সূরা আল হাশর:7 - রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন,
তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।
সূরা মুহাম্মদ:33 - হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ)
আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।
‘মাহরাম’ অর্থাৎ যার সঙ্গে বিয়ে হারাম সে ব্যতীত অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে কোন নারী নির্জনে দেখা করবে না এবং স্বামীর অসাক্ষাতে কোন নারীর কাছে কোন পুরষের গমন হারামঃ
﴿ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ
مَسْئُولًا﴾ [الاسراء: ٣٦]
অর্থাৎ নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বানী ইস্রাঈল ৩৬ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেছেন, ﴿ يَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ﴾ [غافر: ١٩]
অর্থাৎ চক্ষুর চোরা চাহনি ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত। (সূরা মুমিন ১৯ আয়াত)
‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। এক আনসার জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! দেবরের ব্যাপারে কী হুকুম? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর হচ্ছে মৃত্যুতুল্য[1]
[1] الحمو শব্দের অর্থের ব্যাপারে ইমাম তিরমিযী বলেছেন- ‘হামো’ মানে স্বামীর ভাই- স্বামীর ছোট হোক বা বড়। ইমাম লাইস বলেছেন- ‘হামো’ হচ্ছে স্বামীর ভাই, আর তার মত স্বামীর অপরাপর নিকটবর্তী লোকেরা যেমন চাচাত, মামাত, ফুফাত ভাই ইত্যাদি। বরং এর সঠিক অর্থে বুঝা যায়- স্বামীর ভাই, স্বামীর ভাই পো, স্বামীর চাচা, চাচাত ভাই, ভাগ্নে এবং এদেরই মত অন্যসব পুরুষ যাদের সাথে এ মেয়েলোকের বিয়ে হতে পারে- যদি না সে বিবাহিতা হয়। কিন্তু নাবী ﷺ এদের মৃত্যু বা মৃত্যুদূত বললেন কেন? এর কারণস্বরূপ বলা হয়েছে- সাধারণ প্রচলিত নিয়ম ও লোকেদের অভ্যাসই হচ্ছে যে, এসব নিকটাত্মীয়ের ব্যাপারে উপেক্ষা প্রদর্শন করা হয়। (এবং এদের পারস্পরিক মেলামেশায় কোন দোষ মনে করা হয় না) ফলে ভাই ভাইর বউ-এর সাথে একাকীত্বে মিলিত হয়। এভাবে একাকীত্বে মিলিত হওয়াকে তোমরা ভয় কর যেমনভাবে তোমরা মৃত্যুকে ভয় কর। আল্লামা কাযী ইয়ায বলেছেন- স্বামীর এসব নিকটাত্মীয়ের সাথে স্ত্রীর (কিংবা স্ত্রীর এসব নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে স্বামীর) গোপন মেলামেশা নৈতিক ধ্বংস টেনে আনে। ইমাম কুরতুবী বলেছেন- এ ধরনের লোকেদের সাথে গোপন মিলন নীতি ও ধর্মের মৃত্যু ঘটায় কিংবা স্বামীর আত্মসম্মানবোধ তীব্র হওয়ার পরিণামে তাকে তালাক দেয় বলে তার দাম্পত্য জীবনের মৃত্যু ঘটে। কিংবা এদের কারোর সাথে যদি জ্বেনায় লিপ্ত হয়, তাহলে তাকে সঙ্গেসার করার দন্ড দেয়া হয়, ফলে তার জৈবিক মৃত্যুও ঘটে। আল্লামা তাবারী বলেছেন, যে কোন অপছন্দনীয় ব্যাপারকে আরবরা মৃত্যু বলে আখ্যায়িত করত
উমার, জাবির ও আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উকবা ইবনু আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। অবাধে স্ত্রীলোকদের সাথে মেলা-মেশার খারাপ পরিণতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একইরকম হাদীস আরও আছে। তিনি বলেনঃ ‘একজন স্ত্রীলোকের সাথে একজন পুরুষ একাকী থাকলে তাদের মধ্যে শাইতান তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে যোগ দেয়”।
