আমি থাকব। যেহেতু তিনিও আমার মতোই কষ্টের শিকার তাই তিনি আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়।
এখন জানার বিষয় হল, এভাবে চুক্তি করা জায়েয আছে কি? যদি জায়েয না হয় তাহলে এই ধরনের ক্ষেত্রে সহীহ পদ্ধতি কী হবে?
আমি তাকে প্রস্তাব করি যে, উত্তরায় আমার নিজস্ব বাসা আছে। আপনি সেখানে থাকবেন বিনিময়ে আপনার এই বাসায় আমি থাকব। যেহেতু তিনিও আমার মতোই কষ্টের শিকার তাই তিনি আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়।
এখন জানার বিষয় হল, এভাবে চুক্তি করা জায়েয আছে কি? যদি জায়েয না হয় তাহলে এই ধরনের ক্ষেত্রে সহীহ পদ্ধতি কী হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি সঠিক হয়নি; বরং
এই ধরনের ক্ষেত্রেও ভাড়া দেওয়ার স্বাভাবিক নিয়মেই একে অন্যের কাছে টাকার
বিনিময়ে ঘর ভাড়া দিবে। এক্ষেত্রে উভয় বাড়ির ভাড়া সমান সমান হলে ভাড়ার টাকা
পরস্পরে আদান প্রদান করা বা কাটাকাটি করা দুটোরই সুযোগ আছে। আর যদি ভাড়ার
পরিমাণ কম-বেশি হয় তাহলে যার বাসার ভাড়া কম সে অপর ব্যক্তিকে অবশিষ্ট টাকা
পরিশোধ করবে।
আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪, ৬২; মু’জামুল মুসতালাহাত ওয়াল আলফাফিল ফিকহিয়্যাহ ৩/৩২৯; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৮/১৪; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৯৮; তাকমিলা (আলবাহরুর রায়েক) ৮/৭
আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪, ৬২; মু’জামুল মুসতালাহাত ওয়াল আলফাফিল ফিকহিয়্যাহ ৩/৩২৯; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৮/১৪; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৯৮; তাকমিলা (আলবাহরুর রায়েক) ৮/৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৮৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের দেশের বাড়িতে অনেক সুপারি গাছ আছে। সুপারি আমরা লোকদের...
প্রশ্ন
আমাদের দেশের বাড়িতে অনেক সুপারি
গাছ আছে। সুপারি আমরা লোকদের দিয়ে সুপারি পাড়িয়ে থাকি। তাদের সাথে এভাবে
চুক্তি হয় যে, বড় গাছ হলে ৫টি আর মাঝারি বা ছোট গাছ হলে ৪টি মাঝারি ধরনের
সুপারি তাদেরকে দেওয়া হবে। জানতে চাই, উক্ত চুক্তিতে কোনো সমস্যা আছে কি
না?
উল্লেখ্য যে, তাদের সাথে চুক্তি হওয়ার সময় এ কথা বলা হয় না যে, তাদের পাড়া সুপারি থেকে তাদের অংশ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, তাদের সাথে চুক্তি হওয়ার সময় এ কথা বলা হয় না যে, তাদের পাড়া সুপারি থেকে তাদের অংশ দেওয়া হবে।
উত্তর
এভাবে চুক্তি করা বৈধ হয়েছে।
সুনানে দারাকুতনী ৩/৪৭; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ২/২১৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৪৪; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৫/৩৫; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৩৩; ইলাউস সুনান ১৬/১৮১
সুনানে দারাকুতনী ৩/৪৭; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ২/২১৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৪৪; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৫/৩৫; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৩৩; ইলাউস সুনান ১৬/১৮১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক ব্যক্তি আমাকে গেঞ্জি তৈরির অর্ডার দিয়েছে। তার সাথে আমার...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি আমাকে গেঞ্জি তৈরির
অর্ডার দিয়েছে। তার সাথে আমার যেভাবে চুক্তি হয়েছে হিসাব করে দেখি যে,
প্রতি গেঞ্জিতে (আনুমানিক) আমার খরচ হবে ১৫০/- টাকা আর আমার লাভ হবে ৩/-
টাকা। কিন্তু আমার কাছে প্রতি গেঞ্জির জন্য ১০০/- টাকা করে আছে। এ কারণে
আরেক ব্যক্তির সাথে এভাবে চুক্তি করেছি যে, সে আমার এ কাজে প্রতি গেঞ্জির
জন্য ৫০/- টাকা করে বিনিয়োগ করবে। প্রতি গেঞ্জিতে যেহেতু লাভ ৩/- টাকা। তাই
তাকে আমি ১/- টাকা করে দিব। অর্থাৎ সে প্রতি ৫০/- টাকায় ১/- টাকা পাবে।
জানার বিষয় হল বিনিয়োগকারীর সাথে ৩/- টাকা লাভ থেকে ১/- টাকা নির্ধারিত হিসাবে দেওয়ার চুক্তি সহীহ হয়েছে কি না? যদি জায়েয না হয় তাহলে শতকরা হারে লাভ দেওয়ার শর্তে চুক্তি করা জায়েয হবে কি?
