ছবি অংকন করার পরিনতি , ছবি অংকন করলে জাহান্নামে যাবেই যাবে, চিত্রকরের পরিনতি শাস্তি।


ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যারা এ জাতীয় [প্রাণীর] মূর্তি বা ছবি তৈরি করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমার যা বানিয়েছিলে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর।’’ (বুখারী) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ৫৯৫১, ৭৫৫৮, মুসলিম ২১০৮, নাসায়ী ৫৩৬১, আহমাদ ৪৪৬১, ৪৬৯৩, ৪৭৭৭, ৫১৪৬, ৫৭৩৩, ৬০৪৮, ৬২০৫, ৬২২৬, ৬২৯০ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘প্রত্যেক ছবি [বা মূর্তি]  নির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি বা মূর্তির পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।’’ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যদি তুমি করতেই চাও, তাহলে গাছপালা ও নিষ্প্রাণ বস্তুর ছবি বা মূর্তি তৈরি করতে পার।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, ৭০৪২, মুসলিম ২১১০, তিরমিযী ১৭৫১, ২২৮৩, নাসায়ী ৫৩৫৮, ৫৩৫৯, আবূ দাউদ ৫০২৪, ইবনু মাজাহ ৩৯১৬, আহমাদ ১৮৬৯, ২১৬৩, ২২১৪, ২৮০৬, ৩২৬২, ৩৩৭৩, ৩৩৮৪ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে ব্যক্তির দুনিয়াতে কোনো [প্রাণীর] চিত্র বানিয়েছে তাকে কিয়ামতের দিনে তাতে রূহ ফুঁকার জন্য বাধ্য করা হবে, অথচ সে রূহ ফুঁকতে পারবে না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, ৭০৪২, মুসলিম ২১১০, তিরমিযী ১৭৫১, ২২৮৩, নাসায়ী ৫৩৫৮, ৫৩৫৯, আবূ দাউদ ৫০২৪, ইবনু মাজাহ ৩৯১৬, আহমাদ ১৮৬৯, ২১৬৩, ২২১৪, ২৮০৬, ৩২৬২, ৩৩৭৩, ৩৩৮৪ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
সূনান তিরমিজী (ইফাঃ২৫৭৫)
আবদুল্লাহ্ ইবন মুআবিয়া জুমাহী (রহঃ) ........ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে একটি গর্দান বের হবে। এর দু’টো চোখ থাকবে যে দু’টো দিয়ে সে দেখবে, দু’টো কান থাকবে যা দিয়ে সে শুনবে এবং একটি জিহবা থাকবে যা দিয়ে সে কথা বলবে। সে বলবেঃ তিন ব্যক্তির উপর আমি নিযুক্ত হয়েছি, দুর্বিনীত অবাধ্যাচারী; যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে ইলাহ্ বলে ডাকে এবং চিত্রকর। -সহিহাহ ৫১২, তা'লীকুর রাগীব ৪/৫৬
এ বিষয়ে আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ
আবূ ত্বালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সে ঘরে [রহমতের] ফিরিশ্তা প্রবেশ করেন না যে ঘরে কুকুর থাকে এবং সে ঘরেও নয় যে ঘরে ছবি বা মূর্তি থাকে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
[1] সহীহুল বুখারী ৩২২৫, ৩২২৬, ৩৩২২, ৪৩০২, ৪০০২, ৫৯৪৯, ৫৯৫৮, মুসলিম ২১০৬, তিরমিযী ২৮০৪, নাসায়ী ৪২৮২, ৫৩৪৭-৫৩৫০, আবূ দাউদ ৪১৫৩, ৪১৫৫, ইবনু মাজাহ ৩৬৪৯, আহমাদ ১৫৯১০, ১৫৯১৮, ১৫৯৩৪, মুওয়াত্তা মালিক ১৮০২ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, [একবার] জিব্রীল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসার ওয়াদা দিলেন। কিন্তু তিনি আসতে বিলম্ব করলেন, এমনকি শেষ পর্যন্ত [এ বিলম্ব] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষে অত্যন্ত ভারী বোধ হতে লাগল। অবশেষে তিনি বাইরে বের হয়ে গেলেন। তখন জিব্রীল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি বিলম্ব হওয়ার অভিযোগ করলে জিব্রীল বললেন, ‘আমরা সেই ঘরে প্রবেশ করি না যে ঘরে কুকুর কিম্বা ছবি থাকে।’ (বুখারী) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ৫৯৬৬০, ৩২২৭ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
আবুল হাইয়াজ হাইয়ান ইবনে হুসাইন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আলী ইবনে আবী তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বললেন, ‘তোমাকে সে কাজের জন্য পাঠাব না কি, যে কাজের জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পাঠিয়েছিলেন? [তা হচ্ছে এই যে,] কোন [প্রাণীর] ছবি বা মূর্তি দেখলেই তা নিশ্চিহ্ন করে দেবে এবং কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দেবে।’ (মুসলিম) [1]
[1] মুসলিম ৯৬৯, তিরমিযী ১০৪৯, নাসায়ী ২০৩১, আবূ দাউদ ৩১১৮, আহমাদ ৬৮৫, ৭৪৩, ৮৯১, ১০৬৭, ১১৭৪, ১১৭৯, ১২৪৩, ১২৮৬ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

Post a Comment

0 Comments