প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না ইনশাল্লাহ।
ফতোয়া নং: ৪৯৭৬
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ফতোয়া: অজু | অজুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা মাসায়েল। |
ফতোয়া নং: ৪৯৭৬
তারিখ: ১৬/৯/২০১৭
বিষয়: অজু
গোসল ফরয অবস্থায় কবর যিয়ারত করা ৷
আমি একদিন গোসল ফরয অবস্থায় আমাদের
পারিবারিক কবরস্থানের পাশে দিয়ে অতিক্রম করার সময় একটু দাড়িয়ে দুআ দরুদ
পাঠ করে যিয়ারত করে আসলাম ৷ পরে এক ব্যক্তির কাছে শুনলাম, গোসল ফরয
অবস্থায় কবর যিয়ারত করা জায়েয নেই। বিষয়টি কতটুকু সঠিক?
উত্তর
গোসল ফরয অবস্থায় কবর যিয়ারত করা
নিষিদ্ধ নয়। তবে এ অবস্থায় যিয়ারতে গেলে কুরআন মাজীদের কোনো আয়াত পড়তে
পারবে না। মৃতের জন্য দুআ-দরূদ পড়তে পারবে। অবশ্য নাপাক অবস্থায় কবর
যিয়ারত না করাই শ্রেয়। কখনো কোনো কারণে গোসল করতে বিলম্ব হলে যিয়ারতের
আগে অন্তত অযু করে নিবে।
-রদ্দুল মুহতার ১/২৯৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪৮১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী: জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
-রদ্দুল মুহতার ১/২৯৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪৮১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী: জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৯৭৫
তারিখ: ১৬/৯/২০১৭
বিষয়: অজু
কুরআনের আয়াত বিশিষ্ট লেমিনেটিং করা কাগজে স্পর্শ করা ৷
প্রশ্ন
হুজুর! আমার জানার বিষয় হল, লেমিনেটিং
করা কাগজে কুরআনের আয়াত বা সূরা লেখা থাকলে উক্ত লেখায় বা কাগজে বিনা
অযুতে স্পর্শ করা জায়েয হবে কি?
উত্তর
না, কাগজ লেমিনেটিং করা হলেও অযু ছাড়া
উক্ত কাগজের লিখিত আয়াত বা সূরার উপর সরাসরি হাত লাগানো জায়েয হবে না।
তবে কাগজের যে অংশে আয়াত লেখা নেই তা স্পর্শ করা জায়েয হবে। অবশ্য উত্তম
হল, কাগজের সাদা অংশও বিনা অযুতে স্পর্শ না করা ৷
-আলবাহরুর রায়েক ১/২০১; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭৩, হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুররিল মুখতার ১/১৫১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী: জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
-আলবাহরুর রায়েক ১/২০১; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭৩, হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুররিল মুখতার ১/১৫১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী: জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮৯৩
তারিখ: ২৭/৫/২০১৭
বিষয়: অজু
ফরজ গোসলে নাকের নরম জায়গায় পানি না পৌছিয়ে ভিজা আঙ্গুল দিয়ে ভিজিয়ে নেওয়া ৷
প্রশ্ন
হুজুর আমরা অনেক সময় ফরজ গোসলের
শুরুতে যে অজু করি তখন ভিজা আঙ্গুল দিয়ে নাকের ভিতরটা তিনবার ভিজিয়ে নেই ৷
আর নতুন করে নাকের ভিতরে পানি দেই না ৷ জানার বিষয় হল, ফরয গোসলে নাকের
ভেতরে পানি না পৌছিয়ে শুধু আঙ্গুল ভিজিয়ে নাকের ভিতরটা তিনবার ভিজিয়ে
নিলে কি গোসল হবে ? এবং নাকের ভিতরে পানি পৌছানোর পদ্ধতি কি?
উত্তর
ফরয গোসলে নাকের নরম স্থান পর্যন্ত
পানি পৌঁছানো ফরয। শুধু আঙ্গুল দ্বারা নাকের ভিতরটা ভিজিয়ে নিলেই চলবে না ।
এর দ্বারা ফরয গোসল আদায় হবে না। অবশ্য অযুর সময় নাকের নরম স্থান
পর্যন্ত পানি পৌছালেও চলবে ৷
আর নাকের ভিতরে পানি পৌছানোর পদ্ধতি হল, প্রথমে নাকে পানি পৌঁছাবে। এরপর বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দ্বারা নাকের ভিতরটা পরিষ্কার করে নিবে যেন কোনো অংশ শুকনা না থেকে যায়। এভাবে তিনবার পানি প্রবেশ করাবে।
-সুনানে আবু দাউদ ১/১৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২২৬; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫১ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
আর নাকের ভিতরে পানি পৌছানোর পদ্ধতি হল, প্রথমে নাকে পানি পৌঁছাবে। এরপর বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দ্বারা নাকের ভিতরটা পরিষ্কার করে নিবে যেন কোনো অংশ শুকনা না থেকে যায়। এভাবে তিনবার পানি প্রবেশ করাবে।
-সুনানে আবু দাউদ ১/১৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২২৬; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫১ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮৮৩
তারিখ: ২০/৫/২০১৭
বিষয়: অজু
অযুতে থুতনির নিচের অংশ ধৌত করার বিধান ৷
প্রশ্ন
হুজুর আমার একটি প্রশ্ন, অনেক সময়
অযুতে থুতনির নিচে অংশ শুকনো থাকে ৷ পানি পৌছে না ৷ তাই জানতে চাই, অযুর
সময় থুতনির নিচের অংশও কি ধোয়া জরুরি? যদি এ অংশ পুরোপুরি না ধোই তাহলে কি
অযু সহীহ হবে না ?
উত্তর
অযুতে থুতনির নিচের অংশ ধোয়া জরুরী নয়। অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অযুতে আপনার ঐ অংশ না ধুলেও অযু সহীহ হয়ে যাবে।
-আস সেআয়া ১/৪৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২১ ৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জমিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
-আস সেআয়া ১/৪৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২১ ৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জমিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮৮১
তারিখ: ১২/৫/২০১৭
বিষয়: অজু
অযুতে হাত পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার বিধান ও নিয়ম ৷
প্রশ্ন
আমাদের পরীক্ষার একটি প্রশ্নে এসেছে
অযুতে হাত পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার বিধান কী? এবং পায়ের আঙ্গুল খিলাল
করার নিয়ম কী ? আমি সঠিক উত্তর লিখতে পারছি কি না জানা নেই ৷ তাই সঠিকটি
জানালে উপকৃত হতাম ।
উত্তর
যদি হাত পা ধৌতের সময় আঙ্গুলের ফাঁকে
পানি পৌঁছে গিয়ে থাকে, তাহলে খিলাল করা সুন্নাত। আর যদি খিলাল করা ব্যতীত
ফাঁকে পানি না পৌঁছে তাহলে খিলাল করা ফরয।
পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার নিয়ম হল, খিলাল করবে বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে এবং শুরু করবে ডান পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে । খিলালের সময় পায়ের উপর দিক দিয়ে আঙ্গুল প্রবেশ করাবে তারপর আঙুলের গোড়া থেকে উপরের দিকে টেনে নিয়ে আসবে ৷
-সুনানে আবু দাউদ ১/১৯; জামে তিরমিযী ১/১৬ ৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার নিয়ম হল, খিলাল করবে বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে এবং শুরু করবে ডান পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে । খিলালের সময় পায়ের উপর দিক দিয়ে আঙ্গুল প্রবেশ করাবে তারপর আঙুলের গোড়া থেকে উপরের দিকে টেনে নিয়ে আসবে ৷
-সুনানে আবু দাউদ ১/১৯; জামে তিরমিযী ১/১৬ ৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮৪৮
তারিখ: ১৪/৪/২০১৭
বিষয়: অজু
ক্ষতস্থানের ব্যান্ডেজ খুলে গেলে বা খুলা হলে অযুর হুকুম!
প্রশ্ন
হুজুর আমার ছোটবোনের পা কেটে গেছে ৷
ক্ষতস্থান সব সময় ব্যান্ডেজ করা থাকে। তাই অযুর সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ
করে । মাঝে মাঝে ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করতে হয়। জানতে চাই, ব্যান্ডেজ খোলার
কারণে কি অযু ভেঙ্গে যায়? অযু থাকা কালিন ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করলে কি
পুনরায় অযু করতে হবে?
