গত বছর হজ্ব আদায়ের সময় আরাফার ময়দানে পাথরের সাথে হোঁচট...
প্রশ্ন
গত বছর হজ্ব আদায়ের সময় আরাফার
ময়দানে পাথরের সাথে হোঁচট খেয়ে আমার বাম পায়ের একটি নখ ভেঙ্গে যায় এবং
তা কোনো রকম চামড়ার সাথে লেগে থাকে। এই অবস্থায় আমার হাঁটতে প্রচ- কষ্ট
হয়। তাই ভাঙ্গা নখটি কেটে ফেলি। এর ফলে কি আমার উপর কোনো দম বা সদকা
ওয়াজিব হয়েছে?
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ নখ কেটে
ফেলার কারণে কোনো কিছু ওয়াজিব হয়নি। কেননা ইহরাম অবস্থায় হাত বা পায়ের
কোনো নখ ভেঙ্গে গেলে তা কেটে ফেলা জায়েয। এ ধরনের নখ কেটে ফেললে দম বা
সদকা কিছুই ওয়াজিব হয় না।
-কিতাবুল আছল ২/৪৩৬; বাদায়েউস সানায়ে
২/৪২৫; মানাসিক ৩৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৩৬;
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৫৮৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৪৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
গত বছর হজ্ব আদায়ের সময় আরাফার
ময়দানে পাথরের সাথে হোঁচট খেয়ে আমার বাম পায়ের একটি নখ ভেঙ্গে যায় এবং
তা কোনো রকম চামড়ার সাথে লেগে থাকে। এই অবস্থায় আমার হাঁটতে প্রচ- কষ্ট
হয়। তাই ভাঙ্গা নখটি কেটে ফেলি। এর ফলে কি আমার উপর কোনো দম বা সদকা
ওয়াজিব হয়েছে?
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ নখ কেটে
ফেলার কারণে কোনো কিছু ওয়াজিব হয়নি। কেননা ইহরাম অবস্থায় হাত বা পায়ের
কোনো নখ ভেঙ্গে গেলে তা কেটে ফেলা জায়েয। এ ধরনের নখ কেটে ফেললে দম বা
সদকা কিছুই ওয়াজিব হয় না।
-কিতাবুল আছল ২/৪৩৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪২৫; মানাসিক ৩৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৩৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৫৮৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪৪
-কিতাবুল আছল ২/৪৩৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪২৫; মানাসিক ৩৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৩৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৫৮৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৪৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমার কাছে হজ্বে যাওয়ার মতো টাকা আছে। কিন্তু আমার এখন...
প্রশ্ন
আমার কাছে হজ্বে যাওয়ার মতো টাকা
আছে। কিন্তু আমার এখন বিয়ে করার প্রয়োজন। এ টাকা দিয়ে হজ্ব করলে বিয়ের
খরচের জন্য টাকা থাকবে না। আর বিয়ে করলে হজ্ব করা যাবে না। এখন এক্ষেত্রে
আমার জন্য হজ্ব করা কি জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হজ্বের টাকা
জমা দেওয়া ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার শেষ সময়ের আগেই যদি আপনি
বিয়ে করে ফেলেন আর বিয়েতে ঐ টাকা খরচ হয়ে যায় তবে আপনার উপর হজ্ব ফরয
হবে না। কিন্তু হজ্বের প্রস্তুতি গ্রহণের শেষ সময় পর্যন্ত যদি ঐ টাকা খরচ
না হয় তবে ঐ টাকার কারণে আপনার উপর হজ্ব ফরয হয়ে যাবে।
-ফাতাওয়াল
ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া
৩/৪৭৩; ফাতহুল কাদীর ২/৩২৩; গুনইয়াতুন নাসিক ২২; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩০১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৩০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমার কাছে হজ্বে যাওয়ার মতো টাকা
আছে। কিন্তু আমার এখন বিয়ে করার প্রয়োজন। এ টাকা দিয়ে হজ্ব করলে বিয়ের
খরচের জন্য টাকা থাকবে না। আর বিয়ে করলে হজ্ব করা যাবে না। এখন এক্ষেত্রে
আমার জন্য হজ্ব করা কি জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হজ্বের টাকা
জমা দেওয়া ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার শেষ সময়ের আগেই যদি আপনি
বিয়ে করে ফেলেন আর বিয়েতে ঐ টাকা খরচ হয়ে যায় তবে আপনার উপর হজ্ব ফরয
হবে না। কিন্তু হজ্বের প্রস্তুতি গ্রহণের শেষ সময় পর্যন্ত যদি ঐ টাকা খরচ
না হয় তবে ঐ টাকার কারণে আপনার উপর হজ্ব ফরয হয়ে যাবে।
-ফাতাওয়াল ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৭৩; ফাতহুল কাদীর ২/৩২৩; গুনইয়াতুন নাসিক ২২; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩০১
-ফাতাওয়াল ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৭৩; ফাতহুল কাদীর ২/৩২৩; গুনইয়াতুন নাসিক ২২; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩০১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৩০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি ৫৬ বছর বয়সের একজন বিধবা নারী। এ পৃথিবীতে আমার...
প্রশ্ন
আমি ৫৬ বছর বয়সের একজন বিধবা নারী।
এ পৃথিবীতে আমার মাহরাম বলতে এক বয়োবৃদ্ধ ভাই ছাড়া কেউ নেই। আমার হজ্বে
যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে। শুনেছি মহিলাদের মাহরাম ছাড়া হজ্বে
যাওয়ার অনুমতি নেই। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আর্থিক
সামর্থ্য থাকার কারণে আপনার উপর হজ্ব ফরয। তবে মাহরামের ব্যবস্থা না হলে
নিজে হজ্বে যাবেন না। এক্ষেত্রে অন্যকে দিয়ে বদলী হজ্বের ব্যবস্থা করবেন।
অথবা বদলী হজ্বের ওসিয়ত করে যাবেন।
-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৬৮৫; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১৫-৩১৬; মানাসিক ৬৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৩৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি ৫৬ বছর বয়সের একজন বিধবা নারী।
এ পৃথিবীতে আমার মাহরাম বলতে এক বয়োবৃদ্ধ ভাই ছাড়া কেউ নেই। আমার হজ্বে
যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে। শুনেছি মহিলাদের মাহরাম ছাড়া হজ্বে
যাওয়ার অনুমতি নেই। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আর্থিক
সামর্থ্য থাকার কারণে আপনার উপর হজ্ব ফরয। তবে মাহরামের ব্যবস্থা না হলে
নিজে হজ্বে যাবেন না। এক্ষেত্রে অন্যকে দিয়ে বদলী হজ্বের ব্যবস্থা করবেন।
অথবা বদলী হজ্বের ওসিয়ত করে যাবেন।
-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৬৮৫; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১৫-৩১৬; মানাসিক ৬৪
-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৬৮৫; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১৫-৩১৬; মানাসিক ৬৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৩৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
গ্রামে বা শহরে কোনো পুরুষ বা নারী মৃত্যুবরণ করলে লাশের...
প্রশ্ন
গ্রামে বা শহরে কোনো পুরুষ বা নারী
মৃত্যুবরণ করলে লাশের কাফন-দাফনে অনেক ক্ষেত্রে বেশ বিলম্ব করা হয়। গ্রাম
থেকে শহরে বা শহর থেকে গ্রামে আত্মীয়স্বজন আসার অপেক্ষা করা হয়। কিংবা
শহর থেকে লাশকে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রয়োজনে হিমাগারেও রাখা হয়। আর
মৃত ব্যক্তি নামি-দামি বা বিশেষ ব্যক্তি হলে বিভিন্ন স্থানে লাশ রাখা হয়,
কয়েক দফা জানাযার নামায আদায় করা হয়। আবার কেউ দেশের বাইরে মারা গেলে
তাকে দেশে এনে দাফন করা হয়। এতে ২, ৪, ৬ মাসও বিলম্ব হয়ে যায়। তাই জানার
বিষয় হল, লাশের প্রতি এরূপ আচরণ সম্পর্কে শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি কী? দয়া
করে বিস্তারিত দলিল-প্রমাণের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নে মূলত দুটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। এক. মৃতের জানাযা বিলম্ব করার হুকুম।
দুই. মৃত ব্যক্তি যে স্থানে মারা গেছে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে দাফন করার হুকুম।
নিম্নে উভয় প্রশ্নের উত্তর প্রদত্ত হল।
এক.
কোনো ব্যক্তি মারা গেলে শরীয়তের নির্দেশনা হল বিলম্ব না করে তাকে গোসল
দিবে, কাফন পরাবে। অতপর জানাযা নামায পড়ে দ্রুত দাফন করে দিবে। একাধিক
হাদীসে মৃত্যুর পর থেকে দাফন পর্যন্ত সকল কাজ দ্রুত আঞ্জাম দেওয়ার কথা বলা
হয়েছে এবং বিলম্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে।
যেমন, সুনানে আবু দাউদে
বর্ণিত হয়েছে, তালহা ইবনে বারা রা. অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখতে গেলেন। অতপর বললেন, আমি তালহার মধ্যে
মৃত্যুর আলামত দেখতে পাচ্ছি। অতএব (সে মারা গেলে) এ সম্পর্কে আমাকে অবহিত
করবে। আর তোমরা দ্রুত কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবে। কেননা কোনো মুসলমানের
মৃতদেহকে পরিবারস্থ লোকদের মাঝে আটকে রাখা উচিত নয়। হাদীস : ৩১৫৯
অন্য
বর্ণনায় এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের মধ্যে কোনো
ব্যক্তি মারা গেলে তোমরা তাকে আটকে রেখো না। তাকে দ্রুত দাফন করে
দিও।-আলমুজামুল কাবীর, তাবারানী, হাদীস : ১৩৬১৩; ফাতহুল বারী ৩/২১৯
সুনানে
ইবনে মাজাহ্য় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, জানাযার জন্য লাশ উপস্থিত হলে জানাযা নামায পড়তে বিলম্ব করো না।
সহীহ বুখারীর এক হাদীসে জানাযা নামাযের পর লাশ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিলম্ব না করার নির্দেশ এসেছে।
যেমন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জানাযাকে
দ্রুত নিয়ে যাও। কেননা মৃত ব্যক্তি যদি নেক লোক হয় তবে তো তাকে তার শুভ
পরিণতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছ। আর যদি সে মন্দ হয় সেক্ষেত্রে তোমাদের ঘাড়
থেকে আপদ সরিয়ে দিচ্ছ।-হাদীস : ১৩১৫
উল্লেখিত হাদীসের পাশাপাশি এখানে সাহাবাদের দুয়েকটি আছারও পেশ করা হল।
*
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর রা. মঙ্গলবার রাতে ইন্তেকাল
করেন এবং সে রাতেই তাঁকে দাফন করা হয়।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস :
১২১২৮
* উরওয়াহ রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা.-এর
পরিবারের কেউ মারা গেলে তিনি বলতেন, জলদি কর, জলদি কর। তাকে নিয়ে চল,
নিয়ে চল।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১২০০২
উপরোক্ত হাদীস ও আছারে মৃত্যুর পর বিলম্ব না করে কাফন, জানাযা দ্রুত সম্পন্ন করে তাড়াতাড়ি দাফন করে দেওয়ার তাকিদ করা হয়েছে।
এ
সংক্রান্ত দলিলের আলোকে ফকীহগণ মৃতের গোসল, কাফন-দাফন ও জানাযা সংক্রান্ত
যাবতীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করাকে উত্তম বলেছেন এবং বিনা ওজরে বিলম্ব করাকে
মাকরূহ বলেছেন।
অতএব শরীয়তের উক্ত নির্দেশনার প্রতি সকলকে যত্নবান হতে হবে।
তাই
স্বাভাবিক সময়ের ভিতরে মৃতের জানাযা-দাফনের প্রস্ত্ততি সম্পন্ন হয়ে গেলে
মৃতের ওলি উপস্থিত লোকদেরকে নিয়ে জানাযা পড়ে দ্রুত দাফন করে দিবে। এ
সময়ের ভিতর কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির উপস্থিত হওয়া
সম্ভব না হলে তার জন্য বিলম্ব করা সমীচীন হবে না।
অবশ্য ওলি নিজেই
যদি দূরে অবস্থান করার কারণে স্বাভাবিক সময়ের ভিতরে তার উপস্থিত হওয়া
সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ওলির জন্য উচিত তো এটাই যে, তার জন্য অপেক্ষা করতে
না বলে দ্রুত দাফন করে দিতে বলবে। এতে শরীয়তের হুকুমের প্রতি যথাযথ আমল
হবে।
কিন্তু ওলি যদি তার জন্য অপেক্ষা করতে বলে তাহলে তার জন্য
বিলম্ব করার অবকাশ রয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রেও এ পরিমাণ বিলম্ব করার অবকাশ
নেই, যার কারণে লাশের মধ্যে পরিবর্তন হওয়ার আশংকা হয়। এত অধিক বিলম্ব করা
ওলি-গায়রে ওলি কারো জন্যই জায়েয নয়।
আর দাফনে দীর্ঘ বিলম্বের
উদ্দেশ্যে লাশের পরিবর্তন ও বিকৃতি রোধে লাশকে হিমাগারে রাখা, ফর্মালিন
মেডিসিন ইত্যাদি পচনরোধক ঔষধ দিয়ে রাখা জায়েয নয়; বরং লাশের স্বাভাবিক
অবস্থা পরিবর্তন হওয়ার পূর্বেই দাফন করে দেওয়া জরুরি। এর অধিক বিলম্ব করা
গুনাহ।
এছাড়া মৃতদেহকে হিমাগারে রাখা ফর্মালিন, মেডিসিন ইত্যাদি
দিয়ে রাখা সম্মানপরিপন্থী ও কষ্টদায়ক। অথচ মৃত ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদা
রক্ষা করা জরুরি।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন, কোনো মুমিন
ব্যক্তিকে তাঁর মৃত্যুর পর কষ্ট দেওয়া তেমনই যেমন জীবিত অবস্থায় তাকে
কষ্ট দেওয়া।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১১৯৯০
এ সংক্রান্ত
হাদীস ও আছারের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে হাজার রাহ. বলেছেন, জীবিত ব্যক্তি
যে সকল বস্ত্ত দ্বারা আরাম বোধ করে মৃত ব্যক্তি তা দ্বারা আরাম বোধ করে।
ইবনুল মালাক রাহ. বলেছেন, মৃত ব্যক্তি কষ্টদায়ক বস্ত্ত দ্বারা কষ্ট পায়।
(মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৭০) তাই মৃত ব্যক্তিকে হিমাগারে রাখা মূলত তাকে কষ্ট
দেওয়ারই নামান্তর। এসব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য।
অনুরূপ
লাশ জানাযা-দাফনের জন্য প্রস্ত্তত হয়ে যাওয়ার পর সামাজিক, রাজনৈতিক বা
দলীয় প্রথা পালনের উদ্দেশ্যে লাশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মকান্ড করা
যেমন, লাশকে স্থানে স্থানে নিয়ে প্রদর্শন করা, শ্রদ্ধা নিবেদন করা,
পুষ্পস্তবক অর্পণ করা, ভিডিও করা, লাশকে সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে
জীবনালোচনা করা, বিভিন্নমুখী ভাষণ-বক্তৃতা দেওয়া ইত্যাদি সবই গর্হিত।
এগুলোর মধ্যে জীবিত মৃত কারোরই কোনো কল্যাণ নেই। এসব অনর্থক ও বেহুদা
কর্মকান্ড পরহেয করা সকলের জন্য জরুরি।
আর মৃতের একাধিক জানাযা পড়া
জায়েয নয়। মৃতের ওলি কিংবা তার অনুমতি সাপেক্ষে জানাযা নামায আদায় হয়ে
যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার ঐ মৃতের জানাযা পড়ার অবকাশ নেই। সাহাবায়ে কেরাম
কোনো মৃতের একাধিক জানাযা পড়া থেকে বিরত থাকতেন। নাফে রাহ. থেকে বর্ণিত,
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. কোনো জানাযায় পৌঁছতে পৌঁছতে জানাযা নামায শেষ হয়ে
গেলে মৃতের জন্য দুআ করে ফিরে আসতেন। দ্বিতীয়বার জানাযা পড়তেন
না।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৬৫৪
বিখ্যাত তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. এক মাইয়্যেতের একাধিক জানাযা পড়তে নিষেধ করেছেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৬৫
এছাড়া
একাধিক জানাযা পড়ার কারণে দাফনে অযথা বিলম্বও হতে থাকে। অথচ ফকীহগণ জুমার
দিনের প্রারম্ভে জানাযা প্রস্ত্তত হয়ে যাওয়ার পর শুধু অধিক সংখ্যক
মুসল্লি নিয়ে জানাযা নামায পড়ার উদ্দেশ্যে জুমা পর্যন্ত বিলম্ব করাকেও
মাকরূহ বলেছেন।
মোটকথা এসব কর্মকান্ড, রেওয়াজ-প্রথা এবং জানাযা
দাফনে বিলম্ব করার প্রবণতা যতই ব্যাপক হোক না কেন তা গ্রহণযোগ্য ও
অনুসরণীয় নয়। বরং সবকিছুর উর্ধ্বে শরীয়তের হুকুমকে প্রাধান্য দিতে হবে।
জেনে
রাখা দরকার, মৃতের জানাযা-দাফনে অংশ নিতে পারাটাই জীবিতদের একমাত্র
কর্তব্য নয়। বরং দাফনের পরও মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের অনেক করণীয় থাকে।
যেমন, মৃত ব্যক্তির জন্য দুআয়ে মাগফিরাত করা, কবর যিয়ারত করা,
শরয়ী-তরীকায় ইসালে সওয়াব করা ইত্যাদি।
তাই জানাযা-দাফনে উপস্থিত
হতে না পারলেও এর পরবর্তী অন্যান্য করণীয় যেমন কবর যিয়ারত ইসালে সওয়াব
ইত্যাদির সুযোগ তো সব সময়ই উন্মুক্ত রয়েছে।
দুই. কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা গেছে সেখানের কবরস্থানে দাফন না করে অন্যত্র দাফন করার হুকুম।
শরীয়তের নির্দেশনা হল, কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সেখানের কবরস্থানে বা নিকটের কোনো কবরস্থানে দাফন করে দিবে।
হাদীস
শরীফে এসেছে, জাবের রা. বর্ণনা করেন, উহুদ যুদ্ধের দিন আমার ফুফু আমার
পিতাকে দাফন করার জন্য নিজেদের কবরস্থানে নিয়ে আসেন। তখন রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে এক ঘোষণাকারী ঘোষণা করলেন,
তোমরা শহীদদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত নিয়ে আস।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৭১৭
অন্য
একটি বর্ণনায় এসেছে, আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা. হুবশী নামক স্থানে
ইন্তেকাল করেন, তাঁকে ঐ স্থান হতে মক্কায় এনে দাফন করা হয়। আয়েশা রা.
