মসজিদে প্রবেশের পরে , মসজিদের হক্ক আদায় করতে হবে, দুই রাকাআত সুন্নাতের গুরুত্ব ৷


(মসজিদে প্রবেশ করলে দু’ রাকআত নফল নামায পড়া) এর জন্য উদ্বুদ্ধকরণ। মসজিদে ঢুকে ঐ নফল পড়ার আগে বসা মাকরুহ। যে কোন সময়েই প্রবেশ করা হোক না কেন তা পড়া চলে। উপরন্তু তাহিয়্যাতুল মসজিদের নিয়তে দু’ রাকআত পড়লে অথবা ফরয বা সুন্নতে রাতেবা পড়লে উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে। (অর্থাৎ তাহিয়্যাতুল মসজিদ আর আলাদাভাবে পড়তে হবে না।)
১/১১৫১। আবূ কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ মসজিদ প্রবেশ করবে, তখন সে যেন দু’ রাকআত নামায না পড়া অবধি না বসে।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ৪৪৪, ১১৬৭, মুসলিম ৭১৪, তিরমিযী ৩১৬, নাসায়ী ৭৩০, আবূ দাউদ ৪৬৭, ইবনু মাজাহ ১০২৩, আহমাদ ২২০১৭, ২২০৭২, ২২০৮৮, ২২১৪৬, দারেমী ১৩৯৩ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২/১১৫২। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলাম, তখন তিনি মসজিদে ছিলেন। তিনি বললেন, “দু’ রাকআত নামায পড়।” (বুখারী, মুসলিম)[1]
[1] সহীহুল বুখারী ৪৪৩, ১৮০১, ২০৯৭, ২৩০৯, ২৩৯৪, ২৪৭০, ২৬০৩, ২৬০৪, ২৭১৮, ২৮৬১, ২৯৬৭, ৩০৮৭, ৩০৯০, ৫০৭৯, ৫২৪৫-৫২৪৭, মুসলিম ৭১৫, তিরমিযী ১১০০, ১১৭২, ২৭১২, নাসায়ী ৩২১৯, ৩২২০, ৩২২৬, ৪৫৯০, ৪৫৯১, ৪৬৩৭-৪৬৪১, আবূ দাউদ ২০৪৮, ২৭৭৬-২৭৭৮, ৩৩৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৬০, আহমাদ ১৩৭১৮, ১৩৭৬৪, ১৩৭৭২, ১৩৭৮০, ১৩৮১৪, ১৩৮২০, ১৩৮২২, দারেমী ২২১৬, ২৬৩১ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
১/১১৫৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে উদ্দেশ্য করে বললেন, “হে বিলাল! আমাকে সর্বাধিক আশাপ্রদ আমল বল, যা তুমি ইসলাম গ্রহণের পর বাস্তবায়িত করেছ। কেননা, আমি (মি’রাজের রাতে) জান্নাতের মধ্যে আমার সম্মুখে তোমার জুতার শব্দ শুনেছি।” বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘আমার দৃষ্টিতে এর চাইতে বেশী আশাপ্রদ এমন কোন আমল করিনি যে, আমি যখনই রাত-দিনের মধ্যে যে কোন সময় পবিত্রতা অর্জন (ওযু, গোসল বা তায়াম্মুম) করেছি, তখনই ততটুকু নামায পড়েছি, যতটুকু নামায পড়া আমার ভাগ্যে লিপিবদ্ধ ছিল।’ (বুখারী ও মুসলিম, এ শব্দগুলি বুখারীর)[1]

[1] সহীহুল বুখারী ১১৪৯, মুসলিম ২৪৫০৮, আহমাদ ৮১৯৮, ৯৩৮০ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

Post a Comment

0 Comments