তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
পুরান ঢাকায় শবে বরাত উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন পদার্থ দ্বারা...
প্রশ্ন
পুরান ঢাকায় শবে বরাত উপলক্ষে
বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন পদার্থ দ্বারা বিভিন্ন প্রকার প্রাণীর আকৃতিতে
পাউরুটি, কেক, সন্দেশ ইত্যাদি বানাতে দেখা যায়। এসব প্রাণীর মধ্যে হারাম
প্রাণী যেমন কুমির, ভোদর, গুই সাপ ইত্যাদি এবং হালাল প্রাণী যেমন বিভিন্ন
জাতের মাছও থাকে। এগুলোকে শবে বরাতের বিশেষ খাবার বলে গণ্য করা হয় এবং খুব
চড়া মূল্যে তা বিক্রি হয়। প্রশ্ন হল, প্রাণীর আকৃতিতে এসব খাবার তৈরি করা
এগুলোর ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয আছে কি না?
উত্তর
শবে বরাত উপলক্ষে খাবারের
প্রশ্নোক্ত আয়োজন এবং প্রাণীর আকৃতিতে তা তৈরির প্রচলনটি সম্পূর্ণ নাজায়েয।
শরীয়তের দৃষ্টিতে এতে দু’টি আপত্তিকর বিষয়ের সমন্বয় ঘটেছে। এক. কোনো
প্রাণীর প্রতিকৃতি তৈরি করা হারাম ও কবীরা গুনাহ। হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে
কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে এবং প্রতিকৃতি প্রস্তুতকারীর জন্য আখেরাতে কঠিন
শাস্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, প্রতিকৃতি
প্রস্তুতকারীরা আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে কঠিন আযাবের মুখোমুখি হবে।-সহীহ
বুখারী ২/৮৮০
অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন, সুদ ভক্ষণকারী ও সুদ প্রদানকারীর উপর, উল্কি অঙ্কন কারীনী নারী ও উল্কি গ্রহণকারীনী নারীর উপর এবং প্রতিকৃতি প্রস্তুতকারীর উপর।-সহীহ বুখারী ২/৮৮১
অন্য হাদীসে আরো বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ফেরেশতারা ওই ঘরে প্রবেশ করে না যাতে মূর্তি বা ছবি রয়েছে।-সহীহ মুসলিম ২/২১১২
দুই. শবে বরাতকে উপলক্ষ করে এ ধরনের খাবারের আয়োজন করাকে দ্বীনী বা নেকের কাজ মনে করা হয়, যা সুস্পষ্ট বিদআত ও কুসংস্কার। অতএব শবে বরাত বা অন্য কোনো উপলক্ষে প্রাণীর আকৃতিতে কোনো ধরনের খাবার তৈরি করা হারাম। এথেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য জরুরি। আর এ ধরনের প্রাণীর আকৃতি সম্বলিত খাবারের ক্রয়-বিক্রয়ও জায়েয নেই। কেননা, এর দ্বারা ওই নাজায়েয কাজে প্রস'তকারীদের সহযোগিতা করা হয়।
সহীহ বুখারী ২/৮৮০-৮৮১; শরহে মুসলিম নববী ১৪/৮১; আলমাদখাল ইবনে হাজ্জ্ব ১/২৯১; কিতাবুল হাওয়াদিছ ওয়ালবিদা’ পৃ. ১১৮; ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকীম ২/৬৩২
অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন, সুদ ভক্ষণকারী ও সুদ প্রদানকারীর উপর, উল্কি অঙ্কন কারীনী নারী ও উল্কি গ্রহণকারীনী নারীর উপর এবং প্রতিকৃতি প্রস্তুতকারীর উপর।-সহীহ বুখারী ২/৮৮১
অন্য হাদীসে আরো বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ফেরেশতারা ওই ঘরে প্রবেশ করে না যাতে মূর্তি বা ছবি রয়েছে।-সহীহ মুসলিম ২/২১১২
দুই. শবে বরাতকে উপলক্ষ করে এ ধরনের খাবারের আয়োজন করাকে দ্বীনী বা নেকের কাজ মনে করা হয়, যা সুস্পষ্ট বিদআত ও কুসংস্কার। অতএব শবে বরাত বা অন্য কোনো উপলক্ষে প্রাণীর আকৃতিতে কোনো ধরনের খাবার তৈরি করা হারাম। এথেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য জরুরি। আর এ ধরনের প্রাণীর আকৃতি সম্বলিত খাবারের ক্রয়-বিক্রয়ও জায়েয নেই। কেননা, এর দ্বারা ওই নাজায়েয কাজে প্রস'তকারীদের সহযোগিতা করা হয়।
সহীহ বুখারী ২/৮৮০-৮৮১; শরহে মুসলিম নববী ১৪/৮১; আলমাদখাল ইবনে হাজ্জ্ব ১/২৯১; কিতাবুল হাওয়াদিছ ওয়ালবিদা’ পৃ. ১১৮; ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকীম ২/৬৩২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৮৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
সুদী ব্যাংকের একজন এমডির কয়েক সন্তানকে আমি পড়াই। এতে আমার...
প্রশ্ন
সুদী ব্যাংকের একজন এমডির কয়েক
সন্তানকে আমি পড়াই। এতে আমার মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম হয়। যা দ্বারা আমার
সংসার চলে। এছাড়া ইনকামের আমার আর কোনো ব্যবস্থা নেই। আমার জানা মতে তার ঐ
সুদী চাকরি ছাড়া ইনকামের আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। জানার বিষয় যে, আমার
জন্য কি ঐ টিউশনির টাকা বৈধ হবে?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির
আয় যেহেতু হারাম, আর আপনি সে সম্পর্কে অবগত তাই তার হারাম উপার্জন থেকে
দেওয়া বেতন আপনার জন্য গ্রহণ করা বৈধ হবে না। ঐ ব্যক্তির কর্তব্য, হালাল
সম্পদ দ্বারা আপনার বেতন আদায় করা। যদি এ ব্যবস্থা না হয় তাহলে আপনি অন্য
চাকরি খোঁজ করতে থাকেন এবং আল্লাহর কাছে ইসি-গফার করতে থাকেন। মোটামুটি
চলার ব্যবস্থা হলেই এটা ছেড়ে দিতে হবে।
আহকামুল মালিল হারাম পৃ. ৩১৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৩; আযযাখীরা ১৩/৩১৭; আলবায়ান ওয়াত তাহসীল ১৮/৫১৪; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা পৃ. ৪২৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৫২; আলবাহরুর রায়েক ৮/২০১; রদ্দুল মুহতার ৪/১৯৩
আহকামুল মালিল হারাম পৃ. ৩১৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৩; আযযাখীরা ১৩/৩১৭; আলবায়ান ওয়াত তাহসীল ১৮/৫১৪; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা পৃ. ৪২৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৫২; আলবাহরুর রায়েক ৮/২০১; রদ্দুল মুহতার ৪/১৯৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৭৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার এক বন্ধু বিভিন্ন জিনিস আলু, পেয়াজ, তরকারির পাইকারি ব্যবসা...
প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু বিভিন্ন জিনিস আলু,
পেয়াজ, তরকারির পাইকারি ব্যবসা করে। তাকে আমি কয়েক লক্ষ টাকা এই কথা বলে
দিয়েছি যে, এতে যা লাভ হবে তা থেকে তুমি কিছু নিবে, আমাকে কিছু দিবে। সে
আমাকে লভ্যাংশ থেকে কোনো মাসে দুই হাজার, কোনো মাসে সাতাইশ শ’, আবার কোনো
মাসে একেক রকম অংকের টাকা সে আমাকে দিয়ে থাকে।
জানার বিষয় এই যে, সে আমাকে মাসে মাসে যে টাকাগুলো দিয়েছে তা কি সুদ হবে?
জানার বিষয় এই যে, সে আমাকে মাসে মাসে যে টাকাগুলো দিয়েছে তা কি সুদ হবে?
উত্তর
এক পক্ষের পুঁজি আর অন্যের শ্রম এই
কারবারের একটি মূলনীতি হল পুঁজিদাতা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের লভ্যাংশ শতকরা হারে
নির্ধারিত হতে হবে। যেমন লাভের ৬০% পাবে বিনিয়োগকারী আর ৪০% পাবে
ব্যবসায়ী। অথবা কম বেশি কোনো অংশ। যেহেতু প্রশ্নোক্ত চুক্তিতে শতকরা হার
নির্ধারণ করা হয়নি; বরং লাভের কিছু অংশ দেওয়ার চুক্তি হয়েছে তাই এক্ষেত্রে
স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের মাঝে লাভ অর্ধাঅর্ধি হারে ভাগ করতে হবে।
অতএব আপনাকে লাভ হিসাবে যা দেওয়া হয়েছে তা যদি অর্জিত মুনাফার ৫০% হয়ে থাকে
তবে তা নেওয়া বৈধ হয়েছে। আর যদি কম হয়ে থাকে তবে বাকি অংশ আপনি নিয়ে নিতে
পারবেন। আর ৫০% এর বেশি দিয়ে থাকলে আপনার ফেরত দিতে হবে।
উল্লেখ্য, এ ধরনের ব্যবসার পুরো হিসাব সংরক্ষণ করা জরুরি। যেন লভ্যাংশের বণ্টন যথাযথ হয়।
বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১১; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ১৪১১; শরহুল মাজাল্লা, খালিদ আতাসী ৪/৩৩৩; মাবসূত সারাখসী ২২/২৩; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২৮৫; রদ্দুল মুহতার ৫/৬৪৮
উল্লেখ্য, এ ধরনের ব্যবসার পুরো হিসাব সংরক্ষণ করা জরুরি। যেন লভ্যাংশের বণ্টন যথাযথ হয়।
বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১১; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ১৪১১; শরহুল মাজাল্লা, খালিদ আতাসী ৪/৩৩৩; মাবসূত সারাখসী ২২/২৩; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২৮৫; রদ্দুল মুহতার ৫/৬৪৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৭৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমরা তিন বন্ধু হলুদ, মরিচসহ বিভিন্ন মশলার ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে...
প্রশ্ন
আমরা তিন বন্ধু হলুদ, মরিচসহ
বিভিন্ন মশলার ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ৫ লক্ষ টাকা করে ১৫ লক্ষ টাকা জমা
করি। আমাদের চুক্তি হয় যে, যা লাভ হবে তিন ভাগ করে তিন জন নিব। পরবর্তীতে
সমস্যা দেখা দেয় যে, তারা দু’জন চাকরি করার কারণে শ্রম দিতে প্রস্তুত নয়
তাই তারা আমাকে বলেছে যে, তুমি ৮-১০ ঘণ্টা শ্রম দেবে। এ বাবদ তোমাকে
লভ্যাংশ থেকে ৫ হাজার টাকা প্রথমে দেওয়া হবে। এরপর প্রথমোক্ত চুক্তি
অনুযায়ী আমরা বাকি টাকা ভাগ করে নিব।
জানার বিষয় এই যে, আমাদের চুক্তি কি শরীয়তসম্মত হয়েছে? না হলে এর বিকল্প কী হতে পারে?