উত্তর
ক্ষত ভালো হওয়ার আগে ব্যান্ডেজ খুলে
গেলে বা খোলা হলে অযু বা মাসাহ কিছুই নষ্ট হয় না। অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করার কারণে অযু নষ্ট হয়নি ৷ তাই অযু পুনরায় করে
নেওয়া আবশ্যক নয় ৷ তবে এক্ষেত্রে ব্যান্ডেজ পরিবর্তনের পর পুনরায় মাসাহ
করে নেওয়া উত্তম।
তবে ক্ষত ভালো হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ খুলে গেলে বা খোলা হলে পূর্বের মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে ৷ এক্ষেত্রে ক্ষতস্থান ধুয়ে নিলেই পূর্বের অযু বহাল থাকবে৷
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫১; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২৮৬; রদ্দুল মুহতার ১/২৭৯ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
তবে ক্ষত ভালো হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ খুলে গেলে বা খোলা হলে পূর্বের মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে ৷ এক্ষেত্রে ক্ষতস্থান ধুয়ে নিলেই পূর্বের অযু বহাল থাকবে৷
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫১; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২৮৬; রদ্দুল মুহতার ১/২৭৯ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৮২২
তারিখ: ৪/৩/২০১৭
বিষয়: অজু
বালতির ভিতরে হাত ডুবিয়ে অযু করা ৷
প্রশ্ন
বাসায় সবসময় বালতিতে পানি রাখা থাকে। আমি সবসময় বালতি সড়িয়ে ট্যাপ ছেড়ে অযু করি ৷
মাঝেমধ্যে তাড়াহুড়ার কারণে বালতিতে হাত ডুবিয়ে পানি নিয়ে অযু করি । একদিন আমাকে এভাবে অযু
করতে দেখে একজন বললেন, পানিতে হাত ডুবানোর কারণে পানি নাকি ব্যবহৃত হয়ে গেছে। আর ব্যবহৃত পানি দ্বারা অযু হয় না। তাই জানার বিষয় হলো, তার কথা কি ঠিক? আর আমি এভাবে অযু করে যে নামায পড়েছি তা পুনরায় পড়তে হবে কিনা। জানিয়ে বাধিত করবেন।
মাঝেমধ্যে তাড়াহুড়ার কারণে বালতিতে হাত ডুবিয়ে পানি নিয়ে অযু করি । একদিন আমাকে এভাবে অযু
করতে দেখে একজন বললেন, পানিতে হাত ডুবানোর কারণে পানি নাকি ব্যবহৃত হয়ে গেছে। আর ব্যবহৃত পানি দ্বারা অযু হয় না। তাই জানার বিষয় হলো, তার কথা কি ঠিক? আর আমি এভাবে অযু করে যে নামায পড়েছি তা পুনরায় পড়তে হবে কিনা। জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
বালতি থেকে পানি নিয়ে বালতির বাহিরে
অযু করলে উক্ত পানি ব্যবহৃত হয়নি ৷ কারন পানি নেওয়ার জন্য কোনো পাত্রে
হাত ঢুকালেই তা ব্যবহৃত হয়ে যায় না। এবং এক্ষেত্রে আপনার ঐ সকল অযু ও
নামায
সহীহ হয়েছে। কিন্তু যদি অযু করে বালতির ভিতরে-ই পানি ফেলে থাকেন ৷ তাহলে উক্ত পানি ব্যবহৃত হয়ে গেছে ৷ এবং এক্ষেত্রে আপনার ঐ সকল অযু ও নামায
সহীহ হয়নি ৷ পুনরায় পড়তে হবে ৷
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৬; আলমুহীতুল বুরহানী ১/২৮০; রদ্দুল মুহতার ১/১১২৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
সহীহ হয়েছে। কিন্তু যদি অযু করে বালতির ভিতরে-ই পানি ফেলে থাকেন ৷ তাহলে উক্ত পানি ব্যবহৃত হয়ে গেছে ৷ এবং এক্ষেত্রে আপনার ঐ সকল অযু ও নামায
সহীহ হয়নি ৷ পুনরায় পড়তে হবে ৷
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৬; আলমুহীতুল বুরহানী ১/২৮০; রদ্দুল মুহতার ১/১১২৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭৭০
তারিখ: ১৭/১২/২০১৬
বিষয়: অজু
মেয়েদের জন্য মেহেদী লিপষ্টিক ও নেল পালিশ ব্যবহার করা ৷
প্রশ্ন
মুসলিম মেয়েদের জন্য মেহেদী, লিপষ্টিক, নেল পলিশ ইত্যাদি ব্যবহার করা কি বৈধ ? তা ব্যবহার করে কি নামায সহীহ হবে?
উত্তর
চামড়ায় পানি প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করে এমন কোন জিনিষ নামায ফরজ এমন ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করা নাজায়েয ৷
অতএব মেয়েদের সুন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মেহেদী ব্যবহার করা জায়েজ। কারন মেহেদী হাতকে রঙ্গিন করে ৷
কিন্তু চামড়ায় পানি প্রবেশ করতে বাঁধা দেয় না।
তবে লিপষ্টিক ও নেলপলিশ চামড়ায় পানি প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করে বিধায় যেসব মহিলাদের উপর নামায ফরজ তাদের জন্য এসব জিনিষ ব্যবহার করা বৈধ নয়৷ তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আর যাদের উপর নামায ফরজ নয় যেমন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ৷ বা পিড়িয়ড ইত্যাদির কারনে যে সময় নামায পড়া মেয়েদের উপর ফরজ নয় সেই সময় লিপষ্টিক, নেল পালিশ ব্যবহার করা বৈধ৷ তবে দু'টি শর্তে যথা:
১৷ পিড়িয়ড ইত্যাদির সময় শেষ হওয়ার আগে তা মুছে যাওয়ার নিশ্চয়তা থাকা ৷
২৷ এগুলোতে কোন প্রকার নাপাক বস্তু মিশ্রিত না থাকা৷
আর নামাযের বিষয়টির সম্পর্ক অযুর সাথে ৷ মেয়েদী ব্যবহার করার কারনে অযু সহীহ হয়ে যায় ৷ তাই নামায সহীহ হবে ৷ কিন্তু লিপষ্টিক নিল পালিশ ব্যবহার করলে পানি চামড়ায় পৌছতে বাঁধা প্রদান করে বিধায় অযু না হওয়ার কারনে নামায সহীহ হবে না ৷
ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৭৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
01756473393
অতএব মেয়েদের সুন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মেহেদী ব্যবহার করা জায়েজ। কারন মেহেদী হাতকে রঙ্গিন করে ৷
কিন্তু চামড়ায় পানি প্রবেশ করতে বাঁধা দেয় না।
তবে লিপষ্টিক ও নেলপলিশ চামড়ায় পানি প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করে বিধায় যেসব মহিলাদের উপর নামায ফরজ তাদের জন্য এসব জিনিষ ব্যবহার করা বৈধ নয়৷ তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আর যাদের উপর নামায ফরজ নয় যেমন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ৷ বা পিড়িয়ড ইত্যাদির কারনে যে সময় নামায পড়া মেয়েদের উপর ফরজ নয় সেই সময় লিপষ্টিক, নেল পালিশ ব্যবহার করা বৈধ৷ তবে দু'টি শর্তে যথা:
১৷ পিড়িয়ড ইত্যাদির সময় শেষ হওয়ার আগে তা মুছে যাওয়ার নিশ্চয়তা থাকা ৷
২৷ এগুলোতে কোন প্রকার নাপাক বস্তু মিশ্রিত না থাকা৷
আর নামাযের বিষয়টির সম্পর্ক অযুর সাথে ৷ মেয়েদী ব্যবহার করার কারনে অযু সহীহ হয়ে যায় ৷ তাই নামায সহীহ হবে ৷ কিন্তু লিপষ্টিক নিল পালিশ ব্যবহার করলে পানি চামড়ায় পৌছতে বাঁধা প্রদান করে বিধায় অযু না হওয়ার কারনে নামায সহীহ হবে না ৷
ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৭৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭৬৭
তারিখ: ১৭/১২/২০১৬
বিষয়: অজু
ফজরের সময় তাহিয়াতুল অযু ও দুখুলুল মসজিদ নামায পড়া ৷
প্রশ্ন
আমরা জানি অযু করার পর দুই রাকাত
তাহিয়াতুল অযু ও মসজিদে প্রবেশ করার পর দুই রাকাত দুখুলুল নসজিদ নামায
আছে৷ ফজরের সময় কি এসব নামায মসজিদে বা নিজ ঘরে পড়া যাবে?
উত্তর
ফজরের সময় হওয়ার পর থেকে সূর্য উদিত
হওয়া পর্যন্ত ফজরের সুন্নত ব্যতিত সব ধরনের নফল নামায পড়া মাকরূহ। চাই তা
ঘরে পড়া হোক কিংবা মসজিদে। অতএব ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর তাহিয়াতুল অযু
বা দুখুলুল মসজিদ পড়বে না। তবে ফজরে সুন্নতের সাথে তাহিয়াতুল অযু ও
দুখুলুল মসজিদ নামাযের নিয়ত করে নিলে তার সাওয়াব পেয়ে যাবে৷ এবং জামাতের
সময় হওয়া পর্যন্ত বাকি সময় তাসবীহ-তাহলীল, দরূদ শরীফ ইত্যাদি পড়বে।
-সুনানে আবু দাউদ ১/১৮১; ফাতহুল কাদীর ১/২৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
01756473393
-সুনানে আবু দাউদ ১/১৮১; ফাতহুল কাদীর ১/২৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭৫৮
তারিখ: ৬/১২/২০১৬
বিষয়: অজু
গোসল ফরজ অবস্থায় করনীয় বর্জনীয়৷
প্রশ্ন
গোলস ফরজ অবস্থায় কি খানা খাওয়া
যাবে? তিলাওয়াত দোয়া যিকির ইত্যাদি করার হুকুম কি? লজ্জায় গোসল করতে না
পারলে নামায পরে পড়া যাবে কিনা?