জানার বিষয় হল বিনিয়োগকারীর সাথে ৩/- টাকা লাভ থেকে ১/- টাকা নির্ধারিত হিসাবে দেওয়ার চুক্তি সহীহ হয়েছে কি না? যদি জায়েয না হয় তাহলে শতকরা হারে লাভ দেওয়ার শর্তে চুক্তি করা জায়েয হবে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে
প্রতি গেঞ্জি বাবদ ১/- টাকা করে দেওয়ার শর্ত করা সহীহ হয়নি। যৌথ মূলধনী
কারবারে কোনো পক্ষকে নির্ধারিত অংকে লাভ দেওয়ার চুক্তি করা নাজায়েয। এটা
সুদী কারবারের অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে বৈধ উপায়ে করতে চাইলে উভয়ের জন্য
শতকরা হারে লভ্যাংশ ধার্য করতে হবে। অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে লাভের
এক-তৃতীয়াংশ দেওয়ার চুক্তি করা যেতে পারে।
পারে।-হেদায়া (ফাতহুল কাদীর) ৫/৪০২; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৭; আলমাআইরুশ শারঈয়্যাহ পৃ. ২১০; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৭৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৩১২
পারে।-হেদায়া (ফাতহুল কাদীর) ৫/৪০২; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৭; আলমাআইরুশ শারঈয়্যাহ পৃ. ২১০; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৭৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৩১২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৭৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমরা তিন বন্ধু মিলে এ মর্মে চুক্তি করেছি যে, আমি...
প্রশ্ন
আমরা তিন বন্ধু মিলে এ মর্মে চুক্তি
করেছি যে, আমি ৪,০০০/- টাকা, বাকি দু’জন ৩,০০০/- টাকা করে ৬,০০০/- টাকা,
মোট ১০,০০০/- টাকা দিয়ে দুটি রিকশা ক্রয় করব এবং যে দুই জন ৩,০০০/- টাকা
করে দিয়েছে তারা রিকশা চালাবে। যা আয় হবে তা সবার মাঝে সমান ভাগে ভাগ হবে।
আমার জানার বিষয় হল, এ ধরনের চুক্তি বৈধ হবে কি না? বৈধ না হলে বৈধ পদ্ধতি
কী হবে?
উল্লেখ্য যে, তারা ৩,০০০/- টাকা করে টাকা দিয়েছে তাদের কাছে বর্তমানে টাকা না থাকায় আমি তাদেরকে ৬,০০০/- টাকা ঋণ দিয়েছি এ শর্তে যে, তারা তা ধীরে ধীরে পরিশোধ করে দিবে।
উল্লেখ্য যে, তারা ৩,০০০/- টাকা করে টাকা দিয়েছে তাদের কাছে বর্তমানে টাকা না থাকায় আমি তাদেরকে ৬,০০০/- টাকা ঋণ দিয়েছি এ শর্তে যে, তারা তা ধীরে ধীরে পরিশোধ করে দিবে।
উত্তর
ঐভাবে চুক্তি করা বৈধ হয়নি।
এক্ষেত্রে উপার্জনের মধ্যে ভাগাভাগি পদ্ধতি সহীহ নয়। সহীহ পদ্ধতি হল
ভাড়া-চুক্তি অনুসরণ করা। যেমন দুটি রিকশায় আপনার যে অংশ আছে তা আপনি
চালককে/অংশীদারকে টাকার নির্দিষ্ট অংকের বিনিময়ে নির্ধারিত সময়ের জন্য ভাড়া
দিবেন।
ফাতহুল কাদীর ৫/৪১১; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮৪; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৬২৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/১২৬; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২৬
ফাতহুল কাদীর ৫/৪১১; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮৪; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৬২৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/১২৬; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৬৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক বন্ধুর কাছে আমার ১০,০০০/- টাকা পাওনা ছিল। সে ব্যবসার...
প্রশ্ন
এক বন্ধুর কাছে আমার ১০,০০০/- টাকা
পাওনা ছিল। সে ব্যবসার জন্য আমার কাছে টাকা চাইলে আমি বললাম, এ মুহূর্তে
আমার নিকট টাকা নেই। তোমার কাছে আমার যে ১০, ০০০/- টাকা পাওনা আছে তা দিয়ে
ব্যবসা কর। ঐ টাকা এখন আমার প্রয়োজন নেই। পরবর্তীতে ব্যবসায় যা লাভ হবে এর
অর্ধেক আমার অর্ধেক তোমার। এভাবে চুক্তি করা কি সহীহ হয়েছে? সহীহ না হলে কী
করণীয়?