জানার বিষয় এই যে, আমাদের চুক্তি কি শরীয়তসম্মত হয়েছে? না হলে এর বিকল্প কী হতে পারে?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনাদের
কারবারটি শরীকানা কারবারের অন্তর্ভুক্ত। শরীকানা কারবারে কোনো অংশীদারের
জন্য শ্রম বাবদ নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক ধার্য করা বৈধ নয়। অবশ্য কোনো
অংশীদারের দক্ষতা বা শ্রমের কারণে তার জন্য কিছু বেশি লভ্যাংশ ধার্য করা
যেতে পারে। যেমন প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জন্য লভ্যাংশের ৪০%, আর তাদের
দু’জনের জন্য ৩০% করে ৬০%।
মাবসূত সারাখসী ১১/১৫৯; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৭, ৮৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/২৪৪, ২৪৫; হিদায়া (ফাতহুল কাদীর) ৫/৩৯৭; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৭৭; শরহুল মাজাল্লাহ ৪/২৬০, ২৬৮; রদ্দুল মুহতার ৪/৩১৬
মাবসূত সারাখসী ১১/১৫৯; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৭, ৮৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/২৪৪, ২৪৫; হিদায়া (ফাতহুল কাদীর) ৫/৩৯৭; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৭৭; শরহুল মাজাল্লাহ ৪/২৬০, ২৬৮; রদ্দুল মুহতার ৪/৩১৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৬৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের দেশের বাড়ির সব জমি বর্গা দেওয়া। বর্গাদার ফসলের অর্ধেক...
প্রশ্ন
আমাদের দেশের বাড়ির সব জমি বর্গা
দেওয়া। বর্গাদার ফসলের অর্ধেক পায় আর আমরা অর্ধেক। বর্গাদারের চাষাবাদ বাবদ
কোনো খরচ আমরা দিই না। এটাই প্রচলিত নিয়ম। সাধারণত বছরে ২ বার ধান চাষ হয়
এবং নতুন ধান ওঠার আগ পর্যন্ত পুরানো ধান বিক্রি করা হয় না। নতুন ধান উঠলে
পুরানো ধান বিক্রি করে নতুন ধান গোলায় রাখা হয়। নতুন ধান ঘরে উঠতে প্রায়
৫-৬ মাস সময় লেগে যায়। এখন জানার বিষয় হল
ক) কোনো খরচ না দিয়ে বর্গা দেওয়ার বিধান কী?
খ) ধান ঘরে প্রায় ৫-৬ মাস থাকে। তারপর বিক্রি করা হয়। এটা মজুদদারীর পর্যায়ে পড়ে কি?
ক) কোনো খরচ না দিয়ে বর্গা দেওয়ার বিধান কী?
খ) ধান ঘরে প্রায় ৫-৬ মাস থাকে। তারপর বিক্রি করা হয়। এটা মজুদদারীর পর্যায়ে পড়ে কি?
উত্তর
ক) হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে
বর্গা দেওয়া জায়েয। জমির মালিকের জন্য বর্গা কারবারে খরচ দেওয়া জরুরি নয়।
জমি মালিকের শুধু জমি আর চাষীর খরচ ও শ্রম এভাবে বর্গা চুক্তি বৈধ।
খ) প্রাপ্ত ফসল এভাবে রেখে দেওয়া নাজায়েয নয় এটা শরীয়তে নিষিদ্ধ মজুদদারীর অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে খাদ্যসঙ্কটের সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফসল বিক্রি না করে রেখে দেওয়া ঠিক নয়।
বর্গা চুক্তি: সহীহ মুসলিম ২/১৪; হিদায়া ৪/৪২৬; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ৬/২৭৮; ফাতহুল কাদীর ৮/৩৮৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/৩৫২; ঘরে ধান রাখা : ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২১৪; হিদায়া ৪/৪৭১; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩০৯; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৬/৩১৬; ফাতহুল কাদীর ৮/৪৯২; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৯৯
খ) প্রাপ্ত ফসল এভাবে রেখে দেওয়া নাজায়েয নয় এটা শরীয়তে নিষিদ্ধ মজুদদারীর অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে খাদ্যসঙ্কটের সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফসল বিক্রি না করে রেখে দেওয়া ঠিক নয়।
বর্গা চুক্তি: সহীহ মুসলিম ২/১৪; হিদায়া ৪/৪২৬; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ৬/২৭৮; ফাতহুল কাদীর ৮/৩৮৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/৩৫২; ঘরে ধান রাখা : ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২১৪; হিদায়া ৪/৪৭১; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩০৯; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৬/৩১৬; ফাতহুল কাদীর ৮/৪৯২; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৯৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৩৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমরা কখনো রিকশা বা সিএনজি নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য ভাড়া করি।...
প্রশ্ন
আমরা কখনো রিকশা বা সিএনজি
নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য ভাড়া করি। এরপর একাকী যাত্রা করে পথিমধ্যে পরিচিত
কারো সঙ্গে দেখা হলে তাকে ডেকে নিই। এধরনের ক্ষেত্রে রেওয়াজ আছে যে, চালক
কোনো আপত্তিও করে না এবং বাড়তি ভাড়াও দেওয়া হয় না। জানার বিষয় এই যে, এভাবে
পরবর্তীতে কোনো আরোহী নেওয়া শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে অনুমতি আছে কি না?
উত্তর
রিকশা ভাড়া নেওয়ার সময় চালকের সাথে
যতজন আরোহীর চুক্তি হয় ততজনই তাতে আরোহণ করতে পারবে। পরে কাউকে নিতে চাইলে
ভাড়ার সময় বলে নেওয়া উচিত। পূর্ব অবগতি ছাড়া একে তো চালকের সম্মতি নিতে
হবে। আর অতিরিক্ত আরোহীর কারণে কিছু ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া কর্তব্য হবে। তবে
কোনো এলাকায় যদি একজন ও দু’জন আরোহীর বেলায় কোনো তারতম্য না করা হয় তাহলে
চালকের অনুমতি নিয়ে পরবর্তীতে একজনকে বিনা ভাড়ায় নিতে পারবে।
সিএনজি/অটোরিক্সায় সাধারণত যতজন যাত্রী আরোহন করা নিয়মসম্মত পরবর্তীতে সে সংখ্যক যাত্রী নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
শরহুল মাজাল্লা খালিদ আতাসী ২/৪৯০, মাদ্দা : ৪২৭-৪২৮; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৪-৩৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৭২; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৪৫
সিএনজি/অটোরিক্সায় সাধারণত যতজন যাত্রী আরোহন করা নিয়মসম্মত পরবর্তীতে সে সংখ্যক যাত্রী নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
শরহুল মাজাল্লা খালিদ আতাসী ২/৪৯০, মাদ্দা : ৪২৭-৪২৮; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৪-৩৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৭২; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৪৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২২৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
জুমার খুতবা নামাযের আগে আর ঈদের খুতবা নামাযের পরে এর...
প্রশ্ন
জুমার খুতবা নামাযের আগে আর ঈদের
খুতবা নামাযের পরে এর কারণ কী? এর মধ্যে কি কোনো ঘটনা ও তাৎপর্য আছে? জুমার
খুতবাও নাকি পরে ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে
খুতবার সময় একদিন বণিক দল আসলে খুতবা ছেড়ে মুসল্লীগণ সেখানে চলে যায়। এ
ঘটনার পর থেকে নাকি খুতবাকে নামাযের আগে নেওয়া হয়েছে। এর সত্যতা কতটুকু? এ
সম্পর্কিত হাদীস বরাতসহ বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তর
জুমার খুতবা নামাযের পূর্বে হওয়া
এবং ঈদের খুতবা পরে হওয়ার বিষয়টি শরীয়তের বহু দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরবর্তীতে খুলাফায়ে রাশেদীন,
সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন সকলেই জুমার খুতবা নামাযের পূর্বে
এবং ঈদের খুতবা নামাযের পরে প্রদান করতেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন কর্মধারা এবং এ
সম্পর্কিত হাদীস ও আছারের আলোকে জুমার খুতবা আগে হওয়া এবং ঈদের খুতবা পরে
হওয়া প্রমাণিত। ঈদের খুতবা নামাযের পর : সহীহ বুখারী ১/১৩১; সহীহ মুসলিম
১/১৩১; জামে তিরমিযী ১/৭০; ফাতহুল বারী ২/৫২৬, জুমআর খুতবা নামাযের পূর্বে
: সহীহ বুখারী ১/১২৮; সহীহ মুসলিম ১/২৮৩; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/১০৯
উল্লেখ্য, প্রশ্নে যে ঘটনাটির কথা বলা হয়েছে তা সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমসহ হাদীসের অন্যান্য কিতাবে রয়েছে, যার সারমর্ম হল, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়িয়ে জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন ইতিমধ্যে হযরত দিহয়া রা.-এর ব্যবসায়ী কাফেলার আগমনের সংবাদ পেয়ে কিছু সংখ্যক সাহাবী ছাড়া সকলেই ঐ ব্যবসায়ী কাফেলার দিকে ছুটে গেলেন যার প্রেক্ষিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, (তরজমা) যখন তারা ব্যবসা ও কৌতুক দেখল তখন তারা আপনাকে দাঁড়ান অবস্থায় রেখে তার দিকে ছুটে গেল। বলুন, আল্লাহর নিকট যা আছে তা ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যবসা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।-সূরা জুমআ : ১১
ঘটনা এ পর্যন্ত-ই। কিন্তু মারাসিলে আবু দাউদ (পৃ.৪৭) এ মুকাতিল ইবনে হাইয়ান এর বক্তব্যে রয়েছে যে, উক্ত ঘটনার পর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার খুতবা নামাযের আগে নিয়ে আসেন।
কিন্তু হাফেয ইবনে হাজার রাহ., আল্লামা আইনী রাহ. প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ মুকাতিলের এ বক্তব্য প্রমাণিত নয় বলে উল্লেখ করেছেন। তাফসীরে রুহুল মাআনীর গ্রন্থকার আল্লামা আলুসী রাহ. বলেন, (তরজমা) আমি এই বক্তব্যের সত্যতা পাইনি। প্রকাশ্য তো এটাই যে, জুমার খুতবা শুরু থেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের আগেই প্রদান করতেন।-
রুহুল মাআনী ২৮/১০৫; ফাতহুল বারী ২/৪৯৩; উমদাতুল কারী ৬/২৪৭
উল্লেখ্য, প্রশ্নে যে ঘটনাটির কথা বলা হয়েছে তা সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমসহ হাদীসের অন্যান্য কিতাবে রয়েছে, যার সারমর্ম হল, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়িয়ে জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন ইতিমধ্যে হযরত দিহয়া রা.-এর ব্যবসায়ী কাফেলার আগমনের সংবাদ পেয়ে কিছু সংখ্যক সাহাবী ছাড়া সকলেই ঐ ব্যবসায়ী কাফেলার দিকে ছুটে গেলেন যার প্রেক্ষিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, (তরজমা) যখন তারা ব্যবসা ও কৌতুক দেখল তখন তারা আপনাকে দাঁড়ান অবস্থায় রেখে তার দিকে ছুটে গেল। বলুন, আল্লাহর নিকট যা আছে তা ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যবসা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।-সূরা জুমআ : ১১
ঘটনা এ পর্যন্ত-ই। কিন্তু মারাসিলে আবু দাউদ (পৃ.৪৭) এ মুকাতিল ইবনে হাইয়ান এর বক্তব্যে রয়েছে যে, উক্ত ঘটনার পর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার খুতবা নামাযের আগে নিয়ে আসেন।
কিন্তু হাফেয ইবনে হাজার রাহ., আল্লামা আইনী রাহ. প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ মুকাতিলের এ বক্তব্য প্রমাণিত নয় বলে উল্লেখ করেছেন। তাফসীরে রুহুল মাআনীর গ্রন্থকার আল্লামা আলুসী রাহ. বলেন, (তরজমা) আমি এই বক্তব্যের সত্যতা পাইনি। প্রকাশ্য তো এটাই যে, জুমার খুতবা শুরু থেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের আগেই প্রদান করতেন।-
রুহুল মাআনী ২৮/১০৫; ফাতহুল বারী ২/৪৯৩; উমদাতুল কারী ৬/২৪৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৯০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একটি ফার্মেসির মালিক। ফার্মেসিটি হাসপাতালের পাশে হওয়ার কারণে বিভিন্ন...