উত্তর
গোসল ফরজ হলে গোসল না করে নামায,তাওয়াফ,কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে গমণ করা নিষেধ।
এছাড়া জিকির-আযকার করা, দরুদ শরীফ পড়া, ওযীফা পড়া, বিভিন্ন দোয়া পড়া, ঘরের কাজ করা, পানাহার ইত্যকার কোনো কাজই নিষেধ নয়।
বহু হাদীসে এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে মদিনার কোন এক পথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখা হল। আবু হুরায়রা (রা.) তখন জানাবাতের গোসল ফরজ অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে নাপাক মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবু হুরায়রা (রা.) গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাৎ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস৷করলেন, আবু হুরায়রা ! কোথায় ছিলে? আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করি নি। নবীজী বললেন,
ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ، ﺇﻥ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻻ ﻳﻨﺠﺲ সুবাহানাল্লাহ্! মু’মিন নাপাক হয় না। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৯৷
তবে একেবারে নিষেধ না হলেও উল্লেখিত কাজগুলোর আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেয়া ও অজু করে করে নেয়ার কথা একাধিক হাদীসে এসেছে।
যেমন-
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম জানাবাতের গোসল ফরজ অবস্থায় পানাহার কিংবা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে নামাজের অজুর মত অজু করে নিতেন।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৫
উল্লেখ্য, ফরজ গোসল বিলম্বিত হওয়ার কারণে যদি নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে আপনাকে গুনাহগার হবেন। আপনার তীব্র লজ্জা এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য
কোনো ওজর নয়; যার কারণে নামায আদায়ে এ বিলম্ব করা যেতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
এছাড়া জিকির-আযকার করা, দরুদ শরীফ পড়া, ওযীফা পড়া, বিভিন্ন দোয়া পড়া, ঘরের কাজ করা, পানাহার ইত্যকার কোনো কাজই নিষেধ নয়।
বহু হাদীসে এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে মদিনার কোন এক পথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখা হল। আবু হুরায়রা (রা.) তখন জানাবাতের গোসল ফরজ অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে নাপাক মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবু হুরায়রা (রা.) গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাৎ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস৷করলেন, আবু হুরায়রা ! কোথায় ছিলে? আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করি নি। নবীজী বললেন,
ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ، ﺇﻥ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻻ ﻳﻨﺠﺲ সুবাহানাল্লাহ্! মু’মিন নাপাক হয় না। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৯৷
তবে একেবারে নিষেধ না হলেও উল্লেখিত কাজগুলোর আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেয়া ও অজু করে করে নেয়ার কথা একাধিক হাদীসে এসেছে।
যেমন-
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম জানাবাতের গোসল ফরজ অবস্থায় পানাহার কিংবা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে নামাজের অজুর মত অজু করে নিতেন।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৫
উল্লেখ্য, ফরজ গোসল বিলম্বিত হওয়ার কারণে যদি নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে আপনাকে গুনাহগার হবেন। আপনার তীব্র লজ্জা এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য
কোনো ওজর নয়; যার কারণে নামায আদায়ে এ বিলম্ব করা যেতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭১৩
তারিখ: ১/১১/২০১৬
বিষয়: অজু
অযুর শুরুতে পা ধোয়ে নেওয়া ৷
প্রশ্ন
অনেককে দেখা যায়, অযু শুরু করার পূর্বে
প্রথমে পায়ে পানি ঢেলে নেয়। এরপর অযু করে। বিশেষভাবে শীতকালে এমনটি অধিক
দেখা যায়। এক্ষেত্রে যুক্তি হল, পা আগে ভিজিয়ে নিয়ে৷পরবর্তীতে ধোয়ার সময়
পায়ের প্রত্যেক অংশে পানি পৌঁছানো সহজ হয়। আমার জানার বিষয় হল, এর দ্বারা
অযুতে তারতীবের সুন্নত বিনষ্ট হবে কি না? তাছাড়া এটা ইসরাফের অন-র্ভুক্ত
হবে কি না?
উত্তর
পায়ের শুষ্কতা, ফাটা৷ইত্যাদির কারণে
অযুর সময় আগে পা ভিজিয়ে নেওয়া কিংবা পায়ে পানি ছিটিয়ে দেওয়া দোষনীয় নয়; বরং
উত্তমরূপে পা ধোয়ার জন্য সহায়ক। তাই এতে ইসরাফ হবে না।আর যেহেতু অযুর
নিয়তে তা করা হয় না বরং পরবর্তীতে সাধারণ নিয়মে মাথা মাসেহ করার পর পা ধোয়া
হয়ে থাকে তাই পূর্বে পা ভেজানোর কারণে অযুর ধারাবাহিকতাও নষ্ট হবে না।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯; হাশিয়া৷তহতাবী আলাদ্দুর ১/৭২; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৫৬৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯; হাশিয়া৷তহতাবী আলাদ্দুর ১/৭২; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৫৬৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৭০২
তারিখ: ১/১১/২০১৬
বিষয়: অজু
ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার পর খোলা হলে করনীয়৷
প্রশ্ন
আমি কিছুদিন পূর্বে গুরুতর আহত হয়েছি।
আমার হাতসহ বিভিন্ন জায়গা যখম হয়েছে। হাতের যখম সব সময় ব্যান্ডেজ করা
থাকে। তাই অযুর সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করি। এক ঘন্টা পর পর ব্যান্ডেজ
পরিবর্তন করতে হয়। জানতে চাই, ব্যান্ডেজ খোলার কারণে কি অযু ভেঙ্গে যায়?
জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
যখম ভালো হওয়ার আগে ব্যান্ডেজ খুলে
গেলে বা খোলা হলে অযু বা মাসাহ কিছুই নষ্ট হয় না। তবে এক্ষেত্রে ব্যান্ডেজ
পরিবর্তনের পর পুনরায় মাসাহ করে নেওয়া উত্তম। হ্যাঁ, ক্ষত ভালো হয়ে যাওয়ার
কারণে ব্যান্ডেজ খুলে গেলে বা খোলা হলে পূর্বের মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে ক্ষতস্থান ধুয়ে নিলেই পূর্বের অযু বহাল বলে গণ্য হবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৬১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫১; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২৮৬৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া
01756473393
-আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৬১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫১; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২৮৬৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬৭৪
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: অজু
অযুর পর আকাশের দিকে তাকিয়ে কালিমায়ে শাহাদাত পড়া৷
প্রশ্ন
অযুর পর কালিমায়ে শাহাদাত পড়া কী?
এতে কি কোনো ফযীলত আছে? অনেককে আবার কালেমায়ে শাহাদাত পড়ার সময় আকাশের
দিকে তাকাতে দেখা যায়। এটার হুকুমও জানতে চাই।
উত্তর
অযুর পর কালিমায়ে শাহাদাত পড়া
মুস্তাহাব। রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
অর্থ : ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করার পর ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু
ওয়ারাসূলুহু’ বলবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে যে
দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম ১/১২২) অন্য এক বর্ণনায়
কালিমায়ে শাহাদাত পড়ার সময় আকাশের দিকে তাকানোর কথাও আছে। তাই সম্ভব
হলে এর উপর আমল করাও ভালো। -সুনানে আবু দাউদ ১/২৩; মুসনাদে আহমদ ১/২৭৪;
সুনানে তিরমিযী ১/১৮; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ১/২৩৬, ১৫/৪২৩৷ উত্তর
প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬৫৫
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: অজু
দাড়ি ঘন হলে অযুতে করনীয়৷
প্রশ্ন
অযুর মধ্যে ঘন দাড়ি ধৌত করতে হবে নাকি
মাসহ করলেও চলবে? যদি ধোওয়াই ফরয হয় তাহলে কী পরিমাণ ধৌত করতে হবে? আর
যদি মাসহ করতে হয় তাহলেও কী
পরিমাণ?
উল্লেখ্য, ‘বেকায়া’ কিতাবে আছে ‘দাড়ির এক চতুর্থাংশ মাসহ করা ফরয’ কথাটি কি ঠিক?
পরিমাণ?
উল্লেখ্য, ‘বেকায়া’ কিতাবে আছে ‘দাড়ির এক চতুর্থাংশ মাসহ করা ফরয’ কথাটি কি ঠিক?
উত্তর
অযুতে ঘন দাড়ি ধোয়ার নিয়ম হল,
চেহারার সীমার ভিতরের পুরো দাড়ির উপরিভাগ ধৌত করা ফরয। এ অংশ মাসহ করা
যথেষ্ট নয়। আর চেহারার সীমার বাইরের দাড়ি ধোয়া লাগবে না। এ অংশ মাসহ করা
সুন্নত। প্রশ্নে বেকায়া কিতাবের যে মতটি উল্লেখ করা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য
নয়। হানাফী মাযহাবের একাধিক নির্ভরযোগ্য গ্রন্থে যেমন ফাতাওয়া শামী
১/১১৭; আলবাহরুর রায়েক ১/১৬ ও শরহে বেকায়ার সুপ্রসিদ্ধ শরহ আসসিআয়ায়
১/৯৬-৯৮ ইত্যাদিতে এমতটিকে অগ্রহণযোগ্য বলা হয়েছে। আরো দেখুন : ফাতহুল
কাদীর ১/১২; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬৭; আননাহরুল ফায়েক ১/৩৬৷ উত্তর প্রদানে
মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬৪০
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: অজু
পাত্রে হাত ঢুকিয়ে অযু করলে পানি ব্যবহৃত হয় কিনা?
