নারীর পর্দা আর পুরুষের দাড়ি আসলে কেন? পর্দা আর দাড়ির ব্যাপারে বিস্তারিত।

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না ইনশাল্লাহ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
নারীর পর্দা আর পুরুষের দাড়ি আসলে কেন? পর্দা আর দাড়ির ব্যাপারে বিস্তারিত।
নারীর পর্দা আর পুরুষের দাড়ি আসলে কেন? পর্দা আর দাড়ির ব্যাপারে বিস্তারিত।
হিজাব - সৌন্দর্যকে নতুন রূপ দেয়ার জন্য নয়, সৌন্দর্য ঢাকার জন্য করুন। যে হিজাব পড়ার পর মানুষ আপনার রুপের প্রশংসা করে, নিশ্চিত জানুন এটা ইসলামের সেই হিজাব নয়, যা আল্লাহর রাসুলের সম্মানিতা স্ত্রীগণ, তাঁর মেয়ে এবং সাহাবিরা করেছেন। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় মেয়ে ফাতিমা রা, মৃত্যুর পরও নিজেকে ঢেকে রাখার ব্যাপারে এতটা যত্নবান ছিলেন, অসিয়ত করে গিয়েছিলেন যেন তাকে রাতের অন্ধকারে দাফন করা হয়। মিলিয়ে দেখুন, তাদের হিজাবের সাথে আপনার হিজাব, তাদের নিয়তের সাথে আপনার নিয়ত।

দাড়ি - ম্যানলি লুক আনতে নয়, আল্লাহর রাহমাহ আনয়নের উদ্দেশে রাখুন। থুতনির নিচে সামান্য কিছু দাড়ির কারনে হয়তো মন খারাপ হয়। মুখ ভরা চাপ-দাড়ি কেন হল না? কিন্তু হাতে গোনা এই কয়েকটি দাড়িই যে আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়। এর উপর দিয়ে ক্ষুর চালানোর আগে আরেক বার ভাবুন, আপনি কি রাসুলের হৃদয়েই মূলত ক্ষুর চালাচ্ছেন না? তার কাছ থেকে হাউযে কাউসারের পানি নেয়ার সময় তিনি যদি মুখ ফিরিয়ে নেন, কী জবাব দিবেন, ভেবেছেন কি?
দাড়ি বা হিজাবের কারনে যদি কিছু কাছের মানুষ দূরে সরে যায়, তাহলে এর কারনেই কিছু দুরের মানুষ কাছে আসবে। যদি এর কারনে বিয়ে আটকে যায়, তাহলে এর কারনেই বিয়ে হবে। যদি চাকরি চলে যায়, নিশ্চয়ই একমাত্র আল্লাহ তাআলাই রিযিক দাতা। ভরসা রাখুন শুধু তাঁরই উপর।
দাড়ি রাখলে, পর্দা করলে কেউ নাজেহাল হয় না। সেই মহান সত্ত্বা যদি আপনাকে নাজেহাল করতে চান, আপনি নিস্তার পাবেন না কোনভাবেই। তিনি যদি আপনাকে বাঁচাতে চান, পুরো পৃথিবী এক হলেও আপনার কোন ক্ষতি হবে না।
এই দুনিয়া আমাদের বাড়ি নয়। এখানকার দুঃখ কষ্টও চিরস্থায়ী নয়। যে মানুষগুলো আজ হাসে, ঠাট্টা করে, তারাও কবরে যাবে আপনিও যাবেন। আল্লাহ চাইলে, এই সামান্য কয়টা দাড়ি, এই হিজাব বা নিকাব আপনার দিকে ধেয়ে আসা আল্লাহর বিশাল আযাবকে রুখে দিবে। হয়তো বলার মত যুক্তি পাবো -
আল্লাহ! সেই চেহারাকে আপনার আযাব থেকে দুরে রাখুন, যা আপনার ভয়ে ঢেকে রাখা হত।
আল্লাহ! সেই চেহারায় শাস্তি দিয়েন না, যেখানে রয়েছে আপনার রাসুলেরই সুন্নাহ।


◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈
 

 প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।

>>নিম্নের লিংক ক্লিক করে ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন<<

১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।

২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন। 

৩/ যত বেশি সম্ভব  أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) পড়ুন। দিনে কমপক্ষে ১০০ বার পড়ুন।

৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।

৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।

৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।

 

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]


ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্‌ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv
#ibtv99
.....

Post a Comment

0 Comments