প্রশ্ন
আমি একটি ফার্মেসির মালিক।
ফার্মেসিটি হাসপাতালের পাশে হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় রোগীরা রক্ত নিতে আসে।
তাদের প্রয়োজন পূরণের জন্য আমি ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সংগ্রহ করি। এখন
আমার জিজ্ঞাসা হল, রক্ত বিক্রি করে এর কোনো বিনিময় গ্রহণ জায়েয হবে কি না?
উত্তর
রক্ত বিক্রি করা জায়েয নয়।
প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে তা আদান-প্রদান করা যেতে পারে। কোনো অবস'ায়
একে ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা বৈধ হবে না। অবশ্য রক্ত সংগ্রহ করতে
যা খরচ হয় তা গ্রহিতা থেকে নেওয়া যাবে। এর বেশি নেওয়া জায়েয হবে না। কেননা
বেশি নিলেই তা রক্তের বিনিময়ে নেওয়া হবে। আর রক্তের বিনিময়ে কোনো কিছু
গ্রহণ করা বৈধ নয়।
আহকামুল কুরআন ইবনে আরাবী ১/৫৩; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৩৪৮৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৩৩, প্রয়োজনের সময় রক্ত ক্রয় সংক্রান- : ফাতহুল কাদীর ৬/৬১; বুহুছ ও ফাতাওয়া মুআসিরা ৩/৭৬; আলবুয়ূউয যাররা পৃ. ৪০২; আলমাওসূআ তিব্বিয়্যাহ ফিকহিয়্যাহ পৃ. ৪৬৫
আহকামুল কুরআন ইবনে আরাবী ১/৫৩; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৩৪৮৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৩৩, প্রয়োজনের সময় রক্ত ক্রয় সংক্রান- : ফাতহুল কাদীর ৬/৬১; বুহুছ ও ফাতাওয়া মুআসিরা ৩/৭৬; আলবুয়ূউয যাররা পৃ. ৪০২; আলমাওসূআ তিব্বিয়্যাহ ফিকহিয়্যাহ পৃ. ৪৬৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৭৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক প্রবাসী আমাকে মুদারাবার ভিত্তিতে ব্যবসা করার জন্য ৫০,০০০/- টাকা...
প্রশ্ন
এক প্রবাসী আমাকে মুদারাবার
ভিত্তিতে ব্যবসা করার জন্য ৫০,০০০/- টাকা দিবে বলেছিলেন। অন্যদিকে তিনি
ধান প্রদানের শর্তে কিছু লোককে ঋণ দিয়েছিলেন। এখন তিনি আমাকে বলেছেন যে, ঋণ
গ্রহীতাদের নিকট থেকে ধান উসূল করে তা বিক্রি করে ৫০,০০০/- টাকা নেওয়ার
জন্য। জানতে চাই, এভাবে মুদারাবার মূলধন নেওয়া বৈধ হবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ প্রবাসী
আপনাকে দু’টি দায়িত্ব দিয়েছে। মুদারাবার ভিত্তিতে তার ৫০,০০০/- টাকা
ব্যবসায় খাটানো এবং ঋণ গ্রহীতাদের নিকট থেকে ঋণ উসূল করে তা বিক্রির
মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ করা। প্রত্যেকটি চুক্তি স্বতন্ত্রভাবে সহীহ।
এক্ষেত্রে আপনি যদি ঐভাবে ৫০,০০০/- টাকা সংগ্রহ করতে পারেন তবে সে টাকা
দ্বারা মুদারাবা ব্যবসা করতে কোনো সমস্যা নেই। টাকা সংগ্রহ করার আগে
মুদারাবা কারবার শুরু হবে না। তাই এ বাবদ কোনো কিছু খরচ হলে তা ঐ প্রবাসীর
কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারবেন।
পারবেন।-বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৩-১১৪; ফাতহুল কাদীর ৭/৪১৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৫/৫৪; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৪৭
পারবেন।-বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৩-১১৪; ফাতহুল কাদীর ৭/৪১৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৫/৫৪; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৪৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৭২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের এলাকায় বড় বড় নৌকা আছে। বর্ষাকালে লোকজন তাদের প্রয়োজনে...
প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় বড় বড় নৌকা আছে।
বর্ষাকালে লোকজন তাদের প্রয়োজনে নৌকা ভাড়ায় দিয়ে থাকে। এভাবে চুক্তি করে
যে, চুক্তিগ্রহণকারী নৌকা ভাড়ায় খাটাবে। যা উপার্জন হবে তা নৌকার মালিক ও
তাদের মাঝে তিন ভাগে বন্টিত হবে। এক ভাগ নৌকার মালিক পাবে আর দুই ভাগ তারা
পাবে। জানতে চাই, তাদের এ চুক্তি শরীয়তসম্মত কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি বৈধ হয়নি।
এভাবে চুক্তি করে নৌকা চালালে অর্জিত পুরো আয়ের মালিক হবে নৌকার মালিক। আর
কর্মচারিগণ তাদের কাজের জন্য মালিক থেকে ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবে।
পাবে।-আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮৪; শরহুল মাজাল্লাহ ৪/২৬৬; আননাহরুল ফায়েক ৩/৩০৭; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৬২৫; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৩২৬
পাবে।-আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮৪; শরহুল মাজাল্লাহ ৪/২৬৬; আননাহরুল ফায়েক ৩/৩০৭; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৬২৫; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৩২৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার পিতা একজন কৃষক। তিনি চাষাবাদ করার জন্য তিন বিঘা...
প্রশ্ন
আমার পিতা একজন কৃষক। তিনি চাষাবাদ
করার জন্য তিন বিঘা জমি এক বৎসরের জন্য ২০,০০০/- টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন,
কিন' কোনো কারণে এ বছর তার পক্ষে চাষাবাদ করা সম্ভব নয়। এজন্য তিনি উক্ত
ভাড়াকৃত জমি তৃতীয় ব্যক্তির কাছে ২৫,০০০/- টাকায় ভাড়া দিয়েছেন এবং এতে
মালিকের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
উল্লেখ্য যে, আমার পিতা উক্ত জমিতে কোনো কাজ করেননি। তাই এক্ষেত্রে আমার জানার বিষয় হল, আমার পিতা তৃতীয় ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেওয়ার কারণে যে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছেন তা গ্রহণ করা বৈধ হবে কি না? যদি বৈধ না হয় তাহলে এ টাকার ব্যাপারে তার করণীয় কী?
উল্লেখ্য যে, আমার পিতা উক্ত জমিতে কোনো কাজ করেননি। তাই এক্ষেত্রে আমার জানার বিষয় হল, আমার পিতা তৃতীয় ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেওয়ার কারণে যে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছেন তা গ্রহণ করা বৈধ হবে কি না? যদি বৈধ না হয় তাহলে এ টাকার ব্যাপারে তার করণীয় কী?
উত্তর
জমি-জায়গা ভাড়া নিয়ে অন্যত্র বেশি
মূল্যে ভাড়া দেওয়ার জন্য ভাড়াটিয়াকে তাতে সংস্কারমূলক কজ করা শর্ত।
প্রশ্নোক্ত অবস'ায় আপনার পিতা যেহেতু ঐ জমিতে সংস্কারমূলক কিছু করেননি তাই
তার জন্য ঐ জমির ভাড়া বাবদ বিশ হাজার টাকার অতিরিক্ত গ্রহণ করা বৈধ হবে না।
অতিরিক্ত নিলে তা ছদকা করে দিতে হবে।
হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/৬৭; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৬৮৬; মাজমাউল আনহুর ৩/৫৬৩; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৮/৫৬; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১
হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/৬৭; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৬৮৬; মাজমাউল আনহুর ৩/৫৬৩; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৮/৫৬; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৭০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের একটি গরু আছে। আমরা এ বছর কোনো চাষাবাদ করছি...
প্রশ্ন
আমাদের একটি গরু আছে। আমরা এ বছর
কোনো চাষাবাদ করছি না। অন্য এক লোক আমাদের গরুটি নিয়ে তার গরুর সাথে জুড়ে
হালচাষ করে। আমরা শর্ত দিয়েছি, আমাদের গরু যতদিন নেওয়া হবে প্রতিদিন পঞ্চাশ
টাকা করে দিতে হবে। জানতে চাই, এ টাকা গ্রহণ করা আমাদের জন্য বৈধ হবে কি
না?
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে গরু ভাড়া দেওয়া বৈধ। অতএব এর আয় গ্রহণ করা যাবে
যাবে।-শরহুল মাজাল্লাহ খালেদ আতাসী ২/৬৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৬; মাজমাউল আনহুর ৩/৫২৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১১৩; ফাতহুল কাদীর ৮/২৫; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ৩৪৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৪
যাবে।-শরহুল মাজাল্লাহ খালেদ আতাসী ২/৬৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৬; মাজমাউল আনহুর ৩/৫২৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১১৩; ফাতহুল কাদীর ৮/২৫; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ৩৪৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার এক খালাত ভাই মুদীব্যবসায়ী। সে কিছুদিন আগে দু’ লাখ...
প্রশ্ন
আমার এক খালাত ভাই মুদীব্যবসায়ী।
সে কিছুদিন আগে দু’ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করার সময় আমাকে বলে, তুমি
আমার দোকানে টাকা বিনিয়োগ কর। তোমার টাকার যা লাভ হবে তার পুরোটাই তুমি
পাবে এবং ব্যবসায় তোমাকে কোনো শ্রমও দিতে হবে না। আমি এ শর্তে তার
ব্যবসায় এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসার এক তৃতীয়াংশের অংশীদার হয়ে
যাই।
জানার বিষয় হল, আমাদের উক্ত চুক্তি বৈধ হয়েছে কি না? আর চুক্তি অনুযায়ী লাভের এক তৃতীয়াংশ আমি নিতে পারব কি না? জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
জানার বিষয় হল, আমাদের উক্ত চুক্তি বৈধ হয়েছে কি না? আর চুক্তি অনুযায়ী লাভের এক তৃতীয়াংশ আমি নিতে পারব কি না? জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি বৈধ হয়েছে এবং
চুক্তি অনুযায়ী পুরো ব্যবসার লাভের এক তৃতীয়াংশ আপনি নিতে পারবেন। আর
ব্যবসায় লোকসান হলে আপনার মূলধন অনুযায়ী ক্ষতি বহন করতে হবে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩২০; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৮৩; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৭৭; মিনহাতুল খালেক ৫/১৭৫; রদ্দুল মুহতার ৪/৩১৩ ও ৫/৬৪৭
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩২০; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৮৩; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৭৭; মিনহাতুল খালেক ৫/১৭৫; রদ্দুল মুহতার ৪/৩১৩ ও ৫/৬৪৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১২৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের দেশে একটি কোম্পানি রয়েছে, যারা এম. এল. এল. পদ্ধতি...