প্রশ্ন
আমাদের বাড়িতে বালতিতে পানি রাখা থাকে। সাধারণত আমি বালতি থেকে বদনা বা মগ দিয়ে
পানি নিয়ে অযু করি। মাঝেমধ্যে তাড়াহুড়ার
কারণে বা পাত্র না পাওয়ার কারণে বালতিতে ডান
হাত (কব্জি পর্যন্ত) ডুবিয়ে পানি নিয়ে অযুর
জন্য হাত ধুই। একদিন আমাকে এভাবে অযু করতে দেখে আমার এক আত্মীয় বললেন, পানিতে হাত ডুবানোর কারণে তো পানি মুস্তামাল ও ব্যবহৃত হয়ে গেল। সুতরাং সেই পানি দ্বারা তো আর অযু হবে না। প্রশ্ন হল, আমি এভাবে অযু করে যে নামাযগুলো আদায় করেছি সেগুলো দোহরাতে হবে কিনা। জানিয়ে বাধিত
করবেন।
পানি নিয়ে অযু করি। মাঝেমধ্যে তাড়াহুড়ার
কারণে বা পাত্র না পাওয়ার কারণে বালতিতে ডান
হাত (কব্জি পর্যন্ত) ডুবিয়ে পানি নিয়ে অযুর
জন্য হাত ধুই। একদিন আমাকে এভাবে অযু করতে দেখে আমার এক আত্মীয় বললেন, পানিতে হাত ডুবানোর কারণে তো পানি মুস্তামাল ও ব্যবহৃত হয়ে গেল। সুতরাং সেই পানি দ্বারা তো আর অযু হবে না। প্রশ্ন হল, আমি এভাবে অযু করে যে নামাযগুলো আদায় করেছি সেগুলো দোহরাতে হবে কিনা। জানিয়ে বাধিত
করবেন।
উত্তর
পানি নেওয়ার জন্য কোনো পাত্রে হাত
ঢুকালেই তা ব্যবহৃত হয়ে যায় না। তাই এক্ষেত্রে আপনার ঐ সকল অযু ও নামায
সহীহ হয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রে প্রথমে ছোট কোনো পাত্র দিয়ে পানি
নিয়ে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেওয়া
ভালো।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১/২৮০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৫;
রদ্দুল মুহতার ১/১১২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া মাজহারুল হক দারুল উলুম দেবগ্রাম আখাউড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া
01756473393
নিয়ে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেওয়া
ভালো।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১/২৮০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৫;
রদ্দুল মুহতার ১/১১২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া মাজহারুল হক দারুল উলুম দেবগ্রাম আখাউড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬০৫
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: অজু
অসুস্থ ব্যক্তির গোসল ফরজ হলে করনীয়৷
প্রশ্ন
গোসল ফরয হয়েছে এমন ব্যক্তি অসুস্থতার
কারণে গোসল করতে অক্ষম। কিন্তু অযু করতে সক্ষম এবং তার নিকট পর্যাপ্ত
পরিমাণ পানিও রয়েছে। আমার প্রশ্ন হল, উক্ত অবস্থায় কি শুধু তায়াম্মুম
করে নামায পড়লেই যথেষ্ট হবে নাকি তায়াম্মুমের সাথে অযুও করতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শুধু তায়াম্মুম
করে নামায পড়বে, অযু করবে না। তায়াম্মুমের সাথে অযু করার বিধান নেই।
উল্লেখ্য, গোসলের জন্য তায়াম্মুম করার পরে ঐ ব্যক্তি থেকে অযু ভঙ্গের কোনো
কারণ পাওয়া গেলে তখন অযু করা জরুরি। কেননা সে অযু করতে সক্ষম।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৩৩, ৩৮; রদ্দুল মুহতার ১/২৫৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩০; আলমুহীতুল
বুরহানী ১/৩৩০; আলবাহরুর রায়েক ১/১৫২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৩৩, ৩৮; রদ্দুল মুহতার ১/২৫৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩০; আলমুহীতুল
বুরহানী ১/৩৩০; আলবাহরুর রায়েক ১/১৫২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫৫২
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: অজু
পোষ্টার ব্যানারে বিসমিল্লাহ লেখা বা তার পরিবর্তে ৭৮৬ লেখা৷
প্রশ্ন
মুসলমানেরই এ কথা জানা যে, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কুরআন মজীদের একটি
গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা
অপরিহার্য। এবং হাদীসের আলোকে আমরা এও জানি যে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ কাজ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ব্যতীত অপূর্ণ ও বরকতশূন্য। এখন আমার জানার বিষয় হল, এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয় ও কাজ আছে, যার
গুরুত্ব ও প্রয়োজন সাময়িক। যথা-দাওয়াতনামা,
পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি। নির্ধারিত সময় পার
হওয়ার পর এসবের কোনো গুরুত্ব থাকে না বিধায় তা যেখানে সেখানে পড়ে থাকে। এমনকি অনেক সময় পদপিষ্টও হয়। অতএব
এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আরবী ভাষায় বা বাংলা উচ্চারণে লেখা যাবে
কি?
খ)
যেসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখার বিধান রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর পরিবর্তে ৭৮৬ অথবা বিসমিহী তাআলা লিখলে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর সওয়াব অর্জিত
হবে কি না? এ ব্যাপারে কুরআন-হাদীসের আলোকে, ফুকাহায়ে কেরাম ও মুফতী সাহেবদের অভিমত প্রমাণাদিসহ জানালে কুরআন মজীদের মর্যাদা রক্ষায় সচেতন হব এবং বিশেষভাবে উপকৃত হব।
গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা
অপরিহার্য। এবং হাদীসের আলোকে আমরা এও জানি যে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ কাজ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ব্যতীত অপূর্ণ ও বরকতশূন্য। এখন আমার জানার বিষয় হল, এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয় ও কাজ আছে, যার
গুরুত্ব ও প্রয়োজন সাময়িক। যথা-দাওয়াতনামা,
পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি। নির্ধারিত সময় পার
হওয়ার পর এসবের কোনো গুরুত্ব থাকে না বিধায় তা যেখানে সেখানে পড়ে থাকে। এমনকি অনেক সময় পদপিষ্টও হয়। অতএব
এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আরবী ভাষায় বা বাংলা উচ্চারণে লেখা যাবে
কি?
খ)
যেসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখার বিধান রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর পরিবর্তে ৭৮৬ অথবা বিসমিহী তাআলা লিখলে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর সওয়াব অর্জিত
হবে কি না? এ ব্যাপারে কুরআন-হাদীসের আলোকে, ফুকাহায়ে কেরাম ও মুফতী সাহেবদের অভিমত প্রমাণাদিসহ জানালে কুরআন মজীদের মর্যাদা রক্ষায় সচেতন হব এবং বিশেষভাবে উপকৃত হব।
উত্তর
ক)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কুরআন
মজীদের স্বতন্ত্র একটি আয়াত। এর মর্যাদা ও
সম্মানের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। এর হুকুম
কুরআন মজীদের অন্যান্য আয়াতের
মতোই। তাই অযু ছাড়া তা স্পর্শ করা যাবে না।
বিসমিল্লাহ লিখিত কাগজ কোনো অসম্মানের স্থানে ব্যবহার করাও জায়েয নয়। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত দাওয়াতনামা, পোস্টার ও ব্যানার, যা নির্ধারিত সময়ের পর কোনো
প্রয়োজন না থাকার দরুণ পথে-ঘাটে ও নর্দমায়
পড়ে থাকার আশঙ্কা থাকে এমনকি অনেক সময়
পদপিষ্ট হয়। এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহীম লেখা থেকে বিরত থাকা উচিত। চাই তা আরবীতে লেখা হোক বা বাংলা উচ্চারণে। একটি বর্ণনায় এসেছে, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. দেয়ালে বিসমিল্লাহ লেখার কারণে স্বীয় পুত্রকে প্রহার করেছেন। অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. সম্পর্কেও উদ্ধৃত হয়েছে।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৪৬২৩, ৪৬২২; আলমাবসূত, সারাখসী ১/১৫; ফাতহুল কাদীর ১/২৫৩৷
(খ)
চিঠিপত্র ও গুর"ত্বপূর্ণ লিখনির শুর "তে পুরো
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা সুন্নত।
আল্লাহর রাসূলের আমল ও উম্মতের মুতাওয়ারাছ
আমল (অর্থাৎ খায়র "ল কুরূন থেকে অদ্যাবধি
উম্মতের অবি ""ছন্ন কর্মধারা) দ্বারা এটি প্রমাণিত।
কুরআন মজীদে হযরত সুলায়মান আ.-এর চিঠির আলোচনা এসেছে, যাতে বিসমিল্লাহি দ্বারা
শুর " করার কথা উল্লেখ রয়েছে।-সূরা নামল : ৩০
সহীহ হাদীসে এসেছে, হযরত মিসওয়ার
ইবনে মাখরামা রা. ও হযরত মারওয়ান ইবনে হাকাম
রা. থেকে বর্ণিত, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময়
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সন্ধিপত্রের শুর "তে মুশরিকদের মুখপাত্র সুহাইল ইবনে আমর আপত্তি করে বলল,
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ক? আমরা তা জানি না।
আরবের প্রথা অনুযায়ী বিসমিকাল্লাহুম্মা লেখ।
তদুত্তরে সাহাবায়ে কেরামও বললেন, আল্লাহর শপথ!