“হামউ" অর্থ হচ্ছে স্বামীর ভাই' । তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভাবীর সাথে দেবরকেও একাকী থাকতে নিষেধ করেছেন।[2]
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মাহরামের উপস্থিতি ছাড়া কোন পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জন-বাস না করে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
[যার সাথে চিরতরে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হারাম, তাকেই মাহরাম বা এগানা বলে। আর এর বিপরীত যার সাথে কোনও সময় বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন জায়েয, তাকেই গায়র মাহরাম বা বেগানা বলে।][3]
বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘স্বগৃহে অবস্থানকারী লোকদের পক্ষে মুজাহিদদের স্ত্রীদের মর্যাদা তাদের নিজেদের মায়ের মর্যাদার মত। স্বগৃহে অবস্থানকারী লোকদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদ ব্যক্তির পরিবারের প্রতিনিধিত্ব [দেখা-শুনা] করে, অতঃপর তাদের ব্যাপারে সে তার খেয়ানত করে বসে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে মুজাহিদের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে এবং সে তার নেকীসমূহ থেকে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছামত নেকী নিয়ে নেবে।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে বললেন, ‘‘তোমাদের ধারণা কি? [সে কি তখন তার কাছ থেকে নেকী নিতে ছাড়বে?]’’ (মুসলিম) [4]
শুনুন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া কোনো নারীর জন্য নফল রোযা রাখা বৈধ নয় এবং স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে তার ঘরে কাউকে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়াও তার জন্য বৈধ নয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম, শব্দগুলি বুখারীর) [5]
[প্রকাশ থাকে যে, স্বামীর ছোট ভাই কোন মুসলিম মহিলার ‘দেওর’ ‘দেবর’ বা দ্বিতীয় বর হতে পারে না। মহিলার উচিত, তাকে দ্বিতীয় বর বা উপহাসের পাত্র মনে না করে নিজ ছোট ভাই সম গণ্য করা। যেমন ঐ ভাইয়ের উচিত, ভাবীকে ‘ভাবের ই’ মনে না করে নিজ বড় বোন সম গণ্য করা।]
পরিশেষে বোঝা গেল দেবর ভাবী নির্জনতা অবলম্বন করতে পারবে না ৷ যারা নির্জনতা অবলম্বন করে তারা রাসূল ছাঃ এর অবাধ্য ,
তারা রাসূল ছাঃ কে অনুসরন করে না,
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু যে অস্বীকার করবে। তারা বললেন, কে অস্বীকার করবে। তিনি বললেনঃ যারা আমার অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হবে সে-ই অস্বীকার করবে।[6]
উসামাহ ইবনু যায়েদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকারক অন্য কোন ফিতনা ছাড়লাম না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [7]
[1]সহীহ বুখারী (তাওহীদ), [মুসলিম ৩৯/৮, হাঃ ২১৭২, আহমাদ ১৭৩৫২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫২)
[2]তিরমিজি ১১৭১,
[3] সহীহুল বুখারী ১৮৬২, ৩০০৬, ৩০৬১, ৫২৩৩, মুসলিম ১৩৪১, ইবনু মাজাহ ২৯০০, আহমাদ ১৯৩৫, ৩২২১ ,
[4] মুসলিম ১৮৯৭, নাসায়ী ৩১৮৯, ৩১৯০, ৩১৯১, আবূ দাউদ ২৪৯৬, আহমাদ ২২৪৬৮, ২২৪৯৫
[5] সহীহুল বুখারী ৫১৯৫, ২০৬৬, ৫১৯২, ৫৩৬০, মুসলিম ১০২৬, আবূ দাউদ ১৬৮৭, আহমাদ ২৭৪০৫,
[6] (বুখারি ৭২৮০, আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৮৩)