হজ্ব বা উমরা করতে মক্কায় গমন করলে তিনি তাঁর কবরের নিকট আসেন অতপর বলেন,
আমি তোমার মৃত্যুর সময় উপস্থিত থাকলে তোমাকে সে স্থানেই দাফন করতাম যেখানে
তোমার মৃত্যু হয়েছে।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১১৯৩৩
উপরোক্ত
দলিলের আলোকে ফকীহগণ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সে
এলাকার কবরস্থানে বা নিকটবর্তী কোনো কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া উত্তম। ওজর
ব্যতিত দূরবর্তী এলাকায় নিয়ে দাফন করা অনুত্তম।
তাই শহর বা গ্রামের
মৃতকে নিজ নিজ এলাকার কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া বাঞ্ছনীয়। সাধারণ
অবস্থায় শহরের মৃতকে গ্রামে নিয়ে বা গ্রামের মৃতকে শহরে এনে দাফন করা ঠিক
নয়। বরং এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্য ওজরবশত মৃত
ব্যক্তিকে অন্যত্র নিয়ে দাফন করাও জায়েয আছে। যেমন-
মৃত ব্যক্তি যে এলাকায় মারা গেছে সেখানে বা নিকটের কোথাও কবরস্থান বা দাফনের সুব্যবস্থা না থাকা।
এলাকার কবরস্থানে স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত লাশ সংরক্ষিত না থাকার আশঙ্কা থাকা।
কোনো ব্যক্তির এমন স্থানে মৃত্যু হল, যেখানে গিয়ে আত্মীয়স্বজনের জন্য দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা কষ্টকর।
এ
ধরনের ওজরের কারণে দাফনের পূর্বে লাশ অন্যত্র নিয়ে কবরস্থ করা জায়েয
আছে। কোনো কোনো সাহাবীকে মৃত্যুর স্থান হতে অন্যত্র নিয়ে দাফন করা
প্রমাণিত আছে। দেখুন : আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ৫/৫৭৪
তবে ওজরবশত লাশ স্থানান্তর করার ক্ষেত্রেও নিম্নোক্ত বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা কর্তব্য-
স্থানান্তর ও দাফনকার্য ইত্যাদি দ্রুততার সাথে আঞ্জাম দিতে হবে।
লাশ
স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে একাধিক জানাযা না হয়-সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
যেমনটি প্রায়ই হতে দেখা যায়। কেননা মৃত ব্যক্তির একাধিক জানাযা পড়ার
বিধান শরীয়তে নেই।
স্থানান্তরের কারণে এমন বিলম্ব না হতে হবে, যার
কারণে লাশে পরিবর্তন আসে বা বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা হয়। এমন আশঙ্কা হলে
স্থানান্তর জায়েয হবে না।
তাই প্রবাসে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তাকে
সেখানেই মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া কর্তব্য। কেননা, প্রবাস থেকে
লাশ দেশে আনার ক্ষেত্রে অকারণেই তার দাফনে বিলম্বিত হয়।
-শরহুস সিয়ারিল কাবীর ১/২৩৬-২৩৭; মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৬১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৫, ১৮০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৩৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
গ্রামে বা শহরে কোনো পুরুষ বা নারী
মৃত্যুবরণ করলে লাশের কাফন-দাফনে অনেক ক্ষেত্রে বেশ বিলম্ব করা হয়। গ্রাম
থেকে শহরে বা শহর থেকে গ্রামে আত্মীয়স্বজন আসার অপেক্ষা করা হয়। কিংবা
শহর থেকে লাশকে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রয়োজনে হিমাগারেও রাখা হয়। আর
মৃত ব্যক্তি নামি-দামি বা বিশেষ ব্যক্তি হলে বিভিন্ন স্থানে লাশ রাখা হয়,
কয়েক দফা জানাযার নামায আদায় করা হয়। আবার কেউ দেশের বাইরে মারা গেলে
তাকে দেশে এনে দাফন করা হয়। এতে ২, ৪, ৬ মাসও বিলম্ব হয়ে যায়। তাই জানার
বিষয় হল, লাশের প্রতি এরূপ আচরণ সম্পর্কে শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি কী? দয়া
করে বিস্তারিত দলিল-প্রমাণের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নে মূলত দুটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। এক. মৃতের জানাযা বিলম্ব করার হুকুম।
দুই. মৃত ব্যক্তি যে স্থানে মারা গেছে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে দাফন করার হুকুম।
নিম্নে উভয় প্রশ্নের উত্তর প্রদত্ত হল।
এক. কোনো ব্যক্তি মারা গেলে শরীয়তের নির্দেশনা হল বিলম্ব না করে তাকে গোসল দিবে, কাফন পরাবে। অতপর জানাযা নামায পড়ে দ্রুত দাফন করে দিবে। একাধিক হাদীসে মৃত্যুর পর থেকে দাফন পর্যন্ত সকল কাজ দ্রুত আঞ্জাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং বিলম্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে।
যেমন, সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, তালহা ইবনে বারা রা. অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখতে গেলেন। অতপর বললেন, আমি তালহার মধ্যে মৃত্যুর আলামত দেখতে পাচ্ছি। অতএব (সে মারা গেলে) এ সম্পর্কে আমাকে অবহিত করবে। আর তোমরা দ্রুত কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবে। কেননা কোনো মুসলমানের মৃতদেহকে পরিবারস্থ লোকদের মাঝে আটকে রাখা উচিত নয়। হাদীস : ৩১৫৯
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তোমরা তাকে আটকে রেখো না। তাকে দ্রুত দাফন করে দিও।-আলমুজামুল কাবীর, তাবারানী, হাদীস : ১৩৬১৩; ফাতহুল বারী ৩/২১৯
সুনানে ইবনে মাজাহ্য় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জানাযার জন্য লাশ উপস্থিত হলে জানাযা নামায পড়তে বিলম্ব করো না।
সহীহ বুখারীর এক হাদীসে জানাযা নামাযের পর লাশ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিলম্ব না করার নির্দেশ এসেছে।
যেমন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জানাযাকে দ্রুত নিয়ে যাও। কেননা মৃত ব্যক্তি যদি নেক লোক হয় তবে তো তাকে তার শুভ পরিণতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছ। আর যদি সে মন্দ হয় সেক্ষেত্রে তোমাদের ঘাড় থেকে আপদ সরিয়ে দিচ্ছ।-হাদীস : ১৩১৫
উল্লেখিত হাদীসের পাশাপাশি এখানে সাহাবাদের দুয়েকটি আছারও পেশ করা হল।
* আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর রা. মঙ্গলবার রাতে ইন্তেকাল করেন এবং সে রাতেই তাঁকে দাফন করা হয়।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১২১২৮
* উরওয়াহ রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা.-এর পরিবারের কেউ মারা গেলে তিনি বলতেন, জলদি কর, জলদি কর। তাকে নিয়ে চল, নিয়ে চল।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১২০০২
উপরোক্ত হাদীস ও আছারে মৃত্যুর পর বিলম্ব না করে কাফন, জানাযা দ্রুত সম্পন্ন করে তাড়াতাড়ি দাফন করে দেওয়ার তাকিদ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত দলিলের আলোকে ফকীহগণ মৃতের গোসল, কাফন-দাফন ও জানাযা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করাকে উত্তম বলেছেন এবং বিনা ওজরে বিলম্ব করাকে মাকরূহ বলেছেন।
অতএব শরীয়তের উক্ত নির্দেশনার প্রতি সকলকে যত্নবান হতে হবে।
তাই স্বাভাবিক সময়ের ভিতরে মৃতের জানাযা-দাফনের প্রস্ত্ততি সম্পন্ন হয়ে গেলে মৃতের ওলি উপস্থিত লোকদেরকে নিয়ে জানাযা পড়ে দ্রুত দাফন করে দিবে। এ সময়ের ভিতর কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির উপস্থিত হওয়া সম্ভব না হলে তার জন্য বিলম্ব করা সমীচীন হবে না।
অবশ্য ওলি নিজেই যদি দূরে অবস্থান করার কারণে স্বাভাবিক সময়ের ভিতরে তার উপস্থিত হওয়া সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ওলির জন্য উচিত তো এটাই যে, তার জন্য অপেক্ষা করতে না বলে দ্রুত দাফন করে দিতে বলবে। এতে শরীয়তের হুকুমের প্রতি যথাযথ আমল হবে।
কিন্তু ওলি যদি তার জন্য অপেক্ষা করতে বলে তাহলে তার জন্য বিলম্ব করার অবকাশ রয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রেও এ পরিমাণ বিলম্ব করার অবকাশ নেই, যার কারণে লাশের মধ্যে পরিবর্তন হওয়ার আশংকা হয়। এত অধিক বিলম্ব করা ওলি-গায়রে ওলি কারো জন্যই জায়েয নয়।
আর দাফনে দীর্ঘ বিলম্বের উদ্দেশ্যে লাশের পরিবর্তন ও বিকৃতি রোধে লাশকে হিমাগারে রাখা, ফর্মালিন মেডিসিন ইত্যাদি পচনরোধক ঔষধ দিয়ে রাখা জায়েয নয়; বরং লাশের স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন হওয়ার পূর্বেই দাফন করে দেওয়া জরুরি। এর অধিক বিলম্ব করা গুনাহ।
এছাড়া মৃতদেহকে হিমাগারে রাখা ফর্মালিন, মেডিসিন ইত্যাদি দিয়ে রাখা সম্মানপরিপন্থী ও কষ্টদায়ক। অথচ মৃত ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা জরুরি।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন, কোনো মুমিন ব্যক্তিকে তাঁর মৃত্যুর পর কষ্ট দেওয়া তেমনই যেমন জীবিত অবস্থায় তাকে কষ্ট দেওয়া।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১১৯৯০
এ সংক্রান্ত হাদীস ও আছারের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে হাজার রাহ. বলেছেন, জীবিত ব্যক্তি যে সকল বস্ত্ত দ্বারা আরাম বোধ করে মৃত ব্যক্তি তা দ্বারা আরাম বোধ করে। ইবনুল মালাক রাহ. বলেছেন, মৃত ব্যক্তি কষ্টদায়ক বস্ত্ত দ্বারা কষ্ট পায়। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৭০) তাই মৃত ব্যক্তিকে হিমাগারে রাখা মূলত তাকে কষ্ট দেওয়ারই নামান্তর। এসব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য।
অনুরূপ লাশ জানাযা-দাফনের জন্য প্রস্ত্তত হয়ে যাওয়ার পর সামাজিক, রাজনৈতিক বা দলীয় প্রথা পালনের উদ্দেশ্যে লাশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মকান্ড করা যেমন, লাশকে স্থানে স্থানে নিয়ে প্রদর্শন করা, শ্রদ্ধা নিবেদন করা, পুষ্পস্তবক অর্পণ করা, ভিডিও করা, লাশকে সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে জীবনালোচনা করা, বিভিন্নমুখী ভাষণ-বক্তৃতা দেওয়া ইত্যাদি সবই গর্হিত। এগুলোর মধ্যে জীবিত মৃত কারোরই কোনো কল্যাণ নেই। এসব অনর্থক ও বেহুদা কর্মকান্ড পরহেয করা সকলের জন্য জরুরি।
আর মৃতের একাধিক জানাযা পড়া জায়েয নয়। মৃতের ওলি কিংবা তার অনুমতি সাপেক্ষে জানাযা নামায আদায় হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার ঐ মৃতের জানাযা পড়ার অবকাশ নেই। সাহাবায়ে কেরাম কোনো মৃতের একাধিক জানাযা পড়া থেকে বিরত থাকতেন। নাফে রাহ. থেকে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. কোনো জানাযায় পৌঁছতে পৌঁছতে জানাযা নামায শেষ হয়ে গেলে মৃতের জন্য দুআ করে ফিরে আসতেন। দ্বিতীয়বার জানাযা পড়তেন না।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৬৫৪
বিখ্যাত তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. এক মাইয়্যেতের একাধিক জানাযা পড়তে নিষেধ করেছেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৬৫
এছাড়া একাধিক জানাযা পড়ার কারণে দাফনে অযথা বিলম্বও হতে থাকে। অথচ ফকীহগণ জুমার দিনের প্রারম্ভে জানাযা প্রস্ত্তত হয়ে যাওয়ার পর শুধু অধিক সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে জানাযা নামায পড়ার উদ্দেশ্যে জুমা পর্যন্ত বিলম্ব করাকেও মাকরূহ বলেছেন।
মোটকথা এসব কর্মকান্ড, রেওয়াজ-প্রথা এবং জানাযা দাফনে বিলম্ব করার প্রবণতা যতই ব্যাপক হোক না কেন তা গ্রহণযোগ্য ও অনুসরণীয় নয়। বরং সবকিছুর উর্ধ্বে শরীয়তের হুকুমকে প্রাধান্য দিতে হবে।
জেনে রাখা দরকার, মৃতের জানাযা-দাফনে অংশ নিতে পারাটাই জীবিতদের একমাত্র কর্তব্য নয়। বরং দাফনের পরও মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের অনেক করণীয় থাকে। যেমন, মৃত ব্যক্তির জন্য দুআয়ে মাগফিরাত করা, কবর যিয়ারত করা, শরয়ী-তরীকায় ইসালে সওয়াব করা ইত্যাদি।
তাই জানাযা-দাফনে উপস্থিত হতে না পারলেও এর পরবর্তী অন্যান্য করণীয় যেমন কবর যিয়ারত ইসালে সওয়াব ইত্যাদির সুযোগ তো সব সময়ই উন্মুক্ত রয়েছে।
দুই. কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা গেছে সেখানের কবরস্থানে দাফন না করে অন্যত্র দাফন করার হুকুম।
শরীয়তের নির্দেশনা হল, কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সেখানের কবরস্থানে বা নিকটের কোনো কবরস্থানে দাফন করে দিবে।
হাদীস শরীফে এসেছে, জাবের রা. বর্ণনা করেন, উহুদ যুদ্ধের দিন আমার ফুফু আমার পিতাকে দাফন করার জন্য নিজেদের কবরস্থানে নিয়ে আসেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে এক ঘোষণাকারী ঘোষণা করলেন, তোমরা শহীদদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত নিয়ে আস।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৭১৭
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা. হুবশী নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন, তাঁকে ঐ স্থান হতে মক্কায় এনে দাফন করা হয়। আয়েশা রা. হজ্ব বা উমরা করতে মক্কায় গমন করলে তিনি তাঁর কবরের নিকট আসেন অতপর বলেন, আমি তোমার মৃত্যুর সময় উপস্থিত থাকলে তোমাকে সে স্থানেই দাফন করতাম যেখানে তোমার মৃত্যু হয়েছে।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১১৯৩৩
উপরোক্ত দলিলের আলোকে ফকীহগণ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সে এলাকার কবরস্থানে বা নিকটবর্তী কোনো কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া উত্তম। ওজর ব্যতিত দূরবর্তী এলাকায় নিয়ে দাফন করা অনুত্তম।
তাই শহর বা গ্রামের মৃতকে নিজ নিজ এলাকার কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া বাঞ্ছনীয়। সাধারণ অবস্থায় শহরের মৃতকে গ্রামে নিয়ে বা গ্রামের মৃতকে শহরে এনে দাফন করা ঠিক নয়। বরং এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্য ওজরবশত মৃত ব্যক্তিকে অন্যত্র নিয়ে দাফন করাও জায়েয আছে। যেমন-
মৃত ব্যক্তি যে এলাকায় মারা গেছে সেখানে বা নিকটের কোথাও কবরস্থান বা দাফনের সুব্যবস্থা না থাকা।
এলাকার কবরস্থানে স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত লাশ সংরক্ষিত না থাকার আশঙ্কা থাকা।
কোনো ব্যক্তির এমন স্থানে মৃত্যু হল, যেখানে গিয়ে আত্মীয়স্বজনের জন্য দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা কষ্টকর।
এ ধরনের ওজরের কারণে দাফনের পূর্বে লাশ অন্যত্র নিয়ে কবরস্থ করা জায়েয আছে। কোনো কোনো সাহাবীকে মৃত্যুর স্থান হতে অন্যত্র নিয়ে দাফন করা প্রমাণিত আছে। দেখুন : আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ৫/৫৭৪
তবে ওজরবশত লাশ স্থানান্তর করার ক্ষেত্রেও নিম্নোক্ত বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা কর্তব্য-
স্থানান্তর ও দাফনকার্য ইত্যাদি দ্রুততার সাথে আঞ্জাম দিতে হবে।
লাশ স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে একাধিক জানাযা না হয়-সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমনটি প্রায়ই হতে দেখা যায়। কেননা মৃত ব্যক্তির একাধিক জানাযা পড়ার বিধান শরীয়তে নেই।
স্থানান্তরের কারণে এমন বিলম্ব না হতে হবে, যার কারণে লাশে পরিবর্তন আসে বা বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা হয়। এমন আশঙ্কা হলে স্থানান্তর জায়েয হবে না।
তাই প্রবাসে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তাকে সেখানেই মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া কর্তব্য। কেননা, প্রবাস থেকে লাশ দেশে আনার ক্ষেত্রে অকারণেই তার দাফনে বিলম্বিত হয়।
-শরহুস সিয়ারিল কাবীর ১/২৩৬-২৩৭; মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৬১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৫, ১৮০
দুই. মৃত ব্যক্তি যে স্থানে মারা গেছে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে দাফন করার হুকুম।
নিম্নে উভয় প্রশ্নের উত্তর প্রদত্ত হল।
এক. কোনো ব্যক্তি মারা গেলে শরীয়তের নির্দেশনা হল বিলম্ব না করে তাকে গোসল দিবে, কাফন পরাবে। অতপর জানাযা নামায পড়ে দ্রুত দাফন করে দিবে। একাধিক হাদীসে মৃত্যুর পর থেকে দাফন পর্যন্ত সকল কাজ দ্রুত আঞ্জাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং বিলম্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে।
যেমন, সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, তালহা ইবনে বারা রা. অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখতে গেলেন। অতপর বললেন, আমি তালহার মধ্যে মৃত্যুর আলামত দেখতে পাচ্ছি। অতএব (সে মারা গেলে) এ সম্পর্কে আমাকে অবহিত করবে। আর তোমরা দ্রুত কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবে। কেননা কোনো মুসলমানের মৃতদেহকে পরিবারস্থ লোকদের মাঝে আটকে রাখা উচিত নয়। হাদীস : ৩১৫৯
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তোমরা তাকে আটকে রেখো না। তাকে দ্রুত দাফন করে দিও।-আলমুজামুল কাবীর, তাবারানী, হাদীস : ১৩৬১৩; ফাতহুল বারী ৩/২১৯
সুনানে ইবনে মাজাহ্য় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জানাযার জন্য লাশ উপস্থিত হলে জানাযা নামায পড়তে বিলম্ব করো না।
সহীহ বুখারীর এক হাদীসে জানাযা নামাযের পর লাশ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিলম্ব না করার নির্দেশ এসেছে।
যেমন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জানাযাকে দ্রুত নিয়ে যাও। কেননা মৃত ব্যক্তি যদি নেক লোক হয় তবে তো তাকে তার শুভ পরিণতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছ। আর যদি সে মন্দ হয় সেক্ষেত্রে তোমাদের ঘাড় থেকে আপদ সরিয়ে দিচ্ছ।-হাদীস : ১৩১৫
উল্লেখিত হাদীসের পাশাপাশি এখানে সাহাবাদের দুয়েকটি আছারও পেশ করা হল।
* আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর রা. মঙ্গলবার রাতে ইন্তেকাল করেন এবং সে রাতেই তাঁকে দাফন করা হয়।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১২১২৮
* উরওয়াহ রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা.-এর পরিবারের কেউ মারা গেলে তিনি বলতেন, জলদি কর, জলদি কর। তাকে নিয়ে চল, নিয়ে চল।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১২০০২
উপরোক্ত হাদীস ও আছারে মৃত্যুর পর বিলম্ব না করে কাফন, জানাযা দ্রুত সম্পন্ন করে তাড়াতাড়ি দাফন করে দেওয়ার তাকিদ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত দলিলের আলোকে ফকীহগণ মৃতের গোসল, কাফন-দাফন ও জানাযা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করাকে উত্তম বলেছেন এবং বিনা ওজরে বিলম্ব করাকে মাকরূহ বলেছেন।
অতএব শরীয়তের উক্ত নির্দেশনার প্রতি সকলকে যত্নবান হতে হবে।
তাই স্বাভাবিক সময়ের ভিতরে মৃতের জানাযা-দাফনের প্রস্ত্ততি সম্পন্ন হয়ে গেলে মৃতের ওলি উপস্থিত লোকদেরকে নিয়ে জানাযা পড়ে দ্রুত দাফন করে দিবে। এ সময়ের ভিতর কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির উপস্থিত হওয়া সম্ভব না হলে তার জন্য বিলম্ব করা সমীচীন হবে না।
অবশ্য ওলি নিজেই যদি দূরে অবস্থান করার কারণে স্বাভাবিক সময়ের ভিতরে তার উপস্থিত হওয়া সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ওলির জন্য উচিত তো এটাই যে, তার জন্য অপেক্ষা করতে না বলে দ্রুত দাফন করে দিতে বলবে। এতে শরীয়তের হুকুমের প্রতি যথাযথ আমল হবে।
কিন্তু ওলি যদি তার জন্য অপেক্ষা করতে বলে তাহলে তার জন্য বিলম্ব করার অবকাশ রয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রেও এ পরিমাণ বিলম্ব করার অবকাশ নেই, যার কারণে লাশের মধ্যে পরিবর্তন হওয়ার আশংকা হয়। এত অধিক বিলম্ব করা ওলি-গায়রে ওলি কারো জন্যই জায়েয নয়।
আর দাফনে দীর্ঘ বিলম্বের উদ্দেশ্যে লাশের পরিবর্তন ও বিকৃতি রোধে লাশকে হিমাগারে রাখা, ফর্মালিন মেডিসিন ইত্যাদি পচনরোধক ঔষধ দিয়ে রাখা জায়েয নয়; বরং লাশের স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন হওয়ার পূর্বেই দাফন করে দেওয়া জরুরি। এর অধিক বিলম্ব করা গুনাহ।
এছাড়া মৃতদেহকে হিমাগারে রাখা ফর্মালিন, মেডিসিন ইত্যাদি দিয়ে রাখা সম্মানপরিপন্থী ও কষ্টদায়ক। অথচ মৃত ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা জরুরি।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন, কোনো মুমিন ব্যক্তিকে তাঁর মৃত্যুর পর কষ্ট দেওয়া তেমনই যেমন জীবিত অবস্থায় তাকে কষ্ট দেওয়া।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১১৯৯০
এ সংক্রান্ত হাদীস ও আছারের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে হাজার রাহ. বলেছেন, জীবিত ব্যক্তি যে সকল বস্ত্ত দ্বারা আরাম বোধ করে মৃত ব্যক্তি তা দ্বারা আরাম বোধ করে। ইবনুল মালাক রাহ. বলেছেন, মৃত ব্যক্তি কষ্টদায়ক বস্ত্ত দ্বারা কষ্ট পায়। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৭০) তাই মৃত ব্যক্তিকে হিমাগারে রাখা মূলত তাকে কষ্ট দেওয়ারই নামান্তর। এসব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য।
অনুরূপ লাশ জানাযা-দাফনের জন্য প্রস্ত্তত হয়ে যাওয়ার পর সামাজিক, রাজনৈতিক বা দলীয় প্রথা পালনের উদ্দেশ্যে লাশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মকান্ড করা যেমন, লাশকে স্থানে স্থানে নিয়ে প্রদর্শন করা, শ্রদ্ধা নিবেদন করা, পুষ্পস্তবক অর্পণ করা, ভিডিও করা, লাশকে সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে জীবনালোচনা করা, বিভিন্নমুখী ভাষণ-বক্তৃতা দেওয়া ইত্যাদি সবই গর্হিত। এগুলোর মধ্যে জীবিত মৃত কারোরই কোনো কল্যাণ নেই। এসব অনর্থক ও বেহুদা কর্মকান্ড পরহেয করা সকলের জন্য জরুরি।
আর মৃতের একাধিক জানাযা পড়া জায়েয নয়। মৃতের ওলি কিংবা তার অনুমতি সাপেক্ষে জানাযা নামায আদায় হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার ঐ মৃতের জানাযা পড়ার অবকাশ নেই। সাহাবায়ে কেরাম কোনো মৃতের একাধিক জানাযা পড়া থেকে বিরত থাকতেন। নাফে রাহ. থেকে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. কোনো জানাযায় পৌঁছতে পৌঁছতে জানাযা নামায শেষ হয়ে গেলে মৃতের জন্য দুআ করে ফিরে আসতেন। দ্বিতীয়বার জানাযা পড়তেন না।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৬৫৪
বিখ্যাত তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. এক মাইয়্যেতের একাধিক জানাযা পড়তে নিষেধ করেছেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৬৫
এছাড়া একাধিক জানাযা পড়ার কারণে দাফনে অযথা বিলম্বও হতে থাকে। অথচ ফকীহগণ জুমার দিনের প্রারম্ভে জানাযা প্রস্ত্তত হয়ে যাওয়ার পর শুধু অধিক সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে জানাযা নামায পড়ার উদ্দেশ্যে জুমা পর্যন্ত বিলম্ব করাকেও মাকরূহ বলেছেন।
মোটকথা এসব কর্মকান্ড, রেওয়াজ-প্রথা এবং জানাযা দাফনে বিলম্ব করার প্রবণতা যতই ব্যাপক হোক না কেন তা গ্রহণযোগ্য ও অনুসরণীয় নয়। বরং সবকিছুর উর্ধ্বে শরীয়তের হুকুমকে প্রাধান্য দিতে হবে।
জেনে রাখা দরকার, মৃতের জানাযা-দাফনে অংশ নিতে পারাটাই জীবিতদের একমাত্র কর্তব্য নয়। বরং দাফনের পরও মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের অনেক করণীয় থাকে। যেমন, মৃত ব্যক্তির জন্য দুআয়ে মাগফিরাত করা, কবর যিয়ারত করা, শরয়ী-তরীকায় ইসালে সওয়াব করা ইত্যাদি।
তাই জানাযা-দাফনে উপস্থিত হতে না পারলেও এর পরবর্তী অন্যান্য করণীয় যেমন কবর যিয়ারত ইসালে সওয়াব ইত্যাদির সুযোগ তো সব সময়ই উন্মুক্ত রয়েছে।
দুই. কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা গেছে সেখানের কবরস্থানে দাফন না করে অন্যত্র দাফন করার হুকুম।
শরীয়তের নির্দেশনা হল, কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সেখানের কবরস্থানে বা নিকটের কোনো কবরস্থানে দাফন করে দিবে।
হাদীস শরীফে এসেছে, জাবের রা. বর্ণনা করেন, উহুদ যুদ্ধের দিন আমার ফুফু আমার পিতাকে দাফন করার জন্য নিজেদের কবরস্থানে নিয়ে আসেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে এক ঘোষণাকারী ঘোষণা করলেন, তোমরা শহীদদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত নিয়ে আস।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৭১৭
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা. হুবশী নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন, তাঁকে ঐ স্থান হতে মক্কায় এনে দাফন করা হয়। আয়েশা রা. হজ্ব বা উমরা করতে মক্কায় গমন করলে তিনি তাঁর কবরের নিকট আসেন অতপর বলেন, আমি তোমার মৃত্যুর সময় উপস্থিত থাকলে তোমাকে সে স্থানেই দাফন করতাম যেখানে তোমার মৃত্যু হয়েছে।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১১৯৩৩
উপরোক্ত দলিলের আলোকে ফকীহগণ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সে এলাকার কবরস্থানে বা নিকটবর্তী কোনো কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া উত্তম। ওজর ব্যতিত দূরবর্তী এলাকায় নিয়ে দাফন করা অনুত্তম।
তাই শহর বা গ্রামের মৃতকে নিজ নিজ এলাকার কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া বাঞ্ছনীয়। সাধারণ অবস্থায় শহরের মৃতকে গ্রামে নিয়ে বা গ্রামের মৃতকে শহরে এনে দাফন করা ঠিক নয়। বরং এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্য ওজরবশত মৃত ব্যক্তিকে অন্যত্র নিয়ে দাফন করাও জায়েয আছে। যেমন-
মৃত ব্যক্তি যে এলাকায় মারা গেছে সেখানে বা নিকটের কোথাও কবরস্থান বা দাফনের সুব্যবস্থা না থাকা।
এলাকার কবরস্থানে স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত লাশ সংরক্ষিত না থাকার আশঙ্কা থাকা।
কোনো ব্যক্তির এমন স্থানে মৃত্যু হল, যেখানে গিয়ে আত্মীয়স্বজনের জন্য দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা কষ্টকর।
এ ধরনের ওজরের কারণে দাফনের পূর্বে লাশ অন্যত্র নিয়ে কবরস্থ করা জায়েয আছে। কোনো কোনো সাহাবীকে মৃত্যুর স্থান হতে অন্যত্র নিয়ে দাফন করা প্রমাণিত আছে। দেখুন : আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ৫/৫৭৪
তবে ওজরবশত লাশ স্থানান্তর করার ক্ষেত্রেও নিম্নোক্ত বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা কর্তব্য-
স্থানান্তর ও দাফনকার্য ইত্যাদি দ্রুততার সাথে আঞ্জাম দিতে হবে।
লাশ স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে একাধিক জানাযা না হয়-সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমনটি প্রায়ই হতে দেখা যায়। কেননা মৃত ব্যক্তির একাধিক জানাযা পড়ার বিধান শরীয়তে নেই।
স্থানান্তরের কারণে এমন বিলম্ব না হতে হবে, যার কারণে লাশে পরিবর্তন আসে বা বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা হয়। এমন আশঙ্কা হলে স্থানান্তর জায়েয হবে না।
তাই প্রবাসে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তাকে সেখানেই মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করে দেওয়া কর্তব্য। কেননা, প্রবাস থেকে লাশ দেশে আনার ক্ষেত্রে অকারণেই তার দাফনে বিলম্বিত হয়।
-শরহুস সিয়ারিল কাবীর ১/২৩৬-২৩৭; মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৬১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৫, ১৮০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৩৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার উপর অনেক আগে হজ্ব ফরয হয়েছে।...