উত্তর
ঋণগ্রহীতা থেকে পাওনা টাকা হস্তগত
করার আগে তা ঋণগ্রহীতাকে ব্যবসার পুঁজি হিসাবে দেওয়ার প্রস্তাব বৈধ নয়। তাই
প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি সহীহ হয়নি। তবে ঋণদাতা যদি ঐ টাকা ঋণগ্রহীতা থেকে
বুঝে নেওয়ার পর পুনরায় ব্যবসার জন্য তাকে প্রদান করে তাহলে কারবার জায়েয
হবে।
ফাতহুল কাদীর ৭/৪১৭; আলইনায়া ৭/৪১৬; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৪; আশশারহুল কাবীর ৩/৪৫৫; আশশারহুছ ছগীর ৩/৬৮৫; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৭/১৮২; তুহফাতুল মুহতাজ ২/৪১৭
ফাতহুল কাদীর ৭/৪১৭; আলইনায়া ৭/৪১৬; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৪; আশশারহুল কাবীর ৩/৪৫৫; আশশারহুছ ছগীর ৩/৬৮৫; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৭/১৮২; তুহফাতুল মুহতাজ ২/৪১৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৬৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
অনেক সময় দেখা যায়, যে সমস্ত দোকানে পণ্যের মূল্য ফিক্সড...
প্রশ্ন
অনেক সময় দেখা যায়, যে সমস্ত দোকানে
পণ্যের মূল্য ফিক্সড নয় সে সকল দোকানে ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে পণ্যের দাম
নিয়ে দরকষাকষি হয়। পণ্যের দাম মনপুত হলে ক্রেতা পণ্য ক্রয় করে। মনপুত না
হলে দোকান থেকে চলে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, ক্রেতা যখন দোকান থেকে বের হয়ে
কিছু দূর চলে আসে তখন বিক্রেতা ক্রেতাকে পণ্য নেওয়ার জন্য ডাকতে থাকে।
ক্রেতা ফিরে না আসলে তাকে তিরস্কারমূলক কথাও বলে থাকে। আবার অনেক সময় দেখা
যায় যে, বিক্রেতা অনেক সময় ধরে ক্রেতাকে পণ্য দেখানোর পর ক্রেতার পছন্দ না
হলে সে যখন দোকান থেকে চলে আসে তখন তাকেও তিরস্কারমূলক কথা বলা হয়। এখন
আমার জানার বিষয় হল, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ক্রেতা ঐ পণ্যটি ক্রয় করতে বাধ্য
কি না এবং উভয়ক্ষেত্রে সে ভর্ৎসনার যোগ্য হবে কি না। জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হওয়ার জন্য একই
মজলিসে প্রস্তাবও গ্রহণ সম্পন্ন হওয়া জরুরি। সুতরাং প্রশ্নের বর্ণনা
অনুযায়ী ক্রেতা পণ্যের মূল্য প্রস্তাব করার পর বিক্রেতা তা গ্রহণ না করার
কারণে বিক্রি চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। অতএব এ পরিসি'তিতে প্রস্তাবকারীর চলে
যাওয়া ঠিকই আছে। ঐ স্থান ত্যাগ করার পর বিক্রেতা তাকে প্রস্তাবিত দামে দিতে
চাইলেও ক্রেতার জন্য তা নেওয়া জরুরি নয়। ইচ্ছা করলে নিতেও পারে আবার নাও
নিতে পারে। সুতরাং এক্ষেত্রে ক্রেতা পণ্য ক্রয় না করলে তাকে ভর্ৎসনা করা
অন্যায় হবে।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৭-৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩২৪; হেদায়া ৩/১৯-২০; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৭২; আননাহরুল ফায়েক ৩/৩৪১; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৫২৭
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৭-৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩২৪; হেদায়া ৩/১৯-২০; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৭২; আননাহরুল ফায়েক ৩/৩৪১; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৫২৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৬১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের টিনশেড রুমের ছাদে কিছু ছিদ্র ছিল। বৃষ্টির সময় পানি...
প্রশ্ন
আমাদের টিনশেড রুমের ছাদে কিছু
ছিদ্র ছিল। বৃষ্টির সময় পানি পড়ত। একজন মিস্ত্রির সাথে চুক্তি করা হয় যে,
১,০০০/- টাকার বিনিময়ে সে ছাদটি মেরামত করে দিবে কোনো জায়গা দিয়ে যদি পানি
পড়ে তাহলে সে কোনো টাকা নিবে না। মেরামতের পর দেখা গেল, কিছু জায়গা দিয়ে
এখনো পানি পড়ে। জানতে চাই, তাকে টাকা দিতে হবে কি না? চুক্তিতে উল্লেখিত
পারিশ্রমিক সে পাবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মিস্ত্রি পূর্ব
ধার্যকৃত পারিশ্রমিক পাবে না; বরং সে যতটুকু মেরামত করতে পেরেছে এর
ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবে। সুতরাং সে অনুযায়ী তার পাওনা দিয়ে দিতে হবে। এখনো
কোনো জায়গা দিয়ে পানি পড়ার কারণে মোটেও পারিশ্রমিক না দেওয়ার সুযোগ নেই।
সহীহ বুখারী ২২২৭; আলমাবসূত সারাখসী ১৬/৪৭; আলবাহরুর রায়েক ৭/৩১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৪৩; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৭/১২২
সহীহ বুখারী ২২২৭; আলমাবসূত সারাখসী ১৬/৪৭; আলবাহরুর রায়েক ৭/৩১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৪৩; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৭/১২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৫৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একটি ধান মাড়ানোর মেশিন কিনেছিলাম এবং প্রতি বছর আমি...