প্রশ্ন
আমাদের দেশে একটি কোম্পানি রয়েছে,
যারা এম. এল. এল. পদ্ধতি অনুযায়ী লোক ভর্তি করার মাধ্যমে তাদের কোম্পানিকে
পরিচালিত করে আসছে এবং তারা সদস্যদেরকে এই আশা দিয়ে থাকে যে, তাদের নিয়ম
অনুযায়ী কাজ করলে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা অর্জন করা যাবে।
আমাদের এলাকায় এর কার্যক্রম বেশ প্রচলিত। অনেকেই সদস্য হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাকেও অনেকে এ কাজ করতে বলছে। আমারও মাসিক বেতন এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা হবে বলে আশা দিচ্ছে।
এখন আমার প্রশ্ন হল এই যে, উক্ত কোম্পানির সদস্য হয়ে তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা উপার্জন করা বৈধ হবে কি? বিস্তারিত দলীল-প্রমাণসহ জানালে কৃতজ্ঞ হব।
আমাদের এলাকায় এর কার্যক্রম বেশ প্রচলিত। অনেকেই সদস্য হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাকেও অনেকে এ কাজ করতে বলছে। আমারও মাসিক বেতন এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা হবে বলে আশা দিচ্ছে।
এখন আমার প্রশ্ন হল এই যে, উক্ত কোম্পানির সদস্য হয়ে তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা উপার্জন করা বৈধ হবে কি? বিস্তারিত দলীল-প্রমাণসহ জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
এম.এল.এল. পদ্ধতি বহু কারণে
শরীয়তসম্মত নয়। এ পদ্ধতির ব্যবসা শরীয়ত সমর্থন করে না। সুতরাং এ পদ্ধতি
অনুসৃত সকল কোম্পানির ব্যবসা নাজায়েয।
উল্লেখ্য. দেশের বিজ্ঞ মুফতীদের সমন্বয়ে গঠিত বেফাকুল মাদারিস মুফতী বোর্ড ঢাকা দীর্ঘ গবেষণা ও পর্যালোচনার পর উক্ত এম.এল.এল কারবারকে সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী ও নাজায়েয হওয়ার ফতওয়া প্রদান করেছে। উক্ত ফতওয়া দেশের নির্ভরযোগ্য ফতওয়া বিভাগ এবং বড় বড় মাদরাসার মুফতীদের স্বাক্ষরসহ পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছে। যাত্রাবাড়ির কাজলায় অবস্থিত বেফাক অফিস থেকে পুস্তিকাটি সংগ্রহ করে পড়লে এ সম্পর্কিত শরয়ী দলিলাদি সহজেই জানা সম্ভব।
উল্লেখ্য. দেশের বিজ্ঞ মুফতীদের সমন্বয়ে গঠিত বেফাকুল মাদারিস মুফতী বোর্ড ঢাকা দীর্ঘ গবেষণা ও পর্যালোচনার পর উক্ত এম.এল.এল কারবারকে সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী ও নাজায়েয হওয়ার ফতওয়া প্রদান করেছে। উক্ত ফতওয়া দেশের নির্ভরযোগ্য ফতওয়া বিভাগ এবং বড় বড় মাদরাসার মুফতীদের স্বাক্ষরসহ পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছে। যাত্রাবাড়ির কাজলায় অবস্থিত বেফাক অফিস থেকে পুস্তিকাটি সংগ্রহ করে পড়লে এ সম্পর্কিত শরয়ী দলিলাদি সহজেই জানা সম্ভব।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১০৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৪০,০০০/- টাকা ঋণ নিই এবং...
প্রশ্ন
আমি এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৪০,০০০/-
টাকা ঋণ নিই এবং সেই টাকা নিয়ে আমার বেশ উপকার হয়। সে আমাকে বলেছে,
তোমার যে পরিমান ইচ্ছা বাড়িয়ে দিও। আমার উপকারের বিনিময় হিসেবে তাকে
অতিরিক্ত কিছু দেওয়া যাবে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঋণদাতা যেহেতু
ঋণের ৪০,০০০/- টাকা থেকে কিছু অতিরিক্ত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাই এ
অতিরিক্ত দেওয়া-নেওয়া সুদ হবে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী ফুযালাহ বিন উবায়দ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ঋণের সাথে অতিরিক্ত কিছু দেওয়া নেওয়ার শর্ত থাকে তা সুদ।-আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকী ৫/৩৫০
এমনিভাবে ইবনে সীরিন রাহ. থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে তার ঘোড়ায় আরোহণের শর্তে কিছু দিরহাম ঋণ দিল। ইবনে মাসউদ রা.কে তা জানানো হলে তিনি বললেন, তার জন্য ঘোড়ায় আরোহণ করাটা সুদ হয়েছে।-প্রাগুক্ত
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা সুদ দাতা, গ্রহীতা, সাক্ষী ও লেখক সকলকে অভিসম্পাত করেন।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৩৭২৫; ইলাউস সুনান ১৪/৫১৫; মাবসূত, সারাখসী ১৪/৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৯/৩৮৮
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী ফুযালাহ বিন উবায়দ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ঋণের সাথে অতিরিক্ত কিছু দেওয়া নেওয়ার শর্ত থাকে তা সুদ।-আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকী ৫/৩৫০
এমনিভাবে ইবনে সীরিন রাহ. থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে তার ঘোড়ায় আরোহণের শর্তে কিছু দিরহাম ঋণ দিল। ইবনে মাসউদ রা.কে তা জানানো হলে তিনি বললেন, তার জন্য ঘোড়ায় আরোহণ করাটা সুদ হয়েছে।-প্রাগুক্ত
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা সুদ দাতা, গ্রহীতা, সাক্ষী ও লেখক সকলকে অভিসম্পাত করেন।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৩৭২৫; ইলাউস সুনান ১৪/৫১৫; মাবসূত, সারাখসী ১৪/৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৯/৩৮৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১০৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি অগ্রিম ভাড়া প্রদান করে জনৈক ব্যক্তি থেকে দশ বছর...
প্রশ্ন
আমি অগ্রিম ভাড়া প্রদান করে জনৈক
ব্যক্তি থেকে দশ বছর মেয়াদে একটি গুদাম ভাড়া নেই। যার পাঁচ বছর অতিবাহিত
হয়ে গেছে। এখন মালিক বিশেষ প্রয়োজনে ছয় মাসের জন্য ঐ গুদামটি আমার কাছ
থেকে ভাড়ায় নিতে চাচ্ছে। জানার বিষয় হল, আমার জন্য গুদামটি মালিকের নিকট
ভাড়া দেওয়া বৈধ হবে কি?
উত্তর
না, মালিকের নিটক দোকানটি ভাড়া দেওয়া বৈধ হবে না। কারণ ভাড়া নেওয়া বস্ত্ত পুনরায় মালিকের নিকট ভাড়া দেওয়া বৈধ নয়।
এক্ষেত্রে মালিককে যে ছয় মাসের জন্য দোকানটি দিতে চাচ্ছেন সেই ছয় মাসের জন্য আপনার ভাড়া চুক্তি বাতিল করতে হবে। মালিক এ কয় মাসের ভাড়া আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে। আপনি ছয় মাসের জন্য যত টাকা তাকে প্রদান করেছিলেন তত টাকাই ফেরত নিতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি নেওয়া-দেওয়া জায়েয হবে না।
-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/৫১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৭০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪২৫
এক্ষেত্রে মালিককে যে ছয় মাসের জন্য দোকানটি দিতে চাচ্ছেন সেই ছয় মাসের জন্য আপনার ভাড়া চুক্তি বাতিল করতে হবে। মালিক এ কয় মাসের ভাড়া আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে। আপনি ছয় মাসের জন্য যত টাকা তাকে প্রদান করেছিলেন তত টাকাই ফেরত নিতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি নেওয়া-দেওয়া জায়েয হবে না।
-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/৫১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৭০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪২৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৮১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের এলাকায় প্রচলন আছে যে, শীতকালে গাছিরা খেজুর গাছ ভাড়া...
প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় প্রচলন আছে যে,
শীতকালে গাছিরা খেজুর গাছ ভাড়া নেয়। পুরো শীত মৌসুমে খেজুরের রস বিক্রি
করে যে টাকা আয় হয় তা থেকে তারা মালিকের ভাড়া পরিশোধ করে। প্রশ্ন হল,
উক্ত কারবারটি শরীয়তের দৃষ্টিতে সহীহ কি না?
উত্তর
রসের উদ্দেশ্যে খেজুর গাছ ভাড়া
দেওয়া-নেওয়া জায়েয নয়। উল্লেখ্য, প্রশ্নোক্ত কারবারটি শরীয়তসম্মতভাবে
করতে চাইলে এভাবে করতে পারবে যে, গাছি গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে দিবে এবং তা
বিক্রি করে দিবে আর তার পরিশ্রমের বিনিময়ে সে মালিক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ
পারিশ্রমিক নিবে। এক্ষেত্রে রস বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যাবে তা পাবে
গাছের মালিক।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৮
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৮০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
ঢাকা শহর ও তার আশপাশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ানোর জন্য...
প্রশ্ন
ঢাকা শহর ও তার আশপাশের বিভিন্ন
স্থান ঘুরে বেড়ানোর জন্য আমরা একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নিই। চুক্তি ছিল,
তেলখরচ ছাড়াও গাড়ির মালিককে এক দিনের জন্য ১৫,০০/- টাকা ভাড়া দিতে হবে।
কিন্তু বিশেষ কারণে আমরা যেতে পারিনি। গাড়িটি বিকেল পর্যন্ত আমাদের বাসার
সামনে অপেক্ষায় ছিল। আমাদের না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গাড়িটি
ফেরত যায়। জানতে চাই, এখন আমাদের কি ব্যবহার না করা সত্ত্বেও এর
নির্ধারিত ভাড়া আদায় করতে হবে?
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গাড়িটি
ব্যবহার না হলেও চুক্তিকৃত ১৫,০০/- টাকাই আদায় করতে হবে। তবে যেহেতু
গাড়ি ব্যবহার হয়নি তাই তেল খরচ দিতে হবে না।
-আলআশবাহ ওয়াননাযাইর পৃ. ৩২০; শরহুল মাজাল্লাহ খালিদ আতাসী ২/৫৫৪; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৭১; মাজাল্লাহ পৃ. ৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১১
-আলআশবাহ ওয়াননাযাইর পৃ. ৩২০; শরহুল মাজাল্লাহ খালিদ আতাসী ২/৫৫৪; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৭১; মাজাল্লাহ পৃ. ৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৫৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের এলাকায় সরিষার বিনিময়ে সরিষার তেল আদানপ্রদান করা হয়। এককেজি...
প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় সরিষার বিনিময়ে
সরিষার তেল আদানপ্রদান করা হয়। এককেজি সরিষা দিলে ২০০ গ্রাম তেল দেয়।
মিলে গিয়ে ভাঙ্গানো ঝামেলা, তাই এমন কারবারের প্রচলন হয়েছে। এককেজি সরিষা
ভাঙ্গালে প্রায় ২২০ থেকে ২২৫ গ্রাম তেল হয়।
এখন জানতে চাই, আমাদের এলাকার কারবারটি বৈধ কি না?
এখন জানতে চাই, আমাদের এলাকার কারবারটি বৈধ কি না?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনাদের
এলাকার ওই কারবারটি বৈধ নয়। তা সুদি কারবারের অন্তর্ভুক্ত। কারণ সরিষার
বিনিময়ে সরিষার তেল নিতে চাইলে সরিষা ভাঙ্গালে যতটুকু তেল পাওযা যাবে তার
চেয়ে বেশি তেল দিয়ে লেনদেন করতে হবে। তাই এক কেজি সরিষার বিনিময়ে ২২০ বা
২২৫ গ্রামের বেশি তেল দিতে হবে। যেন সরিষার মধ্যে যতটুকু তেল আছে সেটারও
বিনিময়ে সমপিরিমাণ তেল হয়ে যায়। আর অতিরিক্ত যতটুকু থাকবে তা খোলের
পরিবর্তে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনারা সরিষা ও তেলে লেনদেন না করে উভয়টি
টাকার মোকাবেলায় বেচাকেনা করতে পারেন। অর্থাৎ সরিষার দাম নির্ধারণ করে
টাকায় তা বিক্রি করবেন। এর পর তা দ্বারা তেল ক্রয় করবেন।
-আলবাহরুর রায়েক ৬/১৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪১৩; ফাতহুল কাদীর ৬/১৬৬; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৮৪
-আলবাহরুর রায়েক ৬/১৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪১৩; ফাতহুল কাদীর ৬/১৬৬; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৮৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৫২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একটি এনজিওতে কর্মসূচি সংগঠক পদে চাকরি করছি। এই চাকরির...