প্রশ্ন
আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার উপর অনেক
আগে হজ্ব ফরয হয়েছে। তখন দ্বীনের বুঝ না থাকায় অবৈধ উপার্জন দিয়ে হজ্ব
করেছি। এখন আমি জানতে চাই যে, উক্ত হজ্বের মাধ্যমে আমার ফরয হজ্ব কি আদায়
হয়েছে, না পুনরায় হজ্ব করতে হবে?
উত্তর
হজ্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার
মাধ্যমে শারীরিক ইবাদতের পাশাপাশি আর্থিক ইবাদতের বিষয়ও রয়েছে। অবৈধ
সম্পদের দ্বারা হজ্ব করলে এর দ্বারা ফরয আদায় হয়ে গেলেও আল্লাহর দরবারে
তা কবুল হবে না। তাই কবুল হজ্বের জন্য পুনরায় হালাল সম্পদ দ্বারা হজ্ব
করতে হবে।
-আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৯; ফাতহুল কাদীর ২/৩১৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৫৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৩০৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার উপর অনেক
আগে হজ্ব ফরয হয়েছে। তখন দ্বীনের বুঝ না থাকায় অবৈধ উপার্জন দিয়ে হজ্ব
করেছি। এখন আমি জানতে চাই যে, উক্ত হজ্বের মাধ্যমে আমার ফরয হজ্ব কি আদায়
হয়েছে, না পুনরায় হজ্ব করতে হবে?
উত্তর
হজ্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার
মাধ্যমে শারীরিক ইবাদতের পাশাপাশি আর্থিক ইবাদতের বিষয়ও রয়েছে। অবৈধ
সম্পদের দ্বারা হজ্ব করলে এর দ্বারা ফরয আদায় হয়ে গেলেও আল্লাহর দরবারে
তা কবুল হবে না। তাই কবুল হজ্বের জন্য পুনরায় হালাল সম্পদ দ্বারা হজ্ব
করতে হবে।
-আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৯; ফাতহুল কাদীর ২/৩১৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৫৬
-আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৯; ফাতহুল কাদীর ২/৩১৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৫৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৩০৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আগামী বছর আমরা স্বামী-স্ত্রী হজ্বে যাব। আমাদের দু বছরের একটি...
প্রশ্ন
আগামী বছর আমরা স্বামী-স্ত্রী হজ্বে
যাব। আমাদের দু বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। তাকেও নিয়ে যাব। প্রশ্ন হল
এই শিশু ছেলের ইহরাম বা হজ্বের আমল কীভাবে হবে? তাকেও কি ইহরাম পরাতে হবে?
ঠান্ডার দরুণ মাথা মুখ ঢাকতে হলে তা পারব কি না? তার ভুলের কারণে দম
ওয়াজিব হবে কি? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শিশু সন্তানের
পক্ষ থেকে তার পিতা ইহরাম করে নিবেন। আর এই শিশুকে ইহরামের কাপড় পরানো
জরুরি নয়। সম্ভব হলে পরাবে এবং যথাসম্ভব ইহরামের নিষিদ্ধ জিনিস থেকেও তাকে
বিরত রাখতে চেষ্টা করবে। প্রয়োজন হলে তাকে সেলাই করা পোশাক পরাতে পারবে
এবং চেহারা ও মাথা ঢাকতেও পারবে।
শিশু বাচ্চা ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো
কিছু করার দ্বারা তার উপর কিংবা তার অভিভাবকের উপর জরিমানা দম বা অন্য কোনো
কিছু ওয়াজিব হবে না। অভিভাবক তাকে নিয়ে তাওয়াফ-সায়ী করবে। আর তার পক্ষ
থেকে তাওয়াফের দুই রাকাতও পড়তে হবে না। মিনা, আরাফায় নিজেদের সাথে সাথে
রাখবে এবং তার পক্ষ থেকে কংকর নিক্ষেপ করবে। আর তার পক্ষ থেকে দমে শোকর
আদায় করতে হবে না। ইহরাম ত্যাগ করার জন্য তার মাথা মুন্ডন করে দিবে।
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ১১২-১১৩, ২৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৩-৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আগামী বছর আমরা স্বামী-স্ত্রী হজ্বে
যাব। আমাদের দু বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। তাকেও নিয়ে যাব। প্রশ্ন হল
এই শিশু ছেলের ইহরাম বা হজ্বের আমল কীভাবে হবে? তাকেও কি ইহরাম পরাতে হবে?
ঠান্ডার দরুণ মাথা মুখ ঢাকতে হলে তা পারব কি না? তার ভুলের কারণে দম
ওয়াজিব হবে কি? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শিশু সন্তানের
পক্ষ থেকে তার পিতা ইহরাম করে নিবেন। আর এই শিশুকে ইহরামের কাপড় পরানো
জরুরি নয়। সম্ভব হলে পরাবে এবং যথাসম্ভব ইহরামের নিষিদ্ধ জিনিস থেকেও তাকে
বিরত রাখতে চেষ্টা করবে। প্রয়োজন হলে তাকে সেলাই করা পোশাক পরাতে পারবে
এবং চেহারা ও মাথা ঢাকতেও পারবে।
শিশু বাচ্চা ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো কিছু করার দ্বারা তার উপর কিংবা তার অভিভাবকের উপর জরিমানা দম বা অন্য কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না। অভিভাবক তাকে নিয়ে তাওয়াফ-সায়ী করবে। আর তার পক্ষ থেকে তাওয়াফের দুই রাকাতও পড়তে হবে না। মিনা, আরাফায় নিজেদের সাথে সাথে রাখবে এবং তার পক্ষ থেকে কংকর নিক্ষেপ করবে। আর তার পক্ষ থেকে দমে শোকর আদায় করতে হবে না। ইহরাম ত্যাগ করার জন্য তার মাথা মুন্ডন করে দিবে।
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ১১২-১১৩, ২৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৩-৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৬
শিশু বাচ্চা ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো কিছু করার দ্বারা তার উপর কিংবা তার অভিভাবকের উপর জরিমানা দম বা অন্য কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না। অভিভাবক তাকে নিয়ে তাওয়াফ-সায়ী করবে। আর তার পক্ষ থেকে তাওয়াফের দুই রাকাতও পড়তে হবে না। মিনা, আরাফায় নিজেদের সাথে সাথে রাখবে এবং তার পক্ষ থেকে কংকর নিক্ষেপ করবে। আর তার পক্ষ থেকে দমে শোকর আদায় করতে হবে না। ইহরাম ত্যাগ করার জন্য তার মাথা মুন্ডন করে দিবে।
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ১১২-১১৩, ২৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৩-৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
কিছুদিন আগে আমার পিতা মারা যান। তিনি হজ্ব করেননি। ইন্তেকালের...
প্রশ্ন
কিছুদিন আগে আমার পিতা মারা যান।
তিনি হজ্ব করেননি। ইন্তেকালের আগে তিনি বদলি হজ্বের অসিয়ত করে গেছেন।
কিন্তু আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পদের এক তৃতীয়াংশ (যার মূল্য প্রায় দুই
লক্ষ টাকা) দ্বারা বর্তমানে হজ্ব করানো সম্ভব নয়। আমাদের মসজিদের ইমাম
সাহেব হুজুর বলেছেন, আমরা যদি তাকে দুই লক্ষ টাকা দেই তাহলে তিনি নিজের
পক্ষ থেকে বাকি ‘আশি হাজার’ টাকা দিয়ে বাবার বদলি হজ্ব আদায় করবেন।
প্রশ্ন হল, এভাবে বদলি হজ্ব আদায় করলে আমার পিতার ফরয হজ্ব আদায় হবে কি?
জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
বদলী হজ্বের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, যার
বদলি হজ্ব করা হচ্ছে তার খরচেই হজ্ব করা। কিন্তু যদি অন্য কেউ স্বেচ্ছায়
কিছু খরচ করে আর যার বদলি হজ্ব করা হচ্ছে অধিকাংশ টাকা তারই হয় তবেও বদলী
হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইমাম সাহেবকে দিয়ে বদলি
হজ্ব করানো যাবে এবং এর দ্বারা আপনার পিতার বদলি হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪৩৬; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২৩; ফাতহুল কাদীর ৩/৬৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩২১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
কিছুদিন আগে আমার পিতা মারা যান।
তিনি হজ্ব করেননি। ইন্তেকালের আগে তিনি বদলি হজ্বের অসিয়ত করে গেছেন।
কিন্তু আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পদের এক তৃতীয়াংশ (যার মূল্য প্রায় দুই
লক্ষ টাকা) দ্বারা বর্তমানে হজ্ব করানো সম্ভব নয়। আমাদের মসজিদের ইমাম
সাহেব হুজুর বলেছেন, আমরা যদি তাকে দুই লক্ষ টাকা দেই তাহলে তিনি নিজের
পক্ষ থেকে বাকি ‘আশি হাজার’ টাকা দিয়ে বাবার বদলি হজ্ব আদায় করবেন।
প্রশ্ন হল, এভাবে বদলি হজ্ব আদায় করলে আমার পিতার ফরয হজ্ব আদায় হবে কি?
জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
বদলী হজ্বের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, যার
বদলি হজ্ব করা হচ্ছে তার খরচেই হজ্ব করা। কিন্তু যদি অন্য কেউ স্বেচ্ছায়
কিছু খরচ করে আর যার বদলি হজ্ব করা হচ্ছে অধিকাংশ টাকা তারই হয় তবেও বদলী
হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইমাম সাহেবকে দিয়ে বদলি
হজ্ব করানো যাবে এবং এর দ্বারা আপনার পিতার বদলি হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪৩৬; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২৩; ফাতহুল কাদীর ৩/৬৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩২১
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪৩৬; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২৩; ফাতহুল কাদীর ৩/৬৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩২১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আগামী বছর আমরা স্বামী-স্ত্রী হজ্বে যাব। আমাদের দু বছরের একটি...
প্রশ্ন
আগামী বছর আমরা স্বামী-স্ত্রী হজ্বে
যাব। আমাদের দু বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। তাকেও নিয়ে যাব। প্রশ্ন হল
এই শিশু ছেলের ইহরাম বা হজ্বের আমল কীভাবে হবে? তাকেও কি ইহরাম পরাতে হবে?
ঠান্ডার দরুণ মাথা মুখ ঢাকতে হলে তা পারব কি না? তার ভুলের কারণে দম
ওয়াজিব হবে কি? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শিশু সন্তানের
পক্ষ থেকে তার পিতা ইহরাম করে নিবেন। আর এই শিশুকে ইহরামের কাপড় পরানো
জরুরি নয়। সম্ভব হলে পরাবে এবং যথাসম্ভব ইহরামের নিষিদ্ধ জিনিস থেকেও তাকে
বিরত রাখতে চেষ্টা করবে। প্রয়োজন হলে তাকে সেলাই করা পোশাক পরাতে পারবে
এবং চেহারা ও মাথা ঢাকতেও পারবে।
শিশু-বাচ্চা ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো
কিছু করার দ্বারা তার উপর কিংবা তার অভিভাবকের উপর জরিমানা-দম বা অন্য কোনো
কিছু ওয়াজিব হবে না। অভিভাবক তাকে নিয়ে তাওয়াফ-সায়ী করবে। আর তার পক্ষ
থেকে তাওয়াফের দুই রাকাতও পড়তে হবে না। মিনা, আরাফায় নিজেদের সাথে সাথে
রাখবে এবং তার পক্ষ থেকে কংকর নিক্ষেপ করবে। আর তার পক্ষ থেকে দমে শোকর
আদায় করতে হবে না। ইহরাম ত্যাগ করার জন্য তার মাথা মুন্ডন করে দিবে।
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ১১২-১১৩, ২৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৩-৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৯৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আগামী বছর আমরা স্বামী-স্ত্রী হজ্বে
যাব। আমাদের দু বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। তাকেও নিয়ে যাব। প্রশ্ন হল
এই শিশু ছেলের ইহরাম বা হজ্বের আমল কীভাবে হবে? তাকেও কি ইহরাম পরাতে হবে?
ঠান্ডার দরুণ মাথা মুখ ঢাকতে হলে তা পারব কি না? তার ভুলের কারণে দম
ওয়াজিব হবে কি? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শিশু সন্তানের
পক্ষ থেকে তার পিতা ইহরাম করে নিবেন। আর এই শিশুকে ইহরামের কাপড় পরানো
জরুরি নয়। সম্ভব হলে পরাবে এবং যথাসম্ভব ইহরামের নিষিদ্ধ জিনিস থেকেও তাকে
বিরত রাখতে চেষ্টা করবে। প্রয়োজন হলে তাকে সেলাই করা পোশাক পরাতে পারবে
এবং চেহারা ও মাথা ঢাকতেও পারবে।
শিশু-বাচ্চা ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো কিছু করার দ্বারা তার উপর কিংবা তার অভিভাবকের উপর জরিমানা-দম বা অন্য কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না। অভিভাবক তাকে নিয়ে তাওয়াফ-সায়ী করবে। আর তার পক্ষ থেকে তাওয়াফের দুই রাকাতও পড়তে হবে না। মিনা, আরাফায় নিজেদের সাথে সাথে রাখবে এবং তার পক্ষ থেকে কংকর নিক্ষেপ করবে। আর তার পক্ষ থেকে দমে শোকর আদায় করতে হবে না। ইহরাম ত্যাগ করার জন্য তার মাথা মুন্ডন করে দিবে।
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ১১২-১১৩, ২৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৩-৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৬
শিশু-বাচ্চা ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো কিছু করার দ্বারা তার উপর কিংবা তার অভিভাবকের উপর জরিমানা-দম বা অন্য কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না। অভিভাবক তাকে নিয়ে তাওয়াফ-সায়ী করবে। আর তার পক্ষ থেকে তাওয়াফের দুই রাকাতও পড়তে হবে না। মিনা, আরাফায় নিজেদের সাথে সাথে রাখবে এবং তার পক্ষ থেকে কংকর নিক্ষেপ করবে। আর তার পক্ষ থেকে দমে শোকর আদায় করতে হবে না। ইহরাম ত্যাগ করার জন্য তার মাথা মুন্ডন করে দিবে।
-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ১১২-১১৩, ২৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৩-৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৯৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
গত বছর আমি ইহরাম অবস্থায় ভুলে আমার মোচ কেটে ফেলি।...
প্রশ্ন
গত বছর আমি ইহরাম অবস্থায় ভুলে
আমার মোচ কেটে ফেলি। জানতে চাই, এ কারণে আমার উপর কি কোনো সদকা বা দম
ওয়াজিব হয়েছিল? আর তা দেশে এসে আদায় করলে চলবে নাকি হেরেমে আদায় করা
জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার উপর এক
সদকাতুল ফিতর সমপরিমাণ নির্ধারিত খাদ্য বা তার মূল্য আদায় করা ওয়াজিব
হয়েছে। আর তা দেশে আদায় করলেও চলবে। হেরেমের এলাকায় আদায় করা জরুরি
নয়। তবে হেরেমে আদায় করা উত্তম।
-গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪২৯; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৬; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৩৯৫; কিতাবুল আছল ২/৪৩২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৮৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
গত বছর আমি ইহরাম অবস্থায় ভুলে
আমার মোচ কেটে ফেলি। জানতে চাই, এ কারণে আমার উপর কি কোনো সদকা বা দম
ওয়াজিব হয়েছিল? আর তা দেশে এসে আদায় করলে চলবে নাকি হেরেমে আদায় করা
জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার উপর এক
সদকাতুল ফিতর সমপরিমাণ নির্ধারিত খাদ্য বা তার মূল্য আদায় করা ওয়াজিব
হয়েছে। আর তা দেশে আদায় করলেও চলবে। হেরেমের এলাকায় আদায় করা জরুরি
নয়। তবে হেরেমে আদায় করা উত্তম।
-গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪২৯; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৬; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৩৯৫; কিতাবুল আছল ২/৪৩২
-গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪২৯; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৬; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৩৯৫; কিতাবুল আছল ২/৪৩২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৮৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি এক মসজিদে ইমামতি করি। দু বছর আগে আমাদের এলাকার...
প্রশ্ন
আমি এক মসজিদে ইমামতি করি। দু বছর
আগে আমাদের এলাকার এক ধনাঢ্য ব্যক্তি মারা যায়। তার উপর হজ্ব ফরয ছিল।
কিন্তু সে হজ্ব করেনি। তাই ওয়ারিসরা আমাকে তার বদলি হজ্ব করার জন্য অনুরোধ
করছে। আর আমার উপর হজ্ব ফরয না হওয়ার কারণে আমি হজ্ব করিনি। এখন জানার
বিষয় হল, আমি ঐ ব্যক্তির বদলি হজ্ব করতে পারব কি না? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
বদলি হজ্বের জন্য এমন ব্যক্তিকে
প্রেরণ করা উত্তম যিনি নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেছেন এবং হজ্বের আহকামও
ভালোভাবে জানেন। আর যে ব্যক্তি হজ্বে যায়নি এবং তার উপর হজ্ব ফরযও নয়
তাকে বদলি হজ্বের জন্য পাঠানো মাকরূহ তানযিহি তথা অনুত্তম। তবে এমন
ব্যক্তিকে দিয়ে বদলি হজ্ব করালেও হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।
-মুসান্নাফে
ইবনে আবী শাইবা ৮/১৮৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৭; ফাতহুল কাদীর ৩/৭২;
রদ্দুল মুহতার ২/৬০৩; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪৫২; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৮৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি এক মসজিদে ইমামতি করি। দু বছর
আগে আমাদের এলাকার এক ধনাঢ্য ব্যক্তি মারা যায়। তার উপর হজ্ব ফরয ছিল।
কিন্তু সে হজ্ব করেনি। তাই ওয়ারিসরা আমাকে তার বদলি হজ্ব করার জন্য অনুরোধ
করছে। আর আমার উপর হজ্ব ফরয না হওয়ার কারণে আমি হজ্ব করিনি। এখন জানার
বিষয় হল, আমি ঐ ব্যক্তির বদলি হজ্ব করতে পারব কি না? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
বদলি হজ্বের জন্য এমন ব্যক্তিকে
প্রেরণ করা উত্তম যিনি নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেছেন এবং হজ্বের আহকামও
ভালোভাবে জানেন। আর যে ব্যক্তি হজ্বে যায়নি এবং তার উপর হজ্ব ফরযও নয়
তাকে বদলি হজ্বের জন্য পাঠানো মাকরূহ তানযিহি তথা অনুত্তম। তবে এমন
ব্যক্তিকে দিয়ে বদলি হজ্ব করালেও হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৮/১৮৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৭; ফাতহুল কাদীর ৩/৭২; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৩; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪৫২; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৭
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৮/১৮৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৭; ফাতহুল কাদীর ৩/৭২; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৩; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪৫২; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৮৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
১৯৯০ সালে রমযানে আমরা প্রায় বিশজন একসাথে উমরাহ করতে গিয়েছিলাম।...
প্রশ্ন
১৯৯০ সালে রমযানে আমরা প্রায় বিশজন
একসাথে উমরাহ করতে গিয়েছিলাম। আগে মদীনায় রওযা শরীফ যিয়ারত করে তারপর
আমরা মক্কায় যাই। মক্কায় রওনা হওয়ার সময় দলের প্রায় সবাই মদীনা
মুনাওয়ারা হতে ইহরাম বেঁধে নেন। শুধু আমরা চার/পাঁচজন ইহরাম ছাড়াই মদীনা
মুনাওয়ারা থেকে বের হই। উদ্দেশ্য নির্ধারিত মীকাত হতে ইহরাম বেঁধে মক্কায়
প্রবেশ করব। কিন্তু ড্রাইভার ইহরাম ছাড়া কেউ নেই মনে করে মীকাতে গাড়ি না
থামিয়ে আমাদেরকে ভেতরে নিয়ে যায়। টের পাওয়ার পর আমরা সাথে সাথেই
মীকাতে ফিরে এসে ইহরাম বাঁধি অতপর উমরাহ করি। প্রথমবার ইহরাম ছাড়া মক্কায়
প্রবেশ করার কারণে আমাদের উপর দম ওয়াজিব হয়েছিল কি? সাথে একজন আলেম
ছিলেন তিনি বলেছেন, কোনো সমস্যা নেই। তার কথা কি ঠিক?
উত্তর
হ্যাঁ, ঐ আলেম ঠিকই বলেছেন। ইহরাম
ব্যতীত মীকাতের ভেতর প্রবেশ করলেও উমরার কাজ শুরু করার আগেই যেহেতু মীকাতে
ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধেছেন তাই আপনাদের ভুল সংশোধন হয়ে গেছে
এবং দমও মাফ হয়ে গেছে। তাই এখন আপনাকে কোনো জরিমানা দম দিতে হবে না।
-আলবাহরুর রায়েক ৩/৪৮; ফাতহুল কাদীর ৩/৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৩৯৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
১৯৯০ সালে রমযানে আমরা প্রায় বিশজন
একসাথে উমরাহ করতে গিয়েছিলাম। আগে মদীনায় রওযা শরীফ যিয়ারত করে তারপর
আমরা মক্কায় যাই। মক্কায় রওনা হওয়ার সময় দলের প্রায় সবাই মদীনা
মুনাওয়ারা হতে ইহরাম বেঁধে নেন। শুধু আমরা চার/পাঁচজন ইহরাম ছাড়াই মদীনা
মুনাওয়ারা থেকে বের হই। উদ্দেশ্য নির্ধারিত মীকাত হতে ইহরাম বেঁধে মক্কায়
প্রবেশ করব। কিন্তু ড্রাইভার ইহরাম ছাড়া কেউ নেই মনে করে মীকাতে গাড়ি না
থামিয়ে আমাদেরকে ভেতরে নিয়ে যায়। টের পাওয়ার পর আমরা সাথে সাথেই
মীকাতে ফিরে এসে ইহরাম বাঁধি অতপর উমরাহ করি। প্রথমবার ইহরাম ছাড়া মক্কায়
প্রবেশ করার কারণে আমাদের উপর দম ওয়াজিব হয়েছিল কি? সাথে একজন আলেম
ছিলেন তিনি বলেছেন, কোনো সমস্যা নেই। তার কথা কি ঠিক?