প্রশ্ন
আমি একটি ধান মাড়ানোর মেশিন
কিনেছিলাম এবং প্রতি বছর আমি নিজেই তা দ্বারা ধান মাড়িয়ে কিছু টাকা উপার্জন
করতাম। কিন্তু এখন দুর্বলতার কারণে একা কাজ করতে পারি না। আমার এক বন্ধুর
একটি রাইস মিল আছে। আমি পরিকল্পনা করেছি যে, আমার মেশিনটি তার রাইস মিলে
স্থাপন করব এবং দুজনেই ঐ মেশিন দিয়ে কাজ করব। আমার যা উপার্জন হবে তা আমরা
সমানভাবে ভাগ করে নিব। জানার বিষয় এই যে, আমার জন্য তার সাথে এই চুক্তি করা
জায়েয হবে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি জায়েয।
আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৩৯৭; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৩৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২২
আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৩৯৭; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৩৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৫৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক ব্যক্তি কিছু মাল জমা করে রেখেছে এই উদ্দেশ্যে যে,...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি কিছু মাল জমা করে রেখেছে
এই উদ্দেশ্যে যে, দাম বাড়লে তা বিক্রি করবে। এমতাবস্থায় একজন তার কাছে
কিছু টাকা ধার চাইল। তখন সে বলল, আমার কাছে টাকা নেই তবে এই মাল আছে। তারপর
তাদের মাঝে এই মর্মে চুক্তি হল যে, টাকার পরিবর্তে মাল নিবে এবং পরে তার
স্টককৃত অন্যান্য মাল যে দামে বিক্রি হবে সে হিসাবে এই মালের মূল্য পরিশোধ
করবে। এ রকম চুক্তিতে কোনো সমস্যা আছে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে বেচা-কেনা
জায়েয় হবে না। কারণ এতে প্রথমত মূল্য সুনির্দিষ্ট হয়নি। দ্বিতীয়ত অবশিষ্ট
মালগুলো কবে বিক্রি হবে এবং কোন মূল্যে বিক্রি হবে তাও অজানা। আর শরীয়তে
মেয়াদী ক্রয়-বিক্রয় সহীহ হওয়ার জন্য চুক্তির সময়ই পণ্যের মূল্য এবঙ
পরিশোধের তারখ নির্ধারিত হওয়া আবশ্যক।
বাকি বিক্রির কারণে নগদের চেয়ে মূল্য কিছুটা বেশি নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা নির্ধারিত করে নিতে হবে।
মাজাল্লাতু আহকামিল আদলিয়াহ মাদ্দাহ : ২৩৮; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ২/১৫৮; আলমাদখালুল ফিকহিল আম ২/৭৬৬; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ১/৬৫; আলওসীত ফিল কানুনিল মাদানী ৪/৩২৫; আলগারার ওয়া আছারুহু ফিলউকূদ পৃ. ২৬০; রদ্দুল মুহতার ৪/৫২৯
বাকি বিক্রির কারণে নগদের চেয়ে মূল্য কিছুটা বেশি নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা নির্ধারিত করে নিতে হবে।
মাজাল্লাতু আহকামিল আদলিয়াহ মাদ্দাহ : ২৩৮; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ২/১৫৮; আলমাদখালুল ফিকহিল আম ২/৭৬৬; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ১/৬৫; আলওসীত ফিল কানুনিল মাদানী ৪/৩২৫; আলগারার ওয়া আছারুহু ফিলউকূদ পৃ. ২৬০; রদ্দুল মুহতার ৪/৫২৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৩৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
কয়েক মাস আগে আমি কেয়ারটেকারের একটি চাকুরি নিয়েছি। আমার মালিক...
প্রশ্ন
কয়েক মাস আগে আমি কেয়ারটেকারের একটি
চাকুরি নিয়েছি। আমার মালিক একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা। আমি অবগত
হয়েছি যে, তার আয়ের একটি অংশ হচ্ছে সুদ-ঘুষ। জানতে চাই, এ মালিকের চাকুরি
করার কী হুকুম হবে?
উত্তর
আপনার কর্তা যেহেতু একজন উচ্চপদস্থ
অফিসার। তাই তার বেতনও বেশি হবে। যা থেকে আপনার বেতন দেওয়া সহজেই সম্ভব। এ
হিসাবে সেখানে চাকুরি করা এবং তার দেওয়া বেতন গ্রহণ করা অবৈধ হবে না।
হ্যাঁ, কখনো হারাম উপার্জন থেকে দেওয়া হচ্ছে এটা নিশ্চিত হলে তা গ্রহণ করা
বৈধ হবে না। সেক্ষেত্রে হালাল উপার্জন থেকে আপনার প্রাপ্য দেওয়ার আবেদন
জানাতে পারেন।
আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৮৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪২; ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া ২৯/২৪২; হাশিয়া শরহে বেকায়া, ফাতাহ লখনভী ৪/৫৬
আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৮৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪২; ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া ২৯/২৪২; হাশিয়া শরহে বেকায়া, ফাতাহ লখনভী ৪/৫৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩১৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের দাদারা আমাদের গ্রামের বাড়ির সম্মুখে দক্ষিণ পার্শ্বে ৫৩ শতাংশ...