প্রশ্ন
আমি একটি এনজিওতে কর্মসূচি সংগঠক
পদে চাকরি করছি। এই চাকরির উপর আমার পরিবার নির্ভরশীল। আমার কাজ হল,
মানুষের মাঝে টাকা ঋণ দেওয়া এবং সে টাকা কিছু বেশিতে আদায় করা। যেমন
কাউকে ৫,০০০/-টাকা ঋণ দিলে তার কাছ থেকে কিস্তির মাধ্যমে ৬,০০০/- টাকা
আদায় করা হয়। আর এ কাজের জন্য আমাকে মাসিক ৭,০০০/-টাকা বেতন দেওয়া হয়।
আমার প্রশ্ন হল, এ বেতন ও এই ধরনের চাকরি কি বৈধ হবে? এ টাকা দিয়ে জীবন
ধারণ করে ইবাদত করলে তা কি গ্রহণযোগ্য হবে?
উত্তর
আপনি যে পন্থায় লেনদেন করে থাকেন
তা সুদেরই একটি প্রকার। আর সুদ হচ্ছে নিকৃষ্টতম হারাম। তাই এ পদে চাকরি করা
জায়েয হবে না এবং এর বেতন ভোগ করাও নাজায়েয। অতএব যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে
উপার্জনের কোনো বৈধ পন্থা খুঁজে বের করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে
তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
-সূরা বাকারা : ২৭৫; সহীহ বুখারী ১/২৮০; সুনানে আবু দাউদ ২/১১৭; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৬; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৬১৯; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ১/৩৩৯
-সূরা বাকারা : ২৭৫; সহীহ বুখারী ১/২৮০; সুনানে আবু দাউদ ২/১১৭; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৬; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৬১৯; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা ১/৩৩৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৪৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি আমার দোকানের কাস্টমারের কারো কাছ থেকে...
প্রশ্ন
আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি আমার
দোকানের কাস্টমারের কারো কাছ থেকে বেশি মূল্য রাখি। অর্থাৎ ন্যায্যমূল্য
রাখি। আবার একান্ত আপনজনদের কাছে খুব কমমূল্যে বিক্রি করি। এভাবে বেশিকম
করে বিক্রি করা জায়েয হবে কি? এর জন্য কি হাশরের ময়দানে জবাবদিহি করতে
হবে?
উত্তর
আপনজনদের থেকে ন্যায্যমূল্যের কম
রাখা এবং সাধারণ ক্রেতাদের থেকে ন্যায্যমূল্য নেওয়া দোষনীয় নয়। তবে
বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি যেন না নেওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
-সূরা নিসা : ২৯; তাফসীরে মাযহারী ২/৮৭; হেদায়া ৩/৭৫; ফাতহুল কাদীর ৬/১৪৩; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২০
-সূরা নিসা : ২৯; তাফসীরে মাযহারী ২/৮৭; হেদায়া ৩/৭৫; ফাতহুল কাদীর ৬/১৪৩; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৪২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার একটি দোকান অনেক দিন যাবত খালি পড়ে আছে। একদিন...
প্রশ্ন
আমার একটি দোকান অনেক দিন যাবত খালি
পড়ে আছে। একদিন আমার এক বন্ধু বলল, তোর দোকানটি তো খালিই পড়ে আছে আমার
কাছে কিছু টাকা আছে তা দিয়ে একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন ক্রয় করে তোর দোকানে
ব্যবসা করব। যা মুনাফা হবে তা থেকে ৩০% তোকে দিব। এতে আমি রাজি হয়েছি। এখন
আমার প্রশ্ন হল, আমাদের উক্ত চুক্তিটি কি শরীয়তসম্মত হয়েছে? না হলে
শরীয়তের বিধান জানিয়ে উপকৃত করবেন।
উত্তর
আপনাদের উক্ত চুক্তিটি সহীহ হয়নি।
কারণ একজনের দোকান ও অন্যের মেশিন এবং স্থান মিলে যৌথ মূলধনী কারবার হয়
না। সুতরাং যৌথ ব্যবসার মতো লাভের অংশ থেকে আপনার পাওনা ধার্য করা ঠিক
হয়নি। এক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি হল, দোকানের জন্য একটি ভাড়া ধার্য করা, যা
মেয়াদান্তে পরিশোধ করতে হবে। চাই ব্যবসায় লাভ হোক বা না হোক।
-মাজাল্লা, মাদ্দাহ ১৩৪৪; পৃ. ২৫২; শরহুল মাজাল্লা খালিদ আতাসী ৪/২৬৪; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮৪
-মাজাল্লা, মাদ্দাহ ১৩৪৪; পৃ. ২৫২; শরহুল মাজাল্লা খালিদ আতাসী ৪/২৬৪; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৮৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০০৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার একটি গাড়ির গ্যারেজ আছে। সেখানে বিভিন্ন কাজের জন্য মাসিক...
প্রশ্ন
আমার একটি গাড়ির গ্যারেজ আছে।
সেখানে বিভিন্ন কাজের জন্য মাসিক বেতন হিসেবে কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছি।
কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায় যে, মাসে ৭/৮ দিন পর্যন্ত কোনো কাজ থাকে না।
ফলে কর্মচারীরা বেকার বসে থাকে। এতে কাঙ্খিত আয়ের চেয়ে অনেক কম আয় হয়।
এখন জানার বিষয় হল, যদি কোনো মাসে এমন হয় তাহলে কর্মচারীদের মাসিক বেতন
হতে বেকার দিনগুলোর টাকা কেটে রাখা বৈধ হবে কি?
উত্তর
যদি কর্মচারীগণকে নির্দিষ্ট সময়ের
জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তারা ডিউটির নির্দিষ্ট সময় চাকুরীস্থলে
উপস্থিত থাকে ও কাজের জন্য প্রস্ত্তত থাকে তাহলে কাজ না থাকলেও পূর্ণ
সময়ের বেতন দিতে হবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মাস শেষে তারা পূর্ণ
মাসের বেতনই পাবে। কাজ না থাকায় বেকার দিনগুলোর বেতন কম দেওয়া বৈধ হবে
না।
-মাজাল্লাতু আহকামিল আদলিয়া মাদ্দাহ ৪২৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৫০০
-মাজাল্লাতু আহকামিল আদলিয়া মাদ্দাহ ৪২৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৫০০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০০২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি এক বাড়িতে ভাড়া থাকি। বাড়িতে কয়েকটি পুরাতন টিনের ঘর...
প্রশ্ন
আমি এক বাড়িতে ভাড়া থাকি। বাড়িতে
কয়েকটি পুরাতন টিনের ঘর রয়েছে। একবার ঝড়-তুফান হলে একটি ঘরে বৃষ্টির
সময় পানি পড়া শুরু হয় এবং টয়লেটটি পড়ে যায়। বাড়ির মালিক শহরে থাকে।
এক বছর পরপর এসে ভাড়া নিয়ে যায়। তাকে ফোন করে জানালে তিনি মিস্ত্রি এনে
ঠিক করে নিতে বলেন। আমি মিস্ত্রি এনে ঠিক করে নেই। কিন্তু মালিক পরবর্তীতে
এ খরচ দিতে চাচ্ছে না। জানতে চাই, এ খরচ কার দায়িত্বে হবে?
উত্তর
ভাড়া ঘরবাড়ি মেরামতের দায়িত্ব
মালিকের। প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আপনি যেহেতু মালিকের অনুমতিতেই মেরামতের কাজ
করেছেন তাই এই খরচ মালিককেই দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ভাড়াটিয়ার ত্রুটির কারণে কোনো কিছু নষ্ট হয়ে থাকলে শুধু এর ক্ষতিপূরণ তাকে দিতে হবে।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১৪৮; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ ৫২৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৫৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৭৯
উল্লেখ্য, ভাড়াটিয়ার ত্রুটির কারণে কোনো কিছু নষ্ট হয়ে থাকলে শুধু এর ক্ষতিপূরণ তাকে দিতে হবে।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১৪৮; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ ৫২৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৫৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৭৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০০১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি এক মসজিদের ইমাম। জনৈক মুসল্লী আমাকে তার জমি চাষাবাদ...
প্রশ্ন
আমি এক মসজিদের ইমাম। জনৈক মুসল্লী
আমাকে তার জমি চাষাবাদ করার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য দিয়েছে। আমি চাচ্ছি,
নিজে চাষাবাদ না করে এ জমি অন্য কাউকে ভাড়ায় দিব। প্রশ্ন হল, আমার জন্য
কি তা বৈধ হবে?
উত্তর
জমির মালিক অনুমতি দিলে জমিটি অন্যত্র ভাড়া দিতে পারবেন। মালিকের অনুমতি ছাড়া ভাড়া দেওয়া জায়েয হবে না।
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩২০; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৮১; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ ৮২৩-৮৩২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/২৯০; আলজামেউস সগীর পৃ. ৪৩৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৭৯
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩২০; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৮১; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ ৮২৩-৮৩২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/২৯০; আলজামেউস সগীর পৃ. ৪৩৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৭৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৪৯৯৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি গ্রামের এক লোকের নিকট বিশ শতাংশ জমি পাঁচ হাজার...
প্রশ্ন
আমি গ্রামের এক লোকের নিকট বিশ
শতাংশ জমি পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া দেই। তিনি সেই জমি অন্য একজনের নিকট
বর্গা দেন। আমার টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আমি তাকে বললাম, আপনি বর্গা হিসাবে
এই জমি থেকে যে পরিমাণ ফসল পান ঐ পরিমাণ ফসল আমি আপনাকে দিয়ে দিব। তবে এ
জমিটা পুনরায় অন্য একজনকে ভাড়া দিতে চাই। জানতে চাই, এ প্রস্তাবে তিনি
সম্মত হলে এমন করা জায়েয হবে কি?
উত্তর
প্রশ্নের বিবরণ দ্বারা বোঝা যাচ্ছে
যে, আপনাদের কারবারটি প্রকারান্তরে এমনই হয়ে যাচ্ছে যেন মালিক তার জমির
ভাড়াটিয়া থেকে আবার ভাড়া নিচ্ছে। আর মালিকের জন্য নিজের জিনিস ভাড়া
নেওয়ার কোনো বৈধতা ফিকহে ইসলামীতে নেই।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৭০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১৪৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১
-আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৭০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১৪৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৪৯৯৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বর্তমানে বাজারে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে লাকি কুপন ছাড়া হয়। ক্রেতা...
প্রশ্ন
বর্তমানে বাজারে ব্যবসায়ীদের পক্ষ
থেকে লাকি কুপন ছাড়া হয়। ক্রেতা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাল কিনলে তাকে একটি
কুপন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
প্রশ্ন হল, এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা-বেচা করা কি জায়েয হবে?
লটারিতে বিজয়ী হলে পুরস্কার গ্রহণ করা যাবে কি?