[7] সহীহুল বুখারী ৫০৯৬, মুসলিম ২৭৪০, ২৭৪১, তিরমিযী ২৭৮০, ইবনু মাজাহ ৩৯৯৮, আহমাদ ২১২৩৯, ২১৩২২ ,
‘মাহরাম’ অর্থাৎ যার সঙ্গে বিয়ে হারাম সে ব্যতীত অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে কোন নারী নির্জনে দেখা করবে না এবং স্বামীর অসাক্ষাতে কোন নারীর কাছে কোন পুরষের গমন হারামঃ
﴿ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ
مَسْئُولًا﴾ [الاسراء: ٣٦]
অর্থাৎ নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বানী ইস্রাঈল ৩৬ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেছেন, ﴿ يَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ﴾ [غافر: ١٩]
অর্থাৎ চক্ষুর চোরা চাহনি ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত। (সূরা মুমিন ১৯ আয়াত)
‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। এক আনসার জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! দেবরের ব্যাপারে কী হুকুম? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর হচ্ছে মৃত্যুতুল্য[1]
[1] الحمو শব্দের অর্থের ব্যাপারে ইমাম তিরমিযী বলেছেন- ‘হামো’ মানে স্বামীর ভাই- স্বামীর ছোট হোক বা বড়। ইমাম লাইস বলেছেন- ‘হামো’ হচ্ছে স্বামীর ভাই, আর তার মত স্বামীর অপরাপর নিকটবর্তী লোকেরা যেমন চাচাত, মামাত, ফুফাত ভাই ইত্যাদি। বরং এর সঠিক অর্থে বুঝা যায়- স্বামীর ভাই, স্বামীর ভাই পো, স্বামীর চাচা, চাচাত ভাই, ভাগ্নে এবং এদেরই মত অন্যসব পুরুষ যাদের সাথে এ মেয়েলোকের বিয়ে হতে পারে- যদি না সে বিবাহিতা হয়। কিন্তু নাবী ﷺ এদের মৃত্যু বা মৃত্যুদূত বললেন কেন? এর কারণস্বরূপ বলা হয়েছে- সাধারণ প্রচলিত নিয়ম ও লোকেদের অভ্যাসই হচ্ছে যে, এসব নিকটাত্মীয়ের ব্যাপারে উপেক্ষা প্রদর্শন করা হয়। (এবং এদের পারস্পরিক মেলামেশায় কোন দোষ মনে করা হয় না) ফলে ভাই ভাইর বউ-এর সাথে একাকীত্বে মিলিত হয়। এভাবে একাকীত্বে মিলিত হওয়াকে তোমরা ভয় কর যেমনভাবে তোমরা মৃত্যুকে ভয় কর। আল্লামা কাযী ইয়ায বলেছেন- স্বামীর এসব নিকটাত্মীয়ের সাথে স্ত্রীর (কিংবা স্ত্রীর এসব নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে স্বামীর) গোপন মেলামেশা নৈতিক ধ্বংস টেনে আনে। ইমাম কুরতুবী বলেছেন- এ ধরনের লোকেদের সাথে গোপন মিলন নীতি ও ধর্মের মৃত্যু ঘটায় কিংবা স্বামীর আত্মসম্মানবোধ তীব্র হওয়ার পরিণামে তাকে তালাক দেয় বলে তার দাম্পত্য জীবনের মৃত্যু ঘটে। কিংবা এদের কারোর সাথে যদি জ্বেনায় লিপ্ত হয়, তাহলে তাকে সঙ্গেসার করার দন্ড দেয়া হয়, ফলে তার জৈবিক মৃত্যুও ঘটে। আল্লামা তাবারী বলেছেন, যে কোন অপছন্দনীয় ব্যাপারকে আরবরা মৃত্যু বলে আখ্যায়িত করত
উমার, জাবির ও আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উকবা ইবনু আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। অবাধে স্ত্রীলোকদের সাথে মেলা-মেশার খারাপ পরিণতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একইরকম হাদীস আরও আছে। তিনি বলেনঃ ‘একজন স্ত্রীলোকের সাথে একজন পুরুষ একাকী থাকলে তাদের মধ্যে শাইতান তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে যোগ দেয়”।
“হামউ" অর্থ হচ্ছে স্বামীর ভাই' । তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভাবীর সাথে দেবরকেও একাকী থাকতে নিষেধ করেছেন।[2]