প্রশ্ন
আমাদের দাদারা আমাদের গ্রামের বাড়ির
সম্মুখে দক্ষিণ পার্শ্বে ৫৩ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য দান করে
গিয়েছেন। জমিটি পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা। উত্তরাংশে পূর্ব দিকে একটি টিনের
মসজিদ ঘর এবং মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে তারা
ব্যবহার করে আসছেন। যার উত্তর দিক দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা এবং পূর্ব
পার্শ্ব দিয়ে উত্তর দক্ষিনে লম্বা নিজ বাড়িতে ও মসজিদে চলাচলের রাস্তা আছে।
রাস্তার উত্তর পার্শ্বে প্রায় চার একর জমির উপর দাদাদের বসতবাড়ি।
মসজিদ-কবরস্থানের উল্লেখিত ৫৩ শতাংশ প্লটের অবশিষ্ট প্রায় অর্ধেক অংশে
পূর্ব পার্শ্বে মসজিদের জন্য বিরাট ইঁদারা এবং ইঁদারার পশ্চিম পার্শ্বের
অবশিষ্ট জায়গা খালি পড়েছিল। পরবর্তীতে ইঁদারার পশ্চিম পার্শ্বের খালি
জায়গাটায় মসজিদ-ঘরটি স্থানান্তর করেন। ঐ সময় থেকে অদ্যাবধি মসজিদের সাবেক
জায়গাটি খালি পড়ে আছে।
আমাদের জামানায় ১৯৯২ ঈ. সালে এলাকায় সর্বশেষ ভূমিজরিপ এলে আমরা উক্ত ৫৩ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের নামে ২৭ ও ২৬ শতাংশ করে আলাদা আলাদা ভাগ করে রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত করে দেই এবং যেহেতু দক্ষিণ পার্শ্বে ইঁদারা এবং মসজিদ-ঘর স্থানান্তরিত করা হয়েছে সে হিসাবে দক্ষিণের অংশ মসজিদের নামে এবং উত্তরের অংশ কবরস্থানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু মসজিদের সাবেক জায়গাটি কবরস্থানের অংশে পড়েছে। মসজিদ এবং কবরের জায়গা মেপে বুঝ করতে গিয়ে দেখা গেল যে, মসজিদ ও কবরস্থানের উত্তর পার্শ্বে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি সম্পূর্ণ মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গার মধ্যে পড়ে গিয়েছে। এমনকি রাস্তার উত্তর পার্শ্বে আমাদের বাড়ির সীমা মনে করে আমাদের ভাইয়েরা (শরিক) সারিবদ্ধভাবে যে সমস্ত ফলের ও কাঠের গাছ লাগিয়েছিলেন সেগুলোও সারিবদ্ধভাবে মসজিদ-কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় ভাইয়েরা মসজিদ-কবরস্থানকে উল্লেখিত জায়গা ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের লাগানো গাছগুলোর কিছু গাছ কেটে কাজে লাগিয়েছে এবং কিছু গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। অবশিষ্ট গাছগুলোও কেটে ফেলে জায়গাটি খালি করে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আর আমাদের বাড়িতে ও মসজিদে চলাচলের যে সরূ রাস্তাটি আছে, উক্ত রাস্তাটি প্রশস্ত করে অন্য বড় এক রাস্তার সঙ্গে সংযোগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ এখন মাপের পর দেখা যাচ্ছে যে, রাস্তাটি মসজিদ-কবরস্থানের সীমার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের জানার বিষয় হল :
১. মসজিদ ও কবরস্থানের উল্লেখিত ৫৩ শতাংশ জায়গা আমরা যেভাবে ১৯৯২ সালের রেকর্ডে ভাগ করে দিয়েছি তা সঠিক হয়েছে কি না? না হয়ে থাকলে এখন কী করণীয়? আর মসজিদের সাবেক স্থানটি কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে করণীয় কী?
২. বর্তমানে মসজিদটি বড় ও পাকা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় যদি কবরস্থানের কিছু জায়গা ব্যবহার করতে হয় তাহলে তা করা যাবে কি না?
৩. আমার ভাইয়েরা মসজিদ-কবরস্থানের সীমায় পড়ে যাওয়া তাদের লাগানো গাছগুলো কেটে ব্যবহার করেছে ও বিক্রি করেছে। এটি সঠিক হয়েছে কি না? না হলে এখন কী করণীয়? আর অবশিষ্ট গাছের হুকুম কী?
৪. মসজিদ-কবরস্থানের সীমানায় পড়ে যাওয়া উল্লেখিত রাস্তাটি সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরও প্রশস্ত করে অন্য বড় রাস্তার সঙ্গে মিলানো যাবে কি না? যদি না যায় তাহলে মসজিদ-কবরস্থানের অর্ধেক এবং আমাদের বাড়ির অংশ থেকে অর্ধেক জায়গার মাধ্যমে রাস্তাটি করা যাবে কি না? আর যদি তাও না হয় তাহলে যেভাবে রাস্তাটি ব্যবহার করে এসেছি অন্তত সেভাবে ব্যবহার করতে পারব কি না?