উত্তর
হ্যাঁ, ঐ আলেম ঠিকই বলেছেন। ইহরাম
ব্যতীত মীকাতের ভেতর প্রবেশ করলেও উমরার কাজ শুরু করার আগেই যেহেতু মীকাতে
ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধেছেন তাই আপনাদের ভুল সংশোধন হয়ে গেছে
এবং দমও মাফ হয়ে গেছে। তাই এখন আপনাকে কোনো জরিমানা দম দিতে হবে না।
-আলবাহরুর রায়েক ৩/৪৮; ফাতহুল কাদীর ৩/৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৩৯৬
-আলবাহরুর রায়েক ৩/৪৮; ফাতহুল কাদীর ৩/৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৩৯৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমাদের বাড়িওয়ালা দশ বছর আগে তার ভাতিজাকে সম্পূর্ণ খরচ দিয়ে...
প্রশ্ন
আমাদের বাড়িওয়ালা দশ বছর আগে তার
ভাতিজাকে সম্পূর্ণ খরচ দিয়ে হজ্বে পাঠিয়েছিলেন। ভাতিজা তখন বালেগ ছিল,
কিন্তু বেকার ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিল। এখন সে কাপড়ের ব্যবসায় দ্রুত
উন্নতি করেছে। ইতিমধ্যেই সে প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে গেছে। যা অনেক আগেই
নেসাব অতিক্রম করেছে। এখন কি তার জন্য পুনরায় হজ্ব করা জরুরি, না আগের ঐ
হজ্বটিই তার জন্য যথেষ্ট হবে?
প্রকাশ থাকে যে, সে হজ্ব করার সময় ফরয বা নফল কিছুই নির্দিষ্ট করেনি বরং শুধু হজ্বের নিয়ত করেছিল।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির ফরয
হজ্ব আদায় হয়ে গেছে। তার জন্য পুনরায় হজ্ব করা জরুরি নয়। কারণ দরিদ্র
ব্যক্তিও যদি কোনোভাবে হজ্ব আদায় করে এবং ফরয হজ্বের নিয়ত করে বা শুধু
হজ্বের নিয়ত করে থাকে (অর্থাৎ নফল হজ্বের নিয়ত না করে থাকে) তাহলে সেটা
তার ফরয হজ্ব বলেই গণ্য হবে। পরবর্তীতে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও
দ্বিতীয়বার তার উপর হজ্ব করা ফরয হবে না।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী
শাইবা, হাদীস : ১৩৬৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৪; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী
৪১; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১২; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৪৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমাদের বাড়িওয়ালা দশ বছর আগে তার
ভাতিজাকে সম্পূর্ণ খরচ দিয়ে হজ্বে পাঠিয়েছিলেন। ভাতিজা তখন বালেগ ছিল,
কিন্তু বেকার ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিল। এখন সে কাপড়ের ব্যবসায় দ্রুত
উন্নতি করেছে। ইতিমধ্যেই সে প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে গেছে। যা অনেক আগেই
নেসাব অতিক্রম করেছে। এখন কি তার জন্য পুনরায় হজ্ব করা জরুরি, না আগের ঐ
হজ্বটিই তার জন্য যথেষ্ট হবে?
প্রকাশ থাকে যে, সে হজ্ব করার সময় ফরয বা নফল কিছুই নির্দিষ্ট করেনি বরং শুধু হজ্বের নিয়ত করেছিল।
প্রকাশ থাকে যে, সে হজ্ব করার সময় ফরয বা নফল কিছুই নির্দিষ্ট করেনি বরং শুধু হজ্বের নিয়ত করেছিল।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির ফরয
হজ্ব আদায় হয়ে গেছে। তার জন্য পুনরায় হজ্ব করা জরুরি নয়। কারণ দরিদ্র
ব্যক্তিও যদি কোনোভাবে হজ্ব আদায় করে এবং ফরয হজ্বের নিয়ত করে বা শুধু
হজ্বের নিয়ত করে থাকে (অর্থাৎ নফল হজ্বের নিয়ত না করে থাকে) তাহলে সেটা
তার ফরয হজ্ব বলেই গণ্য হবে। পরবর্তীতে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও
দ্বিতীয়বার তার উপর হজ্ব করা ফরয হবে না।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩৬৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৪; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪১; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১২; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৬
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩৬৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৪; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪১; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১২; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৪৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমার বড় ভাই স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ রিয়াদে থাকেন। ছেলে...
প্রশ্ন
আমার বড় ভাই স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ
রিয়াদে থাকেন। ছেলে দুজনের বয়স যথাক্রমে দশ ও সাত বছর। এ বছর তিনি
স্ত্রী সন্তানসহ হজ্ব করতে চাচ্ছেন।
প্রশ্ন হল, নাবালেগ বাচ্চাদের হজ্ব আদায়ের পদ্ধতি কী? আর ইহরাম অবস্থায় তারা যদি ইহরাম পরিপন্থী কোনো কাজ করে তবে এর হুকুম কী?
উত্তর
নাবালেগ বুঝমান হলে বালেগদের মতো
তারাও যথানিয়মে ইহরাম বাঁধবে এবং হজ্বের কার্যাদি আদায় করবে। আর বুঝমান
না হলে তাদের পক্ষ থেকে অভিভাবক ইহরাম করবে। তবে নাবালেগ অবস্থায় আদায়কৃত
হজ্ব তাদের জন্য নফল হবে। তাই বালেগ হওয়ার পর হজ্বের সামর্থ্য হলে
পুনরায় তাদের উপর হজ্ব করা ফরয হবে।
ইবনে আববাস রা. বর্ণনা করেন যে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেউ নাবালেগ
অবস্থায় হজ্ব করলেও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর (সামর্থ্যবান হলে) পুনরায়
হজ্ব করতে হবে।
আর ইহরাম অবস্থায় নাবালেগ থেকে ইহরাম পরিপন্থী কোনো
কাজ প্রকাশ পেলেও কোনো জরিমানা ওয়াজিব হবে না। তবে অভিভাবকের কর্তব্য হল
তাদেরকে যথাসম্ভব ইহরামের নিষিদ্ধ কার্যাদি থেকে বিরত রাখা।-রদ্দুল মুহতার
২/৪৬৬; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৪
(মুস্তাদরাক লিল হাকেম, হাদীস : ১৮১২;
সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস : ৩০৫০; আলবাহরুল আমীক ১/৩৬৩; আলবাহরুর রায়েক
২/৩১৬; ফাতহুল কাদীর ২/৩৩২)
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১২৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমার বড় ভাই স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ
রিয়াদে থাকেন। ছেলে দুজনের বয়স যথাক্রমে দশ ও সাত বছর। এ বছর তিনি
স্ত্রী সন্তানসহ হজ্ব করতে চাচ্ছেন।
প্রশ্ন হল, নাবালেগ বাচ্চাদের হজ্ব আদায়ের পদ্ধতি কী? আর ইহরাম অবস্থায় তারা যদি ইহরাম পরিপন্থী কোনো কাজ করে তবে এর হুকুম কী?
প্রশ্ন হল, নাবালেগ বাচ্চাদের হজ্ব আদায়ের পদ্ধতি কী? আর ইহরাম অবস্থায় তারা যদি ইহরাম পরিপন্থী কোনো কাজ করে তবে এর হুকুম কী?
উত্তর
নাবালেগ বুঝমান হলে বালেগদের মতো
তারাও যথানিয়মে ইহরাম বাঁধবে এবং হজ্বের কার্যাদি আদায় করবে। আর বুঝমান
না হলে তাদের পক্ষ থেকে অভিভাবক ইহরাম করবে। তবে নাবালেগ অবস্থায় আদায়কৃত
হজ্ব তাদের জন্য নফল হবে। তাই বালেগ হওয়ার পর হজ্বের সামর্থ্য হলে
পুনরায় তাদের উপর হজ্ব করা ফরয হবে।
ইবনে আববাস রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেউ নাবালেগ অবস্থায় হজ্ব করলেও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর (সামর্থ্যবান হলে) পুনরায় হজ্ব করতে হবে।
আর ইহরাম অবস্থায় নাবালেগ থেকে ইহরাম পরিপন্থী কোনো কাজ প্রকাশ পেলেও কোনো জরিমানা ওয়াজিব হবে না। তবে অভিভাবকের কর্তব্য হল তাদেরকে যথাসম্ভব ইহরামের নিষিদ্ধ কার্যাদি থেকে বিরত রাখা।-রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৬; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৪
(মুস্তাদরাক লিল হাকেম, হাদীস : ১৮১২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস : ৩০৫০; আলবাহরুল আমীক ১/৩৬৩; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১৬; ফাতহুল কাদীর ২/৩৩২)
ইবনে আববাস রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেউ নাবালেগ অবস্থায় হজ্ব করলেও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর (সামর্থ্যবান হলে) পুনরায় হজ্ব করতে হবে।
আর ইহরাম অবস্থায় নাবালেগ থেকে ইহরাম পরিপন্থী কোনো কাজ প্রকাশ পেলেও কোনো জরিমানা ওয়াজিব হবে না। তবে অভিভাবকের কর্তব্য হল তাদেরকে যথাসম্ভব ইহরামের নিষিদ্ধ কার্যাদি থেকে বিরত রাখা।-রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৬; গুনইয়াতুন নাসিক ৮৪
(মুস্তাদরাক লিল হাকেম, হাদীস : ১৮১২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস : ৩০৫০; আলবাহরুল আমীক ১/৩৬৩; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১৬; ফাতহুল কাদীর ২/৩৩২)
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১২৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
ক) আমি ভবিষ্যতে একজন আইনজীবী (অ্যাডভোকেট) হতে ইচ্ছুক। কিন্তু কয়েকমাস...
প্রশ্ন
ক) আমি ভবিষ্যতে একজন আইনজীবী
(অ্যাডভোকেট) হতে ইচ্ছুক। কিন্তু কয়েকমাস যাবত আমি এ বিষয়ে মানসিক
দুশ্চিন্তায় ভুগছি যে, এই পেশাটি কি হালাল না হরাম? আমাদের দেশের প্রচলিত
আইন সম্পর্কে আশা করি অবগত আছেন। এই আইনের বেশীরভাগই (দেওয়ানী, ফৌজদারীসহ
অন্যান্য আইন) মানব রচিত এবং ইসলামী আইনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই
আমার প্রশ্নটি হচ্ছে এই সব বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ও বিবেচনায় রেখে জানতে
চাই যে, এই পেশাটি হালাল নাকি হারাম। যদি হালাল হয় তাহলে কীভাবে এই পেশায়
নিয়োজিত থেকে অর্থ উপার্জন করা যাথাযথ হালাল হবে।
খ) বর্তমানে
বাংলাদেশে যেসব ইসলামী ব্যাংক রয়েছে সেখানে চাকরি করা জায়েয কি না এবং ঐ
সব ব্যাংকে বিশেষ একাউণ্ট যথা-হজ্ব একাউণ্ট করা জায়েয কি না?
উত্তর
ক) দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের প্রচলিত
আইনগুলো মানবরচিত একথা সঠিক। তবে এই আইনগুলোর মধ্যে অনেক আইন এমন আছে যা
শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আপনি ঐ সকল মামলা পরিচালনা করতে পারবেন। আর
যে সকল আইন ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক সেগুলোতে প্র্যাকটিস করা জায়েয
হবে না।-ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৩২০
খ) ইসলামী ব্যাংকগুলোর কারবার
পর্যবেক্ষণ করে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তারা নিজেদের
বিনিয়োগ ইত্যাদিতে যথাযথ পন্থায় শরীয়ার অনুসরণ করে না। এই ব্যাংকগুলো
সম্পর্কে এ অভিযোগটি অনেকেরই রয়েছে। তাই তাকওয়ার উপর চলতে চায় এমন
ব্যক্তিদেরকে আমরা ব্যাংকে চাকুরির বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে থাকি।
আর হজ্ব করা দরকার নিরঙ্কুশ হালাল সম্পদ খরচ করে। এতে সন্দেহযুক্ত কোনো অর্থ যোগ করা ঠিক নয়।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১২০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
ক) আমি ভবিষ্যতে একজন আইনজীবী
(অ্যাডভোকেট) হতে ইচ্ছুক। কিন্তু কয়েকমাস যাবত আমি এ বিষয়ে মানসিক
দুশ্চিন্তায় ভুগছি যে, এই পেশাটি কি হালাল না হরাম? আমাদের দেশের প্রচলিত
আইন সম্পর্কে আশা করি অবগত আছেন। এই আইনের বেশীরভাগই (দেওয়ানী, ফৌজদারীসহ
অন্যান্য আইন) মানব রচিত এবং ইসলামী আইনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই
আমার প্রশ্নটি হচ্ছে এই সব বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ও বিবেচনায় রেখে জানতে
চাই যে, এই পেশাটি হালাল নাকি হারাম। যদি হালাল হয় তাহলে কীভাবে এই পেশায়
নিয়োজিত থেকে অর্থ উপার্জন করা যাথাযথ হালাল হবে।
খ) বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব ইসলামী ব্যাংক রয়েছে সেখানে চাকরি করা জায়েয কি না এবং ঐ সব ব্যাংকে বিশেষ একাউণ্ট যথা-হজ্ব একাউণ্ট করা জায়েয কি না?
খ) বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব ইসলামী ব্যাংক রয়েছে সেখানে চাকরি করা জায়েয কি না এবং ঐ সব ব্যাংকে বিশেষ একাউণ্ট যথা-হজ্ব একাউণ্ট করা জায়েয কি না?
উত্তর
ক) দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের প্রচলিত
আইনগুলো মানবরচিত একথা সঠিক। তবে এই আইনগুলোর মধ্যে অনেক আইন এমন আছে যা
শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আপনি ঐ সকল মামলা পরিচালনা করতে পারবেন। আর
যে সকল আইন ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক সেগুলোতে প্র্যাকটিস করা জায়েয
হবে না।-ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৩২০
খ) ইসলামী ব্যাংকগুলোর কারবার পর্যবেক্ষণ করে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তারা নিজেদের বিনিয়োগ ইত্যাদিতে যথাযথ পন্থায় শরীয়ার অনুসরণ করে না। এই ব্যাংকগুলো সম্পর্কে এ অভিযোগটি অনেকেরই রয়েছে। তাই তাকওয়ার উপর চলতে চায় এমন ব্যক্তিদেরকে আমরা ব্যাংকে চাকুরির বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে থাকি।
আর হজ্ব করা দরকার নিরঙ্কুশ হালাল সম্পদ খরচ করে। এতে সন্দেহযুক্ত কোনো অর্থ যোগ করা ঠিক নয়।
খ) ইসলামী ব্যাংকগুলোর কারবার পর্যবেক্ষণ করে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তারা নিজেদের বিনিয়োগ ইত্যাদিতে যথাযথ পন্থায় শরীয়ার অনুসরণ করে না। এই ব্যাংকগুলো সম্পর্কে এ অভিযোগটি অনেকেরই রয়েছে। তাই তাকওয়ার উপর চলতে চায় এমন ব্যক্তিদেরকে আমরা ব্যাংকে চাকুরির বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে থাকি।
আর হজ্ব করা দরকার নিরঙ্কুশ হালাল সম্পদ খরচ করে। এতে সন্দেহযুক্ত কোনো অর্থ যোগ করা ঠিক নয়।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১২০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
এক ব্যক্তি সুস্থ থাকা অবস্থায় তার উপর হজ্ব ফরয হয়।...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি সুস্থ থাকা অবস্থায় তার
উপর হজ্ব ফরয হয়। কিন্তু সে তখন হজ্ব আদায় করেনি। পরবর্তীতে সে
প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে, যা থেকে তার জন্য সুস্থতা ফিরে
পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রশ্ন হল, তার জন্য এ অবস্থায় কি অন্যকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো জায়েয হবে?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা মতে লোকটি যেহেতু
শারীরিকভাবে হজ্বে যেতে সক্ষম নয় আর বাহ্যত সামনেও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা
নেই তাই তার জন্য নিজের পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব করানো জায়েয হবে। তবে বদলি
হজ্ব করানোর পর মৃত্যুর পূর্বে কখনো সুস্থ হয়ে গেলে তখন সামর্থ্য হলে
পুনরায় নিজের হজ্ব আদায় করতে হবে।
-সহীহ বুখারী ১/২৫০; আততাজরীদ
৪/১৬৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৫; ফাতহুল কাদীর ৩/৬৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া
১/২৭৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১১৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি সুস্থ থাকা অবস্থায় তার
উপর হজ্ব ফরয হয়। কিন্তু সে তখন হজ্ব আদায় করেনি। পরবর্তীতে সে
প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে, যা থেকে তার জন্য সুস্থতা ফিরে
পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রশ্ন হল, তার জন্য এ অবস্থায় কি অন্যকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো জায়েয হবে?
প্রশ্ন হল, তার জন্য এ অবস্থায় কি অন্যকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো জায়েয হবে?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা মতে লোকটি যেহেতু
শারীরিকভাবে হজ্বে যেতে সক্ষম নয় আর বাহ্যত সামনেও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা
নেই তাই তার জন্য নিজের পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব করানো জায়েয হবে। তবে বদলি
হজ্ব করানোর পর মৃত্যুর পূর্বে কখনো সুস্থ হয়ে গেলে তখন সামর্থ্য হলে
পুনরায় নিজের হজ্ব আদায় করতে হবে।
-সহীহ বুখারী ১/২৫০; আততাজরীদ ৪/১৬৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৫; ফাতহুল কাদীর ৩/৬৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৭
-সহীহ বুখারী ১/২৫০; আততাজরীদ ৪/১৬৩৫; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৫; ফাতহুল কাদীর ৩/৬৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১১৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমার অনেক ফসলী জমি আছে। যেগুলো থেকে উপার্জিত অর্থ সংসারের...
প্রশ্ন
আমার অনেক ফসলী জমি আছে। যেগুলো
থেকে উপার্জিত অর্থ সংসারের পেছনে খরচ করার পরও অতিরিক্ত থাকে। এই জমিগুলোর
কোনো একটি বিক্রি করলে হজ্বে যাওয়া-আসার খরচ হয়ে যাবে এবং বাকি জমিগুলোর
উপার্জন আমার সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য যথেষ্ট হবে। কিন্তু আমার কাছে
নগদ অর্থ নেই। এখন কি আমার জন্য জমি বিক্রি করে হজ্ব করা জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার উপর হজ্ব
ফরয। তাই যতদ্রুত সম্ভব আপনার হজ্ব আদায় করে নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে জমি
বিক্রি করে হলেও হজ্বে যেতে হবে।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮২; গুনইয়াতুন নাসিক ২০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৭২; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০১৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমার অনেক ফসলী জমি আছে। যেগুলো
থেকে উপার্জিত অর্থ সংসারের পেছনে খরচ করার পরও অতিরিক্ত থাকে। এই জমিগুলোর
কোনো একটি বিক্রি করলে হজ্বে যাওয়া-আসার খরচ হয়ে যাবে এবং বাকি জমিগুলোর
উপার্জন আমার সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য যথেষ্ট হবে। কিন্তু আমার কাছে
নগদ অর্থ নেই। এখন কি আমার জন্য জমি বিক্রি করে হজ্ব করা জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার উপর হজ্ব
ফরয। তাই যতদ্রুত সম্ভব আপনার হজ্ব আদায় করে নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে জমি
বিক্রি করে হলেও হজ্বে যেতে হবে।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮২; গুনইয়াতুন নাসিক ২০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৭২; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬২
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮২; গুনইয়াতুন নাসিক ২০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৭২; রদ্দুল মুহতার ২/৪৬২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০১৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
গত বছর আমি ইহরাম অবস্থায় ভুলে আমার মোচ কাটা শুরু...
প্রশ্ন
গত বছর আমি ইহরাম অবস্থায় ভুলে
আমার মোচ কাটা শুরু করি। স্মরণ হওয়া মাত্রই কাটা বন্ধ করে দিই। তখন এক
চতুর্থাংশের চেয়েও কম পরিমাণ মোচ কাটা হয়েছিল। জানতে চাই, আমার উপর কি
কোনো সদকা বা দম ওয়াজিব হয়েছে? যদি ওয়াজিব হয়ে থাকে তবে তা দেশে আদায়
করলে কি চলবে?
উত্তর
উক্ত ভুলের কারণে আপনার উপর সদকাতুল
ফিতর পরিমাণ নির্দিষ্ট খাদ্য বা ঐ দেশের হিসাবে তার মূল্য সদকা করা
ওয়াজিব হয়েছে। আর তা দেশে আদায় করলেও চলবে। হেরেমের এলাকায় আদায় করা
জরুরি নয়। তবে হেরেমে আদায় করা উত্তম।
-গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪২৯; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৬; কিতাবুল আছল ২/৪৩২; ফাতাওয়াল ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২৭৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯৯৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
গত বছর আমি ইহরাম অবস্থায় ভুলে
আমার মোচ কাটা শুরু করি। স্মরণ হওয়া মাত্রই কাটা বন্ধ করে দিই। তখন এক
চতুর্থাংশের চেয়েও কম পরিমাণ মোচ কাটা হয়েছিল। জানতে চাই, আমার উপর কি
কোনো সদকা বা দম ওয়াজিব হয়েছে? যদি ওয়াজিব হয়ে থাকে তবে তা দেশে আদায়
করলে কি চলবে?
উত্তর
উক্ত ভুলের কারণে আপনার উপর সদকাতুল
ফিতর পরিমাণ নির্দিষ্ট খাদ্য বা ঐ দেশের হিসাবে তার মূল্য সদকা করা
ওয়াজিব হয়েছে। আর তা দেশে আদায় করলেও চলবে। হেরেমের এলাকায় আদায় করা
জরুরি নয়। তবে হেরেমে আদায় করা উত্তম।
-গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪২৯; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৬; কিতাবুল আছল ২/৪৩২; ফাতাওয়াল ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২৭৭
-গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪২৯; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৬; কিতাবুল আছল ২/৪৩২; ফাতাওয়াল ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২৭৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯৯৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেই সরকারী কর্মচারী ছিলাম। ১৯৯৭ সালে...