আমরা বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ছাড়া সন্ধিপত্র
লিখব না।-সহীহ মুসলিম, হাদীস৷
সুতরাং চিঠিপত্র, গুরুত্বপূর্ণ লিখনির শুরুতে
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম লেখা সুন্নত। এর
পরিবর্তে অন্য কোনো শব্দ যেমন ৭৮৬
লিখলে ঐ সুন্নত আদায় হবে না এবং বিসমিল্লাহ-
এর সওয়াবও পাওয়া যাবে না। আর বিসমিহী তাআলা
লিখলে আল্লাহর নামে শুরু করার ফযীলত
তো পাওয়া যাবে, কিন্তু বিসমিল্লাহির রহমানির
রহীম লেখার সুন্নাত আদায় হবে না। প্রকাশ থাকে যে, লিফলেট, পোস্টার বা এ ধরনের কাগজের টুকরো, যেগুলো সাধারণত সংরক্ষণ করা হয় না সেসব কাগজে বিসমিল্লাহ লিখবে না; বরং তা আরম্ভ করার সময় শুধু মুখে বিসমিল্লাহ পাঠ করে নিলে চলবে।
-শরহু মুসলিম, নববী ২/৯৮; শরহুল মুনইয়াহ প " : ২; রদ্দুল মুহতার
১/৯৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কুরআন
মজীদের স্বতন্ত্র একটি আয়াত। এর মর্যাদা ও
সম্মানের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। এর হুকুম
কুরআন মজীদের অন্যান্য আয়াতের
মতোই। তাই অযু ছাড়া তা স্পর্শ করা যাবে না।
বিসমিল্লাহ লিখিত কাগজ কোনো অসম্মানের স্থানে ব্যবহার করাও জায়েয নয়। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত দাওয়াতনামা, পোস্টার ও ব্যানার, যা নির্ধারিত সময়ের পর কোনো
প্রয়োজন না থাকার দরুণ পথে-ঘাটে ও নর্দমায়
পড়ে থাকার আশঙ্কা থাকে এমনকি অনেক সময়
পদপিষ্ট হয়। এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহীম লেখা থেকে বিরত থাকা উচিত। চাই তা আরবীতে লেখা হোক বা বাংলা উচ্চারণে। একটি বর্ণনায় এসেছে, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. দেয়ালে বিসমিল্লাহ লেখার কারণে স্বীয় পুত্রকে প্রহার করেছেন। অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. সম্পর্কেও উদ্ধৃত হয়েছে।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৪৬২৩, ৪৬২২; আলমাবসূত, সারাখসী ১/১৫; ফাতহুল কাদীর ১/২৫৩৷
(খ)
চিঠিপত্র ও গুর"ত্বপূর্ণ লিখনির শুর "তে পুরো
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা সুন্নত।
আল্লাহর রাসূলের আমল ও উম্মতের মুতাওয়ারাছ
আমল (অর্থাৎ খায়র "ল কুরূন থেকে অদ্যাবধি
উম্মতের অবি ""ছন্ন কর্মধারা) দ্বারা এটি প্রমাণিত।
কুরআন মজীদে হযরত সুলায়মান আ.-এর চিঠির আলোচনা এসেছে, যাতে বিসমিল্লাহি দ্বারা
শুর " করার কথা উল্লেখ রয়েছে।-সূরা নামল : ৩০
সহীহ হাদীসে এসেছে, হযরত মিসওয়ার
ইবনে মাখরামা রা. ও হযরত মারওয়ান ইবনে হাকাম
রা. থেকে বর্ণিত, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময়
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সন্ধিপত্রের শুর "তে মুশরিকদের মুখপাত্র সুহাইল ইবনে আমর আপত্তি করে বলল,
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ক? আমরা তা জানি না।
আরবের প্রথা অনুযায়ী বিসমিকাল্লাহুম্মা লেখ।
তদুত্তরে সাহাবায়ে কেরামও বললেন, আল্লাহর শপথ!
আমরা বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ছাড়া সন্ধিপত্র
লিখব না।-সহীহ মুসলিম, হাদীস৷
সুতরাং চিঠিপত্র, গুরুত্বপূর্ণ লিখনির শুরুতে
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম লেখা সুন্নত। এর
পরিবর্তে অন্য কোনো শব্দ যেমন ৭৮৬
লিখলে ঐ সুন্নত আদায় হবে না এবং বিসমিল্লাহ-
এর সওয়াবও পাওয়া যাবে না। আর বিসমিহী তাআলা
লিখলে আল্লাহর নামে শুরু করার ফযীলত
তো পাওয়া যাবে, কিন্তু বিসমিল্লাহির রহমানির
রহীম লেখার সুন্নাত আদায় হবে না। প্রকাশ থাকে যে, লিফলেট, পোস্টার বা এ ধরনের কাগজের টুকরো, যেগুলো সাধারণত সংরক্ষণ করা হয় না সেসব কাগজে বিসমিল্লাহ লিখবে না; বরং তা আরম্ভ করার সময় শুধু মুখে বিসমিল্লাহ পাঠ করে নিলে চলবে।
-শরহু মুসলিম, নববী ২/৯৮; শরহুল মুনইয়াহ প " : ২; রদ্দুল মুহতার
১/৯৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫২০
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: অজু
গাড়ীর সিটে বসে ঘুমালে অযু ভাঙ্গে কিনা?
প্রশ্ন
আমার বন্ধু খালেদ অযু করে বাসে আরোহন
করে সায়েদাবাদের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পর ঝিমুনি আসলে সে সিটে হেলান দিয়ে
ঘুমিয়ে পড়ে। প্রায় দশ মিনিট ঘুমানোর পর জাগ্রত হয় এবং একটু পরই
গন্তব্যস্থলে নেমে মাগরিবের নামায পূর্বের অযুতেই আদায় করে। তার নামায কি
সহীহ হয়েছে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সিটে বসে ঘুমানো
অবস্থায় লোকটির কোমরের নিচের অংশ সিটের সাথে ভালোভাবে এঁটে লেগে থাকলে তার
অযু নষ্ট হয়নি বলে ধরা হবে।
এক্ষেত্রে ঐ অযু দিয়ে মাগরিবের নামায আদায়
করা সহীহ হয়েছে। তবে এধরনের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পুনরায় অযু করে নেওয়া ভালো। আর যদি ঘুমন্ত অবস্থায় সিট থেকে কোমরের নীচের অংশ পৃথক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে অযু নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে ঐ নামায পুনরায় পড়ে নিতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ১/১৩৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৪১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৯৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
এক্ষেত্রে ঐ অযু দিয়ে মাগরিবের নামায আদায়
করা সহীহ হয়েছে। তবে এধরনের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পুনরায় অযু করে নেওয়া ভালো। আর যদি ঘুমন্ত অবস্থায় সিট থেকে কোমরের নীচের অংশ পৃথক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে অযু নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে ঐ নামায পুনরায় পড়ে নিতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ১/১৩৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৪১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৯৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫১৩
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: অজু
কুরআন শরীফের কভারের উপর অযু বিহিন স্পর্শ করা৷
প্রশ্ন
বাজারে যে নূরানী হাফেজী কুরআন মজীদ
পাওয়া যায় তার উপরে প্লাস্টিকের কভার থাকে। বিনা অযুতে কি এই কভারের উপর
দিয়ে কুরআন মজীদ স্পর্শ করা যাবে?
উত্তর
না, অযু ছাড়া এই কভারের উপর স্পর্শ করা যাবে না। -রদ্দুল মুহতার ১/১৭৩-১৭৪; ইমদাদুল ফাত্তাহ
পৃ. ১৪৬৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
পৃ. ১৪৬৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫১১
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: অজু
তৈলাক্ত অঙ্গের উপর দিয়ে পানি পৌছালে অযু হবে কিনা?
প্রশ্ন
শীতকালে আমার হাত-পা ফেটে যায়। তাই
শীতকাল এলে হাত-পায়ে বেশি করে তেল বা লোশন মাখতে হয়। জানার বিষয় হল, অযু
করার সময় যেহেতু পানি তেল লোশনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাই এতে কি অযু
শুদ্ধ হবে?
উত্তর
হ্যাঁ, তেল বা লোশন ব্যবহারের পর
তৈলাক্ত অঙ্গসমূহে স্বাভাবিকভাবে পানি পৌঁছালেই অযু হয়ে যাবে। তৈলাক্ততা
দূর করে পানি পৌঁছানো জরুরি নয়। -আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫৪; ইমদাদুল ফাত্তাহ
পৃ. ৭০৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫০৬
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: অজু
পাক কাপড় ভিজানো পানি দিয়ে অযু করে নামায পড়া৷
প্রশ্ন
আমি একটি পাঞ্জাবি ধোয়ার জন্য বালতির
পানিতে ভিজিয়ে রাখি। কিছুক্ষণ পর বলতি থেকে উঠিয়ে তা ধুয়েই নিই। একটু পর
আমার অনুপস্থিতিতে আমার এক সহপাঠি এসে বালতির ঐ পানি দ্বারা অযু করে নামায
আদায় করে। জানার বিষয় হল, তার নামায কি আদায় হয়েছে? উল্লেখ্য, ঐ
পাঞ্জাবিটা অপবিত্র
ছিল না।
ছিল না।
উত্তর
ব্যবহৃত পাক কাপড় পানিতে ভিজানোর
দ্বারা ঐ পানি ব্যবহৃত পানির হুকুমে হয় না বা নাপাকও হয় না। তাই ঐ
ব্যক্তির অযু হয়ে গেছে এবং ঐ অযু দ্বারা আদায়কৃত নামাযও সহীহ হয়েছে।
-সহীহ মুসলিম ১/৩৮৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৫০; উমদাতুল ফিকহ ১/২৪৫৷ উত্তর
প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৪১৫
তারিখ: ১/৮/২০১৬
বিষয়: অজু
এক ব্যক্তির চোখে অপারেশন হয়েছে। এখন তার চোখে পানি লাগানো...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তির চোখে অপারেশন হয়েছে। এখন তার চোখে পানি লাগানো নিষেধ। তাই
গোসলের সময় গলার উপরে ধোয়া তার জন্য সম্ভব নয়। তেমনি অযুর সময়ও সে চেহারা ধুতে পারবে না। এখন তার গোসল ফরয হলে সে কীভাবে গোসল করবে এবং এ অবস্থায় সে কীভাবে অযু করবে?
গোসলের সময় গলার উপরে ধোয়া তার জন্য সম্ভব নয়। তেমনি অযুর সময়ও সে চেহারা ধুতে পারবে না। এখন তার গোসল ফরয হলে সে কীভাবে গোসল করবে এবং এ অবস্থায় সে কীভাবে অযু করবে?