কুরআন মজীদ ও হাদীসের আলোকে বিষয়গুলোর সমাধান দিলে ইনশাআল্লাহ আমরা সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আমাদের জামানায় ১৯৯২ ঈ. সালে এলাকায় সর্বশেষ ভূমিজরিপ এলে আমরা উক্ত ৫৩ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের নামে ২৭ ও ২৬ শতাংশ করে আলাদা আলাদা ভাগ করে রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত করে দেই এবং যেহেতু দক্ষিণ পার্শ্বে ইঁদারা এবং মসজিদ-ঘর স্থানান্তরিত করা হয়েছে সে হিসাবে দক্ষিণের অংশ মসজিদের নামে এবং উত্তরের অংশ কবরস্থানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু মসজিদের সাবেক জায়গাটি কবরস্থানের অংশে পড়েছে। মসজিদ এবং কবরের জায়গা মেপে বুঝ করতে গিয়ে দেখা গেল যে, মসজিদ ও কবরস্থানের উত্তর পার্শ্বে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি সম্পূর্ণ মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গার মধ্যে পড়ে গিয়েছে। এমনকি রাস্তার উত্তর পার্শ্বে আমাদের বাড়ির সীমা মনে করে আমাদের ভাইয়েরা (শরিক) সারিবদ্ধভাবে যে সমস্ত ফলের ও কাঠের গাছ লাগিয়েছিলেন সেগুলোও সারিবদ্ধভাবে মসজিদ-কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় ভাইয়েরা মসজিদ-কবরস্থানকে উল্লেখিত জায়গা ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের লাগানো গাছগুলোর কিছু গাছ কেটে কাজে লাগিয়েছে এবং কিছু গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। অবশিষ্ট গাছগুলোও কেটে ফেলে জায়গাটি খালি করে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আর আমাদের বাড়িতে ও মসজিদে চলাচলের যে সরূ রাস্তাটি আছে, উক্ত রাস্তাটি প্রশস্ত করে অন্য বড় এক রাস্তার সঙ্গে সংযোগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ এখন মাপের পর দেখা যাচ্ছে যে, রাস্তাটি মসজিদ-কবরস্থানের সীমার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের জানার বিষয় হল :
১. মসজিদ ও কবরস্থানের উল্লেখিত ৫৩ শতাংশ জায়গা আমরা যেভাবে ১৯৯২ সালের রেকর্ডে ভাগ করে দিয়েছি তা সঠিক হয়েছে কি না? না হয়ে থাকলে এখন কী করণীয়? আর মসজিদের সাবেক স্থানটি কবরস্থানের জায়গায় পড়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে করণীয় কী?
২. বর্তমানে মসজিদটি বড় ও পাকা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় যদি কবরস্থানের কিছু জায়গা ব্যবহার করতে হয় তাহলে তা করা যাবে কি না?
৩. আমার ভাইয়েরা মসজিদ-কবরস্থানের সীমায় পড়ে যাওয়া তাদের লাগানো গাছগুলো কেটে ব্যবহার করেছে ও বিক্রি করেছে। এটি সঠিক হয়েছে কি না? না হলে এখন কী করণীয়? আর অবশিষ্ট গাছের হুকুম কী?
৪. মসজিদ-কবরস্থানের সীমানায় পড়ে যাওয়া উল্লেখিত রাস্তাটি সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরও প্রশস্ত করে অন্য বড় রাস্তার সঙ্গে মিলানো যাবে কি না? যদি না যায় তাহলে মসজিদ-কবরস্থানের অর্ধেক এবং আমাদের বাড়ির অংশ থেকে অর্ধেক জায়গার মাধ্যমে রাস্তাটি করা যাবে কি না? আর যদি তাও না হয় তাহলে যেভাবে রাস্তাটি ব্যবহার করে এসেছি অন্তত সেভাবে ব্যবহার করতে পারব কি না?
