গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?
প্রশ্নঃ গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?
উত্তরঃ
গুপ্ত অভ্যাস (হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন) করা কিতাব, সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম।
গুপ্ত অভ্যাস (হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন) করা কিতাব, সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম।
কিতাব বা কুরআনের দলীল:
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“যারা
নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের পত্নি অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের
ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। আর যারা এদের ছাড়া অন্যকে
কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” (সূরা মু’মিনূন ৫-৭)
সুতরাং
যে ব্যক্তি তার স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসী (অধিকারভুক্ত দাসী বলতে
ক্রীতদাসী ও কাফের যুদ্ধবন্দিনীকে বুঝানো হয়েছে। এখানে কাজের মেয়ে, দাসী,
খাদেম বা চাকরানী উদ্দেশ্য নয়।) ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা কামলালসা চরিতার্থ
করতে চায়, সে ব্যক্তি “এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে।” বলা বাহুল্য, এই
আয়াতের পরিপেক্ষিতে সে সীমালঙ্ঘঙ্কারী বলে বিবেচিত হবে।
সুন্নাহ থেকে দলীল:
আল্লাহ্র নবী (সঃ) বলেন,
“হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্ত্রী সঙ্গম ও বিবাহ খরচে সমর্থ, সে যেন বিবাহ করে! কারণ টা অধিক দৃষ্টি-সংযতকারী এবং অধিক যৌনাঙ্গ রক্ষাকারী, যেহেতু তা এর জন্য (খাসী করার মত) কাম দমন কারীর সমান।” (বুখারী, মুসলিম)
আল্লাহ্র নবী (সঃ) বলেন,
“হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্ত্রী সঙ্গম ও বিবাহ খরচে সমর্থ, সে যেন বিবাহ করে! কারণ টা অধিক দৃষ্টি-সংযতকারী এবং অধিক যৌনাঙ্গ রক্ষাকারী, যেহেতু তা এর জন্য (খাসী করার মত) কাম দমন কারীর সমান।” (বুখারী, মুসলিম)
সুতরাং
নবী (সঃ) বিবাহে অসমর্থ ব্যক্তিকে রোযা রাখতে আদেশ করলেন, অথচ যদি
হস্তমৈথুন বৈধ হত, তবে নিশ্চয় তিনি তা করতে নির্দেশ দিতেন। অতএব তা সহজ
হওয়া স্বত্বেও যখন তিনি তা করতে নির্দেশ দিলেন না, তখন জানা গেল যে তা বৈধ
নয়।
উত্তর দিয়েছেন: শায়খ আব্দুল হামীদ আল ফাইযী আল-মাদানী
লিসান্স: মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদিআরব
(সৌদী আরবের আল-মাজমাআ অঞ্চলের দাওয়াত সেন্টারে কর্মরত দাওয়াত-কর্মী এবং বাংলা ভাষার প্রসিদ্ধ লেখক ও অনুবাদক।)
0 Comments