সালাতে ফাকা হয়ে দাড়ানোঃ
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (নামাযে দাঁড়িয়ে) বললেন, “তোমরা কাতার সোজা
কর। কেননা, কাতার সোজা করা নামাযের পরিপূর্ণতার অংশ বিশেষ।” (বুখারী ও
মুসলিম)[1]
বুখারীর এক বর্ণনায় আছে, “কেননা, কাতার সোজা করা নামায প্রতিষ্ঠা করার অন্তর্ভুক্ত।”
[1] সহীহুল বুখারী ৪১৯, ৭১৮, ৭১৯, ৭২৩,৭২৪, ৭২৫, ৭৪২, ৭৪৯, ৬৪৬৮, ৬৬৪৪, মুসলিম ৪২৫, নাসায়ী ৮১৩, ৮১৫, ৮১৮, ৮৪৫, ১০৫৪, ১১১৭, আবূ দাউদ ৬৬৭, ৬৬৮, ৬৬৯, ৬৭১, ইবনু মাজাহ ৯৯৩, আহমাদ ১১৫৮৬, ১১৬৫৫, ১১৬৯৯, ১১৭৩৮, ১১৮৪৬, ১১৯১২, ১২১৫৯, ১২২৩৫, ১২৩২২, ১২৪০১, ১২৪২৯, ১২৪৪৮, দারেমী ১২৬৩ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বুখারীর এক বর্ণনায় আছে, “কেননা, কাতার সোজা করা নামায প্রতিষ্ঠা করার অন্তর্ভুক্ত।”
[1] সহীহুল বুখারী ৪১৯, ৭১৮, ৭১৯, ৭২৩,৭২৪, ৭২৫, ৭৪২, ৭৪৯, ৬৪৬৮, ৬৬৪৪, মুসলিম ৪২৫, নাসায়ী ৮১৩, ৮১৫, ৮১৮, ৮৪৫, ১০৫৪, ১১১৭, আবূ দাউদ ৬৬৭, ৬৬৮, ৬৬৯, ৬৭১, ইবনু মাজাহ ৯৯৩, আহমাদ ১১৫৮৬, ১১৬৫৫, ১১৬৯৯, ১১৭৩৮, ১১৮৪৬, ১১৯১২, ১২১৫৯, ১২২৩৫, ১২৩২২, ১২৪০১, ১২৪২৯, ১২৪৪৮, দারেমী ১২৬৩ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পূর্বোক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নামাযের
তাকবীর (ইকামত) দেওয়া হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আমাদের দিকে মুখ করে বললেন, “তোমরা কাতারসমূহ সোজা কর এবং মিলিতভাবে
দাঁড়াও। কারণ, তোমাদেরকে আমার পিছন থেকেও দেখতে পাই।” (এই শব্দে বুখারী এবং
একই অর্থে মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)[1]
বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি তার পার্শ্বস্থ সঙ্গীর কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলিয়ে দিত।’
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
নু‘মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “অবশ্যই তোমরা
নিজেদের কাতার সোজা করে নিবে; নচেৎ আল্লাহ তোমাদের মুখমণ্ডলের মধ্যে বিভেদ
সৃষ্টি করে দিবেন।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আমাদের কাতারগুলি এমনভাবে সোজা করতেন, যেন তিনি এর দ্বারা তীর সোজা করছেন।
(তিনি তাতে প্রবৃত্ত থাকতেন) যতক্ষণ না তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম জানতে পারতেন যে, আমরা তাঁর কথা বুঝে ফেলেছি। একদিন তিনি বাইরে
এলে (তারপর মুয়াজ্জিন) তাকবীর দিতে উদ্যত হচ্ছিল, এমন সময় একটি লোকের উপর
তাঁর দৃষ্টি পড়ল, যার বুক কাতার থেকে আগে বেরিয়ে ছিল। তিনি বললেন, “আল্লাহর
বান্দাগণ! তোমরা নিজেদের কাতার সোজা করে নাও; নচেৎ তোমাদের মুখমণ্ডলের
মধ্যে আল্লাহ বিভিন্নতা ও বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন।”
(অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ ও শত্রুতা জন্ম নেবে, যার অনিবার্য পরিণতি হবে অনৈক্য, অশান্তি, দ্বন্দ্ব-কলহ তথা অধঃপতন।)
[1] সহীহুল বুখারী ৭১৭, মুসলিম ৪৩৬, তিরমিযী ২২৭, নাসায়ী ৮১০, আবূ দাউদ ৬৬২, ৬৬৩, ৬৬৫, ইবনু মাজাহ ৯৯৪, আহমাদ ১৭৯০৯, ১৭৯১৮, ১৭৯৫৯ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
[1] সহীহুল বুখারী ৭১৭, মুসলিম ৪৩৬, তিরমিযী ২২৭, নাসায়ী ৮১০, আবূ দাউদ ৬৬২, ৬৬৩, ৬৬৫, ইবনু মাজাহ ৯৯৪, আহমাদ ১৭৯০৯, ১৭৯১৮, ১৭৯৫৯ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কাতারগুলি সোজা করে নাও।
পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নাও। (কাতারের) ফাঁক বন্ধ করে নাও। তোমাদের
ভাইদের জন্য হাতের বাজু নরম করে দাও। আর শয়তানের জন্য ফাঁক ছেড়ো না। (মনে
রাখবে,) যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহ তার সাথে মিল রাখবেন, আর যে
ব্যক্তি কাতার ছিন্ন করবে (মানে কাতারে ফাঁক রাখবে), আল্লাহও তার সাথে
(সম্পর্ক) ছিন্ন করবেন।” (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সূত্রে)[1]
[1] আবূ দাউদ ৬৬৬, নাসায়ী ৮১৯ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ঘন করে কাতার বাঁধ এবং কাতারগুলিকে পরস্পরের কাছাকাছি
রাখ। ঘাড়সমূহ একে অপরের বরাবর কর। সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার
প্রাণ আছে, কাতারের মধ্যেকার ফাঁকে শয়তানকে আমি প্রবেশ করতে দেখতে পাই, যেন
তা কালো ছাগলের ছানা।” (এ হাদিসটি বিশুদ্ধ, আবূ দাউদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী
বর্ণনা করেছেন।)[1]
حذف এর অর্থ কালো ছোট জাতের ছাগল, যা ইয়ামেনে পাওয়া যায়।
[1] সহীহুল বুখারী ৪১৯, ৭১৮, ৭১৯, ৭২৩,৭২৪, ৭২৫, ৭৪২, ৭৪৯, ৬৪৬৮, ৬৬৪৪,
মুসলিম ৪২৫, নাসায়ী ৮১৩, ৮১৫, ৮১৮, ৮৪৫, ১০৫৪, ১১১৭, আবূ দাউদ ৬৬৭, ৬৬৮,
৬৬৯, ৬৭১, ইবনু মাজাহ ৯৯৩, আহমাদ ১১৫৮, ৬, ১১৬৫৫, ১১৬৯৯, ১১৭৩৮, ১১৮৪৬,
১১৯১২, ১২১৫৯, ১২২৩৫, ১২৩২২, ১২৪০১, ১২৪২৯, ১২৪৪৮, দারেমী ১২৬৩ হাদিসের
মানঃ সহিহ (Sahih)
সালাতে ফাকা হয়ে দাড়ানো, |
0 Comments