প্রশ্ন
আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেই সরকারী
কর্মচারী ছিলাম। ১৯৯৭ সালে আমি অবসরপ্রাপ্ত হই। আমার উপর হজ্ব ফরয। ২০০০
সালে আমি হজ্বের প্রস্ত্ততি গ্রহণ করি। কিন্তু ঐ সময় আমার স্ত্রীর উপর
হজ্ব ফরয ছিল না। যে সময় আমার স্ত্রীর উপর হজ্ব ফরয হবে তখন সে কোনো
মাহরাম না-ও পেতে পারে -এ আশঙ্কা করে আমি আমার টাকা দিয়ে আমার সাথে হজ্ব
করিয়ে নিয়ে আসি। এবং তার হজ্ব করার খরচের টাকার দাবি আমি ছেড়ে দিয়েছি।
পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর নিকট হজ্ব ফরয হওয়ার মতো অর্থকড়ি জমা হয়। এখন
আমি জানতে চাই, আমার সাথে আমার স্ত্রীর আদায় করা হজ্বটি কি ফরয হজ্ব
হয়েছে? নাকি স্ত্রীকে পুনরায় ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ হজ্ব দ্বারাই আপনার স্ত্রীর ফরয হজ্ব আদায় হয়ে গেছে। অতএব এখন তাকে পুনরায় ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে না।
-মানাসিক, পৃ. ৪১; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৯; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯৯৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেই সরকারী
কর্মচারী ছিলাম। ১৯৯৭ সালে আমি অবসরপ্রাপ্ত হই। আমার উপর হজ্ব ফরয। ২০০০
সালে আমি হজ্বের প্রস্ত্ততি গ্রহণ করি। কিন্তু ঐ সময় আমার স্ত্রীর উপর
হজ্ব ফরয ছিল না। যে সময় আমার স্ত্রীর উপর হজ্ব ফরয হবে তখন সে কোনো
মাহরাম না-ও পেতে পারে -এ আশঙ্কা করে আমি আমার টাকা দিয়ে আমার সাথে হজ্ব
করিয়ে নিয়ে আসি। এবং তার হজ্ব করার খরচের টাকার দাবি আমি ছেড়ে দিয়েছি।
পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর নিকট হজ্ব ফরয হওয়ার মতো অর্থকড়ি জমা হয়। এখন
আমি জানতে চাই, আমার সাথে আমার স্ত্রীর আদায় করা হজ্বটি কি ফরয হজ্ব
হয়েছে? নাকি স্ত্রীকে পুনরায় ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ হজ্ব দ্বারাই আপনার স্ত্রীর ফরয হজ্ব আদায় হয়ে গেছে। অতএব এখন তাকে পুনরায় ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে না।
-মানাসিক, পৃ. ৪১; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৯; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৪
-মানাসিক, পৃ. ৪১; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৯; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯৯৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে হজ্ব করতে গিয়েছি। ৮ যিলহজ্ব আমাদের...
প্রশ্ন
আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে হজ্ব
করতে গিয়েছি। ৮ যিলহজ্ব আমাদের মিনায় যাওয়া হয়নি। মক্কা থেকে সরাসরি
আরাফা গিয়েছি। কিন্তু হজ্বের ইহরামের পর উকূফে আরাফার আগে আমাদের মাঝে
স্বামী-স্ত্রীসূলভ আচরণ হয়ে গেছে। তবে এর পরের সকল আমল স্বাভাবিক নিয়মেই
সম্পাদন করেছি। এখন জানতে চাই, এ অবস্থায় আমাদের কৃত হজ্বটি কি যথাযথভাবে
আদায় হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে আমাদের করণীয় কী?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ভুলের কারণে
আপনাদের হজ্ব নষ্ট হয়ে গেছে। অবশ্য এরপরও হজ্বের বাকি কাজ সম্পন্ন করা
নিয়মসম্মতই হয়েছে। পরবর্তীতে আপনাদেরকে ঐ হজ্ব কাযা করে নিতে হবে। আর ঐ
ভুলের কারণে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে একটি করে জরিমানা-দম ছাগল/দুম্বা হেরেমের
এলাকায় জবাই করতে হবে। এবং কৃত অন্যায়ের কারণে আল্লাহ তাআলার দরবারে
তওবা-ইস্তিগফারও করতে হবে।
-সুনানে বায়হাকী ৫/১৬৭; মুসান্নাফ ইবনে
আবী শাইবা, হাদীস : ১৩২৪৪, ১৩২৫৬; কিতাবুল আছল ২/৪৭১; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৮;
মানাসিক ৩৩৭; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৬২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯২৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে হজ্ব
করতে গিয়েছি। ৮ যিলহজ্ব আমাদের মিনায় যাওয়া হয়নি। মক্কা থেকে সরাসরি
আরাফা গিয়েছি। কিন্তু হজ্বের ইহরামের পর উকূফে আরাফার আগে আমাদের মাঝে
স্বামী-স্ত্রীসূলভ আচরণ হয়ে গেছে। তবে এর পরের সকল আমল স্বাভাবিক নিয়মেই
সম্পাদন করেছি। এখন জানতে চাই, এ অবস্থায় আমাদের কৃত হজ্বটি কি যথাযথভাবে
আদায় হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে আমাদের করণীয় কী?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ভুলের কারণে
আপনাদের হজ্ব নষ্ট হয়ে গেছে। অবশ্য এরপরও হজ্বের বাকি কাজ সম্পন্ন করা
নিয়মসম্মতই হয়েছে। পরবর্তীতে আপনাদেরকে ঐ হজ্ব কাযা করে নিতে হবে। আর ঐ
ভুলের কারণে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে একটি করে জরিমানা-দম ছাগল/দুম্বা হেরেমের
এলাকায় জবাই করতে হবে। এবং কৃত অন্যায়ের কারণে আল্লাহ তাআলার দরবারে
তওবা-ইস্তিগফারও করতে হবে।
-সুনানে বায়হাকী ৫/১৬৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩২৪৪, ১৩২৫৬; কিতাবুল আছল ২/৪৭১; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৮; মানাসিক ৩৩৭; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৬২
-সুনানে বায়হাকী ৫/১৬৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩২৪৪, ১৩২৫৬; কিতাবুল আছল ২/৪৭১; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৮; মানাসিক ৩৩৭; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৬২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯২৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
জনৈক ব্যক্তির ওপর হজ্ব ফরয হয়েছিল। কিন্তু হজ্ব করেনি। মৃত্যুর...
প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তির ওপর হজ্ব ফরয
হয়েছিল। কিন্তু হজ্ব করেনি। মৃত্যুর সময় অসিয়ত করে গেছে, যেকোনোভাবে যেন
তার বদলি হজ্ব করানো হয়। মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ
২৫/৩০ হাজার টাকার বেশি নয়। এই টাকা দিয়ে হজ্ব করানো অসম্ভব। এক্ষেত্রে
সৌদি প্রবাসী কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে হজ্ব করালে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে বদলি
হজ্ব আদায় হবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু মৃতের
এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা এদেশ থেকে বদলি হজ্বে প্রেরণ করা অসম্ভব তাই
এক্ষেত্রে সৌদি থেকেও বদলি হজ্ব করানো যাবে।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৮; আলবাহরুর রায়েক ৩/৬৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৮-২৫৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৯৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তির ওপর হজ্ব ফরয
হয়েছিল। কিন্তু হজ্ব করেনি। মৃত্যুর সময় অসিয়ত করে গেছে, যেকোনোভাবে যেন
তার বদলি হজ্ব করানো হয়। মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ
২৫/৩০ হাজার টাকার বেশি নয়। এই টাকা দিয়ে হজ্ব করানো অসম্ভব। এক্ষেত্রে
সৌদি প্রবাসী কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে হজ্ব করালে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে বদলি
হজ্ব আদায় হবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু মৃতের
এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা এদেশ থেকে বদলি হজ্বে প্রেরণ করা অসম্ভব তাই
এক্ষেত্রে সৌদি থেকেও বদলি হজ্ব করানো যাবে।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৮; আলবাহরুর রায়েক ৩/৬৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৮-২৫৯
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৮; আলবাহরুর রায়েক ৩/৬৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৮-২৫৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৯৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
একজন বদলি হজ্ব আদায়কারী তার প্রেরণকারীর পক্ষ থেকে তামাত্তু হজ্বের...
প্রশ্ন
একজন বদলি হজ্ব আদায়কারী তার
প্রেরণকারীর পক্ষ থেকে তামাত্তু হজ্বের নিয়তে প্রথমে দেশ থেকে উমরার ইহরাম
করে মক্কা মুকাররমায় গিয়ে উমরাহ আদায় করেন। উমরাহ আদায় শেষে মদীনা
মুনাওয়ারা যিয়ারত করতে যান। অতপর হজ্বের সময়ে যুলহুলাইফা থেকে প্রেরকের
পক্ষ থেকে হজ্বের ইহরাম করে যথানিয়মে হজ্ব আদায় করেন।
জানার বিষয়
হল, তামাত্তু হজ্বের ক্ষেত্রে উমরাহ আদায়ের পর হজ্বের আগে মীকাতের বাইরে
যাওয়ার কারণে তার হজ্বের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বদলি হজ্বটি
যথাযথভাবেই আদায় হয়েছে। উমরার পর হজ্বের আগে মদীনামুনাওয়ারায় যাওয়ার
কারণে হজ্বের কোনো ক্ষতি হয়নি।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩১৭২; কিতাবুল আছল ২/৫৩৭; মুখতাছারু ইখতিলাফিল উলামা ২/১৬৭; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/২৮৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৮৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
একজন বদলি হজ্ব আদায়কারী তার
প্রেরণকারীর পক্ষ থেকে তামাত্তু হজ্বের নিয়তে প্রথমে দেশ থেকে উমরার ইহরাম
করে মক্কা মুকাররমায় গিয়ে উমরাহ আদায় করেন। উমরাহ আদায় শেষে মদীনা
মুনাওয়ারা যিয়ারত করতে যান। অতপর হজ্বের সময়ে যুলহুলাইফা থেকে প্রেরকের
পক্ষ থেকে হজ্বের ইহরাম করে যথানিয়মে হজ্ব আদায় করেন।
জানার বিষয় হল, তামাত্তু হজ্বের ক্ষেত্রে উমরাহ আদায়ের পর হজ্বের আগে মীকাতের বাইরে যাওয়ার কারণে তার হজ্বের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি?
জানার বিষয় হল, তামাত্তু হজ্বের ক্ষেত্রে উমরাহ আদায়ের পর হজ্বের আগে মীকাতের বাইরে যাওয়ার কারণে তার হজ্বের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বদলি হজ্বটি
যথাযথভাবেই আদায় হয়েছে। উমরার পর হজ্বের আগে মদীনামুনাওয়ারায় যাওয়ার
কারণে হজ্বের কোনো ক্ষতি হয়নি।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩১৭২; কিতাবুল আছল ২/৫৩৭; মুখতাছারু ইখতিলাফিল উলামা ২/১৬৭; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/২৮৮
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩১৭২; কিতাবুল আছল ২/৫৩৭; মুখতাছারু ইখতিলাফিল উলামা ২/১৬৭; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/২৮৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৮৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি এলাকার এক ব্যক্তির সাথে হজ্বে যাই। সে ইহরাম অবস্থায়...
প্রশ্ন
আমি এলাকার এক ব্যক্তির সাথে হজ্বে
যাই। সে ইহরাম অবস্থায় বহনের সুবিধার্থে কখনো নিজের লাগেজ মাথায় বহন করত।
অথচ আমার জানা মতে, ইহরাম অবস্থায় মাথা ঢাকা নিষেধ। প্রশ্ন হল, ইহরাম
অবস্থায় নিজের লাগেজ বা অন্য কোনো বোঝা মাথায় বহন করা জায়েয আছে কি? এতে
কি কোনো জরিমানা আসবে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
যে সমস্ত বস্ত্ত দ্বারা সাধারণত
মাথা ঢাকা হয় যেমন-টুপি, পাগড়ি, রুমাল, কাপড় ইত্যাদি, ঐ সমস্তজিনিস
দ্বারা ইহরাম অবস্থায় মাথা ঢাকা নিষেধ। কিন্তু যে বস্ত্ত দ্বারা সাধারণত
মাথা ঢাকা হয় না;বরং বহনের উদ্দেশ্যে মাথায় নেওয়া হয় যেমন-ঝুড়ি, ব্যাগ
ইত্যাদি ঐ সমস্ত জিনিস ইহরামঅবস্থায় মাথায় বহন করা জায়েয আছে। এতে
পূর্ণ মাথা ঢেকে গেলেও কোনো জরিমানা আসবে নাএবং ইহরামের কোনো ক্ষতিও হবে
না।
-মানাসিক ৩০৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪০৬; গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৫; আলবাহরুল আমীক ২/৮০০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৪৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৮৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি এলাকার এক ব্যক্তির সাথে হজ্বে
যাই। সে ইহরাম অবস্থায় বহনের সুবিধার্থে কখনো নিজের লাগেজ মাথায় বহন করত।
অথচ আমার জানা মতে, ইহরাম অবস্থায় মাথা ঢাকা নিষেধ। প্রশ্ন হল, ইহরাম
অবস্থায় নিজের লাগেজ বা অন্য কোনো বোঝা মাথায় বহন করা জায়েয আছে কি? এতে
কি কোনো জরিমানা আসবে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
যে সমস্ত বস্ত্ত দ্বারা সাধারণত
মাথা ঢাকা হয় যেমন-টুপি, পাগড়ি, রুমাল, কাপড় ইত্যাদি, ঐ সমস্তজিনিস
দ্বারা ইহরাম অবস্থায় মাথা ঢাকা নিষেধ। কিন্তু যে বস্ত্ত দ্বারা সাধারণত
মাথা ঢাকা হয় না;বরং বহনের উদ্দেশ্যে মাথায় নেওয়া হয় যেমন-ঝুড়ি, ব্যাগ
ইত্যাদি ঐ সমস্ত জিনিস ইহরামঅবস্থায় মাথায় বহন করা জায়েয আছে। এতে
পূর্ণ মাথা ঢেকে গেলেও কোনো জরিমানা আসবে নাএবং ইহরামের কোনো ক্ষতিও হবে
না।
-মানাসিক ৩০৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪০৬; গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৫; আলবাহরুল আমীক ২/৮০০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৪৭
-মানাসিক ৩০৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪০৬; গুনইয়াতুন নাসিক ২৫৫; আলবাহরুল আমীক ২/৮০০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৪৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৮৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি এ বছর হজ্বে মুযদালিফায় যাওয়ার সময় মুযদালিফায় পৌঁছার আগেই...
প্রশ্ন
আমি এ বছর হজ্বে মুযদালিফায়
যাওয়ার সময় মুযদালিফায় পৌঁছার আগেই মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেছে দেখে
পথেই মাগরিবের নামায আদায় করে নিই। দুই দিন পর সাথীদের সাথে আলোচনা করে
জানতে পারি যে, আমার জন্য ইশার ওয়াক্তে মুযদালিফায় এসে মাগরিব ও ইশা
একত্রে আদায় করা ওয়াজিব ছিল। আমি জানতে চাই, এখন আমার জন্য ওই নামায কাযা
করা অথবা কোনো দম দেওয়া ওয়াজিব হবে কি না? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ঐ দিনের
মাগরিবের নামায আদায় হয়ে গেছে। তা কাযা করা লাগবে নাএবং এজন্য কোনো দমও
ওয়াজিব হবে না। তবে যথা সময়ে আদায় না করার কারণে ওয়াজিবছেড়ে দেওয়ার
গুনাহ হয়েছে। এজন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ইস্তেগফার করতে হবে।
উল্লেখ্য
যে, হাজ্বীদের জন্য ৯ যিলহজ্ব দিবাগত রাতে মাগরিব ও ইশার নামায
মুযদালিফায় এসেইশার ওয়াক্তে আদায় করা ওয়াজিব। ইশার ওয়াক্তের মধ্যে
মুযদালিফায় পৌঁছা সম্ভব হলেআরাফায় অথবা পথে কোথাও পড়া নাজায়েয। এরপরও
কেউ মুযদালিফার আগে মাগরিব পড়েনিলে মুযদালিফায় এসে ইশার ওয়াক্তের মধ্যে
পুনরায় মাগরিব পড়ে নেওয়া ওয়াজিব। অবশ্য যদিমুযদালিফায় পৌঁছার আগেই
ইশার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তবে সে ক্ষেত্রে যেখানেআছে সেখানেই
মাগরিব-ইশা পড়ে নিবে।
-ফাতহুল কাদীর ৩/৩৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া
৩/৫১৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫০৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৩০; আলবাহরুল আমীক
৩/১৬১২; আলমাসালিক ফিলমানাসিক ১/৫৩৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৭২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি এ বছর হজ্বে মুযদালিফায়
যাওয়ার সময় মুযদালিফায় পৌঁছার আগেই মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেছে দেখে
পথেই মাগরিবের নামায আদায় করে নিই। দুই দিন পর সাথীদের সাথে আলোচনা করে
জানতে পারি যে, আমার জন্য ইশার ওয়াক্তে মুযদালিফায় এসে মাগরিব ও ইশা
একত্রে আদায় করা ওয়াজিব ছিল। আমি জানতে চাই, এখন আমার জন্য ওই নামায কাযা
করা অথবা কোনো দম দেওয়া ওয়াজিব হবে কি না? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ঐ দিনের
মাগরিবের নামায আদায় হয়ে গেছে। তা কাযা করা লাগবে নাএবং এজন্য কোনো দমও
ওয়াজিব হবে না। তবে যথা সময়ে আদায় না করার কারণে ওয়াজিবছেড়ে দেওয়ার
গুনাহ হয়েছে। এজন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ইস্তেগফার করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, হাজ্বীদের জন্য ৯ যিলহজ্ব দিবাগত রাতে মাগরিব ও ইশার নামায মুযদালিফায় এসেইশার ওয়াক্তে আদায় করা ওয়াজিব। ইশার ওয়াক্তের মধ্যে মুযদালিফায় পৌঁছা সম্ভব হলেআরাফায় অথবা পথে কোথাও পড়া নাজায়েয। এরপরও কেউ মুযদালিফার আগে মাগরিব পড়েনিলে মুযদালিফায় এসে ইশার ওয়াক্তের মধ্যে পুনরায় মাগরিব পড়ে নেওয়া ওয়াজিব। অবশ্য যদিমুযদালিফায় পৌঁছার আগেই ইশার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তবে সে ক্ষেত্রে যেখানেআছে সেখানেই মাগরিব-ইশা পড়ে নিবে।
-ফাতহুল কাদীর ৩/৩৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৫১৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫০৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৩০; আলবাহরুল আমীক ৩/১৬১২; আলমাসালিক ফিলমানাসিক ১/৫৩৩
উল্লেখ্য যে, হাজ্বীদের জন্য ৯ যিলহজ্ব দিবাগত রাতে মাগরিব ও ইশার নামায মুযদালিফায় এসেইশার ওয়াক্তে আদায় করা ওয়াজিব। ইশার ওয়াক্তের মধ্যে মুযদালিফায় পৌঁছা সম্ভব হলেআরাফায় অথবা পথে কোথাও পড়া নাজায়েয। এরপরও কেউ মুযদালিফার আগে মাগরিব পড়েনিলে মুযদালিফায় এসে ইশার ওয়াক্তের মধ্যে পুনরায় মাগরিব পড়ে নেওয়া ওয়াজিব। অবশ্য যদিমুযদালিফায় পৌঁছার আগেই ইশার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তবে সে ক্ষেত্রে যেখানেআছে সেখানেই মাগরিব-ইশা পড়ে নিবে।
-ফাতহুল কাদীর ৩/৩৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৫১৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫০৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৩০; আলবাহরুল আমীক ৩/১৬১২; আলমাসালিক ফিলমানাসিক ১/৫৩৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৭২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমার সাত একর আবাদি জমি আছে, যার মূল্য সত্তর-আশি লক্ষ...
প্রশ্ন
আমার সাত একর আবাদি জমি আছে, যার
মূল্য সত্তর-আশি লক্ষ টাকা। কিন্তু প্রতি বছর জমি থেকে যে ফসল হয় তা বছরের
খরচে শেষ হয়ে যায়। বছর শেষে কোনো সঞ্চয় থাকে না। আমার সমপরিমাণ জমি আছে
এমন অনেকে কিছু জমি বিক্রি করে হজ্বে যাচ্ছে।
পঁচিশ-ত্রিশ শতাংশ জমি
বিক্রি করলে আমার হজ্বের খরচ হয়ে যাবে এবং পরিবারের ভরণ-পোষণে আমার কোনো
সমস্যা হবে না। এ অবস্থায় জমি বিক্রি করে হজ্বে যাওয়া আমার উপর ফরয
কি না?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী জমির সকল
উৎপাদন যদিও পরিবারের ভরণ-পোষণে ব্যয় হয়ে যায়, কিন্তু হজ্বের খরচ পরিমাণ
জমি বিক্রি করলেও যেহেতু পরিবারের স্বাভাবিক ভরণ-পোষণ ব্যাহত হবে না তাই এ
পরিমাণ জমি প্রয়োজনের অতিরিক্ত বলে গণ্য হবে। এবং এ কারণে আপনার উপর হজ্ব
আদায় করা ফরয হবে।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮২; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৮১; গুনইয়াতুন নাসিক ২০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমার সাত একর আবাদি জমি আছে, যার
মূল্য সত্তর-আশি লক্ষ টাকা। কিন্তু প্রতি বছর জমি থেকে যে ফসল হয় তা বছরের
খরচে শেষ হয়ে যায়। বছর শেষে কোনো সঞ্চয় থাকে না। আমার সমপরিমাণ জমি আছে
এমন অনেকে কিছু জমি বিক্রি করে হজ্বে যাচ্ছে।
পঁচিশ-ত্রিশ শতাংশ জমি বিক্রি করলে আমার হজ্বের খরচ হয়ে যাবে এবং পরিবারের ভরণ-পোষণে আমার কোনো সমস্যা হবে না। এ অবস্থায় জমি বিক্রি করে হজ্বে যাওয়া আমার উপর ফরয
কি না?
পঁচিশ-ত্রিশ শতাংশ জমি বিক্রি করলে আমার হজ্বের খরচ হয়ে যাবে এবং পরিবারের ভরণ-পোষণে আমার কোনো সমস্যা হবে না। এ অবস্থায় জমি বিক্রি করে হজ্বে যাওয়া আমার উপর ফরয
কি না?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী জমির সকল
উৎপাদন যদিও পরিবারের ভরণ-পোষণে ব্যয় হয়ে যায়, কিন্তু হজ্বের খরচ পরিমাণ
জমি বিক্রি করলেও যেহেতু পরিবারের স্বাভাবিক ভরণ-পোষণ ব্যাহত হবে না তাই এ
পরিমাণ জমি প্রয়োজনের অতিরিক্ত বলে গণ্য হবে। এবং এ কারণে আপনার উপর হজ্ব
আদায় করা ফরয হবে।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮২; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৮১; গুনইয়াতুন নাসিক ২০
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮২; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৮১; গুনইয়াতুন নাসিক ২০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি জেদ্দায় থাকি এবং জেদ্দা টু মক্কা রুটে গাড়ি চালাই।...
প্রশ্ন
আমি জেদ্দায় থাকি এবং জেদ্দা টু
মক্কা রুটে গাড়ি চালাই। সাধারণত ইহরাম ছাড়াই হারামে প্রবেশ করি। গতবার
হজ্বের সময় একজন বাঙ্গালি আলেম আমাদের মতো গাড়ি চালকদের জন্য হারামে
প্রবেশের পূর্বে ইহরাম বাধা জরুরি বলে দৃঢ় মত ব্যক্ত করেছেন। তার এই মত
সঠিক কি না জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
জেদ্দা ‘হিল্’ অর্থাৎ মীকাতের
ভিতরের এলাকা। আর হিল এ অবস্থানকারীদের জন্য হজ্ব-উমরার নিয়ত ব্যতীত অন্য
প্রয়োজনে ইহরাম ছাড়াও হারামে প্রবেশের অনুমতি আছে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত
বক্তব্য আপনার ক্ষেত্রে যথার্থ নয়। আপনি ইহরাম ছাড়াও হারামে প্রবেশ করতে
পারবেন।
-মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ২১৯; কিতাবুল আছল ২/৫১৮; রদ্দুল মুহতার ২/৪৭৮; গুনইয়াতুন নাসিক ৫৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৪০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি জেদ্দায় থাকি এবং জেদ্দা টু
মক্কা রুটে গাড়ি চালাই। সাধারণত ইহরাম ছাড়াই হারামে প্রবেশ করি। গতবার
হজ্বের সময় একজন বাঙ্গালি আলেম আমাদের মতো গাড়ি চালকদের জন্য হারামে
প্রবেশের পূর্বে ইহরাম বাধা জরুরি বলে দৃঢ় মত ব্যক্ত করেছেন। তার এই মত
সঠিক কি না জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
জেদ্দা ‘হিল্’ অর্থাৎ মীকাতের
ভিতরের এলাকা। আর হিল এ অবস্থানকারীদের জন্য হজ্ব-উমরার নিয়ত ব্যতীত অন্য
প্রয়োজনে ইহরাম ছাড়াও হারামে প্রবেশের অনুমতি আছে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত
বক্তব্য আপনার ক্ষেত্রে যথার্থ নয়। আপনি ইহরাম ছাড়াও হারামে প্রবেশ করতে
পারবেন।
-মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ২১৯; কিতাবুল আছল ২/৫১৮; রদ্দুল মুহতার ২/৪৭৮; গুনইয়াতুন নাসিক ৫৫
-মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ২১৯; কিতাবুল আছল ২/৫১৮; রদ্দুল মুহতার ২/৪৭৮; গুনইয়াতুন নাসিক ৫৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৪০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
জনৈক বৃদ্ধা মহিলার উপর হজ্ব ফরয, কিন্তু তিনি এত দুর্বল...
