যুবায়র ইবনু মুত‘ঈম (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার পাঁচটি (প্রসিদ্ধ) নাম রয়েছে,
আমি মুহাম্মাদ, আমি আহ্মাদ, আমি আল-মাহী আমার দ্বারা আল্লাহ্ কুফ্র ও
শির্ককে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন। আমি আল-হাশির আমার চারপাশে মানব জাতিকে
একত্রিত করা হবে। আমি আল-আক্বিব (সর্বশেষে আগমনকারী)। [1]
হারামালা ইবনু ইয়াইয়া (রহঃ) ... যুবায়র ইবনু মুতঈম (রাঃ) থেকে
বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার অনেক
নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমদ, আমি আল-মাহী (বিলোপ সাধনকারী) ঐ
ব্যক্তি যে, আমার মাধ্যমে আল্লাহ কুফরকে বিলুপ্ত করবেন। আমি আল-হাশির
(সমবেতকারী), এমন ব্যক্তি যে, আমার পায়ের কাছে লোকেরা সমবেত হবে। আমি
আন-আকীব (সমাপ্তি), এমন ব্যক্তি, যার পর কেউ নেই এবং আল্লাহ তার নাম
রেখেছেন রাঊফ ও রাহীম (স্নেহময়, দয়াবান)।[2]
ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) ... আবূ মূসা আশআরী (রাঃ)
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর
নিজের নামগুলো আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি মুহাম্মাদ,
আহমদ, আল-মুকাফ্ফী (সর্বশেষ), আল-হাশির (সমবেতকারী), তাওবার নাবী ও রহমতের
নাবী। [3]
জুবাইর ইবনু মুতাইম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার কতগুলো নাম আছে।
আমি মুহাম্মাদ (প্রশংসিত), আমি আহমাদ (সর্বাধিক প্রশংসাকারী), আমি মাহী
(বিলীনকারী)। আল্লাহ তা'আলা আমার দ্বারা কুফরী বিলীন করেন। আর আমি হাশির
(সমবেতকারী), আমার পদাংক অনুসরণে মানুষকে হাশর করা হবে। আমি আকিব (চূড়ান্ত
পরিণতি বা সবার পশ্চাতে আগমনকারী)। আমার পরে কোন নাবী নেই।[4]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রেখো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না।[5]
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না।[6]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রেখো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না।[5]
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না।[6]
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘বকী’ নামক স্থানে ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে
ডাক দিয়ে বললো, হে আবুল কাসেম! এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তার দিকে ফিরে তাকালেন। সে বললো, আমি আপনাকে ডাকিনি। তখন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা আমার নামে নাম
রাখো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না। [7]
[1] সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৫৩২ (মুসলিম ৪৩/৩৪ হাঃ ২৩৫৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩,২৬৮ ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩২৭৭)
[2]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৫৮৯৫
[3]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৫৮৯৭
[4]সূনান আত তিরমিজী ,২৮৪০,
সহীহঃ মুখতাসার শামা-য়িল (৩১৫), রাওযুন নায়ীর (১/৩৪০)
[5]সহীহুল বুখারী ১১০, ৬১৮৮, মুসলিম ২১৩৪, তিরমিযী ২২৮০, ২৮৪১, আবূ দাউদ ৪৯৬৫, আহমাদ ৭৩৩০, ৭৪৭৯, ৭৫৯৭, ৭৬৭১, ৮০৪৭, ৮৮৫০, ৮৮৮৬, ৯৫৫৪, ৯৫৮০, ৯৭২৭, ৯৮৩৫, ৯৯৯৯, ১০১০৪, ১০২৪৯, দারেমী ২৬৯৩
[6]সহীহুল বুখারী ৩১১৪, মুসলিম ২১৩৩, তিরমিযী ২৮৪২, আহমাদ ১৩৭৭১, ১৩৮৩৭, ১৩৯৪৭, ১৪৫৪৬, ১৪৭১০।
[7]সহীহুল বুখারী ২১২০, ২১২১, ৩৫৩৭, মুসলিম ২১৩১, তিরমিযী ২৮৪১, আহমাদ ১১৭২০, ১১৮০৮, ১২৩২০, ১২৫৪৯
[1] সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৫৩২ (মুসলিম ৪৩/৩৪ হাঃ ২৩৫৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩,২৬৮ ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩২৭৭)
[2]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৫৮৯৫
[3]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৫৮৯৭
[4]সূনান আত তিরমিজী ,২৮৪০,
সহীহঃ মুখতাসার শামা-য়িল (৩১৫), রাওযুন নায়ীর (১/৩৪০)
[5]সহীহুল বুখারী ১১০, ৬১৮৮, মুসলিম ২১৩৪, তিরমিযী ২২৮০, ২৮৪১, আবূ দাউদ ৪৯৬৫, আহমাদ ৭৩৩০, ৭৪৭৯, ৭৫৯৭, ৭৬৭১, ৮০৪৭, ৮৮৫০, ৮৮৮৬, ৯৫৫৪, ৯৫৮০, ৯৭২৭, ৯৮৩৫, ৯৯৯৯, ১০১০৪, ১০২৪৯, দারেমী ২৬৯৩
[6]সহীহুল বুখারী ৩১১৪, মুসলিম ২১৩৩, তিরমিযী ২৮৪২, আহমাদ ১৩৭৭১, ১৩৮৩৭, ১৩৯৪৭, ১৪৫৪৬, ১৪৭১০।
[7]সহীহুল বুখারী ২১২০, ২১২১, ৩৫৩৭, মুসলিম ২১৩১, তিরমিযী ২৮৪১, আহমাদ ১১৭২০, ১১৮০৮, ১২৩২০, ১২৫৪৯
0 Comments