কুরআন মজীদ ও হাদীসের আলোকে বিষয়গুলোর সমাধান দিলে ইনশাআল্লাহ আমরা সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উত্তর
(ক ও খ) প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী
ওয়াকফকারীগণ যেহেতু ৫৩ শতাংশ জায়গা মসজিদ এবং কবরস্থান উভয়ের জন্য যৌথভাবে
ওয়াকফ করেছেন তাই মসজিদ এবং কবরস্থান উভয়ের জন্য সমান ভাগে অর্ধাঅর্ধি
অর্থাৎ সাড়ে ছাব্বিশ শতাংশ করে ভাগ করতে হবে। আর ওয়াকফকারীগণ প্রথমে যে
স্থানে মসজিদ করেছিলেন সেটিকেই মসজিদ হিসাবে বহাল রাখা জরুরি।
উত্তর-দক্ষিণে কিংবা পূর্ব-পশ্চিমে যেভাবে সুবিধা হয় সাড়ে ছাব্বিশ শতাংশ
মসজিদের জন্য রেখে বাকি অর্ধেক কবরস্থানের জন্য নির্দিষ্ট করে নিতে হবে।
অতএব দক্ষিণ-পশ্চিমে নতুন করে যে মসজিদ বানানো হয়েছে তা মসজিদ থাকবে না। সেটা কবরস্থানের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। আর ১৯৯২ সালের রেকর্ড শুদ্ধ হয়নি। উপরে যেভাবে বলা হয়েছে সে অনুযায়ী সংশোধন করে নেওয়া জরুরি।
উত্তর : (গ) আপনার ভাইদের লাগানো গাছগুলো নিজেদের ব্যবহার করা বা বিক্রি করা সঠিক হয়েছে। অবশিষ্ট গাছগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের কাছ থেকে মসজিদের জমি ব্যবহারের জন্য ভাড়া নিতে পারবে।
উত্তর : (ঘ) ওয়াকফের জায়গা যথাসম্ভব রাস-ার জন্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সেহেতু ব্যক্তিগত জমিতে রাস্তা বের করা সম্ভব হলে সেটাই করতে হবে। আর সম্ভব না হলে পূর্বে যতটুকু রাস্তা ব্যবহার করা হয়েছে তা ব্যবহার করা যাবে। রাস্তা বড় করতে চাইলে আপনাদের প্রস্তাব অনুযায়ী অর্ধেক বা বাকি অংশ নিজেদের জায়গা থেকে দিতে হবে। তবে সর্বাবস্থায় লক্ষণীয় যে, ওয়াকফের জায়গা থেকে এত বেশি জমি রাস্তার জন্য নেওয়া যাবে না যা ওয়াকফের ক্ষতি হয়।
প্রথম মাসআলা : সহীহ বুখারী ১/৩৮২;হেদায়া ২/৬৪৫; ফাতহুল কাদীর ৫/৪৩৯ তৃতীয় মাসআলা : তানকীহুল ফাতাওয়া হামীদিয়া ২/১৮২ চতুর্থ মাসআলা : ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩০৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৬৮
অতএব দক্ষিণ-পশ্চিমে নতুন করে যে মসজিদ বানানো হয়েছে তা মসজিদ থাকবে না। সেটা কবরস্থানের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। আর ১৯৯২ সালের রেকর্ড শুদ্ধ হয়নি। উপরে যেভাবে বলা হয়েছে সে অনুযায়ী সংশোধন করে নেওয়া জরুরি।
উত্তর : (গ) আপনার ভাইদের লাগানো গাছগুলো নিজেদের ব্যবহার করা বা বিক্রি করা সঠিক হয়েছে। অবশিষ্ট গাছগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের কাছ থেকে মসজিদের জমি ব্যবহারের জন্য ভাড়া নিতে পারবে।
উত্তর : (ঘ) ওয়াকফের জায়গা যথাসম্ভব রাস-ার জন্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সেহেতু ব্যক্তিগত জমিতে রাস্তা বের করা সম্ভব হলে সেটাই করতে হবে। আর সম্ভব না হলে পূর্বে যতটুকু রাস্তা ব্যবহার করা হয়েছে তা ব্যবহার করা যাবে। রাস্তা বড় করতে চাইলে আপনাদের প্রস্তাব অনুযায়ী অর্ধেক বা বাকি অংশ নিজেদের জায়গা থেকে দিতে হবে। তবে সর্বাবস্থায় লক্ষণীয় যে, ওয়াকফের জায়গা থেকে এত বেশি জমি রাস্তার জন্য নেওয়া যাবে না যা ওয়াকফের ক্ষতি হয়।
প্রথম মাসআলা : সহীহ বুখারী ১/৩৮২;হেদায়া ২/৬৪৫; ফাতহুল কাদীর ৫/৪৩৯ তৃতীয় মাসআলা : তানকীহুল ফাতাওয়া হামীদিয়া ২/১৮২ চতুর্থ মাসআলা : ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩০৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৬৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩১৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার অনেকগুলো রিকশা আছে। অনেকে দুই বেলার জন্য ভাড়া নেয়...
প্রশ্ন
আমার অনেকগুলো রিকশা আছে। অনেকে দুই
বেলার জন্য ভাড়া নেয় আবার অনেকে এক বেলার জন্য। আমি তাদেরকে নির্দিষ্ট
টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেই। দুই বেলা চালালে এত দিতে হবে আর এক বেলা চালালে
এত দিতে হবে।
জানিয়ে বাধিত করবেন যে, এই পন্থায় ভাড়া দেওয়া-নেওয়া এবং লাভবান হওয়া জায়েয আছে?
জানিয়ে বাধিত করবেন যে, এই পন্থায় ভাড়া দেওয়া-নেওয়া এবং লাভবান হওয়া জায়েয আছে?
উত্তর
হ্যাঁ, ঐভাবে ভাড়া দেওয়া-নেওয়া বৈধ হয়েছে।।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪২৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৯-৩০; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ৩৩৮-৩৩৯; আলবাহরুর রায়েক ৮/১০২; শরহুল মাজাল্লা খালিদ আতাসী ২/৬৮৬; রদ্দুল মুহতার ৬/২৯
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪২৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৯-৩০; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ৩৩৮-৩৩৯; আলবাহরুর রায়েক ৮/১০২; শরহুল মাজাল্লা খালিদ আতাসী ২/৬৮৬; রদ্দুল মুহতার ৬/২৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩০৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করি। অফিসিয়াল কাজের জন্য আমাকে...