প্রশ্ন
জনৈক বৃদ্ধা মহিলার উপর হজ্ব ফরয,
কিন্তু তিনি এত দুর্বল যে, নিজে হজ্ব করতে সক্ষম নন। তিনি চাচ্ছেন কাউকে
দিয়ে বদলি হজ্ব করাতে। এক্ষেত্রে তার আত্মীয়র মধ্যে দুই জন রয়েছে, যারা
বদলি হজ্ব করতে ইচ্ছুক। এক. বৃদ্ধার ছেলে, যার উপর হজ্ব ফরয, কিন্তু এখনো
সে নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেনি। আর সে আলেমও নয়। অপরজন বৃদ্ধার নাতি। তার
উপর হজ্ব ফরয নয় এবং সে হজ্বও করেনি। উক্ত নাতি মেশকাত জামাতে পড়ে।
এক্ষেত্রে জানার বিষয় হল, উপরোক্ত দুই ব্যক্তি থেকে কার মাধ্যমে বদলি হজ্ব করানো ভালো হবে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
বদলি হজ্ব এমন ব্যক্তির দ্বারা
করানো উচিত, যিনি নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেছেন এবং হজ্বের আহকাম সম্পর্কে
ভালো জ্ঞান রাখেন। তিনি আত্মীয় হোন বা না হোন। নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেনি
এমন কাউকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো মাকরূহ।
জেনে রাখা দরকার যে, সুন্দরভাবে হজ্ব আদায়ের জন্য মাসআলার জ্ঞান এং পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, ৬/১৮৭; ফাতহুল কাদীর ৩/৭৯; মানাসিক ৪৫৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮১৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
জনৈক বৃদ্ধা মহিলার উপর হজ্ব ফরয,
কিন্তু তিনি এত দুর্বল যে, নিজে হজ্ব করতে সক্ষম নন। তিনি চাচ্ছেন কাউকে
দিয়ে বদলি হজ্ব করাতে। এক্ষেত্রে তার আত্মীয়র মধ্যে দুই জন রয়েছে, যারা
বদলি হজ্ব করতে ইচ্ছুক। এক. বৃদ্ধার ছেলে, যার উপর হজ্ব ফরয, কিন্তু এখনো
সে নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেনি। আর সে আলেমও নয়। অপরজন বৃদ্ধার নাতি। তার
উপর হজ্ব ফরয নয় এবং সে হজ্বও করেনি। উক্ত নাতি মেশকাত জামাতে পড়ে।
এক্ষেত্রে জানার বিষয় হল, উপরোক্ত দুই ব্যক্তি থেকে কার মাধ্যমে বদলি হজ্ব করানো ভালো হবে? জানালে উপকৃত হব।
এক্ষেত্রে জানার বিষয় হল, উপরোক্ত দুই ব্যক্তি থেকে কার মাধ্যমে বদলি হজ্ব করানো ভালো হবে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
বদলি হজ্ব এমন ব্যক্তির দ্বারা
করানো উচিত, যিনি নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেছেন এবং হজ্বের আহকাম সম্পর্কে
ভালো জ্ঞান রাখেন। তিনি আত্মীয় হোন বা না হোন। নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেনি
এমন কাউকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো মাকরূহ।
জেনে রাখা দরকার যে, সুন্দরভাবে হজ্ব আদায়ের জন্য মাসআলার জ্ঞান এং পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, ৬/১৮৭; ফাতহুল কাদীর ৩/৭৯; মানাসিক ৪৫৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৭
জেনে রাখা দরকার যে, সুন্দরভাবে হজ্ব আদায়ের জন্য মাসআলার জ্ঞান এং পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, ৬/১৮৭; ফাতহুল কাদীর ৩/৭৯; মানাসিক ৪৫৩; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮১৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
অনেকেই একাধিকবার হজ্ব করেন। প্রতিবারই ইহরামের জন্য নতুন কাপড় ক্রয়...
প্রশ্ন
অনেকেই একাধিকবার হজ্ব করেন।
প্রতিবারই ইহরামের জন্য নতুন কাপড় ক্রয় করেন। প্রশ্ন হল, ইহরামের জন্য
নতুন কাপড় পরিধান করা উত্তম নাকি পুরাতন কাপড় (যা পূর্বে ইহরামের জন্য
ব্যবহার করা হয়েছে) পরিধান করা উত্তম?
উত্তর
ইহরামের জন্য দুটি নতুন কাপড় কিংবা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ধৌত পুরাতন কাপড় পরিধাণ করা উত্তম। প্রতি বছর নতুন
কাপড় পরিধান করা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়। আর পুরাতন কাপড় পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন হলে তাই ইহরামের জন্য যথেষ্ট। তা মোটেও অনুত্তম নয়।
-মাবসূত, সারাখসী ৪/৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২৫০; আলবাহরুর রায়েক ২/৩২০; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৫/৭৭; শরহুল মুহাযযাব ৭/২২৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৯৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
অনেকেই একাধিকবার হজ্ব করেন।
প্রতিবারই ইহরামের জন্য নতুন কাপড় ক্রয় করেন। প্রশ্ন হল, ইহরামের জন্য
নতুন কাপড় পরিধান করা উত্তম নাকি পুরাতন কাপড় (যা পূর্বে ইহরামের জন্য
ব্যবহার করা হয়েছে) পরিধান করা উত্তম?
উত্তর
ইহরামের জন্য দুটি নতুন কাপড় কিংবা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ধৌত পুরাতন কাপড় পরিধাণ করা উত্তম। প্রতি বছর নতুন
কাপড় পরিধান করা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়। আর পুরাতন কাপড় পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন হলে তাই ইহরামের জন্য যথেষ্ট। তা মোটেও অনুত্তম নয়।
-মাবসূত, সারাখসী ৪/৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২৫০; আলবাহরুর রায়েক ২/৩২০; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৫/৭৭; শরহুল মুহাযযাব ৭/২২৭
-মাবসূত, সারাখসী ৪/৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২৫০; আলবাহরুর রায়েক ২/৩২০; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৫/৭৭; শরহুল মুহাযযাব ৭/২২৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৯৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমাদের শহরে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে ঢাকা থেকে আগত জনৈক ব্যক্তি...
প্রশ্ন
আমাদের শহরে একটি প্রশিক্ষণ
কর্মসূচীতে ঢাকা থেকে আগত জনৈক ব্যক্তি মডার্ণ পাবলিশার্স, ২৩০ নিউ
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫ কর্তৃক প্রকাশিত ও ছবির সাহায্যে পবিত্র হজ্বের
দর্শণীয় স্থানসমূহ বিষয়ক মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী কর্তৃক প্রণীত
একটি পুস্তক হজ্বব্রত পালনেচ্ছুক প্রশিক্ষণরত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করেন।
উক্ত পুস্তকের ৬ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে যে, ‘‘প্রথম চার চক্করে রমল বা
দৌড় দিয়ে জোরে হাঁটতে হবে। বাকি তিন চক্করে স্বাভাবিকভাবে হাটতে হবে।
ইহরামের কাপড় স্বাভাবিকভাবে পরা থাকবে।’’ অথচ হজ্ব বিষয়ক বিভিন্ন
পুস্তক-পুস্তিকায়
যে তাওয়াফের পর সাঈ আছে তার প্রথম তিন চক্করে রমলের কথা উল্লেখ করা
হয়েছে এবং ইজতিবা প্রথম চক্কর থেকে শেষ চক্কর পর্যন্ত বহাল থাকা সুন্নতে
মুআক্কাদা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এভাবেই ৩ চক্করে রমল ও চার চক্করে
স্বাভাবিক অবস্থায় ইজতিবাসহ তাওয়াফ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখন
আমার প্রশ্ন হল, তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করতে হবে, নাকি চার
চক্করে রমল করতে হবে? আর ইজতিবা প্রথম চক্কর থেকে শেষ চক্কর পর্যন্ত
থাকবে, নাকি যে চক্করগুলোতে রমল করা হবে শুধু সেগুলোতেই ইজতিবা করা হবে?
সঠিক মাসআলা জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
যে তাওয়াফের পর সাঈ আছে পুরুষের
জন্য সে তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা সুন্নত। (রমল অর্থ কাঁধ
হেলিয়ে একটু দ্রুতপদে বীরদর্পে হাঁটা)। আর ঐ তাওয়াফের শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত ইজতিবা (অর্থাৎ গায়ের চাদর ডান বগলের নিচ দিয়ে বের করে বাম
কাঁধের উপর রাখা।) অবস্থায় থাকা পৃথক একটি সুন্নত।
প্রকাশ থাকে যে, তিন চক্করে রমল করা এবং পুরো তাওয়াফে ইজতিবা করার বিষয়টি হাদীস ও আছার দ্বারা প্রমাণিত।
আবদুল্লাহ
ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন
বাইতুল্লাহর প্রথম তাওয়াফ (তাওয়াফে কুদুম) করেছেন তখন প্রথম তিন চক্করে
রমল করেছেন। বাকি চার চক্করে স্বাভাবিকভাবে হেঁটেছেন। (সহীহ মুসলিম ১/৪১০)
ইয়ালা
ইবনে উমাইয়া রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। (পূর্ণ) তাওয়াফে ইজতিবা অবস্থায়
ছিলেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস :৮৫৯)
ইবনে জুরাইজ থেকে বর্ণিত, উমর
ইবনে আবদুল আযীয রাহ. বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন এবং (পুরো) তাওয়াফে
ইজতিবা অবস্থায় ছিলেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৬১৪৬)
সুতরাং খলিলুর রহমান মাদানীর বইয়ে লিখিত প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি সঠিক নয়।
-আলবাহরুল আমীক ২/১১৫৯-৬৮; গুনইয়াতুন নাসিক ১১৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৬৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমাদের শহরে একটি প্রশিক্ষণ
কর্মসূচীতে ঢাকা থেকে আগত জনৈক ব্যক্তি মডার্ণ পাবলিশার্স, ২৩০ নিউ
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫ কর্তৃক প্রকাশিত ও ছবির সাহায্যে পবিত্র হজ্বের
দর্শণীয় স্থানসমূহ বিষয়ক মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী কর্তৃক প্রণীত
একটি পুস্তক হজ্বব্রত পালনেচ্ছুক প্রশিক্ষণরত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করেন।
উক্ত পুস্তকের ৬ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে যে, ‘‘প্রথম চার চক্করে রমল বা
দৌড় দিয়ে জোরে হাঁটতে হবে। বাকি তিন চক্করে স্বাভাবিকভাবে হাটতে হবে।
ইহরামের কাপড় স্বাভাবিকভাবে পরা থাকবে।’’ অথচ হজ্ব বিষয়ক বিভিন্ন
পুস্তক-পুস্তিকায় যে তাওয়াফের পর সাঈ আছে তার প্রথম তিন চক্করে রমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং ইজতিবা প্রথম চক্কর থেকে শেষ চক্কর পর্যন্ত বহাল থাকা সুন্নতে মুআক্কাদা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এভাবেই ৩ চক্করে রমল ও চার চক্করে স্বাভাবিক অবস্থায় ইজতিবাসহ তাওয়াফ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখন আমার প্রশ্ন হল, তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করতে হবে, নাকি চার চক্করে রমল করতে হবে? আর ইজতিবা প্রথম চক্কর থেকে শেষ চক্কর পর্যন্ত থাকবে, নাকি যে চক্করগুলোতে রমল করা হবে শুধু সেগুলোতেই ইজতিবা করা হবে? সঠিক মাসআলা জানিয়ে বাধিত করবেন।
পুস্তক-পুস্তিকায় যে তাওয়াফের পর সাঈ আছে তার প্রথম তিন চক্করে রমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং ইজতিবা প্রথম চক্কর থেকে শেষ চক্কর পর্যন্ত বহাল থাকা সুন্নতে মুআক্কাদা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এভাবেই ৩ চক্করে রমল ও চার চক্করে স্বাভাবিক অবস্থায় ইজতিবাসহ তাওয়াফ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখন আমার প্রশ্ন হল, তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করতে হবে, নাকি চার চক্করে রমল করতে হবে? আর ইজতিবা প্রথম চক্কর থেকে শেষ চক্কর পর্যন্ত থাকবে, নাকি যে চক্করগুলোতে রমল করা হবে শুধু সেগুলোতেই ইজতিবা করা হবে? সঠিক মাসআলা জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
যে তাওয়াফের পর সাঈ আছে পুরুষের
জন্য সে তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা সুন্নত। (রমল অর্থ কাঁধ
হেলিয়ে একটু দ্রুতপদে বীরদর্পে হাঁটা)। আর ঐ তাওয়াফের শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত ইজতিবা (অর্থাৎ গায়ের চাদর ডান বগলের নিচ দিয়ে বের করে বাম
কাঁধের উপর রাখা।) অবস্থায় থাকা পৃথক একটি সুন্নত।
প্রকাশ থাকে যে, তিন চক্করে রমল করা এবং পুরো তাওয়াফে ইজতিবা করার বিষয়টি হাদীস ও আছার দ্বারা প্রমাণিত।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাইতুল্লাহর প্রথম তাওয়াফ (তাওয়াফে কুদুম) করেছেন তখন প্রথম তিন চক্করে রমল করেছেন। বাকি চার চক্করে স্বাভাবিকভাবে হেঁটেছেন। (সহীহ মুসলিম ১/৪১০)
ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। (পূর্ণ) তাওয়াফে ইজতিবা অবস্থায় ছিলেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস :৮৫৯)
ইবনে জুরাইজ থেকে বর্ণিত, উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন এবং (পুরো) তাওয়াফে ইজতিবা অবস্থায় ছিলেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৬১৪৬)
সুতরাং খলিলুর রহমান মাদানীর বইয়ে লিখিত প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি সঠিক নয়।
-আলবাহরুল আমীক ২/১১৫৯-৬৮; গুনইয়াতুন নাসিক ১১৮
প্রকাশ থাকে যে, তিন চক্করে রমল করা এবং পুরো তাওয়াফে ইজতিবা করার বিষয়টি হাদীস ও আছার দ্বারা প্রমাণিত।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাইতুল্লাহর প্রথম তাওয়াফ (তাওয়াফে কুদুম) করেছেন তখন প্রথম তিন চক্করে রমল করেছেন। বাকি চার চক্করে স্বাভাবিকভাবে হেঁটেছেন। (সহীহ মুসলিম ১/৪১০)
ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। (পূর্ণ) তাওয়াফে ইজতিবা অবস্থায় ছিলেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস :৮৫৯)
ইবনে জুরাইজ থেকে বর্ণিত, উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন এবং (পুরো) তাওয়াফে ইজতিবা অবস্থায় ছিলেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৬১৪৬)
সুতরাং খলিলুর রহমান মাদানীর বইয়ে লিখিত প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি সঠিক নয়।
-আলবাহরুল আমীক ২/১১৫৯-৬৮; গুনইয়াতুন নাসিক ১১৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৬৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি এ বছর হজ্ব পালনের ইচ্ছা করেছি। সহীহ তরীকায় হজ্ব...
প্রশ্ন
আমি এ বছর হজ্ব পালনের ইচ্ছা করেছি।
সহীহ তরীকায় হজ্ব পালন করার জন্য হজ্ব সংক্রান্ত সহীহ মাসায়েল জানতে
আগ্রহী। তাই নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
ক) ৮ যিলহজ্ব মক্কা মুকাররমা থেকে মিনায় কখন গমন করা উত্তম?
খ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামায মিনায় আদায় করার শরয়ী বিধান কী?
গ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর পর্যন্ত এক নাগাড়ে মিনায় অবস্থান করা ও ৮ যিলহজ্ব মিনায় শুধু রাত যাপন করার শরয়ী বিধান কী?
উত্তর
ক) ৮ যিলহজ্ব সূর্যোদয়ের পর মিনায়
রওয়ানা করা মুস্তাহাব। তাই ৮ যিলহজ্ব সূর্যোদয়ের পূর্বে কিংবা ৭ যিলহজ্ব
মিনায় চলে যাওয়া অনুত্তম। অবশ্য মুআল্লিমের পক্ষ থেকে নিতে বাধ্য করলে
তখন যাওয়া দোষণীয় হবে না।-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪০২; আলবাহরুর রায়েক
২/৩৩৫; আলবাহরুল আমীক ৩/১৪০৭
খ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর
পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামায মিনায় আদায় করা সুন্নত। হাদীস শরীফে এসেছে,
হযরত জাবের রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ৮ যিলহজ্ব মিনায় গমন করেছেন এবং সেখানে যোহর, আসর, মাগরিব,
ইশা ও ফজর নামায পড়েছেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৪৭৮, হাদীস : ১৪৭৫৫;
সহীহ মুসলিম ১/৩৯৬)
অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে
যুবায়ের রা. বলেন, সুন্নত হল ইমাম যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজর মিনায়
পড়বেন। এরপর মিনা হতে আরাফায় রওয়ানা করবেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা
৮/৪৭৯, হাদীস : ১৪৭৬০; মানাসিক ১০৪; গুনইয়াতুন নাসিক ১৪৬; রদ্দুল মুহতার
২/৫০৩)
গ) ৮ যিলহজ্ব দিবাগত রাত মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। আর এই
দিনে যোহর থেকে ৯ তারিখ সকাল পর্যন্ত পুরো সময় এক নাগাড়ে সেখানে অবস্থান
করা মুস্তাহাব।-গুনইয়াতুন নাসিক ১৪৬; রদ্দুল মুহতার ২/৫০৩; ফাতাওয়া
খানিয়া ১/২৯৩; আততাজরীদ ৪/১৯৫৭; আলইখতিয়ার ১/১৬০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৪১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি এ বছর হজ্ব পালনের ইচ্ছা করেছি।
সহীহ তরীকায় হজ্ব পালন করার জন্য হজ্ব সংক্রান্ত সহীহ মাসায়েল জানতে
আগ্রহী। তাই নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
ক) ৮ যিলহজ্ব মক্কা মুকাররমা থেকে মিনায় কখন গমন করা উত্তম?
খ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামায মিনায় আদায় করার শরয়ী বিধান কী?
গ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর পর্যন্ত এক নাগাড়ে মিনায় অবস্থান করা ও ৮ যিলহজ্ব মিনায় শুধু রাত যাপন করার শরয়ী বিধান কী?
ক) ৮ যিলহজ্ব মক্কা মুকাররমা থেকে মিনায় কখন গমন করা উত্তম?
খ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামায মিনায় আদায় করার শরয়ী বিধান কী?
গ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর পর্যন্ত এক নাগাড়ে মিনায় অবস্থান করা ও ৮ যিলহজ্ব মিনায় শুধু রাত যাপন করার শরয়ী বিধান কী?
উত্তর
ক) ৮ যিলহজ্ব সূর্যোদয়ের পর মিনায়
রওয়ানা করা মুস্তাহাব। তাই ৮ যিলহজ্ব সূর্যোদয়ের পূর্বে কিংবা ৭ যিলহজ্ব
মিনায় চলে যাওয়া অনুত্তম। অবশ্য মুআল্লিমের পক্ষ থেকে নিতে বাধ্য করলে
তখন যাওয়া দোষণীয় হবে না।-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪০২; আলবাহরুর রায়েক
২/৩৩৫; আলবাহরুল আমীক ৩/১৪০৭
খ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামায মিনায় আদায় করা সুন্নত। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত জাবের রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৮ যিলহজ্ব মিনায় গমন করেছেন এবং সেখানে যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজর নামায পড়েছেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৪৭৮, হাদীস : ১৪৭৫৫; সহীহ মুসলিম ১/৩৯৬)
অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. বলেন, সুন্নত হল ইমাম যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজর মিনায় পড়বেন। এরপর মিনা হতে আরাফায় রওয়ানা করবেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৪৭৯, হাদীস : ১৪৭৬০; মানাসিক ১০৪; গুনইয়াতুন নাসিক ১৪৬; রদ্দুল মুহতার ২/৫০৩)
গ) ৮ যিলহজ্ব দিবাগত রাত মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। আর এই দিনে যোহর থেকে ৯ তারিখ সকাল পর্যন্ত পুরো সময় এক নাগাড়ে সেখানে অবস্থান করা মুস্তাহাব।-গুনইয়াতুন নাসিক ১৪৬; রদ্দুল মুহতার ২/৫০৩; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৯৩; আততাজরীদ ৪/১৯৫৭; আলইখতিয়ার ১/১৬০
খ) ৮ যিলহজ্ব যোহর থেকে ৯ যিলহজ্ব ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামায মিনায় আদায় করা সুন্নত। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত জাবের রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৮ যিলহজ্ব মিনায় গমন করেছেন এবং সেখানে যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজর নামায পড়েছেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৪৭৮, হাদীস : ১৪৭৫৫; সহীহ মুসলিম ১/৩৯৬)
অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. বলেন, সুন্নত হল ইমাম যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজর মিনায় পড়বেন। এরপর মিনা হতে আরাফায় রওয়ানা করবেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৪৭৯, হাদীস : ১৪৭৬০; মানাসিক ১০৪; গুনইয়াতুন নাসিক ১৪৬; রদ্দুল মুহতার ২/৫০৩)
গ) ৮ যিলহজ্ব দিবাগত রাত মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। আর এই দিনে যোহর থেকে ৯ তারিখ সকাল পর্যন্ত পুরো সময় এক নাগাড়ে সেখানে অবস্থান করা মুস্তাহাব।-গুনইয়াতুন নাসিক ১৪৬; রদ্দুল মুহতার ২/৫০৩; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৯৩; আততাজরীদ ৪/১৯৫৭; আলইখতিয়ার ১/১৬০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৪১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
কোনো মহিলা উমরার ইহরাম বেঁধে মক্কায় গিয়ে এখনো তাওয়াফ করেনি।...
