(ক) ঝড়ের সময় দো‘আ :
اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا
فِيْهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّهَا
وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَمِنْ شَرِّ مَا اُرْسِلَتْ بِهِ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খায়রাহা ওয়া খায়রা মা
ফীহা ওয়া খায়রা মা উরসিলাত বিহী; ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রিহা ওয়া শার্রি মা
ফীহা ওয়া মিন শার্রি মা উরসিলাত বিহী’।
অনুবাদ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে এর মঙ্গল, এর মধ্যকার
মঙ্গল ও যা নিয়ে ওটি প্রেরিত হয়েছে, তার মঙ্গল সমূহ প্রার্থনা করছি এবং আমি
আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর অমঙ্গল হ’তে, এর মধ্যকার অমঙ্গল হ’তে এবং
যা নিয়ে ওটি প্রেরিত হয়েছে, তার অমঙ্গল সমূহ হ’তে’।[107] অন্য বর্ণনায়
এসেছে, اَللَّهُمَّ لَقْحًا لاَ عَقِيْمًا আল্লা-হুম্মা লাক্বহান লা
‘আক্বীমান’ (হে আল্লাহ! মঙ্গলপূর্ণ কর, মঙ্গলশূন্য নয়)। [108]
(খ) বজ্রের আওয়ায শুনে দো‘আ :
سُبْحَانَ الَّذِىْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلآئِكَةُ مِنْ خِيْفَتِهِ، ( الرعد 13)-
উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লাযী ইয়ুসাবিবহুর রা‘দু বিহামদিহী ওয়াল মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহি’।
অনুবাদ : মহা পবিত্র সেই সত্তা যাঁর গুণগান করে বজ্র ও ফেরেশতামন্ডলী সভয়ে’।[109]
(গ) ঝড়-বৃষ্টির ঘনঘটায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব
ও নাস সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে পড়তে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, এগুলিই
তোমার জন্য যথেষ্ট হবে অন্য সবকিছু থেকে’।[110]
উল্লেখ্য যে, এই সময় আল্লা-হুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাযাবিকা
অলা তুহলিকনা বি‘আযাবিকা ওয়া ‘আ-ফিনা ক্বাবলা যালিকা মর্মে বর্ণিত হাদীছটি
‘যঈফ’। [111]
[107] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৫১৩ ‘ছালাত’
অধ্যায়-৪, ‘ঝড়-ঝঞ্ঝা’ অনুচ্ছেদ-৫৩। [108] . ছহীহ ইবনু হিববান, সিলসিলা
ছহীহাহ হা/২০৫৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৬৭০। [109] . রা‘দ ১৩/১৩; মুওয়াত্ত্বা,
মিশকাত হা/১৫২২, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘ঝড়-ঝঞ্ঝা’ অনুচ্ছেদ-৫৩। [110] .
আবুদাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/২১৬২-৬৩ ‘কুরআনের ফাযায়েল’ অধ্যায়-৮,
পরিচ্ছেদ-২। [111] . আহমাদ তিরমিযী, মিশকাত হা/১৫২১, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪,
‘ঝড়-ঝঞ্ঝা’ অনুচ্ছেদ-৫৩।
0 Comments