উত্তর
যদি পুরস্কারের কুপন ছাড়ার কারণে
পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা না হয় কিংবা এর কারণে ক্রেতাদেরকে কোনোরূপ ধোঁকা
দেওয়ার অভিপ্রায় না থাকে যথা-নিম্নমানের মাল চালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি এবং
ক্রেতা শুধু পুরস্কার পাওয়ার উদ্দেশ্যেই ক্রয় করে না থাকে। তাহলে এ ধরনের
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা-বেচা করা এবং লটারিতে বিজয়ী হলে পুরস্কার
গ্রহণ করাও জায়েয হবে। এটি মূলত মূল্যছাড়েরই একটি পদ্ধতি।
উল্লেখ্য, পণ্যের অধিক প্রচারের জন্য এভাবে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা পছন্দনীয় নয়; বরং পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতে পছন্দনীয় নিয়ম হল, ব্যাপকভাবে মূল্যছাড় দেওয়া কিংবা পূর্বের মূল্য বহাল রেখে পণ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
-বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যা মুআছিরাহ ২/২৩২; ফাতাওয়া মুআছিরাহ ২/৪২০
উল্লেখ্য, পণ্যের অধিক প্রচারের জন্য এভাবে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা পছন্দনীয় নয়; বরং পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতে পছন্দনীয় নিয়ম হল, ব্যাপকভাবে মূল্যছাড় দেওয়া কিংবা পূর্বের মূল্য বহাল রেখে পণ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
-বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যা মুআছিরাহ ২/২৩২; ফাতাওয়া মুআছিরাহ ২/৪২০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৪৯৮৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার এক বর্গা চাষী আউশ ধানের মৌসুমে আমার প্রাপ্য পাঁচ...
প্রশ্ন
আমার এক বর্গা চাষী আউশ ধানের
মৌসুমে আমার প্রাপ্য পাঁচ মণ ধান করজ হিসেবে রেখে দিয়েছিল। অতপর আমনের
মৌসুমে করজ পরিশোধ করতে তিন মণ সাধারণ ধান আর দু’মণ পোলাওর ধান দিয়েছে।
যেহেতু পোলাওর ধানের দাম অন্যান্য ধানের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তাই আমি
প্রথমে নিতে অসম্মতি প্রকাশ করলেও পরে এ ধানের প্রয়োজন আছে বিধায় নিয়ে
নিয়েছি। এখন প্রশ্ন হল, সাধারণ ধানের পরিবর্তে এ অধিক মূল্যের ধান গ্রহণ
করা আমার জন্য বৈধ হয়েছে কি না?
উত্তর
করজ দেওয়ার সময় যদি উন্নত জাতের ও
বেশি মূল্যের ধান দেওয়ার কিংবা যে কোনোভাবে ঋণদাতাকে লাভবান করার শর্ত না
হয়ে থাকে এবং সমাজে এমন কোনো প্রচলনও না থাকে; বরং ঋণগ্রহীতা করজ পরিশোধ
করার সময় স্বেচ্ছায় ভালো ধান দিয়ে থাকে তাহলে ঋণদাতার জন্য তা গ্রহণ
করার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে তা সুদ হবে না।
-সহীহ বুখারী ১/৩২২; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৯; নুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ২৯৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/৩৫১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২০২; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৫
-সহীহ বুখারী ১/৩২২; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৯; নুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ২৯৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/৩৫১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২০২; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৪৯৮৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
একজন লোক নির্বাচনী ক্লাব বানানোর উদ্দেশ্যে চার মাসের জন্য আমার...
প্রশ্ন
একজন লোক নির্বাচনী ক্লাব বানানোর
উদ্দেশ্যে চার মাসের জন্য আমার একটি ঘর ভাড়ায় নিয়েছিল। ভাড়া নির্ধারণ
করা হয়েছিল মাসে তিন হাজার টাকা করে। কিন্তু ঐ লোক দু’মাসের ভাড়া সময়মতো
আদায় করলেও বাকি দু’মাসের টাকা পরিশোধ করেনি। তার সাথে চুক্তির মেয়াদ
শেষ হলে তার কাছে ভাড়া চাই। সে দিতে অস্বীকার করে। সে বলছে, ঘরটি ঠিকমতো
দু’মাস ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি দু’মাস ব্যবহার হয়নি। চার মাসের টাকা কেন
দিব? অন্য একজন আমাকে বলেছে, সে নাকি দলের অফিস থেকে চার মাসের ভাড়াই
উঠিয়েছে। কিন্তু আমাকে দিচ্ছে না। প্রশ্ন হল, সে যেহেতু দু’মাস অতিবাহিত
হওয়ার পর আমার সাথে কৃত চুক্তি বাতিল করেনি। আর আমিও তার কাছে ঘরটি
ভাড়ায় দেওয়ার কারণে অন্যের কাছে ভাড়া দিতে পারিনি। তাই আমি কি তার কাছ
থেকে বাকি দু’মাসের ভাড়া পাব?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত পুরো চার মাসই ঘরটি যদি
ব্যবহারের উপযোগী থাকে এবং ভাড়া গ্রহিতার নিয়ন্ত্রনে থাকে তবে পূর্ণ
সময়ের ভাড়াই পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে ভাড়াগ্রহিতা দু’মাস ব্যবহার না
করলেও পুরো চার মাসের ভাড়াই আদায় করতে হবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২২৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৪; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১০৩; আলবাহরুর রায়েক ৮/৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১১
-আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২২৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৪; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১০৩; আলবাহরুর রায়েক ৮/৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৪৯৮২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক ফ্যাক্টরির মালিকের সাথে এক ক্রেতার (বায়ারের) একটি চুক্তি হল...
প্রশ্ন
এক ফ্যাক্টরির মালিকের সাথে এক
ক্রেতার (বায়ারের) একটি চুক্তি হল যে, ফ্যাক্টরি মালিক তাকে ১ লক্ষ
টি-শার্ট তৈরি করে দিবে। বায়ার শার্ট তৈরি করার উপকরণ, যেমন-কাপড়, বোতাম,
সুতা ইত্যাদি সরবরাহ করবে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, বায়ার টি-শার্ট তৈরির
উপকরণ একটু বেশি দেয়, যা দ্বারা ফ্যাক্টরি মালিক চুক্তির চেয়ে বেশি
টি-শার্ট তৈরি করে। এই অতিরিক্ত শার্টের মালিক কে হবে? ফ্যাক্টরির মালিক
এই অতিরিক্ত টি-শার্ট অন্যত্র বিক্রি করতে পারবে কি না? এমনিভাবে অন্য কেউ
তার পক্ষ থেকে তা অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে কমিশন নিতে পারবে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত চুক্তি অনুযায়ী যেহেতু
ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ কেবল সেলাইয়ের কাজ আঞ্জাম দিবে, আর ওয়ার্ডার দাতা
বায়ারই শার্ট তৈরির সকল উপকরণ সরবরাহ করবে তাই এক্ষেত্রে তৈরিকৃত সকল
মালের মালিক ওয়ার্ডারদাতা বায়ারই হবে। তাই এক লাখ পিসের অতিরিক্ত শার্ট
প্রস্ত্তত হলে সেগুলোর মালিকও ঐ বায়ার। সুতরাং তার অনুমতি ব্যতীত
ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের জন্য তা অন্যত্র বিক্রি করা বৈধ হবে না। তেমনিভাবে
অন্য কারো জন্য অতিরিক্ত টি-শার্টগুলো বিক্রি করে দিয়ে কমিশন নেওয়া বৈধ
হবে না। তবে অর্ডারকৃত সংখ্যার অতিরিক্ত শার্টগুলোর জন্য কারখানা মালিক
আলাদা চার্জ নিতে পারবে। অবশ্য যদি এ ব্যাপারে বায়ারকে অবগত করা হয় এবং
তিনি দাবি ছেড়ে দেন অথবা চুক্তিতেই এমন কথা লেখা থাকে যে, অতিরিক্ত
পোশাকের ব্যাপারে বায়ারের কোনো দাবি থাকবে না তাহলে তা ফ্যাক্টরি
কর্তৃপক্ষের হবে। সে চাইলে তা অন্যত্র বিক্রি করতে পারবে এবং সেক্ষেত্রে
অন্য কেউ কমিশনের বিনিময়ে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের পক্ষ হয়ে অন্যত্র বিক্রি
করে দিতে পারবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১২/৪৮; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৪১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/২০০; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ১/২৬২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/২৯৭
-আলমুহীতুল বুরহানী ১২/৪৮; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৪১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/২০০; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ১/২৬২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/২৯৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৪৮৯৯
তারিখ: ২৭/৫/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
মসজিদে জুমার নামায না পেয়ে কয়েকজন মিলে রুমে জুমা আদায় করা ৷
প্রশ্ন
শ্রদ্ধেয় মুফতী সাহেব ! আমার ৬/৭ জন
একটি রুমে ভাড়া থাকি ৷ গত সপ্তাহে ঘুম থেকে জাগ্রত না হতে পেরে আমরা জুমার
নামাযের জন্য রেডি হতে বিলম্ব হয়ে যায়। এমন সময় জাগ্রত হয়েছি যে, এখন
আর জুমা পাওয়া যাবে না ৷ আমাদের মধ্যে দুজন হুজুর সাথীও ছিল ৷ তাই আমরা
রুমের ভিতরেই খুতবা পড়ে জুমা আদায় করি। জানার বিষয় হল, আমাদের জুমার
নামায সহীহ হয়েছে কি না?
উত্তর
জুমার নামায সহীহ হওয়ার জন্য মজসিদ
হওয়া যেহেতু জরুরী নয়, এবং জুমা আদায়ের শর্ত খুতবাও দেওয়া হয়েছে তাই
আপনাদের জুমা আদায় করা সহীহ হয়েছে। তবে বিশেষ জরুরত ব্যতীত মসজিদের জুমা
ত্যাগ করা গুনাহের কাজ । এবং জেনে রাখা উচিত, জুমার প্রথম আযানের পর পরই
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি
সম্পন্ন করে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিনে নামাযের জন্য আযান দেওয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকির তথা জুমার নামাযের দিকে ধাবিত হও।
-সূরা জুম‘আ, আয়াত ৯ ৷
তাই আযানের পর জুমার নামাযের প্রস্তুতিমূলক কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত হওয়া জায়েয নয় । প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাদের এভাবে ঘুমিয়ে থাকাটাও ঠিক হয়নি। সামনে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করবেন ৷
-শরহুল মুনইয়াহ ৫৫১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫১৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
সম্পন্ন করে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিনে নামাযের জন্য আযান দেওয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকির তথা জুমার নামাযের দিকে ধাবিত হও।
-সূরা জুম‘আ, আয়াত ৯ ৷
তাই আযানের পর জুমার নামাযের প্রস্তুতিমূলক কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত হওয়া জায়েয নয় । প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাদের এভাবে ঘুমিয়ে থাকাটাও ঠিক হয়নি। সামনে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করবেন ৷
-শরহুল মুনইয়াহ ৫৫১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫১৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮৮৭
তারিখ: ২০/৫/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বিনা টিকেটে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা ৷
প্রশ্ন
ট্রেনে ঢাকা থেকে ভৈরব যাবর জন্য টিকেট
কাটতে লাইনে দাঁড়াই। কিন্তু সিরিয়াল আসার আগেই টিকেট শেষ হয়ে যায়। ট্রেনও
ঈদের সময় খুব জ্যাম ছিল ৷ তাই টিকেট না কেটে আরো কয়েকজন মিলে ট্রেনের ছাদে
উঠে যাই এবং বিনা খরচে ভৈরব পৌঁছি।
এখন আমার প্রশ্ন হল, এভাবে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা আমাদের জন্য কতটুকু ঠিক হয়েছে? এবং আমাদের উপর এর ভাড়া আবশ্যক কি না? দিতে হলে কিভাবে কতটুকু দিব?