প্রশ্ন
কোনো মহিলা উমরার ইহরাম বেঁধে
মক্কায় গিয়ে এখনো তাওয়াফ করেনি। ইতিমধ্যে খাওয়ার পর হাতের তেল পরিষ্কার
করার জন্য এবং প্লেট ইত্যাদি ধোয়ার জন্য একবার সুগন্ধি সাবান ব্যবহার
করেছে। এখন তার জন্য কি দম দিতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইহরাম অবস্থায়
সুগন্ধিযুক্ত সাবান দ্বারা হাত ধোয়ার কারণে ঐ মহিলার উপর সদকা ওয়াজিব
হয়েছে, দম নয়। আর এ সদকার পরিমাণ হল একটি সদকাতুল ফিতর সমপরিমাণ মূল্য।
-মানাসিক, মোল্লা আলী ৪৫০, ৪৫৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৫২; আলবাহরুল আমীক ২/৮৪০; যুবদাতুল মানাসিক ৩৫৭; মুয়াল্লিমুল হুজ্জাজ ২৩১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৪০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
কোনো মহিলা উমরার ইহরাম বেঁধে
মক্কায় গিয়ে এখনো তাওয়াফ করেনি। ইতিমধ্যে খাওয়ার পর হাতের তেল পরিষ্কার
করার জন্য এবং প্লেট ইত্যাদি ধোয়ার জন্য একবার সুগন্ধি সাবান ব্যবহার
করেছে। এখন তার জন্য কি দম দিতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইহরাম অবস্থায়
সুগন্ধিযুক্ত সাবান দ্বারা হাত ধোয়ার কারণে ঐ মহিলার উপর সদকা ওয়াজিব
হয়েছে, দম নয়। আর এ সদকার পরিমাণ হল একটি সদকাতুল ফিতর সমপরিমাণ মূল্য।
-মানাসিক, মোল্লা আলী ৪৫০, ৪৫৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৫২; আলবাহরুল আমীক ২/৮৪০; যুবদাতুল মানাসিক ৩৫৭; মুয়াল্লিমুল হুজ্জাজ ২৩১
-মানাসিক, মোল্লা আলী ৪৫০, ৪৫৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৫২; আলবাহরুল আমীক ২/৮৪০; যুবদাতুল মানাসিক ৩৫৭; মুয়াল্লিমুল হুজ্জাজ ২৩১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৪০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
এক ব্যক্তি তামাত্তু হজ্বের ইহরাম করে। সে উমরা করে ফেলেছে,...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি তামাত্তু হজ্বের ইহরাম
করে। সে উমরা করে ফেলেছে, এখন সে হজ্ব আদায় করবে। তার ইচ্ছা হল, শুরুতেই
একটি নফল তাওয়াফ করে হজ্বের সাঈ আদায় করে নিবে। এখন জানার বিষয় হল,
সায়ীটি আদায় করার পূর্বে কি হজ্বের ইহরাম করতে হবে, না হজ্বের ইহরাম করার
পূর্বেই সাঈটি আদায় করে নিতে পারবে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হজ্বের ইহরামের
পরেই সায়ী করতে হবে। কেননা, তামাত্তু হজ্বকারী আরাফায় অবস্থানের আগে
হজ্বের সাঈ করতে চাইলে শর্ত হল, প্রথমে হজ্বের ইহরাম করে নিতে হবে। অতপর
নফল তাওয়াফ করে সাঈ করবে। হজ্বের ইহরাম না করে সাঈ করলে তা আদায় হবে না।
-আলবাহরু রায়েক ২/৩৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ১৩২; মানাসিক ১৭৪; যুবদাতুল মানাসিক ১৪৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭২৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি তামাত্তু হজ্বের ইহরাম
করে। সে উমরা করে ফেলেছে, এখন সে হজ্ব আদায় করবে। তার ইচ্ছা হল, শুরুতেই
একটি নফল তাওয়াফ করে হজ্বের সাঈ আদায় করে নিবে। এখন জানার বিষয় হল,
সায়ীটি আদায় করার পূর্বে কি হজ্বের ইহরাম করতে হবে, না হজ্বের ইহরাম করার
পূর্বেই সাঈটি আদায় করে নিতে পারবে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হজ্বের ইহরামের
পরেই সায়ী করতে হবে। কেননা, তামাত্তু হজ্বকারী আরাফায় অবস্থানের আগে
হজ্বের সাঈ করতে চাইলে শর্ত হল, প্রথমে হজ্বের ইহরাম করে নিতে হবে। অতপর
নফল তাওয়াফ করে সাঈ করবে। হজ্বের ইহরাম না করে সাঈ করলে তা আদায় হবে না।
-আলবাহরু রায়েক ২/৩৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ১৩২; মানাসিক ১৭৪; যুবদাতুল মানাসিক ১৪৩
-আলবাহরু রায়েক ২/৩৬৩; গুনইয়াতুন নাসিক ১৩২; মানাসিক ১৭৪; যুবদাতুল মানাসিক ১৪৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭২৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
করীম সাহেবের ওপর হজ্ব ফরয। অনেক দিন থেকে তিনি খুব...
প্রশ্ন
করীম সাহেবের ওপর হজ্ব ফরয। অনেক
দিন থেকে তিনি খুব অসুস্থ। যার কারণে তিনি নিজে হজ্ব করতে পারছেন না। তাই
তিনি আরেক ব্যক্তিকে নিজের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করার জন্য পাঠান। তিনি ঐ
ব্যক্তিকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, যেন সে ইফরাদ হজ্ব করে। এখন ঐ ব্যক্তির
জন্য তামাত্তু হজ্ব করার কি অনুমতি আছে?
উত্তর
না। ঐ ব্যক্তির জন্য হজ্বে প্রেরণকারী ব্যক্তির নির্দেশ অমান্য করে তামাত্তু হজ্ব করার অনুমতি নেই। বরং তাকে ইফরাদ হজ্বই করতে হবে।
-কিতাবুল আসল ২/৫০৬; মাবসূত, সারাখসী ৪/১৫৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩১০; আলবাহরুল আমীক ৪/২৩২৯; মানাসিক ৪৪৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭২৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
করীম সাহেবের ওপর হজ্ব ফরয। অনেক
দিন থেকে তিনি খুব অসুস্থ। যার কারণে তিনি নিজে হজ্ব করতে পারছেন না। তাই
তিনি আরেক ব্যক্তিকে নিজের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করার জন্য পাঠান। তিনি ঐ
ব্যক্তিকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, যেন সে ইফরাদ হজ্ব করে। এখন ঐ ব্যক্তির
জন্য তামাত্তু হজ্ব করার কি অনুমতি আছে?
উত্তর
না। ঐ ব্যক্তির জন্য হজ্বে প্রেরণকারী ব্যক্তির নির্দেশ অমান্য করে তামাত্তু হজ্ব করার অনুমতি নেই। বরং তাকে ইফরাদ হজ্বই করতে হবে।
-কিতাবুল আসল ২/৫০৬; মাবসূত, সারাখসী ৪/১৫৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩১০; আলবাহরুল আমীক ৪/২৩২৯; মানাসিক ৪৪৫
-কিতাবুল আসল ২/৫০৬; মাবসূত, সারাখসী ৪/১৫৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩১০; আলবাহরুল আমীক ৪/২৩২৯; মানাসিক ৪৪৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭২৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
খালেদের বয়স ২৫ বছর। তার প্রয়োজন অতিরিক্ত কোনো সম্পদ নেই...
প্রশ্ন
খালেদের বয়স ২৫ বছর। তার প্রয়োজন
অতিরিক্ত কোনো সম্পদ নেই তার ওপর হজ্ব ফরয নয়। তার পিতা অনেক সম্পদশালী।
বিগত বছর তিনি ছেলে খালেদকে নিয়ে হজ্বে যান এবং খালেদের হজ্ব বাবদ যত টাকা
ব্যয় হয়েছে তা তিনি নিজ হাতেই খরচ করেন। ঐ টাকা খালেদের হাতে দিয়ে তাকে
এর মালিক বানিয়ে দেননি।
এখন জানার বিষয় হল, এভাবে হজ্ব করার
দ্বারা কি খালেদের ফরয হজ্ব আদায় হয়েছে? নাকি এক্ষেত্রে ফরয হজ্ব আদায়
হওয়ার জন্য তাকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দেওয়া জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে খালেদ হজ্ব
করার সময় নফল হজ্বের নিয়ত না করে থাকলে সেটি তার ফরয হজ্ব হিসেবেই আদায়
হয়েছে। কেননা, ফরয আদায়ের জন্য হজ্বের খরচের মালিক হওয়া শর্ত নয়।
সুতরাং পরবর্তীতে সামর্থবান হলেও পুনরায় হজ্ব করা তার উপর ফরয হবে না।
-শরহু
মুখতাসারিত তহাবী ২/৪৯৮; ফাতহুল কাদীর ২/৩২৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৪;
মানাসিক ৪১; গুনইয়াতুন নাসিক ৩০-৩২; ইমদাদুল আহকাম ২/১৫৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭২৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
খালেদের বয়স ২৫ বছর। তার প্রয়োজন
অতিরিক্ত কোনো সম্পদ নেই তার ওপর হজ্ব ফরয নয়। তার পিতা অনেক সম্পদশালী।
বিগত বছর তিনি ছেলে খালেদকে নিয়ে হজ্বে যান এবং খালেদের হজ্ব বাবদ যত টাকা
ব্যয় হয়েছে তা তিনি নিজ হাতেই খরচ করেন। ঐ টাকা খালেদের হাতে দিয়ে তাকে
এর মালিক বানিয়ে দেননি।
এখন জানার বিষয় হল, এভাবে হজ্ব করার দ্বারা কি খালেদের ফরয হজ্ব আদায় হয়েছে? নাকি এক্ষেত্রে ফরয হজ্ব আদায় হওয়ার জন্য তাকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দেওয়া জরুরি?
এখন জানার বিষয় হল, এভাবে হজ্ব করার দ্বারা কি খালেদের ফরয হজ্ব আদায় হয়েছে? নাকি এক্ষেত্রে ফরয হজ্ব আদায় হওয়ার জন্য তাকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দেওয়া জরুরি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে খালেদ হজ্ব
করার সময় নফল হজ্বের নিয়ত না করে থাকলে সেটি তার ফরয হজ্ব হিসেবেই আদায়
হয়েছে। কেননা, ফরয আদায়ের জন্য হজ্বের খরচের মালিক হওয়া শর্ত নয়।
সুতরাং পরবর্তীতে সামর্থবান হলেও পুনরায় হজ্ব করা তার উপর ফরয হবে না।
-শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৪৯৮; ফাতহুল কাদীর ২/৩২৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৪; মানাসিক ৪১; গুনইয়াতুন নাসিক ৩০-৩২; ইমদাদুল আহকাম ২/১৫৯
সুতরাং পরবর্তীতে সামর্থবান হলেও পুনরায় হজ্ব করা তার উপর ফরয হবে না।
-শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৪৯৮; ফাতহুল কাদীর ২/৩২৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৪; মানাসিক ৪১; গুনইয়াতুন নাসিক ৩০-৩২; ইমদাদুল আহকাম ২/১৫৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭২৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি ইহরাম অবস্থায় এমন একটি কাজ করেছি, যার কারণে দম...
প্রশ্ন
আমি ইহরাম অবস্থায় এমন একটি কাজ
করেছি, যার কারণে দম ওয়াজিব হয়েছে। কিন্তু তখন অর্থ সংকটের কারণে তা
আদায় করতে পারিনি। এ অবস্থায় দেশে চলে এসেছি। দম না দিয়ে দেশে চলে আসার
কারণে কি আমার গুনাহ হয়েছে? এখন আমি কী করতে পারি?
উত্তর
দম আদায় না করে দেশে এসে যাওয়ার
কারণে গুনাহ হয়নি। কেননা, জরিমানা দম বিলম্বে আদায় করারও অবকাশ আছে। তবে
কোনো ওজর না থাকলে দম আদায়ে বিলম্ব না করাই উত্তম।
স্মর্তব্য, হজ্ব ও
উমরার দম হেরেমের এলাকায় যবেহ করা জরুরি। হেরেমের বাইরে যবাই করলে তা
দ্বারা দম আদায় হবে না। তাই নিজে কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে সেখানেই যবাই
করার মাধ্যমে দম আদায় করতে হবে।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৬৯১; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৬৫; মানাসিক ৩৮৪, ৩৯২; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৯৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭০৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি ইহরাম অবস্থায় এমন একটি কাজ
করেছি, যার কারণে দম ওয়াজিব হয়েছে। কিন্তু তখন অর্থ সংকটের কারণে তা
আদায় করতে পারিনি। এ অবস্থায় দেশে চলে এসেছি। দম না দিয়ে দেশে চলে আসার
কারণে কি আমার গুনাহ হয়েছে? এখন আমি কী করতে পারি?
উত্তর
দম আদায় না করে দেশে এসে যাওয়ার
কারণে গুনাহ হয়নি। কেননা, জরিমানা দম বিলম্বে আদায় করারও অবকাশ আছে। তবে
কোনো ওজর না থাকলে দম আদায়ে বিলম্ব না করাই উত্তম।
স্মর্তব্য, হজ্ব ও উমরার দম হেরেমের এলাকায় যবেহ করা জরুরি। হেরেমের বাইরে যবাই করলে তা দ্বারা দম আদায় হবে না। তাই নিজে কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে সেখানেই যবাই করার মাধ্যমে দম আদায় করতে হবে।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৬৯১; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৬৫; মানাসিক ৩৮৪, ৩৯২; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৯৭
স্মর্তব্য, হজ্ব ও উমরার দম হেরেমের এলাকায় যবেহ করা জরুরি। হেরেমের বাইরে যবাই করলে তা দ্বারা দম আদায় হবে না। তাই নিজে কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে সেখানেই যবাই করার মাধ্যমে দম আদায় করতে হবে।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৬৯১; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৬৫; মানাসিক ৩৮৪, ৩৯২; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৯৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭০৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমার এক চাচার ৫০ শতক জমি আছে। তিনি ইন্তিকালের আগে...
প্রশ্ন
আমার এক চাচার ৫০ শতক জমি আছে। তিনি
ইন্তিকালের আগে বাড়ির পাশের ৪ শতক জমি তার এক সন্তানের জন্য। আর ৩ শতক
জমি তার এক মামার জন্য ওসীয়ত করেছেন। তার ইন্তেকালের পর তার ওয়ারিশরা
জানতে চায়, পিতার ঐ ওসীয়ত কার্যকর হবে কি না? তা পূরণ করা শরীয়তের
দৃষ্টিতে জরুরি কি না?
উত্তর
কোনো ওয়ারিশের (অর্থাৎ মৃত
ব্যক্তির সম্পদে যারা এমনিতেই অংশ পায়) জন্য ওসীয়ত করা শরীয়তসম্মত নয়।
ওসীয়ত করলেও তা কার্যকর হবে না। অবশ্য যেসব ব্যক্তি ওয়ারিশ নয় তাদের
জন্য ওসীয়ত করা যাবে। কেউ করলে তা সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকে কার্যকর করা
জরুরি হবে। বিশিষ্ট সাহাবী আবু উমামা বাহিলী রা. বলেন, বিদায় হজ্বের ভাষণে
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে,
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক হকদারকে তার হক দিয়েছেন। অতএব ওয়ারিশের
জন্য ওসীয়ত করা যাবে না। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ২১২৬; মুসনাদে আহমদ
৪/১৮৬)
অন্য বর্ণনায় আছে, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়তের বিধান নেই। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ২০২২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২০০৮)
সুতরাং
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার চাচা তার মামার জন্য যে ওসীয়ত করেছেন তা সহীহ
হয়েছে, কিন্তু সন্তানের জন্য ওসীয়ত করা শরীয়তসম্মত হয়নি। তাই তা
কার্যকর হবে না।
প্রকাশ থাকে যে, সন্তান এবং অন্যান্য ওয়ারিশের জন্য
ওসীয়ত করা যদিও সহীহ নয় তা সত্ত্বেও কেউ যদি করে এবং অন্যান্য সকল
ওয়ারিশ যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং তারা সকলে সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঐ
ওসীয়তকে কার্যকর করতে চায় তবে তাদের জন্য তা করা জায়েয হবে।
হযরত
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়ত করা কার্যকর নয় তবে অন্যান্য
ওয়ারিশরা যদি অনুমতি দেয় তবে তা বৈধ হবে। (সুনানে দারাকুতনী ৪/৯৮; সুনানে
বায়হাকী ৬/২৬৩)
আরো প্রকাশ থাকে যে, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়ত যেহেতু
কার্যকর হয় না তাই সন্তানের জন্য ওসীয়তকৃত জমিটি সকল ওয়ারিশের
উত্তরাধিকার সম্পত্তি বলে গণ্য হবে।
আর প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী
মামার জন্য ওসীয়তকৃত জমিটি যেহেতু ওসীয়তকারীর সমুদয় সম্পত্তির এক
তৃতীয়াংশের কম তাই ওসীয়ত অনুযায়ী তা তারই প্রাপ্য হবে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭০২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমার এক চাচার ৫০ শতক জমি আছে। তিনি
ইন্তিকালের আগে বাড়ির পাশের ৪ শতক জমি তার এক সন্তানের জন্য। আর ৩ শতক
জমি তার এক মামার জন্য ওসীয়ত করেছেন। তার ইন্তেকালের পর তার ওয়ারিশরা
জানতে চায়, পিতার ঐ ওসীয়ত কার্যকর হবে কি না? তা পূরণ করা শরীয়তের
দৃষ্টিতে জরুরি কি না?
উত্তর
কোনো ওয়ারিশের (অর্থাৎ মৃত
ব্যক্তির সম্পদে যারা এমনিতেই অংশ পায়) জন্য ওসীয়ত করা শরীয়তসম্মত নয়।
ওসীয়ত করলেও তা কার্যকর হবে না। অবশ্য যেসব ব্যক্তি ওয়ারিশ নয় তাদের
জন্য ওসীয়ত করা যাবে। কেউ করলে তা সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকে কার্যকর করা
জরুরি হবে। বিশিষ্ট সাহাবী আবু উমামা বাহিলী রা. বলেন, বিদায় হজ্বের ভাষণে
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে,
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক হকদারকে তার হক দিয়েছেন। অতএব ওয়ারিশের
জন্য ওসীয়ত করা যাবে না। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ২১২৬; মুসনাদে আহমদ
৪/১৮৬)
অন্য বর্ণনায় আছে, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়তের বিধান নেই। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ২০২২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২০০৮)
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার চাচা তার মামার জন্য যে ওসীয়ত করেছেন তা সহীহ হয়েছে, কিন্তু সন্তানের জন্য ওসীয়ত করা শরীয়তসম্মত হয়নি। তাই তা কার্যকর হবে না।
প্রকাশ থাকে যে, সন্তান এবং অন্যান্য ওয়ারিশের জন্য ওসীয়ত করা যদিও সহীহ নয় তা সত্ত্বেও কেউ যদি করে এবং অন্যান্য সকল ওয়ারিশ যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং তারা সকলে সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঐ ওসীয়তকে কার্যকর করতে চায় তবে তাদের জন্য তা করা জায়েয হবে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়ত করা কার্যকর নয় তবে অন্যান্য ওয়ারিশরা যদি অনুমতি দেয় তবে তা বৈধ হবে। (সুনানে দারাকুতনী ৪/৯৮; সুনানে বায়হাকী ৬/২৬৩)
আরো প্রকাশ থাকে যে, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়ত যেহেতু কার্যকর হয় না তাই সন্তানের জন্য ওসীয়তকৃত জমিটি সকল ওয়ারিশের উত্তরাধিকার সম্পত্তি বলে গণ্য হবে।
আর প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী মামার জন্য ওসীয়তকৃত জমিটি যেহেতু ওসীয়তকারীর সমুদয় সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশের কম তাই ওসীয়ত অনুযায়ী তা তারই প্রাপ্য হবে।
অন্য বর্ণনায় আছে, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়তের বিধান নেই। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ২০২২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২০০৮)
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার চাচা তার মামার জন্য যে ওসীয়ত করেছেন তা সহীহ হয়েছে, কিন্তু সন্তানের জন্য ওসীয়ত করা শরীয়তসম্মত হয়নি। তাই তা কার্যকর হবে না।
প্রকাশ থাকে যে, সন্তান এবং অন্যান্য ওয়ারিশের জন্য ওসীয়ত করা যদিও সহীহ নয় তা সত্ত্বেও কেউ যদি করে এবং অন্যান্য সকল ওয়ারিশ যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং তারা সকলে সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঐ ওসীয়তকে কার্যকর করতে চায় তবে তাদের জন্য তা করা জায়েয হবে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়ত করা কার্যকর নয় তবে অন্যান্য ওয়ারিশরা যদি অনুমতি দেয় তবে তা বৈধ হবে। (সুনানে দারাকুতনী ৪/৯৮; সুনানে বায়হাকী ৬/২৬৩)
আরো প্রকাশ থাকে যে, ওয়ারিশের জন্য ওসীয়ত যেহেতু কার্যকর হয় না তাই সন্তানের জন্য ওসীয়তকৃত জমিটি সকল ওয়ারিশের উত্তরাধিকার সম্পত্তি বলে গণ্য হবে।
আর প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী মামার জন্য ওসীয়তকৃত জমিটি যেহেতু ওসীয়তকারীর সমুদয় সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশের কম তাই ওসীয়ত অনুযায়ী তা তারই প্রাপ্য হবে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭০২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
১. এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে তামাত্তু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধেন...
প্রশ্ন
১. এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে
তামাত্তু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধেন এবং হারাম শরীফে গমনের পর যথানিয়মে
উমরা পালন করে হালাল অবস্থায় মক্কা মুকাররমায় অবস্থান করতে থাকেন।
পরবর্তীতে হজ্বের পূর্বেই মদীনা মুনাওয়ারা যান এবং ফিরতি পথে যুলহুলাইফা
থেকে ইফরাদ হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধেন এবং হারাম শরীফের যিয়ারত না করে
মক্কা শহরের বাইরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে সরাসরি মিনায় গমন করেন এবং
আরাফা-মুযদালিফা ও মিনা এরপর মক্কা শরীফের যিয়ারতের মাধ্যমে যথানিয়মে
হজ্বের আহকাম সম্পন্ন করেন।
জানার বিষয় হল, ক) প্রথমে তামাত্তু
হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মীকাতের ভিতর প্রবেশ করা এবং উমরাহ
শেষে মদীনা শরীফ গিয়ে সেখান থেকে ইফরাদ হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধা ও হজ্ব
সমাপন করা কি শরীয়তের দৃষ্টিতে সঠিক পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়েছে?
খ)
যদি ঐ ব্যক্তি যুলহুলাইফা থেকে পুনরায় তামাত্তু হজ্বের নিয়তে ইহরাম
বাঁধতেন এবং হারাম শরীফে প্রবেশ না করে এবং নতুন করে উমরাহ পালন না করে এবং
হালাল না হয়ে ঐ একই ইহরাম অবস্থায় সরাসরি মিনায় গমন করতেন এবং হজ্বের
পরবর্তী আহকামগুলো সম্পন্ন করতেন তবে কি তার এই হজ্ব সমাধা করা শরীয়তের
বিধান অনুযায়ী হত?
২. যারা ইতিপূর্বে হজ্ব পালন করেননি বা বদলী
হজ্বের নিয়তে পবিত্র ভূমিতে আগমন করেননি শুধু নিজের ফরয হজ্ব আদায় করার
জন্য গিয়েছেন তারা যদি উমরাহ পালন ব্যতিরেকে ইফরাদ হজ্ব পালন করেন তবে কি
তাদের জিম্মায় যে হজ্ব ফরয ছিল তা কি আদায় হবে?
