অর্থাৎ "প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। যতক্ষণ না তোমরা (মরে) কবরে উপস্থিত হও। কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। আবার বলি, কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। সত্যই, তোমাদের নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্যই তোমরা জানতে (ঐ প্রতিযোগিতার পরিণাম)। "(সূরা তাকাসুর 1-5 আয়াত)
)
ٱعلموا أنما ٱلحيوة ٱلدنيا لعب ولهو وزينة وتفاخر بينكم وتكاثر في ٱلأمول
وٱلأولد كمثل غيث أعجب ٱلكفار نباته ثم يهيج فترىه مصفرا ثم يكون حطما وفي
ٱلأخرة عذاب شديد ومغفرة من ٱلله ورضون وما ٱلحيوة ٱلدنيآ إلا متع ٱلغرور
20 ([الحديد: 20]
অর্থাৎ
"তোমরা জেনে রেখো যে, পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক, জাঁকজমক, পারস্পরিক
অহংকার প্রকাশ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা
ব্যতীত আর কিছুই নয়। উপমা বৃষ্টি এর; যার
দ্বারা উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি
তা পীতবর্ণ দেখতে পাও, অবশেষে তা টুকরা-টুকরা (খড়-কুটায়) পরিণত হয় এবং
আখেরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। "(সূরা হাদীদ ২0 আয়াত)
হুযাইফা
রাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আমাদেরকে পাতলা ও মোটা রেশমী কাপড় পরতে ও সোনা-রূপার পাত্রে পান করতে
নিষেধ করেছেন। আর তিনি বলেছেন, '' তা হল তাদের (কাফেরদের) জন্য দুনিয়ায় এবং তোমাদের (মুসলিমদের) জন্য আখেরাতে। '' (বুখারী ও মুসলিম) [1]
উম্মে
সালামাহ্ রাদিয়াল্লাহু''আনহা হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, '' যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে, সে আসলে নিজ
উদরে জাহান্নামের আগুন ঢক্ঢক্ করে পান করে। '' (বুখারী) [2]
মুসলিমের
অন্য এক বর্ণনায় আছে, '' যে ব্যক্তি সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করে ....
'' তাঁর অন্য এক বর্ণনায় আছে, '' যে ব্যক্তি সোনা অথবা রূপার পাত্রে পান
করে, সে আসলে নিজ উদরে জাহান্নামের আগুন ঢক্ঢক্ করে পান করে। ''
[1]
সহীহুল বুখারী 54২6, 563২, 5633, 5831, 5837, মুসলিম ২067, তিরমিযী 1878,
নাসায়ী 5301, আবূ দাউদ 37২3, ইবনু মাজাহ 3414, 3590, আহমাদ ২২758, ২২803,
২২848, ২২855, ২২865, ২২89২, ২২9২7, ২২954 , দারেমী ২130 হাদিসের মানঃ সহিহ
[2] সহীহুল বুখারী 5634, মুসলিম ২065, ইবনু মাজাহ 3413, আহমাদ ২60২8, ২604২, ২6055, ২6071, মুওয়াত্তা মালেক 1717, দারেমী ২1২9 হাদিসের মানঃ সহিহ
[2] সহীহুল বুখারী 5634, মুসলিম ২065, ইবনু মাজাহ 3413, আহমাদ ২60২8, ২604২, ২6055, ২6071, মুওয়াত্তা মালেক 1717, দারেমী ২1২9 হাদিসের মানঃ সহিহ
0 Comments