এখন আমার প্রশ্ন হল, এভাবে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা আমাদের জন্য কতটুকু ঠিক হয়েছে? এবং আমাদের উপর এর ভাড়া আবশ্যক কি না? দিতে হলে কিভাবে কতটুকু দিব?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় বিনা টিকেটে ট্রেনে
ভ্রমণ করা বৈধ হয়নি। এবং ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করাও বাংলাদেশের আইনগত
নিষিদ্ধ। সরকার কর্তৃক সকল বৈধ আইন জনগণের জন্য মেনে চলা আবশ্যক। সুতরাং
উভয় ক্ষেত্রেই আইন অমান্য করার কারণে আপনাদের গুনাহ হয়েছে।
এখন আপনাদের কর্তব্য হল, উক্ত কাজের জন্য তওবা করা এবং ঐ ট্রেনে ঢাকা থেকে ভৈরবের যা ভাড়া সে মূল্যের স্ট্যান্ডিং টিকেট ক্রয় করে ছিঁড়ে ফেলা। তাহলে আপনাদের ভাড়া আদায় হয়ে যাবে ।
-ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৪৪৫ ৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
এখন আপনাদের কর্তব্য হল, উক্ত কাজের জন্য তওবা করা এবং ঐ ট্রেনে ঢাকা থেকে ভৈরবের যা ভাড়া সে মূল্যের স্ট্যান্ডিং টিকেট ক্রয় করে ছিঁড়ে ফেলা। তাহলে আপনাদের ভাড়া আদায় হয়ে যাবে ।
-ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৪৪৫ ৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮৮২
তারিখ: ২০/৫/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এনজিওতে চাকরী করা ৷ যার কাজ মানুষের মাঝে ঋণ দেওয়া ৷
প্রশ্ন
আমি একটি এনজিওতে চাকরি করছি। আমার কাজ
হল, মানুষের মাঝে টাকা ঋণ দেওয়া যে টাকা ঋণগ্রহিতারা কিছু বেশিতে আদায়
করে থাকে। যেমন কেউ ২০,০০০/-টাকা ঋণ নিলে সে কিস্তির মাধ্যমে ২২,০০০/- টাকা
আদায় করে। প্রশ্ন হল, এই ধরনের চাকরি কি বৈধ হবে?
উত্তর
প্রশ্নে বর্নিত সুরতে আপনার উক্ত চাকরি
করা জায়েয নয় ৷ এবং এর বেতন ভোগ করাও নাজায়েয। কারণ তা সুদের লেনদেন ৷ যা নিকৃষ্টতম হারাম ৷ অতএব যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে উপার্জনের কোনো বৈধ পন্থা খুঁজে বের করা অপরিহার্য ৷
-সহীহ বুখারী ১/২৮০; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৬ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
করা জায়েয নয় ৷ এবং এর বেতন ভোগ করাও নাজায়েয। কারণ তা সুদের লেনদেন ৷ যা নিকৃষ্টতম হারাম ৷ অতএব যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে উপার্জনের কোনো বৈধ পন্থা খুঁজে বের করা অপরিহার্য ৷
-সহীহ বুখারী ১/২৮০; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৬ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮৭২
তারিখ: ১২/৫/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বরপক্ষের দাবি ছাড়া স্বতঃফুর্তভাবে কনেপক্ষ ফার্নিচার ইত্যাদি দিলে, তা গ্রহন করা ৷
প্রশ্ন
মুফতী সাহেব! আমি জানতে চাই আমাদের
পক্ষ থেকে কোন ধরনে চুক্তি বা আবেদন ছাড়া ই যদি আমার শশুর নিজের পক্ষ থেকে
ফার্নিচার ইত্যাদি ঘরের আসবাবপত্র দিতে চায়, তাহলে আমাদের তা গ্রহন করা
বৈধ হবে কিনা? জানালে উপকৃত হবো ৷
উত্তর
প্রশ্নে বর্নিত সুরতে আপনাদের পক্ষের
দাবি কিংবা সামাজিক কোন ধরনের চাপ ছাড়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনার শশুর কনের
ঘরে ব্যবহারের জন্য কোনো আসবাবপত্র দিলে তা গ্রহণ করা যাবে।
আর যদি আপনাদের দাবি কিংবা চাপের কারণে অথবা সামাজিক প্রচলনের কারণে বা অন্য কোন কারনে বাধ্য হয়ে কোনো কিছু দেয়, স্বতঃস্ফুর্তভাবে না দেয়, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৫৪৮৮; ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৪৮ ৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম গেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
আর যদি আপনাদের দাবি কিংবা চাপের কারণে অথবা সামাজিক প্রচলনের কারণে বা অন্য কোন কারনে বাধ্য হয়ে কোনো কিছু দেয়, স্বতঃস্ফুর্তভাবে না দেয়, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৫৪৮৮; ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৪৮ ৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম গেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮৫১
তারিখ: ২১/৪/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশনের অতিরিক্ত টাকা গ্রহন করা ৷
প্রশ্ন
মুফতী সাহেব আমার একটি প্রশ্ন ৷ আমি
সরকারী চাকুরী করি ৷ চাকরীর আর কিছুদিন বাকি আছে ৷ সরকার থেকে আমার পেনশন
দিবে ৷ আমার বেতন থেকেই টাকা কেটে নিয়েছিল ৷ বেতনের অতিরিক্ত ইন্টারেস্টও
দিবে ৷ এখন কাগজপত্র রেডি করতে বলা হয়েছে ৷ আমার জানার বিষয় হলো, আমি
পেনশনের পুর্ন টাকা গ্রহন করতে পারব কি না? জানালে উপকৃত হবো ৷
উত্তর
যদি কর্তৃপক্ষ আপনাদের বেতনের
নির্দিষ্ট অংশ হাতে না দিয়েই বাধ্যতামূলকভাবে জমা রেখে দেয়। যখন অবসর নিবেন
, কর্তৃপক্ষ জমা টাকার সাথে যদি অতিরিক্ত টাকা প্রদান করে, তাহলে তা গ্রহণ
করতে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে কোন সমস্যা নেই। কারণ তা সুদের অন্তর্ভোক্ত হবে
না ৷
কিন্তু যদি টাকা জমা রাখা চাকুরীজীবির ইচ্ছাধীন হয় ৷ ইচ্ছে করলে রাখতেও পারে, আবার উঠিয়েও ফেলতে পারে। এমতাবস্থায় আপনি ইচ্ছে করে টাকা জমা রেখে থাকেন ৷ মুদারাবা বা মুশারাকা বা এ জাতীয় শরয়ী কোন চুক্তি করেন নি, তাহলে অবসরের সময় জমাকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।
-বাহরুর রায়েক- ৭/৫১১; রদ্দুল মুহতার- ৫/১৬৬; জাদীদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/৪৩৮; ফাতাওয়া উসমানী-৩/২৭৮।
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী:জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
কিন্তু যদি টাকা জমা রাখা চাকুরীজীবির ইচ্ছাধীন হয় ৷ ইচ্ছে করলে রাখতেও পারে, আবার উঠিয়েও ফেলতে পারে। এমতাবস্থায় আপনি ইচ্ছে করে টাকা জমা রেখে থাকেন ৷ মুদারাবা বা মুশারাকা বা এ জাতীয় শরয়ী কোন চুক্তি করেন নি, তাহলে অবসরের সময় জমাকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।
-বাহরুর রায়েক- ৭/৫১১; রদ্দুল মুহতার- ৫/১৬৬; জাদীদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/৪৩৮; ফাতাওয়া উসমানী-৩/২৭৮।
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী:জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮১৮
তারিখ: ১২/২/২০১৭
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
হারাম উপার্জনকারীর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া ৷
প্রশ্ন
হুজুর আমি মসজিদের ইমাম ৷ বিভিন্ন
বাড়িতে দাওয়াত খেতে হয় ৷ না গেলেও অনেক সমস্যা ৷ এমন বাড়িতেও যেতে হয়
যিনি সুদী ব্যাংকে চাকরী করে ৷ আবার কেউ নিজেই সরাসরি সুদখুর ৷ তাই জানার
বিষয় হলো, এসব হারাম উপার্জনকারীদের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া কি জায়েজ? জানালে
কৃতজ্ঞ থাকবো।
উত্তর
হারাম উপার্জনকারীর যদি পূর্ণ টাকা-ই
হারাম হয়। আর লোকটি তার হারাম টাকা দিয়েই দাওয়াত খাওয়ায় অথবা যদি লোকটির
উপার্জন হালাল ও হারামের মাঝে মিশ্রিত হয় ৷ এবং হালাল উপার্জনের চেয়ে
হারাম উপার্জন বেশি হয়। আর লোকটি ঐ মিশ্রিত সম্পদ দিয়ে দাওয়াত খাওয়ায় ।
তাহলে উক্ত ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া জায়েজ নয়।
তবে যদি দাওয়াতকারীর সম্পদ এমন হয় যে, তার হালাল উপার্জনও আছে, আবার হারাম উপার্জনও আছে। এবং হারাম উপার্জনের চেয়ে হালাল উপার্জনের পরিমান বেশি। আর লোকটি এ মিশ্রিত সম্পদ দিয়ে দাওয়াত খাওয়ায় ৷ অথবা যদি হারাম উপার্জন দিয়ে দাওয়াত না খাওয়ায় । বরং নিজের হালাল উপার্জন দিয়ে বা কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে দাওয়াত খাওয়ায়। তাহলে উক্ত ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া জায়েজ আছে।
ফতাওয়ায়ে শামী ৬/২৪৭; ফতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/৩৪২৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রান ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
তবে যদি দাওয়াতকারীর সম্পদ এমন হয় যে, তার হালাল উপার্জনও আছে, আবার হারাম উপার্জনও আছে। এবং হারাম উপার্জনের চেয়ে হালাল উপার্জনের পরিমান বেশি। আর লোকটি এ মিশ্রিত সম্পদ দিয়ে দাওয়াত খাওয়ায় ৷ অথবা যদি হারাম উপার্জন দিয়ে দাওয়াত না খাওয়ায় । বরং নিজের হালাল উপার্জন দিয়ে বা কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে দাওয়াত খাওয়ায়। তাহলে উক্ত ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া জায়েজ আছে।
ফতাওয়ায়ে শামী ৬/২৪৭; ফতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/৩৪২৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রান ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭৮৫
তারিখ: ২৮/১২/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
রিকশা, অটো রিক্সা, সি এন জি নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য ভাড়া নিয়ে পথিমধ্যে অন্য যাত্রী উঠানো ৷
প্রশ্ন
আমি একদিন একাকি রিকশাকে নির্দিষ্ট
গন্তব্যের জন্য ভাড়া করি। পরে রাস্তায় পরিচিত একজনকে ডেকে নিই। তখন
রিকশাওয়ালা কোনো আপত্তিও করে না এবং বাড়তি ভাড়াও দেওয়া হয় না। জানার বিষয়
হলো, এভাবে পরবর্তীতে রিকশা, অটোরিক্সা, সিএন জি রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে পরে
রাস্তায় কোনো আরোহী নেওয়া ও অতিরিক্ত ভাড়া সম্পর্কে শরয়ী বিধান কি?