উত্তর
ঐ ব্যক্তির যতদিন চোখে পানি লাগানো
নিষেধ থাকে ততদিন যেহেতু চেহারা ও মাথা ধুতে পারছে না তাই এ অবস্থায়
গোসলের জন্য সে গলা ও ঘাড়সহ নিচের দিকে পুরো শরীর ধৌত করবে। আর চেহারা ও
কানসহ পুরো মাথা ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ করবে। আর অযুর সময় পুরো চেহারা
ভেজা হাত দ্বারা
মাসাহ করবে। এছাড়া বাকি অযু যথানিয়মে করবে।
অর্থাৎ হাত, পা ধুবে এবং মাথা মাসাহ করবে। প্রকাশ থাকে যে, এ ধরনের রোগীর জন্য ভেজা হাত দ্বারা ব্যান্ডেজের উপর বা চোখের অংশে মাসাহ করাটা যদি ক্ষতিকর হয় তবে সেক্ষেত্রে ঐ অংশ মাসাহ না করলেও
চলবে।
-আলবাহরুর রায়েক ১/১১৬; মারাকিল ফালাহ প্র. ৬৮
মাসাহ করবে। এছাড়া বাকি অযু যথানিয়মে করবে।
অর্থাৎ হাত, পা ধুবে এবং মাথা মাসাহ করবে। প্রকাশ থাকে যে, এ ধরনের রোগীর জন্য ভেজা হাত দ্বারা ব্যান্ডেজের উপর বা চোখের অংশে মাসাহ করাটা যদি ক্ষতিকর হয় তবে সেক্ষেত্রে ঐ অংশ মাসাহ না করলেও
চলবে।
-আলবাহরুর রায়েক ১/১১৬; মারাকিল ফালাহ প্র. ৬৮
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৭৬
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: অজু
গোসল ফরয হয়েছে এমন ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে গোসল করতে অক্ষম...
প্রশ্ন
গোসল ফরয হয়েছে এমন ব্যক্তি অসুস্থতার
কারণে গোসল করতে অক্ষম কিন্তু অযু করতে সক্ষম এবং তার নিকট পর্যাপ্ত পানিও
আছে। এ অবস্থায় শুধু তায়াম্মুম করবে নাকি অযুও করতে হবে।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি গোসলের
পরিবর্তে শুধু তায়াম্মুম করবে। অযু করবে না। কারণ এক্ষেত্রে তায়াম্মুমই
অযু-গোসল উভয়টির জন্য যথেষ্ট হবে। তবে গোসলের জন্য তায়াম্মুম করার পর অযু
ভঙ্গের কোনো কারণ পাওয়া গেলে তখন পবিত্রতার জন্য তাকে অযুই করতে হবে।
তায়াম্মুম করলে হবে না। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৭৮৭; আলমাবসূত,
সারাখসী ১/১১৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৩৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৩৯৪;
রদ্দুল মুহতার ১/২৩২
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৭৫
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: অজু
কয়েকদিন হল, আমার সর্দি লেগেছে। একপর্যায়ে সর্দি ঘন ও শক্ত...
প্রশ্ন
কয়েকদিন হল, আমার সর্দি লেগেছে। একপর্যায়ে সর্দি ঘন ও শক্ত হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে
সর্দির সাথে জমাট রক্তও বের হয়। এতে আমার অযু ভাঙ্গবে কি?
সর্দির সাথে জমাট রক্তও বের হয়। এতে আমার অযু ভাঙ্গবে কি?
উত্তর
এভাবে জমাট রক্ত বের হওয়ার দ্বারা অযু
ভঙ্গ হয় না। অবশ্য সর্দির সাথে তরল রক্ত গড়িয়ে পড়া পরিমাণ বের হলে অযু
নষ্ট হয়ে যাবে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১;
রদ্দুল মুহতার ১/১৩৯, ১৩৪
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৬৮
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: অজু
আমি একদিন জামাতে নামায পড়ছিলাম। ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠার...
প্রশ্ন
আমি একদিন জামাতে নামায পড়ছিলাম। ইমাম
সাহেব রুকু থেকে উঠার সময় সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ না বলে আল্লাহু
আকবার বলে ফেলেন। এতে আমার মুখ দিয়ে হাসি বের হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও
চেপে রাখতে পারিনি। নামায শেষে আমার পাশের এক ভাই বললেন, নামাযে উচ্চস্বরে
হাসলে অযু ভেঙ্গে যায়। তাই অযু করে আবার নামায পড়ে নাও। আমার জানার
বিষয় হল, ঐ ভাইয়ের কথাটা কি ঠিক?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার হাসির
আওয়াজ যদি পাশের লোক ছাড়াও অন্যরা শুনে থাকে তবে আপনার অযু নষ্ট হয়ে
গেছে। নাফে রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেছেন,
যে ব্যক্তি নামাযে শব্দ করে হাসবে সে নতুন করে অযু করবে এবং পুনরায় নামায
আদায় করবে। -কিতাবুল হুজ্জাহ ১/১৪০ আর যদি হাসির শব্দ শুধু ডান- বামের লোক
শুনে, অন্যরা না শুনে তাহলে আপনার অযু ভাঙ্গেনি। তবে এতটুকু আওয়াজে হাসার
কারণে নামায ভেঙ্গে গেছে। তা আবার পড়ে নিতে হবে। -কিতাবুল আছল ১/৪৫-৪৬;
কিতাবুল হুজ্জাহ ১/১৩৯; মাজমাউয যাওয়াইদ ২/৩৩৬
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৬৫
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: অজু
এক ব্যক্তির চোখে অপারেশন হয়েছে। এখন তার চোখে পানি লাগানো...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তির চোখে অপারেশন হয়েছে। এখন
তার চোখে পানি লাগানো নিষেধ। তাই গোসলের সময় গলার উপরে ধোয়া তার জন্য
সম্ভব নয়। তেমনি অযুর সময়ও সে চেহারা ধুতে পারবে না। এখন তার গোসল ফরয
হলে সে কীভাবে গোসল করবে এবং এ অবস্থায় সে কীভাবে অযু করবে?
উত্তর
ঐ ব্যক্তির যতদিন চোখে পানি লাগানো
নিষেধ থাকে ততদিন যেহেতু চেহারা ও মাথা ধুতে পারছে না তাই এ অবস্থায়
গোসলের জন্য সে গলা ও ঘাড়সহ নিচের দিকে পুরো শরীর ধৌত করবে। আর চেহারা ও
কানসহ পুরো মাথা ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ
করবে।
আর অযুর সময় পুরো চেহারা ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ করবে। এছাড়া বাকি অযু যথানিয়মে করবে। অর্থাৎ হাত, পা ধুবে এবং মাথা মাসাহ
করবে।
প্রকাশ থাকে যে, এ ধরনের রোগীর জন্য ভেজা হাত দ্বারা ব্যান্ডেজের উপর বা চোখের অংশে মাসাহ করাটা যদি ক্ষতিকর হয় তবে সেক্ষেত্রে ঐ অংশ মাসাহ না করলেও চলবে। -আলবাহরুর রায়েক ১/১১৬; মারাকিল ফালাহ প্র. ৬৮
করবে।
আর অযুর সময় পুরো চেহারা ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ করবে। এছাড়া বাকি অযু যথানিয়মে করবে। অর্থাৎ হাত, পা ধুবে এবং মাথা মাসাহ
করবে।
প্রকাশ থাকে যে, এ ধরনের রোগীর জন্য ভেজা হাত দ্বারা ব্যান্ডেজের উপর বা চোখের অংশে মাসাহ করাটা যদি ক্ষতিকর হয় তবে সেক্ষেত্রে ঐ অংশ মাসাহ না করলেও চলবে। -আলবাহরুর রায়েক ১/১১৬; মারাকিল ফালাহ প্র. ৬৮
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৬৩
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: অজু
আমার সন্দেহের রোগ আছে। অযু থেকে ফারেগ হওয়ার পর পরই...
প্রশ্ন
আমার সন্দেহের রোগ আছে। অযু থেকে ফারেগ হওয়ার পর পরই মনে হয় যেন মাথা মাসাহ করিনি। এই সন্দেহ হওয়ার
কারণে পুনরায় মাথা মাসাহ করি। তাছাড়া কোনোক্রমেই স্বস্তি পাই না। আমি জানতে চাই, এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী এবং এই সন্দেহের রোগ দূর করার উপায় কী?
কারণে পুনরায় মাথা মাসাহ করি। তাছাড়া কোনোক্রমেই স্বস্তি পাই না। আমি জানতে চাই, এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী এবং এই সন্দেহের রোগ দূর করার উপায় কী?
উত্তর
আপনার কর্তব্য, অযু করার সময় মনোযোগ
সহকারে অযু করা।অতপর অযু শেষ হওয়ার পরে মাথা মাসাহ না করার ব্যাপারে যতই
সন্দেহ হোক সেদিকে মোটেই ভ্রুক্ষেপ না করা এবং কখনো সন্দেহের ভিত্তিতে
পুনরায় মাথা মাসাহও না করা। এই সন্দেহ নিশ্চয়ই শয়তানের পক্ষ থেকে
ওয়াসওয়াসা। কিছুদিন এভাবে করলে ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৮; আলমুহীতুল বুরহানী ১/২১৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫০
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৮; আলমুহীতুল বুরহানী ১/২১৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫০
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৫২
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: অজু
এক ব্যক্তির চোখে অপারেশন হয়েছে। এখন তার চোখে পানি লাগানো...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তির চোখে অপারেশন হয়েছে। এখন
তার চোখে পানি লাগানো নিষেধ। তাই গোসলের সময় গলার উপরে ধোয়া তার জন্য
সম্ভব নয়। তেমনি অযুর সময়ও সে চেহারা ধুতে পারবে না। এখন তার গোসল ফরয
হলে সে কীভাবে গোসল করবে এবং এ অবস্থায় সে কীভাবে অযু করবে?