প্রশ্ন
আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে
চাকুরি করি। অফিসিয়াল কাজের জন্য আমাকে কোম্পানি থেকে একটি কম্পিউটার
দিয়েছে। ঐ কম্পিউটারে কোম্পানির ফাইল রয়েছে, যা বিভিন্ন লোকের কাছে প্রিন্ট
করে বিক্রি করা হয়। আমার জন্য তা দেখার অনুমতি আছে তাই আমি পেনড্রাইভ দিয়ে
ঐ ফাইলটি নিজস্ব কম্পিউটারে তাদের অনুমতি ছাড়া কপি করে নিয়েছি।
আমার জন্য কি তা জায়েয হয়েছে? না হলে এখন করণীয় কী?
উল্লেখ্য, আমার উদ্দেশ্য ব্যবসা নয়। কোনো সময় প্রয়োজন হলে নিজের জন্য ব্যবহার করামাত্র।
আমার জন্য কি তা জায়েয হয়েছে? না হলে এখন করণীয় কী?
উল্লেখ্য, আমার উদ্দেশ্য ব্যবসা নয়। কোনো সময় প্রয়োজন হলে নিজের জন্য ব্যবহার করামাত্র।
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু
তারা অফিসিয়াল কাজের জন্যই অফিসে প্রোগ্রামটি দেখার অনুমতি দিয়েছে, বাসায়
বা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার এবং কপি করার অনুমতি দেয়নি, তাই কোম্পানির অনুমতি
ছাড়া নিজস্ব কম্পিউটারে ফাইলটি কপি করা জায়েয হয়নি। এখন আপনার করণীয় হল
ফাইলটি নিজের কম্পিউটার থেকে ডিলিট করে দেওয়া।
আননুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ৩৫১; মাবসূত সারাখসী ১১/১১০, ১১১, ১১৯; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩১২; হেদায়া ৩/২৭৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/২৮০-২৮১; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৭৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/২২৮
আননুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ৩৫১; মাবসূত সারাখসী ১১/১১০, ১১১, ১১৯; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩১২; হেদায়া ৩/২৭৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/২৮০-২৮১; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৭৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/২২৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩০৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একজন ব্যবসায়ী। শুনেছি যে, ব্যবসায় সুদের মিশ্রন হারাম। অনেক...
প্রশ্ন
আমি একজন ব্যবসায়ী। শুনেছি যে,
ব্যবসায় সুদের মিশ্রন হারাম। অনেক সময় পণ্য বাকিতে বিক্রয় করতে হয়। আর তা
সাধারণত বাজারদর থেকে কিছু বেশিতে বিক্রি করি। এখানে আমার জানার বিষয় এই
যে, বাকি বিক্রিতে মূল্য বৃদ্ধি কি সুদের আওতায় পড়ে? এই বর্ধিত মূল্য গ্রহণ
করা কি আমার জন্য বৈধ?
উত্তর
নগদ বিক্রির তুলনায় বাকি বিক্রিতে
মূল্য কিছু বেশি রাখা দোষের নয়। তবে সাধারণত বাকির ক্ষেত্রে যে হারে
অতিরিক্ত নেওয়া হয় তার চেয়ে বেশি নেওয়া ঠিক হবে না।
প্রকাশ থাকে যে, বাকি বিক্রির ক্ষেত্রে অধিক মূল্য নেওয়া সুদ নয়। অবশ্য মূল্য চুড়ান্ত করে চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে বা বিলম্বে মূল্য পরিশোধের কারণে যদি অতিরিক্ত গ্রহণ করা হয় তবে তা সুদ ও হারাম হিসাবে গণ্য হবে।
জামে তিরমিযী ১/২৩৩; হেদায়া ৩/৭৪; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ১/১০; আলবাহরুর রায়েক ৬/১১৪; আলমাবসূত সারাখসী ১৩/৭; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ৫/১৪২
প্রকাশ থাকে যে, বাকি বিক্রির ক্ষেত্রে অধিক মূল্য নেওয়া সুদ নয়। অবশ্য মূল্য চুড়ান্ত করে চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে বা বিলম্বে মূল্য পরিশোধের কারণে যদি অতিরিক্ত গ্রহণ করা হয় তবে তা সুদ ও হারাম হিসাবে গণ্য হবে।
জামে তিরমিযী ১/২৩৩; হেদায়া ৩/৭৪; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ১/১০; আলবাহরুর রায়েক ৬/১১৪; আলমাবসূত সারাখসী ১৩/৭; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ৫/১৪২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈
প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।
>>নিম্নের লিংক ক্লিক করে ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন<<
১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।
২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন।
৩/ যত বেশি সম্ভব أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) পড়ুন। দিনে কমপক্ষে ১০০ বার পড়ুন।
৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।
৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।
৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv
#ibtv99
#ibtv99
0 Comments