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মাহরামের উপস্থিতি ছাড়া কোন পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জন-বাস না করে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
[যার সাথে চিরতরে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হারাম, তাকেই মাহরাম বা এগানা বলে। আর এর বিপরীত যার সাথে কোনও সময় বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন জায়েয, তাকেই গায়র মাহরাম বা বেগানা বলে।][3]
বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘স্বগৃহে অবস্থানকারী লোকদের পক্ষে মুজাহিদদের স্ত্রীদের মর্যাদা তাদের নিজেদের মায়ের মর্যাদার মত। স্বগৃহে অবস্থানকারী লোকদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদ ব্যক্তির পরিবারের প্রতিনিধিত্ব [দেখা-শুনা] করে, অতঃপর তাদের ব্যাপারে সে তার খেয়ানত করে বসে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে মুজাহিদের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে এবং সে তার নেকীসমূহ থেকে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছামত নেকী নিয়ে নেবে।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে বললেন, ‘‘তোমাদের ধারণা কি? [সে কি তখন তার কাছ থেকে নেকী নিতে ছাড়বে?]’’ (মুসলিম) [4]
শুনুন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া কোনো নারীর জন্য নফল রোযা রাখা বৈধ নয় এবং স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে তার ঘরে কাউকে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়াও তার জন্য বৈধ নয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম, শব্দগুলি বুখারীর) [5]
[প্রকাশ থাকে যে, স্বামীর ছোট ভাই কোন মুসলিম মহিলার ‘দেওর’ ‘দেবর’ বা দ্বিতীয় বর হতে পারে না। মহিলার উচিত, তাকে দ্বিতীয় বর বা উপহাসের পাত্র মনে না করে নিজ ছোট ভাই সম গণ্য করা। যেমন ঐ ভাইয়ের উচিত, ভাবীকে ‘ভাবের ই’ মনে না করে নিজ বড় বোন সম গণ্য করা।]
পরিশেষে বোঝা গেল দেবর ভাবী নির্জনতা অবলম্বন করতে পারবে না ৷ যারা নির্জনতা অবলম্বন করে তারা রাসূল ছাঃ এর অবাধ্য ,
তারা রাসূল ছাঃ কে অনুসরন করে না,
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু যে অস্বীকার করবে। তারা বললেন, কে অস্বীকার করবে। তিনি বললেনঃ যারা আমার অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হবে সে-ই অস্বীকার করবে।[6]
উসামাহ ইবনু যায়েদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকারক অন্য কোন ফিতনা ছাড়লাম না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [7]
[1]সহীহ বুখারী (তাওহীদ), [মুসলিম ৩৯/৮, হাঃ ২১৭২, আহমাদ ১৭৩৫২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫২)
[2]তিরমিজি ১১৭১,
[3] সহীহুল বুখারী ১৮৬২, ৩০০৬, ৩০৬১, ৫২৩৩, মুসলিম ১৩৪১, ইবনু মাজাহ ২৯০০, আহমাদ ১৯৩৫, ৩২২১ ,
[4] মুসলিম ১৮৯৭, নাসায়ী ৩১৮৯, ৩১৯০, ৩১৯১, আবূ দাউদ ২৪৯৬, আহমাদ ২২৪৬৮, ২২৪৯৫
[5] সহীহুল বুখারী ৫১৯৫, ২০৬৬, ৫১৯২, ৫৩৬০, মুসলিম ১০২৬, আবূ দাউদ ১৬৮৭, আহমাদ ২৭৪০৫,
[6] (বুখারি ৭২৮০, আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৮৩)
[7] সহীহুল বুখারী ৫০৯৬, মুসলিম ২৭৪০, ২৭৪১, তিরমিযী ২৭৮০, ইবনু মাজাহ ৩৯৯৮, আহমাদ ২১২৩৯, ২১৩২২ ,
0 Comments