উত্তর
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মদীনা
মুনাওয়ারা থেকে পুনরায় মক্কা মুকাররমা আসার সময় মীকাত যুলহুলাইফা থেকে
শুধু হজ্বের ইহরাম করাও জায়েয। তবে এক্ষেত্রে তার উপর তাওয়াফে কুদুম করা
সুন্নত। তাই সরাসরি মিনায় চলে যাওয়া ঠিক হবে না। অবশ্য এই তাওয়াফ বাদ
দিলে কোনো জরিমানাও আসবে না। মদীনা মুনাওয়ারা থেকে ফেরার সময় শুধু উমরার
ইহরাম করাও জায়েয। তবে উভয় ক্ষেত্রে তার হজ্বটি তামাত্তু হজ্বই হবে।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি মদীনা মুনাওয়ারা থেকে ফেরার সময় ইফরাদ হজ্বের
ইহরাম করলেও এর পূর্বে হজ্বের মৌসুমে (মদীনা মুনাওয়ারা যাওয়ার আগে) উমরাহ
করার কারণে তার এ হজ্বটি তামাত্তু হজ্ব বলেই গণ্য হবে, ইফরাদ হজ্ব নয়।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি যদি পুনরায় তামাত্তুর উদ্দেশ্যে উমরার
ইহরাম করে তবে নিয়ম হল সে প্রথমে এই উমরাহর কাজ সম্পন্ন করবে এরপর হজ্বের
ইহরাম করে হজ্ব পালন করবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সে যদি উমরার কার্যাদি আদায়
না করে বরং হজ্বের সময় হজ্বের ইহরাম করে নেয় (অর্থাৎ হজ্বের নিয়তে
তালবিয়া পড়ে নেয়) এবং উকূফে আরাফা করে ফেলে তাহলে তার উমরাহর ইহারামটি
বাতিল হয়ে যাবে। তখন সে যথানিয়মে হজ্বের কার্যাদি সম্পন্ন করবে।
এক্ষেত্রেও তার হজ্বটি তামাত্তু হজ্ব হবে। সে কারণে দমে শোকর আদায় করতে
হবে। আর উমরার ইহরামটি বাতিল করে দেওয়ার কারণে তাকে একটি জরিমানার দমও
আদায় করতে হবে। আর ১৩ যিলহজ্বের পর তাকে ঐ বাতিলকৃত উমরাহটি কাযা করে নিতে
হবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩৭২; আলজামিউস সগীর ১৫৭;
আততারজরীদ ৪/১৭২৮; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/২৮৮; আলমাবসূত, সারাখসী ৪/৩৫;
মানাসিক ২৫৮; গুনইয়াতুন নাসিক ২০৫, ২১৫
২. তিন প্রকার হজ্বের মধ্যে
কিরান ও তামাত্তু হজ্বই উত্তম। হ্যাঁ, ইফরাদ করলেও হজ্বের ফরয আদায় হয়ে
যাবে। কেননা, এটিও কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত হজ্বের একটি প্রকার। ফরয
হজ্বের জন্য তামাত্তু কিংবা কিরান করা জরুরি নয়। অবশ্য সামর্থ্যবান
ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার উমরাহ আদায় করা যেহেতু সুন্নতে মুয়াক্কাদা তাই
যারা ইতিপূর্বে কখনো উমরাহ করেনি তাদের জন্য সম্ভব হলে তামাত্তু বা কিরান
হজ্ব আদায় করাই উচিত হবে। যেন ফরয হজ্বের সাথে উমরার সুন্নতও আদায় হয়ে
যায়। অবশ্য ইফরাদ হজ্বকারী ব্যক্তিও হজ্বের কাজ শেষ করে ইচ্ছা করলে উমরাহ
করে নিতে পারবে এবং এতেও উমরার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।-আলবাহরুল আমীক
৪/২০১১; মানাসিক ৪৬৬, ২৫৬; গুনইয়াতুন নাসিক ১৯৬, ২০১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৯৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
১. এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে
তামাত্তু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধেন এবং হারাম শরীফে গমনের পর যথানিয়মে
উমরা পালন করে হালাল অবস্থায় মক্কা মুকাররমায় অবস্থান করতে থাকেন।
পরবর্তীতে হজ্বের পূর্বেই মদীনা মুনাওয়ারা যান এবং ফিরতি পথে যুলহুলাইফা
থেকে ইফরাদ হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধেন এবং হারাম শরীফের যিয়ারত না করে
মক্কা শহরের বাইরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে সরাসরি মিনায় গমন করেন এবং
আরাফা-মুযদালিফা ও মিনা এরপর মক্কা শরীফের যিয়ারতের মাধ্যমে যথানিয়মে
হজ্বের আহকাম সম্পন্ন করেন।
জানার বিষয় হল, ক) প্রথমে তামাত্তু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মীকাতের ভিতর প্রবেশ করা এবং উমরাহ শেষে মদীনা শরীফ গিয়ে সেখান থেকে ইফরাদ হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধা ও হজ্ব সমাপন করা কি শরীয়তের দৃষ্টিতে সঠিক পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়েছে?
খ) যদি ঐ ব্যক্তি যুলহুলাইফা থেকে পুনরায় তামাত্তু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধতেন এবং হারাম শরীফে প্রবেশ না করে এবং নতুন করে উমরাহ পালন না করে এবং হালাল না হয়ে ঐ একই ইহরাম অবস্থায় সরাসরি মিনায় গমন করতেন এবং হজ্বের পরবর্তী আহকামগুলো সম্পন্ন করতেন তবে কি তার এই হজ্ব সমাধা করা শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হত?
২. যারা ইতিপূর্বে হজ্ব পালন করেননি বা বদলী হজ্বের নিয়তে পবিত্র ভূমিতে আগমন করেননি শুধু নিজের ফরয হজ্ব আদায় করার জন্য গিয়েছেন তারা যদি উমরাহ পালন ব্যতিরেকে ইফরাদ হজ্ব পালন করেন তবে কি তাদের জিম্মায় যে হজ্ব ফরয ছিল তা কি আদায় হবে?
জানার বিষয় হল, ক) প্রথমে তামাত্তু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মীকাতের ভিতর প্রবেশ করা এবং উমরাহ শেষে মদীনা শরীফ গিয়ে সেখান থেকে ইফরাদ হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধা ও হজ্ব সমাপন করা কি শরীয়তের দৃষ্টিতে সঠিক পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়েছে?
খ) যদি ঐ ব্যক্তি যুলহুলাইফা থেকে পুনরায় তামাত্তু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধতেন এবং হারাম শরীফে প্রবেশ না করে এবং নতুন করে উমরাহ পালন না করে এবং হালাল না হয়ে ঐ একই ইহরাম অবস্থায় সরাসরি মিনায় গমন করতেন এবং হজ্বের পরবর্তী আহকামগুলো সম্পন্ন করতেন তবে কি তার এই হজ্ব সমাধা করা শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হত?
২. যারা ইতিপূর্বে হজ্ব পালন করেননি বা বদলী হজ্বের নিয়তে পবিত্র ভূমিতে আগমন করেননি শুধু নিজের ফরয হজ্ব আদায় করার জন্য গিয়েছেন তারা যদি উমরাহ পালন ব্যতিরেকে ইফরাদ হজ্ব পালন করেন তবে কি তাদের জিম্মায় যে হজ্ব ফরয ছিল তা কি আদায় হবে?
উত্তর
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মদীনা
মুনাওয়ারা থেকে পুনরায় মক্কা মুকাররমা আসার সময় মীকাত যুলহুলাইফা থেকে
শুধু হজ্বের ইহরাম করাও জায়েয। তবে এক্ষেত্রে তার উপর তাওয়াফে কুদুম করা
সুন্নত। তাই সরাসরি মিনায় চলে যাওয়া ঠিক হবে না। অবশ্য এই তাওয়াফ বাদ
দিলে কোনো জরিমানাও আসবে না। মদীনা মুনাওয়ারা থেকে ফেরার সময় শুধু উমরার
ইহরাম করাও জায়েয। তবে উভয় ক্ষেত্রে তার হজ্বটি তামাত্তু হজ্বই হবে।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি মদীনা মুনাওয়ারা থেকে ফেরার সময় ইফরাদ হজ্বের
ইহরাম করলেও এর পূর্বে হজ্বের মৌসুমে (মদীনা মুনাওয়ারা যাওয়ার আগে) উমরাহ
করার কারণে তার এ হজ্বটি তামাত্তু হজ্ব বলেই গণ্য হবে, ইফরাদ হজ্ব নয়।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি যদি পুনরায় তামাত্তুর উদ্দেশ্যে উমরার
ইহরাম করে তবে নিয়ম হল সে প্রথমে এই উমরাহর কাজ সম্পন্ন করবে এরপর হজ্বের
ইহরাম করে হজ্ব পালন করবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সে যদি উমরার কার্যাদি আদায়
না করে বরং হজ্বের সময় হজ্বের ইহরাম করে নেয় (অর্থাৎ হজ্বের নিয়তে
তালবিয়া পড়ে নেয়) এবং উকূফে আরাফা করে ফেলে তাহলে তার উমরাহর ইহারামটি
বাতিল হয়ে যাবে। তখন সে যথানিয়মে হজ্বের কার্যাদি সম্পন্ন করবে।
এক্ষেত্রেও তার হজ্বটি তামাত্তু হজ্ব হবে। সে কারণে দমে শোকর আদায় করতে
হবে। আর উমরার ইহরামটি বাতিল করে দেওয়ার কারণে তাকে একটি জরিমানার দমও
আদায় করতে হবে। আর ১৩ যিলহজ্বের পর তাকে ঐ বাতিলকৃত উমরাহটি কাযা করে নিতে
হবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৩৭২; আলজামিউস সগীর ১৫৭;
আততারজরীদ ৪/১৭২৮; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/২৮৮; আলমাবসূত, সারাখসী ৪/৩৫;
মানাসিক ২৫৮; গুনইয়াতুন নাসিক ২০৫, ২১৫
২. তিন প্রকার হজ্বের মধ্যে কিরান ও তামাত্তু হজ্বই উত্তম। হ্যাঁ, ইফরাদ করলেও হজ্বের ফরয আদায় হয়ে যাবে। কেননা, এটিও কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত হজ্বের একটি প্রকার। ফরয হজ্বের জন্য তামাত্তু কিংবা কিরান করা জরুরি নয়। অবশ্য সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার উমরাহ আদায় করা যেহেতু সুন্নতে মুয়াক্কাদা তাই যারা ইতিপূর্বে কখনো উমরাহ করেনি তাদের জন্য সম্ভব হলে তামাত্তু বা কিরান হজ্ব আদায় করাই উচিত হবে। যেন ফরয হজ্বের সাথে উমরার সুন্নতও আদায় হয়ে যায়। অবশ্য ইফরাদ হজ্বকারী ব্যক্তিও হজ্বের কাজ শেষ করে ইচ্ছা করলে উমরাহ করে নিতে পারবে এবং এতেও উমরার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।-আলবাহরুল আমীক ৪/২০১১; মানাসিক ৪৬৬, ২৫৬; গুনইয়াতুন নাসিক ১৯৬, ২০১
২. তিন প্রকার হজ্বের মধ্যে কিরান ও তামাত্তু হজ্বই উত্তম। হ্যাঁ, ইফরাদ করলেও হজ্বের ফরয আদায় হয়ে যাবে। কেননা, এটিও কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত হজ্বের একটি প্রকার। ফরয হজ্বের জন্য তামাত্তু কিংবা কিরান করা জরুরি নয়। অবশ্য সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার উমরাহ আদায় করা যেহেতু সুন্নতে মুয়াক্কাদা তাই যারা ইতিপূর্বে কখনো উমরাহ করেনি তাদের জন্য সম্ভব হলে তামাত্তু বা কিরান হজ্ব আদায় করাই উচিত হবে। যেন ফরয হজ্বের সাথে উমরার সুন্নতও আদায় হয়ে যায়। অবশ্য ইফরাদ হজ্বকারী ব্যক্তিও হজ্বের কাজ শেষ করে ইচ্ছা করলে উমরাহ করে নিতে পারবে এবং এতেও উমরার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।-আলবাহরুল আমীক ৪/২০১১; মানাসিক ৪৬৬, ২৫৬; গুনইয়াতুন নাসিক ১৯৬, ২০১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৯৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
হজ্ব-উমরাহজনৈক ব্যক্তি মদীনা থেকে ওমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় এসেছে। কিন্তু সে...
প্রশ্ন
হজ্ব-উমরাহ
জনৈক ব্যক্তি
মদীনা থেকে ওমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় এসেছে। কিন্তু সে ইহরাম ছাড়াই মীকাত
অতিক্রম করেছে। অতপর মক্কাবাসীদের মীকাত অর্থাৎ হিল্ল থেকে ওমরার ইহরাম
বেঁধে ওমরা সম্পন্ন করেছে। এখন জানার বিষয় হল, তার এই ওমরা আদায় হয়েছে
কি না এবং ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করার কারণে তার উপর কোনো দম ওয়াজিব
হয়েছে কি না? যদি দম ওয়াজিব হয় তাহলে মক্কায় থাকা অবস্থায় পুনরায়
মদীনাবাসীদের মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে ওমরা আদায়
করলে ঐ দম মাফ হবে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় ঐ ব্যক্তির
ওমরা আদায় হয়ে গেছে। তবে ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করার কারণে তার উপর
দম ওয়াজিব হয়েছে। আর সে যেহেতু হিল্ল থেকে ইহরাম বেঁধে ওমরা সম্পন্ন
করেছে তাই এখন মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বাঁধলেও দম মাফ হবে না।
অবশ্য ওমরার কাজ শুরু করার আগে মক্কার বাইরের মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে
ইহরাম বাঁধলে দম দেওয়া লাগত না।
-হেদায়া ৩/৩৯; মানাসিক, মোল্লা আলী ৮৪-৮৫; গুনইয়াতুন নাসিক ৬২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
হজ্ব-উমরাহ
জনৈক ব্যক্তি মদীনা থেকে ওমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় এসেছে। কিন্তু সে ইহরাম ছাড়াই মীকাত অতিক্রম করেছে। অতপর মক্কাবাসীদের মীকাত অর্থাৎ হিল্ল থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে ওমরা সম্পন্ন করেছে। এখন জানার বিষয় হল, তার এই ওমরা আদায় হয়েছে কি না এবং ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করার কারণে তার উপর কোনো দম ওয়াজিব হয়েছে কি না? যদি দম ওয়াজিব হয় তাহলে মক্কায় থাকা অবস্থায় পুনরায় মদীনাবাসীদের মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে ওমরা আদায় করলে ঐ দম মাফ হবে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
জনৈক ব্যক্তি মদীনা থেকে ওমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় এসেছে। কিন্তু সে ইহরাম ছাড়াই মীকাত অতিক্রম করেছে। অতপর মক্কাবাসীদের মীকাত অর্থাৎ হিল্ল থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে ওমরা সম্পন্ন করেছে। এখন জানার বিষয় হল, তার এই ওমরা আদায় হয়েছে কি না এবং ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করার কারণে তার উপর কোনো দম ওয়াজিব হয়েছে কি না? যদি দম ওয়াজিব হয় তাহলে মক্কায় থাকা অবস্থায় পুনরায় মদীনাবাসীদের মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে ওমরা আদায় করলে ঐ দম মাফ হবে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় ঐ ব্যক্তির
ওমরা আদায় হয়ে গেছে। তবে ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করার কারণে তার উপর
দম ওয়াজিব হয়েছে। আর সে যেহেতু হিল্ল থেকে ইহরাম বেঁধে ওমরা সম্পন্ন
করেছে তাই এখন মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বাঁধলেও দম মাফ হবে না।
অবশ্য ওমরার কাজ শুরু করার আগে মক্কার বাইরের মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে
ইহরাম বাঁধলে দম দেওয়া লাগত না।
-হেদায়া ৩/৩৯; মানাসিক, মোল্লা আলী ৮৪-৮৫; গুনইয়াতুন নাসিক ৬২
-হেদায়া ৩/৩৯; মানাসিক, মোল্লা আলী ৮৪-৮৫; গুনইয়াতুন নাসিক ৬২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি আমার মাহরামের সাথে হজ্বে গিয়েছি। দশ তারিখে ইহরাম থেকে...
প্রশ্ন
আমি আমার মাহরামের সাথে হজ্বে
গিয়েছি। দশ তারিখে ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মাথার চুল একত্র করে এক
ইঞ্চি পরিমাণ কেটেছি। বাড়িতে আসার পর বড় ভাই বললেন, ‘মহিলারা ইহরাম থেকে
হালাল হওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটতে হয়।’ জানতে চাই,
তার কথা কি ঠিক?
উত্তর
আপনার ভাইয়ের কথা ঠিক নয়। সঠিক
মাসআলা হল, মাথার অন্তত এক চতুর্থাংশ থেকে হাতের আঙ্গুলের এক কর (প্রায় এক
ইঞ্চি) পরিমাণ চুল কাটার দ্বারা ইহরাম থেকে হালাল হওয়া যায়। আবদুল্লাহ
ইবনে ওমর রা. বলেন, ‘মহিলাগণ ইহরাম অবস্থায় চুল একত্র করে তা থেকে
আঙ্গুলের এক কর পরিমাণ ছোট করবে।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস :
১৩০৬৫)
ইবরাহীম নাখাঈ রাহ. বলেন, ‘মহিলাগণ আঙ্গুলের এক কর পরিমাণ চুল ছোট করবে।’ (প্রাগুক্ত, হাদীস : ১৩০৭৩)
অতএব আপনি যে নিয়মে হালাল হয়েছেন তা ঠিক আছে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমি আমার মাহরামের সাথে হজ্বে
গিয়েছি। দশ তারিখে ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মাথার চুল একত্র করে এক
ইঞ্চি পরিমাণ কেটেছি। বাড়িতে আসার পর বড় ভাই বললেন, ‘মহিলারা ইহরাম থেকে
হালাল হওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটতে হয়।’ জানতে চাই,
তার কথা কি ঠিক?
উত্তর
আপনার ভাইয়ের কথা ঠিক নয়। সঠিক
মাসআলা হল, মাথার অন্তত এক চতুর্থাংশ থেকে হাতের আঙ্গুলের এক কর (প্রায় এক
ইঞ্চি) পরিমাণ চুল কাটার দ্বারা ইহরাম থেকে হালাল হওয়া যায়। আবদুল্লাহ
ইবনে ওমর রা. বলেন, ‘মহিলাগণ ইহরাম অবস্থায় চুল একত্র করে তা থেকে
আঙ্গুলের এক কর পরিমাণ ছোট করবে।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস :
১৩০৬৫)
ইবরাহীম নাখাঈ রাহ. বলেন, ‘মহিলাগণ আঙ্গুলের এক কর পরিমাণ চুল ছোট করবে।’ (প্রাগুক্ত, হাদীস : ১৩০৭৩)
অতএব আপনি যে নিয়মে হালাল হয়েছেন তা ঠিক আছে।
ইবরাহীম নাখাঈ রাহ. বলেন, ‘মহিলাগণ আঙ্গুলের এক কর পরিমাণ চুল ছোট করবে।’ (প্রাগুক্ত, হাদীস : ১৩০৭৩)
অতএব আপনি যে নিয়মে হালাল হয়েছেন তা ঠিক আছে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমরা জানি, ইহরাম অবস্থায় সেলাই করা কাপড় পরা নিষেধ। কিন্তু...
প্রশ্ন
আমরা জানি, ইহরাম অবস্থায় সেলাই করা কাপড় পরা নিষেধ। কিন্তু সেলাইযুক্ত বেল্ট পরাও কি নিষেধ?
উত্তর
না, সেলাইযুক্ত বেল্ট বাঁধা নিষেধ নয়। তাউস রাহ. বলেন, ‘মুহরিম কোমরবন্দ ব্যবহার করতে পারবে।’
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৫৬৮৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
প্রশ্ন
আমরা জানি, ইহরাম অবস্থায় সেলাই করা কাপড় পরা নিষেধ। কিন্তু সেলাইযুক্ত বেল্ট পরাও কি নিষেধ?
উত্তর
না, সেলাইযুক্ত বেল্ট বাঁধা নিষেধ নয়। তাউস রাহ. বলেন, ‘মুহরিম কোমরবন্দ ব্যবহার করতে পারবে।’
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৫৬৮৯
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৫৬৮৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: হজ্ব
আমি তামাত্তু হজ্বের নিয়ত করেছি। আমি যদি মক্কায় ওমরা করার...
প্রশ্ন
আমি তামাত্তু হজ্বের নিয়ত করেছি।
আমি যদি মক্কায় ওমরা করার পর হজ্বের আগে মদীনায় যাই তাহলে মদীনা থেকে
ফেরার সময় শুধু হজ্বের ইহরাম করতে পারব নাকি তামাত্তু হজ্বের জন্য আবার
ওমরার ইহরাম করতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি মদীনা
মুনাওয়ারা থেকে ফেরার সময় শুধু হজ্বের ইহরাম করতে পারবেন, নতুন করে ওমরার
ইহরাম করা জরুরি নয়। এক্ষেত্রে পূর্বের ওমরাসহ আপনি তামাত্তুকারীর
অন্তর্ভুক্ত হবেন। একটি বর্ণনায় এসেছে, কূফার অধিবাসী কিছু লোক তামাত্তু
করল (ওমরা করে হালাল হল)। এরপর তারা মদীনায় গেল। ফেরার সময় হজ্বের ইহরাম
করল। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তাদেরকে
বললেন, ‘তোমরা তামাত্তুকারী বলে গণ্য হবে।’
আহকামুল কুরআন, তহাবী
২/২৩০; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/২৮৮; আলজামিউস সগীর পৃ. ১২৮; ফাতহুল কাদীর
২/৪৩৭; মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা ২/১৬৭; আততাজরীদ ৪/১৭২৮; আলবাহরুল আমীক
২/৭৭৩; ইলাউস সুনান ১০/৩১৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈
প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।
>>নিম্নের লিংক ক্লিক করে ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন<<
১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।
২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন।
৩/ যত বেশি সম্ভব أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) পড়ুন। দিনে কমপক্ষে ১০০ বার পড়ুন।
৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।
৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।
৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য
Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে
ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ
করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে
তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv
#ibtv99
প্রশ্ন
আমি তামাত্তু হজ্বের নিয়ত করেছি।
আমি যদি মক্কায় ওমরা করার পর হজ্বের আগে মদীনায় যাই তাহলে মদীনা থেকে
ফেরার সময় শুধু হজ্বের ইহরাম করতে পারব নাকি তামাত্তু হজ্বের জন্য আবার
ওমরার ইহরাম করতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি মদীনা
মুনাওয়ারা থেকে ফেরার সময় শুধু হজ্বের ইহরাম করতে পারবেন, নতুন করে ওমরার
ইহরাম করা জরুরি নয়। এক্ষেত্রে পূর্বের ওমরাসহ আপনি তামাত্তুকারীর
অন্তর্ভুক্ত হবেন। একটি বর্ণনায় এসেছে, কূফার অধিবাসী কিছু লোক তামাত্তু
করল (ওমরা করে হালাল হল)। এরপর তারা মদীনায় গেল। ফেরার সময় হজ্বের ইহরাম
করল। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তাদেরকে
বললেন, ‘তোমরা তামাত্তুকারী বলে গণ্য হবে।’
আহকামুল কুরআন, তহাবী ২/২৩০; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/২৮৮; আলজামিউস সগীর পৃ. ১২৮; ফাতহুল কাদীর ২/৪৩৭; মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা ২/১৬৭; আততাজরীদ ৪/১৭২৮; আলবাহরুল আমীক ২/৭৭৩; ইলাউস সুনান ১০/৩১৮
আহকামুল কুরআন, তহাবী ২/২৩০; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/২৮৮; আলজামিউস সগীর পৃ. ১২৮; ফাতহুল কাদীর ২/৪৩৭; মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা ২/১৬৭; আততাজরীদ ৪/১৭২৮; আলবাহরুল আমীক ২/৭৭৩; ইলাউস সুনান ১০/৩১৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈
প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।
>>নিম্নের লিংক ক্লিক করে ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন<<
১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।
২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন।
৩/ যত বেশি সম্ভব أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) পড়ুন। দিনে কমপক্ষে ১০০ বার পড়ুন।
৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।
৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।
৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv
#ibtv99
#ibtv99
0 Comments