উত্তর
ঐ ব্যক্তির যতদিন চোখে পানি লাগানো
নিষেধ থাকে ততদিন যেহেতু চেহারা ও মাথা ধুতে পারছে না তাই এ অবস্থায়
গোসলের জন্য সে গলা ওঘাড়সহ নিচের দিকে পুরো শরীর ধৌত করবে। আর চেহারা ও
কানসহ পুরো মাথা ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ করবে।আর অযুর সময় পুরো চেহারা ভেজা
হাত দ্বারা মাসাহ করবে। এছাড়া বাকি অযু যথানিয়মে করবে। অর্থাৎ হাত,পা
ধুবে এবং মাথা মাসাহ করবে।প্রকাশ থাকে যে,এ ধরনের রোগীর জন্য ভেজা হাত
দ্বারা ব্যান্ডেজের উপর বা চোখের অংশে মাসাহ করাটা যদি ক্ষতিকর হয় তবে
সেক্ষেত্রে ঐ অংশ মাসাহ না করলেও চলবে।
-আলবাহরুর রায়েক ১/১১৬; মারাকিল ফালাহ প্র. ৬৮৩
-আলবাহরুর রায়েক ১/১১৬; মারাকিল ফালাহ প্র. ৬৮৩
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭২৯
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: অজু
আমার এক পায়ে ব্যান্ডেজ। অযু করার সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ...
প্রশ্ন
আমার এক পায়ে ব্যান্ডেজ। অযু করার
সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করি। জানার বিষয় হল, ঐ ব্যান্ডেজের উপর মোজা
পরলে কি তার উপর মাসাহ করা
যাবে?
যাবে?
উত্তর
হাঁ, ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করে এবং
অন্য পা ধুয়ে চামড়া জাতীয় মোজা পরা হলে পরবর্তী অযুর সময় থেকে উক্ত
মোজার উপর মাসাহ করা যাবে। মাসাহর নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলে উভয় মোজা
খুলে পুণরায় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করে নিবে এবং অপর পা ধুয়ে
নিবে।
-শরহুয যিয়াদাত ১/১৫৮; রদ্দুল মুহতার ১/২৮০; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৫৭; কিতাবুল আসল ১/৭৩; শরহুল মুনইয়াহ ১২৩
নিবে।
-শরহুয যিয়াদাত ১/১৫৮; রদ্দুল মুহতার ১/২৮০; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৫৭; কিতাবুল আসল ১/৭৩; শরহুল মুনইয়াহ ১২৩
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২৭৭
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: অজু
আমাদের এক সহপাঠী উচ্চস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করে থাকেন এবং সিজদার...
প্রশ্ন
আমাদের এক সহপাঠী উচ্চস্বরে কুরআন
তিলাওয়াত করে থাকেন এবং সিজদার আয়াত এলেও উচ্চস্বরে পড়েন। অথচ সে সময়
আমরা অনেকেই অযু অবস্থায় থাকি না কিংবা অযু অবস্থায় থাকলেও সিজদা আদায়
করতে ভুলে যাই। তাই আমরা তাকে অনুচ্চস্বরে সিজদার আয়াত পড়তে বলি। কিন্তু
সে আমাদের কথায় কর্ণপাত করে না; বরং বিভিন্ন ধরনের যুক্তি দিয়ে থাকে।
মুফতী সাহেবের কাছে প্রশ্ন হল, বর্ণিত অবস্থায় তিলাওয়াতের সময় সিজদার
আয়াত আস্তে পড়ার বিধান আছে কি? আশা করি উত্তর জানাবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সিজদার
আয়াত অনুচ্চস্বরেই তিলাওয়াত করা উচিত। কেননা উপস্থিত লোকজন সিজদা আদায়ে প্রস্তুত না থাকলে কিংবা ভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলে
সিজদার আয়াত উচ্চস্বরে না পড়া
উত্তম।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৫০; আননাহরুল ফায়েক ১/৩৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/১১৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫০৫
আয়াত অনুচ্চস্বরেই তিলাওয়াত করা উচিত। কেননা উপস্থিত লোকজন সিজদা আদায়ে প্রস্তুত না থাকলে কিংবা ভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলে
সিজদার আয়াত উচ্চস্বরে না পড়া
উত্তম।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৫০; আননাহরুল ফায়েক ১/৩৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/১১৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫০৫
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২৫৮
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: অজু
আমি দৈনন্দিন ওযিফার জন্য আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ তিন...
প্রশ্ন
আমি দৈনন্দিন ওযিফার জন্য আয়াতুল
কুরসী, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত এবং আরো কিছু আয়াত ও
ছোট ছোট কয়েকটি সূরা টাইপ
করে লেমিনেটিং করে রেখেছি। সকাল-সন্ধ্যা এগুলো পাঠ করি। অনেক সময় দেখা যায়, পাঠকালে অযু থাকে না। তাই জানার বিষয় হল,
বিনা ওযুতে উক্তলেমিনেটিং করা কাগজ বা তার লেখা স্পর্শ করা জায়েয হবে কি?
কুরসী, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত এবং আরো কিছু আয়াত ও
ছোট ছোট কয়েকটি সূরা টাইপ
করে লেমিনেটিং করে রেখেছি। সকাল-সন্ধ্যা এগুলো পাঠ করি। অনেক সময় দেখা যায়, পাঠকালে অযু থাকে না। তাই জানার বিষয় হল,
বিনা ওযুতে উক্তলেমিনেটিং করা কাগজ বা তার লেখা স্পর্শ করা জায়েয হবে কি?
উত্তর
কাগজটি লেমিনেটিং করা হলেও অযু
ছাড়া লিখিত আয়াত বা সূরার উপর সরাসরি হাত লাগানো জায়েয হবে না।
তবে এটি যেহেতু কুরআন শরীফ নয় তাই
কাগজের যে অংশে আয়াত লেখা নেই তা স্পর্শ করা জায়েয হবে।
এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, লিখিত অংশের উপর যেন হাত না লাগে।
কিন্তু উক্ত কাগজে যেহেতু শুধু আয়াতই লিখা রয়েছে তাই সাদা অংশও অযু ছাড়া স্পর্শ না করা উচিত।
-আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭৩, ২৯৩; আলবাহরুর রায়েক ১/২০১; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৭৭
ছাড়া লিখিত আয়াত বা সূরার উপর সরাসরি হাত লাগানো জায়েয হবে না।
তবে এটি যেহেতু কুরআন শরীফ নয় তাই
কাগজের যে অংশে আয়াত লেখা নেই তা স্পর্শ করা জায়েয হবে।
এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, লিখিত অংশের উপর যেন হাত না লাগে।
কিন্তু উক্ত কাগজে যেহেতু শুধু আয়াতই লিখা রয়েছে তাই সাদা অংশও অযু ছাড়া স্পর্শ না করা উচিত।
-আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭৩, ২৯৩; আলবাহরুর রায়েক ১/২০১; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৭৭
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২২৫
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: অজু
শীতকালে অনেককে দেখা যায় অযুর পূর্বে প্রথমে পা ভিজিয়ে নেয়।...
প্রশ্ন
শীতকালে অনেককে দেখা যায় অযুর পূর্বে প্রথমে পা ভিজিয়ে নেয়। এটা কেমন?
উত্তর
শীতকালে শুষ্কতার কারণে চামড়ার ভাঁজে
সহজে পানি পৌঁছে না। পা ভিজিয়ে নিলে ধোয়া সহজ হয়। তাই সতর্কতামূলক আগে
পা ভিজিয়ে নেওয়া বা পানি ছিটিয়ে দেওয়া ভালো। এতে দোষের কিছু নেই।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯; ইলাউস সুনান ১/১৩৩;
রদ্দুল মুহতার ১/১৩১
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২১৮
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: অজু
অযুতে হাত পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার বিধান কী? পায়ের আঙ্গুল...
প্রশ্ন
অযুতে হাত পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার বিধান কী? পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার সঠিক নিয়ম জানতে চাই।
উত্তর
স্বাভাবিকভাবে আঙ্গুলের ফাঁকে পানি
পৌঁছে গেলে খিলাল করা সুন্নাত। আর খিলাল ব্যতীত পানি না পৌঁছলে খিলাল করা
ফরয। পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার নিয়ম হল, খিলালের জন্য বাম হাতের কনিষ্ঠা
ব্যবহার করবে এবং ডান পায়ের কনিষ্ঠা থেকে শুরু করবে। খিলালের সময় পায়ের
উপর দিক দিয়ে আঙ্গুল প্রবেশ করাবে অতঃপর আঙুলের গোড়া থেকে উপরের দিকে
টেনে নিয়ে যাবে। -সুনানে আবু দাউদ ১/১৯-২০; জামে তিরমিযী ১/১৬; মুসনাদে
আহমদ ২৯/৩৮৮,
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২১৪
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: অজু
অসুস্থতার কারণে আমি গোসল করতে পারি না। কিন্তু অযু করতে...
প্রশ্ন
অসুস্থতার কারণে আমি গোসল করতে পারি
না। কিন্তু অযু করতে পারি। প্রশ্ন হল, আমি কি ফরয গোসলের পরিবর্তে অযু করতে
পারব? নাকি তায়াম্মুম করব।
উত্তর
ফরয গোসল করতে সক্ষম না হলে গোসলের
পরিবর্তে তায়াম্মুম করবেন। এক্ষেত্রে অযু করার প্রয়োজন নেই। কেননা
এক্ষেত্রে এই তায়াম্মুমই গোসল এবং অযুর জন্য যথেষ্ট। আর এই তায়াম্মুম
দ্বারা তিলাওয়াত, নামায ইত্যাদি পড়তে পারবেন। অবশ্য এরপর অযু ভঙ্গের কোনো
কারণ পাওয়া গেলে তখন অযু করতে হবে। আর পরবর্তীতে যখন গোসল করার সামর্থ্য
হবে তখন গোসল করে নিতে হবে।
-কিতাবুল আস্ল ১/১০৭; মাবসূত, সারাখসী ১/১১৪; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৩৮; ফাতাওয়া খানিয়া ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৯; আলবাহরুর রায়েক ১/১৫২
-কিতাবুল আস্ল ১/১০৭; মাবসূত, সারাখসী ১/১১৪; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৩৮; ফাতাওয়া খানিয়া ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৯; আলবাহরুর রায়েক ১/১৫২
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২১৩
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: অজু
অযুর সময় থুতনির নিচের অংশও কি ধোয়া জরুরি? কেউ যদি...
