বান্দার যে তিনটি কাজ আল্লাহর কছে পছন্দ | আল্লাহ বান্দার যে তিনটি কাজ অপছন্দ করে।

বান্দার যে তিনটি কাজ আল্লাহর কছে পছন্দ | আল্লাহ বান্দার যে তিনটি কাজ অপছন্দ করে।
বান্দার যে তিনটি কাজ আল্লাহর কছে পছন্দ | আল্লাহ বান্দার যে তিনটি কাজ অপছন্দ করে।



#মহান আল্লাহ যে তিনটি কাজ পছন্দ করেঃ
بَابُ النَّهْيِ عَنْ إِضَاعَةِ الْمَالِ فِيْ غَيْرِ وُجُوْهِهِ الَّتِيْ أَذِنَ الشَّرْعُ فِيْهَا عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ اللهَ تَعَالَى يَرْضَى لَكُمْ ثَلاَثاً، وَيَكْرَهُ لَكُمْ ثَلاَثاً : فَيَرْضَى لَكُمْ أَنْ تَعْبُدُوهُ، وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيئاً، وَأَنْ تَعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللهِ جَمِيعاً وَلاَ تَفَرَّقُوا، وَيَكْرَهُ لَكُمْ : قِيلَ وَقَالَ، وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةَ المَالِ» . رواه مسلم
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য তিনটি জিনিস পছন্দ করেন এবং তিনটি জিনিস অপছন্দ করেন। তিনি তোমাদের জন্য পছন্দ করেন যে, তোমরা তাঁর ইবাদত কর, তার সঙ্গে কোন কিছুকে অংশী স্থাপন করো না এবং আল্লাহর রজ্জুকে জামাআতবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ো না। আর তিনি তোমাদের জন্য যা অপছন্দ করেন তা হল, অহেতুক আলোচনা-সমালোচনায় লিপ্ত হওয়া, অধিকাধিক প্রশ্ন করা এবং ধন-সম্পদ বিনষ্ট করা।’’ (মুসলিম) [1]


بَابُ النَّهْيِ عَنْ إِضَاعَةِ الْمَالِ فِيْ غَيْرِ وُجُوْهِهِ الَّتِيْ أَذِنَ الشَّرْعُ فِيْهَا وَعَنْ وَرَّادٍ كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ: أَمْلَى عَلَيَّ المُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فِي كِتابٍ إلَى مُعَاوِيَةَ رضي الله عنه : أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ : «لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اَللهم لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ» وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنَّهُ كَانَ يَنْهَى عَنْ قِيلَ وَقَالَ، وَإِضَاعَةِ المَالِ، وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ، وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عُقُوقِ الأُمَّهَاتِ، وَوَأْدِ البَنَاتِ، وَمَنْعٍ وَهَاتِ . متفق عليه
মুগীরাহ ইবনে শু‘বাহর লেখক অর্রাদ হতে বর্ণিত, মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর নামে একটি পত্রে মুগীরা আমার দ্বারা এ কথা লেখালেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এই দো‘আ পড়তেন, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লা-হুম্মা লা মা-নিয়া লিমা আ’ত্বাইতা, অলা মু’ত্বিয়া লিমা মানা’তা অলা য়্যানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ্।’’

অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোন উপকারে আসবে না।

[তাছাড়া তাতে এ কথাও লেখালেন যে,] ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অহেতুক কথাবার্তা বলতে, ধন-সম্পদ বিনষ্ট করতে এবং অধিকাধিক প্রশ্ন করতে নিষেধ করতেন। আর তিনি মাতা-পিতার সাথে অবাধ্যাচরণ করতে, মেয়েদেরকে জীবন্ত প্রোথিত করতে এবং প্রাপকের ন্যায্য অধিকার রোধ করতে ও অনধিকার বস্তু তলব করতেও নিষেধ করতেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [2]

[1] মুসলিম ১৭১৫, আহমাদ ৮১৩৪, ৮৫০১, ৮৫৮১, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৬৩ হাদিসের মানঃ সহিহ
[2] সহীহুল বুখারী ৮৪৪, ১৪৭৭, ২৪০৮, ৫৯০৫, ৬৩৩০, ৬৪৭৩, ৬৬১৫, ৭২৯২, মুসলিম ৫৯৩, নাসায়ী ১৩৪১-১৩৪৩, আবূ দাউদ ১৫০৫, আহমাদ ১৭৬৭৩, ১৭৬৮১, ১৭৬৯৬, ১৭৭১৪, ১৭৭১৮, ১৭৭৩৪, ১৭৭৬৬, দারেমী ১৩৪৯, ২৭৫১ হাদিসের মানঃ সহিহ

Post a Comment

0 Comments