রিয়াযুস স্বা-লিহীন, ১০/ ই‘তিকাফ (ইবাদত-উপাসনার জন্য
একান্তে অবস্থান করা)১/১২৭৬। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে
বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশকে
ই‘তিকাফ করতেন।’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
বুখারি -2044
রিয়াযুস স্বা-লিহীন, ১০/ ই‘তিকাফ (ইবাদত-উপাসনার জন্য একান্তে
অবস্থান করা)৩/১২৭৮। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি
বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক রমযান মাসের (শেষ)
দশদিন ই‘তিকাফ করতেন। তারপর যে বছরে তিনি মারা যান, সে বছরে বিশ দিন
ই‘তিকাফ করেছিলেন।’ (বুখারী)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ فِي كُلِّ رَمَضَانَ عَشْرَةَ
أَيَّامٍ، فَلَمَّا كَانَ العَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ اعْتَكَفَ
عِشْرِينَ يَوْماً . رواه البخا
عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كَانَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ العَشْرَ
الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ . متفقٌ عَلَيْهِ
বুখারি,-2025, মুসলিম-1171
রিয়াযুস স্বা-লিহীন, ১০/ ই‘তিকাফ (ইবাদত-উপাসনার জন্য একান্তে
অবস্থান করা)২/১২৭৭। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, ‘নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশকে মহান আল্লাহ তাঁকে
মৃত্যুদান করা পর্যন্ত ই‘তিকাফ করেছেন। তাঁর (তিরোধানের) পর তাঁর স্ত্রীগণ
ই‘তিকাফ করেছেন।’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم كَانَ يَعْتَكِفُ العَشْرَ الأوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ،
حَتَّى تَوَفَّاهُ اللهُ تَعَالَى، ثُمَّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ
بَعْدِهِ . متفقٌ عَلَيْه
বুখারি-2026, মুলিম-1072
সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৩/
বুখারি-2026, মুলিম-1072
সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৩/
বুখারি-২০২৬. নাবী সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে,
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের শেষ দশক ই‘তিকাফ করতেন।
তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীগণও (সে দিনগুলোতে)
ই‘তিকাফ করতেন। (২০৩৩, ২০৩৪, ২০৪১, ২০৪৫, মুসলিম ১৪/১, হাঃ ১১৭২, আহমাদ
২৬০১১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৮৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯৬)
Narrated `Aisha: (the wife of the Prophet) The Prophet (ﷺ)
used to practice I`tikaf in the last ten days of Ramadan till he died
and then his wives used to practice I`tikaf after him.
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ
عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ
عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ
يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللهُ
ثُمَّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৩/ ই‘তিকাফ২০২৭. আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)
হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের
মধ্যম দশকে ই‘তিকাফ করতেন। এক বছর এরূপ ই‘তিকাফ করেন, যখন একুশের রাত এল,
যে রাতের সকালে তিনি তাঁর ই‘তিকাফ হতে বের হবেন, তখন তিনি বললেনঃ যারা আমার
সঙ্গে ই‘তিকাফ করেছে তারা যেন শেষ দশকে ই‘তিকাফ করে। আমাকে স্বপ্নে এই রাত
(লাইলাতুল কদর [ক্বদর]) দেখানো হয়েছিল, পরে আমাকে তা (সঠিক তারিখ) ভুলিয়ে
দেয়া হয়েছে। অবশ্য আমি স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি যে, ঐ রাতের সকালে আমি
কাদা-পানির মাঝে সিজদা করছি। তোমরা তা শেষ দশকে তালাশ কর এবং প্রত্যেক
বেজোড় রাতে তালাশ কর। পরে এই রাতে আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষিত হয়, মসজিদের ছাদ
ছিল খেজুরের পাতার ছাউনির। ফলে মসজিদে টপটপ করে বৃষ্টি পড়তে লাগল। একুশের
রাতের সকালে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কপালে
কাদা-পানির চিহ্ন আমার এ দু’চোখ দেখতে পায়। (৬৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৮৫,
ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯৭)
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri: Allah's Messenger (ﷺ) used to
practice I`tikaf in the middle ten days of Ramadan and once he stayed
in I`tikaf till the night of the twenty-first and it was the night in
the morning of which he used to come out of his I`tikaf. The Prophet (ﷺ)
said, "Whoever was in I`tikaf with me should stay in I`tikaf for the
last ten days, for I was informed (of the date) of the Night (of Qadr)
but I have been caused to forget it. (In the dream) I saw myself
prostrating in mud and water in the morning of that night. So, look for
it in the last ten nights and in the odd ones of them." It rained that
night and the roof of the mosque dribbled as it was made of leaf stalks
of date-palms. I saw with my own eyes the mark of mud and water on the
forehead of the Prophet (i.e. in the morning of the twenty-first).
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ
يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ
بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله
عليه وسلم كَانَ يَعْتَكِفُ فِي الْعَشْرِ الأَوْسَطِ مِنْ رَمَضَانَ
فَاعْتَكَفَ عَامًا حَتَّى إِذَا كَانَ لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ
وَهِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي يَخْرُجُ مِنْ صَبِيحَتِهَا مِنْ اعْتِكَافِهِ
قَالَ مَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَعْتَكِفْ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ
وَقَدْ أُرِيتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا وَقَدْ رَأَيْتُنِي
أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ مِنْ صَبِيحَتِهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي
الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَالْتَمِسُوهَا فِي كُلِّ وِتْرٍ فَمَطَرَتْ
السَّمَاءُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَكَانَ الْمَسْجِدُ عَلَى عَرِيشٍ فَوَكَفَ
الْمَسْجِدُ فَبَصُرَتْ عَيْنَايَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى
جَبْهَتِهِ أَثَرُ الْمَاءِ وَالطِّينِ مِنْ صُبْحِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ
0 Comments