উত্তর
আমাদের দেশের নিয়ামানুযায়ী রিকশা ও অটোরিক্সা/সি এন জি ভাড়া নেওয়ার প্রচলন ভিন্ন ধরনের৷ এজন্য তার হুকুমেও কিছুটা ব্যবধান রয়েছে ৷
রিকশা ভাড়া নেওয়ার সময় চালকের সাথে যতজন আরোহীর চুক্তি হয় ততজনই তাতে আরোহণ করতে পারবে। পরে রাস্তায় কাউকে নিতে চাইলে ভাড়ার সময় বলে নিবে, বা উঠানোর সময় চালকের সম্মতি নিতে হবে৷ এবং অতিরিক্ত কিছু ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া কর্তব্য ৷ তবে কোনো এলাকায় যদি একজন ও দু’জন যাত্রীর ভাড়ার বেলায় কোনো তারতম্য না থাকে, একজন যত টাকা ভাড়া দুজন ততটাকা ই ভাড়া হয়, তাহলে চালকের অনুমতিতে বিনা ভাড়ায় অন্যজন যাত্রীকে নিয়ে নিতে পারবে।
সিএনজি/অটোরিক্সা রিজার্ভ ভাড়া নিলে সাধারণত
যতজন যাত্রী আরোহন করা নিয়মসম্মত, পরবর্তীতে সে সংখ্যক যাত্রী নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অতএব পরবর্তিতে অন্য যাত্রীর আরোহনের সুযোগ থাকলে নিয়ে নিতে পারবে ৷ আর যদি রিজার্ভ না নেয়া হয়৷ তাহলে প্রতি সিটের ভাড়া অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে ৷
শরহুল মাজাল্লা খালিদ আতাসী ২/৪৯০; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৭২৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া
01756473393
রিকশা ভাড়া নেওয়ার সময় চালকের সাথে যতজন আরোহীর চুক্তি হয় ততজনই তাতে আরোহণ করতে পারবে। পরে রাস্তায় কাউকে নিতে চাইলে ভাড়ার সময় বলে নিবে, বা উঠানোর সময় চালকের সম্মতি নিতে হবে৷ এবং অতিরিক্ত কিছু ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া কর্তব্য ৷ তবে কোনো এলাকায় যদি একজন ও দু’জন যাত্রীর ভাড়ার বেলায় কোনো তারতম্য না থাকে, একজন যত টাকা ভাড়া দুজন ততটাকা ই ভাড়া হয়, তাহলে চালকের অনুমতিতে বিনা ভাড়ায় অন্যজন যাত্রীকে নিয়ে নিতে পারবে।
সিএনজি/অটোরিক্সা রিজার্ভ ভাড়া নিলে সাধারণত
যতজন যাত্রী আরোহন করা নিয়মসম্মত, পরবর্তীতে সে সংখ্যক যাত্রী নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অতএব পরবর্তিতে অন্য যাত্রীর আরোহনের সুযোগ থাকলে নিয়ে নিতে পারবে ৷ আর যদি রিজার্ভ না নেয়া হয়৷ তাহলে প্রতি সিটের ভাড়া অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে ৷
শরহুল মাজাল্লা খালিদ আতাসী ২/৪৯০; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৭২৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭৪০
তারিখ: ১/১১/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
শেয়ার ব্যবসা করার শরয়ী বিধান৷
প্রশ্ন
আমি শেয়ার বাজার এর ব্যাবসার সাথে জরিত। এই ব্যবসা কি ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী হালাল?
উত্তর
হালাল ও হারামের দৃষ্টিতে এ ব্যবসাটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যবসা। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক৷
শাইখুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ তাক্বী উসমানী দা.বা. হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর উদ্ধৃতিতে কয়েকটি শর্তে শেয়ারকে কমবেশি করে বিক্রি ব্যবসাকে জায়েজ বলেছেন। যথা-
১
কোম্পানীর মূল ব্যবসাটি হালাল হতে হবে। যেমন ঔষধ কোম্পানী, ইনষ্ট্রাকশন কোম্পানী ইত্যাদি।
২
মূল মূল্যের চেয়ে কমবেশি করে বিক্রি করার জন্য শর্ত হল, কোম্পানীর মূল সম্পদ শুধু টাকা হতে হবে না, বরং টাকার সাথে সাথে অন্যান্য সম্পদও থাকতে হবে। যেমন বিল্ডিং, জমি, মেশিন ইত্যাদি।
৩
যদিও মূল ব্যবসা হালাল, কিন্তু যদি উক্ত কোম্পানীতে কিছু সুদী বা হারাম লেনদেনও হয়, তবে খুবই কম। তাহলেও সেই সুদী ও হারাম লেনদেনের বিরুদ্ধে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিবাদ করবে এবং সংশোধনের জন্য বলবে।
৪
কোম্পানীর যতটুকু আয় সুদ থেকে হয়, তা হিসেবে করে বের করে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।
উপরোক্ত চারটি শর্ত সঠিকভাবে মান্য করলে শেয়ার ব্যবসা জায়েজ আছে। তবে বর্তমানে শেয়ার বাজারে নানামুখী ধোঁকা, প্রতারণার বিস্তার রয়েছে। আর
উপরোক্ত শর্তগুলো সঠিকভাবে পাওয়াও কঠিন। তা’ই বর্তমানে আমাদের দেশের এ ব্যবসার বিকল্প কোন ব্যবসায় জড়ানোই অধিক নিরাপদ এবং এবং তা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য৷
- ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত: ওয়া তিজারাত-১০৩-১১৪; ইসলামী ব্যাংকারী কী বুনিয়াদে-২১৬-২২১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
শাইখুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ তাক্বী উসমানী দা.বা. হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর উদ্ধৃতিতে কয়েকটি শর্তে শেয়ারকে কমবেশি করে বিক্রি ব্যবসাকে জায়েজ বলেছেন। যথা-
১
কোম্পানীর মূল ব্যবসাটি হালাল হতে হবে। যেমন ঔষধ কোম্পানী, ইনষ্ট্রাকশন কোম্পানী ইত্যাদি।
২
মূল মূল্যের চেয়ে কমবেশি করে বিক্রি করার জন্য শর্ত হল, কোম্পানীর মূল সম্পদ শুধু টাকা হতে হবে না, বরং টাকার সাথে সাথে অন্যান্য সম্পদও থাকতে হবে। যেমন বিল্ডিং, জমি, মেশিন ইত্যাদি।
৩
যদিও মূল ব্যবসা হালাল, কিন্তু যদি উক্ত কোম্পানীতে কিছু সুদী বা হারাম লেনদেনও হয়, তবে খুবই কম। তাহলেও সেই সুদী ও হারাম লেনদেনের বিরুদ্ধে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিবাদ করবে এবং সংশোধনের জন্য বলবে।
৪
কোম্পানীর যতটুকু আয় সুদ থেকে হয়, তা হিসেবে করে বের করে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।
উপরোক্ত চারটি শর্ত সঠিকভাবে মান্য করলে শেয়ার ব্যবসা জায়েজ আছে। তবে বর্তমানে শেয়ার বাজারে নানামুখী ধোঁকা, প্রতারণার বিস্তার রয়েছে। আর
উপরোক্ত শর্তগুলো সঠিকভাবে পাওয়াও কঠিন। তা’ই বর্তমানে আমাদের দেশের এ ব্যবসার বিকল্প কোন ব্যবসায় জড়ানোই অধিক নিরাপদ এবং এবং তা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য৷
- ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত: ওয়া তিজারাত-১০৩-১১৪; ইসলামী ব্যাংকারী কী বুনিয়াদে-২১৬-২২১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭৩২
তারিখ: ১/১১/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
সাইকেল হেফাযত করে ঘন্টা হিসেবে ভাড়া গ্রহন করা৷
প্রশ্ন
আমাদের বাড়ির পাশে একটি বড় বাজার
আছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এ বাজারে আসে। অনেকেই সাইকেলে করে বাজারে আসেন
এবং এক ব্যক্তির দোকানে হেফাযতের জন্য রাখেন। দোকানের মালিক এর জন্য সময়
অনুপাতে নির্ধারিত ফি নিয়ে থাকে। যেমন ঘন্টা প্রতি ১/২ টাকা। জানতে চাই,
সাইকেল জমা রেখে এভাবে ফি গ্রহণ করা জায়েয হবে কি না?
উত্তর
হ্যাঁ, সাইকেল হেফাযতের জন্য ঘন্টা
হিসাবে বিনিময় গ্রহণ করা বৈধ হবে। -মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ মাদ্দা
: ৭৭৭; শরহুল মাজাল্লাহ, সীলম বায ১/৪৩১; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৬৪৷ উত্তর
প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭০৪
তারিখ: ১/১১/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
ব্যাংকে চাকরীজীবির বেতন টাকার হুকুম৷
প্রশ্ন
যারা ব্যংকে চাকরী করে তাদের বেতনের টাকা কি হালাল নাকি হারাম?
উত্তর
ব্যপকভাবে তার উত্তর দেয়া তো মুশকিল কারন এ বিষয়টি তে একটু ব্যাখ্যা রয়েছে৷ ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি হলো-
ব্যাংকে চাকরী করা হারাম হওয়ার কারণ দুইটি।
যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা। ২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা
থাকা।
হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন ধাপ আছে। ইসলাম সর্ব প্রকারের সহায়তাকে হারাম বলে নি। বরং ঐ সব সহায়তা হারাম যাতে সরাসরি হারাম কাজে লিপ্ত। যেমন সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লেখা। সুদী টাকা উসুল করা ইত্যাদি।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।
মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯৷
তবে যদি সুদী কাজে লিপ্ত না হয়, বরং তার কাজ এমন হয় যেমন ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি হয় তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন চাকরী করার সুযোগ আছে।
হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার বিষয়ও একটি মূলনীতি রয়েছে তা হল- যদি বেতনটি হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হালাল মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ। আর যদি হারাম মাল বেশি হয় তাহলে বেতন নেয়া জায়েজ হবে না৷
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২
বর্তমানে ব্যাংকের অবস্থা হলো, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-
১-মূলধন। ২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা। ৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী। ৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী। উক্ত চারটি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৪র্থ সুরতটি
হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে জায়েজ।
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন বেশি । আর ৪র্থ বিষয়টির লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে। বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে এসব চাকরী না করাই উত্তম৷
কিন্তু যদি হারাম আমদানী হালালের তুলনায় বেশি হয়৷ বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয়, তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা ও বেতন নেওয়া কোনটি ই জায়েজ নয়। উক্ত ব্যাংকের চাকরীজীবির বেতনের সমস্ত অর্থ হারাম হিসেবে বিবেচ্য হবে৷
ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
ব্যাংকে চাকরী করা হারাম হওয়ার কারণ দুইটি।
যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা। ২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা
থাকা।
হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন ধাপ আছে। ইসলাম সর্ব প্রকারের সহায়তাকে হারাম বলে নি। বরং ঐ সব সহায়তা হারাম যাতে সরাসরি হারাম কাজে লিপ্ত। যেমন সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লেখা। সুদী টাকা উসুল করা ইত্যাদি।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।
মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯৷
তবে যদি সুদী কাজে লিপ্ত না হয়, বরং তার কাজ এমন হয় যেমন ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি হয় তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন চাকরী করার সুযোগ আছে।
হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার বিষয়ও একটি মূলনীতি রয়েছে তা হল- যদি বেতনটি হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হালাল মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ। আর যদি হারাম মাল বেশি হয় তাহলে বেতন নেয়া জায়েজ হবে না৷
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২
বর্তমানে ব্যাংকের অবস্থা হলো, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-
১-মূলধন। ২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা। ৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী। ৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী। উক্ত চারটি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৪র্থ সুরতটি
হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে জায়েজ।
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন বেশি । আর ৪র্থ বিষয়টির লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে। বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে এসব চাকরী না করাই উত্তম৷
কিন্তু যদি হারাম আমদানী হালালের তুলনায় বেশি হয়৷ বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয়, তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা ও বেতন নেওয়া কোনটি ই জায়েজ নয়। উক্ত ব্যাংকের চাকরীজীবির বেতনের সমস্ত অর্থ হারাম হিসেবে বিবেচ্য হবে৷
ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈
প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।
>>নিম্নের লিংক ক্লিক করে ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন<<
১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।
২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন।
৩/ যত বেশি সম্ভব أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) পড়ুন। দিনে কমপক্ষে ১০০ বার পড়ুন।
৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।
৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।
৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv
#ibtv99
#ibtv99
0 Comments