যে দানের বস্তু গ্রহীতাকে আদৌ অর্পণ করা হয়নি, তা ফেরৎ
নেওয়া অ-পছন্দনীয়। আর নিজ সন্তানদেরকে কোন কিছু দান করার পর---তা তাদের
হাতে তুলে দেওয়া হোক আর না হোক---তা পুনরায় ফেরৎ নেওয়া অবৈধ। অনুরূপভাবে
সদকা, যাকাত বা কাফফারাস্বরূপ কোন বস্তু কাউকে দেওয়ার পর তার নিকট থেকে
দাতার সরাসরি খরিদ করা অপছন্দনীয়। তবে হ্যাঁ, গ্রহীতার নিকট থেকে যদি তা
অন্য কারো কাছে হস্তান্তরিত হয়, তবে তা ক্রয় করলে কোন ক্ষতি নেই।
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি নিজের দান ফিরিয়ে
নেয়, সে ঐ কুকুরের মত, যে বমি করে, তারপর তা আবার খেয়ে ফেলে।’’ (বুখারী ও
মুসলিম)[1]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যে ব্যক্তি সদকার মাল ফেরৎ নেয় তার উদাহরণ ঠিক ঐ কুকুরের ন্যায়, যে বমি করে তারপর আবার তা ভক্ষণ করে।’’
অন্য আর এক বর্ণনায় আছে, ‘‘দান করে ফেরৎ গ্রহণকারী ব্যক্তি, বমি করে পুনর্ভক্ষণকারীর মত।’’
[1] সহীহুল বুখারী ২৫৮৯, ২৬২১, ২৬২২, ৬৯৭৫, মুসলিম ১৬২২,
তিরমিযী ১২৯৮, নাসায়ী ৩৬৯৩-৩৭০৫, ৩৭১০, আবূ দাউদ ৩৫৩৮, ইবনু মাজাহ ২৩৮৫,
আহমাদ ১৮৭৫, ২১২০, ২২৫০, ২৫২৫, ২৬১৭, ৩০০৬, ৩২১১ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
‘আমার একটি ঘোড়া ছিল, যা আমি আল্লাহর রাস্তায় [ব্যবহারের জন্য এক
মুজাহিদকে] দান করলাম। যার কাছে এটা ছিল, সে এটাকে নষ্ট করে দিল। [অর্থাৎ
যথোচিত যত্ন করতে না পারলে ঘোড়াটি রুগ্ন বা দুর্বল হয়ে পড়ল]। ফলে আমি তা
কিনে নিতে চাইলাম এবং আমার ধারণা ছিল যে, সে সেটি সস্তা দামে বিক্রি করবে।
[এ সম্পর্কে] আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলে
তিনি বললেন, ‘‘তুমি তা ক্রয় করো না এবং তোমার [দেওয়া] সাদকাহ ফিরিয়ে নিয়ো
না; যদিও সে তোমাকে তা এক দিরহামের বিনিময়ে দিতে চায়। কেননা, দান করে ফেরৎ
গ্রহণকারী ব্যক্তি, বমি করে পুনর্ভক্ষণকারীর মত।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ২৬২৩, ১৪৯০, ২৬৩৬, ২৯৭০, ৩০০৩, মুসলিম
১৬২০, তিরমিযী ৬৬৮, নাসায়ী ২৬১৫, ২৬১৬, আবূ দাউদ ১৫৯৩, ইবনু মাজাহ ২৩৯০,
২৩৯২, আহমাদ ১৬৭, ২৬০, ২৮৩, ৩৮৬, মুওয়াত্তা মালিক ৬২৪, ৬২৫ হাদিসের মানঃ
সহিহ (Sahih)
0 Comments