প্রশ্ন
অযুর সময় থুতনির নিচের অংশও কি ধোয়া জরুরি? কেউ যদি এ অংশ পুরোপুরি না ধোয় তাহলে কি তার অযু সহীহ হবে?
উত্তর
অযুতে থুতনির নিচের অংশ ধোয়া লাগবে না। ঐ অংশ না ধুলেও অযু হয়ে যাবে। খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২১; আস সেআয়া ১/৪৬
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮১৫
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: অজু
নামায চলাকালীন অনিচ্ছাকৃত মূত্র ফোঁটা নির্গত হলে কি নামায বাতিল...
প্রশ্ন
নামায চলাকালীন অনিচ্ছাকৃত মূত্র ফোঁটা নির্গত হলে কি নামায বাতিল হয়ে যাবে?
উত্তর
নামাযে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় প্রস্রাবের ফোঁটা বের হলে অযু নষ্ট হয়ে যাবে এবং নামাযও নষ্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অযু করে
নতুনভাবে নামায পড়তে হবে। তবে নিশ্চিতভাবে প্রস্রাবের ফোঁটা বের হলেই কেবল অযু নষ্ট হবে,শুধু সন্দেহের উপর
ভিত্তি করে নামায ছাড়া যাবে না। -আলমুহীতুল বুরহানী ১/১৮০; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১; শরহুল মুনইয়া ১২৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৩৪
নতুনভাবে নামায পড়তে হবে। তবে নিশ্চিতভাবে প্রস্রাবের ফোঁটা বের হলেই কেবল অযু নষ্ট হবে,শুধু সন্দেহের উপর
ভিত্তি করে নামায ছাড়া যাবে না। -আলমুহীতুল বুরহানী ১/১৮০; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১; শরহুল মুনইয়া ১২৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৩৪
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৫৬০
তারিখ: ১/১/২০১৫
বিষয়: অজু
জামাতে নামায আদায় করার সময় কারো অযু ছুটে গেলে নিয়ত...
প্রশ্ন
জামাতে নামায আদায় করার সময় কারো অযু ছুটে গেলে নিয়ত ছেড়ে দিয়ে রুকু-সিজদায় ইমামের অনুসরণ করা হয় তাহলে তা জায়েয
হবে কি?
একটি কিতাবে তা জায়েয বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মসজিদের ইমাম ছাহেব বলছেন, এটা জায়েয হবে না। সঠিক মাসআলাটি জানতে চাই।
হবে কি?
একটি কিতাবে তা জায়েয বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মসজিদের ইমাম ছাহেব বলছেন, এটা জায়েয হবে না। সঠিক মাসআলাটি জানতে চাই।
উত্তর
জামাতে নামায পড়া অবস্থায় কোনো
ব্যক্তির অযু ছুটে গেলে সম্ভব হলে তৎক্ষণাৎ অযুর জন্য বের হয়ে যাবে। ইমামের
নামায শেষ হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকবে না। সাহাবা- তাবেয়ীদের একাধিক আছার
দ্বারা এ বিষয়টি প্রমাণিত। যেমন আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
নামাযরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে উমর ইবনুল
খাত্তাব রা. বলেন, সে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং অযু করে আসবে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৯৫০) সালমান ফারেসী রা. থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কারো যদি নামাযে অযু ছুটে যায় তাহলে সে যেন বের
হয়ে অযু করে আসে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৯৫৪) আবদুল্লাহ
ইবনে উমর রা.-এর নাক থেকে নামায অবস্থায় রক্ত বের হলে তিনি ফিরে গিয়ে অযু
করে আসতেন। (মুআত্তা মালেক, হাদীস : ৫০) ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেছেন, নামায
অবস্থায় যে ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হবে অথবা অযু ছুটে যাবে সে (মসজিদ
থেকে) বের হয়ে যাবে এবং অযু করে আসবে। (কিতাবুল আছার ১/১৬২) সাহাবা-তাবেয়ীন
থেকে এ ধরনের আরো বর্ণনা রয়েছে। এ সকল বর্ণনা থেকে এ
কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে অযু
ছুটে গেলে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে। অবশ্য মসজিদে মুসল্লী সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে কাতারের মাঝখান থেকে বের হওয়া সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে নামায শেষ হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও অযু ছুটে যাওয়ার পর লজ্জা, সংকোচ বা অন্য কোনো কারণে বিনা অযুতে ইমামের সাথে রুকু সিজদা করতে থাকা ঠিক হবে না। কোনো নির্ভরযোগ্য কিতাবে এমনটি করার কথা পাওয়া যায়নি। প্রশ্নোক্ত কিতাবের ঐ বক্তব্য ঠিক নয়।
কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে অযু
ছুটে গেলে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে। অবশ্য মসজিদে মুসল্লী সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে কাতারের মাঝখান থেকে বের হওয়া সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে নামায শেষ হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও অযু ছুটে যাওয়ার পর লজ্জা, সংকোচ বা অন্য কোনো কারণে বিনা অযুতে ইমামের সাথে রুকু সিজদা করতে থাকা ঠিক হবে না। কোনো নির্ভরযোগ্য কিতাবে এমনটি করার কথা পাওয়া যায়নি। প্রশ্নোক্ত কিতাবের ঐ বক্তব্য ঠিক নয়।
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৫২৭
তারিখ: ১/১/২০১৫
বিষয়: অজু
এক ব্যক্তির কাছে শুনলাম, গোসল ফরয অবস্থায় কবর যিয়ারত করা...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তির কাছে শুনলাম, গোসল ফরয অবস্থায় কবর যিয়ারত করা জায়েয নেই। বিষয়টি কি সঠিক? জানিয়ে বাধিত
করবেন।
করবেন।
উত্তর
নাপাক অবস্থায় কবর যিয়ারত না করাই
শ্রেয়। একান্ত কখনো গোসল করতে বিলম্ব হলে যিয়ারতের আগে অন্তত অযু করে
নিবে। অবশ্য গোসল ফরয অবস্থায়ও কবর যিয়ারত নিষিদ্ধ নয়। তবে কেউ এ
অবস্থায় যিয়ারতে গেলে কুরআন মাজীদের কোনো আয়াত পড়তে পারবে না। মৃতের
জন্য দুআ-দরূদ পড়তে পারবে। -রদ্দুল মুহতার ১/২৯৩; ফাতাওয়া সিরাজিয়া ৮;
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪৮১; হাশিয়াতুত তহতাবী
আলাদ্দুর ১/১৫১
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৩৩০
তারিখ: ১/১১/২০১৪
বিষয়: অজু
আমি দৈনন্দিন ওযিফার জন্য আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ তিন...
প্রশ্ন
আমি দৈনন্দিন ওযিফার জন্য আয়াতুল
কুরসী, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত এবং আরো কিছু আয়াত ও ছোট ছোট কয়েকটি
সূরা টাইপ করে লেমিনেটিং করে রেখেছি। সকাল-সন্ধ্যা এগুলো পাঠ করি। অনেক
সময় দেখা যায়, পাঠকালে অযু থাকে না। তাই জানার বিষয় হল, বিনা ওযুতে উক্ত
লেমিনেটিং করা কাগজ বা তার লেখা স্পর্শ করা জায়েয হবে কি?
উত্তর
কাগজটি লেমিনেটিং করা হলেও অযু ছাড়া
লিখিত আয়াত বা সূরার উপর সরাসরি হাত লাগানো জায়েয হবে না। তবে এটি যেহেতু
কুরআন শরীফ নয় তাই কাগজের যে অংশে আয়াত লেখা নেই তা স্পর্শ করা জায়েয
হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, লিখিত অংশের উপর যেন হাত না লাগে। কিন্তু
উক্ত কাগজে যেহেতু শুধু আয়াতই লিখা রয়েছে তাই সাদা অংশও অযু ছাড়া স্পর্শ
না করা উচিত। -আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭৩, ২৯৩; আলবাহরুর রায়েক ১/২০১;
হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৭৭
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৩১০
তারিখ: ১/১১/২০১৪
বিষয়: অজু
আমি কিছুদিন পূর্বে গুরুতর আহত হই। এতে হাতসহ বিভিন্ন জায়গা...
প্রশ্ন
আমি কিছুদিন পূর্বে গুরুতর আহত হই। এতে
হাতসহ বিভিন্ন জায়গা জখম হয়। হাতের জখম সবসময় ব্যান্ডেজ করা থাকে। তাই
অযুর সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করি। নতুন ব্যান্ডেজ লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর
পর হাতের ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করতে হয়। আমার জানার বিষয় হল, ব্যান্ডেজ
পরিবর্তন করার কারণে কি অযু ভেঙ্গে যায়? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করার পর
ব্যান্ডেজ খুলে নতুন ব্যান্ডেজ লাগালে অযু বা মাসেহ কিছুই নষ্ট হয় না। তবে
এত্রে নতুন ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করে নেওয়া উত্তম। হ্যাঁ, ক্ষত ভালো
হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ খোলা হলে পূর্বের মাসেহ বাতিল হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে পূর্বের অযু বহাল রাখতে হলে মাসেহের স্থান ধুয়ে নিতে হবে।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫১; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১;
রদ্দুল মুহতার ১/২৮০
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈
প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।
>>নিম্নের লিংক ক্লিক করে ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন<<
১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।
২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন।
৩/ যত বেশি সম্ভব أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) পড়ুন। দিনে কমপক্ষে ১০০ বার পড়ুন।
৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।
৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।
৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv
#ibtv99
#ibtv99
0 Comments