মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নকাটি করা, মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করে কান্নাকাটি করার জন্য কবরে আযাব হয়, মৃত ব্যক্তির কবরে আযাবের কারন।



উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মৃত ব্যক্তিকে তার কবরের মধ্যে তার জন্য মাতম করে কান্না করার দরুন শাস্তি দেওয়া হয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) অন্য এক বর্ণনায় আছে, যতক্ষণ তার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, [ততক্ষণ মৃত-ব্যক্তির আযাব হয়।][1]
[1] সহীহুল বুখারী ১২৮৮, ১২৯০, ১২৯২, মুসলিম ৯২৭, তিরমিযী ১০০২, নাসায়ী ১৮৫৩, ১৮৫৮, ইবনু মাজাহ ১৫৯৩, আহমাদ ২৯০৩৮৮, ৪৮৫০, ৪৯৩৯, ৫২৪০, ৬১৪৭ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে [শোকের সময়] গালে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিঁড়ে এবং জাহেলিয়াতের ডাকের ন্যায় ডাক ছাড়ে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ১২৯৪, ১২৯৭, ১২৯৮, ৩৫১৯, মুসলিম ১০৩, তিরমিযী ৯৯৯, নাসায়ী ১৮৬২, ১৮৬৪, ১৫৮৪, আহমাদ ৩৬৫০, ৪১০০, ৪১০৩, ৪৩৪৮, ৪৪১৬ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
মুগীরাহ ইবনে শু‘বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি যে, ‘‘যার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, তাকে কিয়ামতের দিনে তার জন্য মাতম করার দরুন শাস্তি দেওয়া হবে।’’ (বুখারী, মুসলিম)[1]
[1] সহীহুল বুখারী ১২৯১, মুসলিম ৪, ৯৩৩, তিরমিযী ১০০০, আহমাদ ১৭৬৭৪, ১৭৭১৯, ১৭৭৩৭, ১৭৭৭৩ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
উম্মে আত্বিআহ নুসাইবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘বায়আতের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এই অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন যে, আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করব না।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ১৩০৬, ৪৮৯২, ৭২১৫, মুসলিম ৯৩৬, নাসায়ী ৪১৭৯, ৪১৮০, আবূ দাউদ ৩১২৭, আহমাদ ২০২৬৭, ২৬৭৫৩, ২৬৭৬০ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
কবরের আযাব
মৃতের জন্য কান্না করা 

Post a Comment

0 Comments