ফতোয়া: বিবিধ

ফতোয়া নং: ৫৫৬২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

হজ্ব শিক্ষার একটি বইয়ে পড়েছি, হাজরে আসওয়াদ একটি জান্নাতী পাথর,...

প্রশ্ন
হজ্ব শিক্ষার একটি বইয়ে পড়েছি, হাজরে আসওয়াদ একটি জান্নাতী পাথর, যা প্রথমে খুব সাদা ছিল। এরপর মানুষের গুনাহের কারণে তা কালো হয়ে যায়। মানুষের গুনাহ যদি তাকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তাকে স্পর্শ করামাত্র সুস্থ হয়ে যেত। আমি জানতে চাই, কথাগুলো সহীহ কি না? হাদীস বা আছারে এ ধরনের কথা আছে কি না?
উত্তর
হ্যাঁ, কথাগুলো সহীহ। সহীহ সূত্রে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের পাথর। প্রথমে এটি দুধের চেয়েও অধিক সাদা ছিল। পরে মানুষের গুনাহ তাকে কালো করে দিয়েছে। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ৮৭৮; সহীহ ইবনে খুযাইমা ৪/২২০; মুসনাদে আহমাদ ১/৩০৭, ৩২৯, ৩৭৩)
অন্য হাদীসে আছে, মানুষের গুনাহ যদি হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীমের পাথরকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তা স্পর্শ করলে (আল্লাহর পক্ষ হতে) তাকে সুস্থতা দান করা হত। (সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৫/৭৫; শরহুল মুহাযযাব ৮/৫১)
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৫৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

জনৈক ওয়ায়েয এক ওয়াজ মাহফিলে বলেছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে একশতটি...

প্রশ্ন
জনৈক ওয়ায়েয এক ওয়াজ মাহফিলে বলেছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে একশতটি মহববত আছে। তার মধ্যে নিরানববইটি মহববত নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। আর একটিমাত্র মহববত দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, যার কারণে দুনিয়ায় মানুষ একে অপরকে মহববত করে এবং মা তার সন্তানকে মহববত করে। তেমনি পশুপাখি তাদের শাবক ও ছানাদেরকে মহববত করে। জানিয়ে বাধিত করবেন যে, তার এই কথা কি কোনো সহীহ হাদীসে আছে? বরাতসহ জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
হ্যাঁ, ওই ব্যক্তির কথার মর্ম সঠিক। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসের কিতাবে সহীহ সনদে তা বর্ণিত হয়েছে। তবে হাদীসে মহববত শব্দটি নেই; বরং রহমত শব্দ আছে। নিম্নে হাদীসটির তরজমা দেওয়া হল। হযরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা রহমতকে এক শত ভাগ করেছেন। তন্মধ্য থেকে নিরানববই ভাগ রহমত নিজের কাছে রেখেছেন। আর একভাগ রহমত জমিনে অবতীর্ণ করেছেন। যার কারণে সমস্ত সৃষ্টি একে অপরের প্রতি দয়া করে থাকে। এমনকি ঘোড়া তার পায়ের খুর এই আশংকায় উঠিয়ে রাখে যে, তার দ্বারা বাচ্চা ব্যথা পাবে।
-সহীহ বুখারী ২/৮৮৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৩৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

হজ্ব শিক্ষার একটি বইয়ে পড়েছি, হাজরে আসওয়াদ একটি জান্নাতী পাথর,...

প্রশ্ন
হজ্ব শিক্ষার একটি বইয়ে পড়েছি, হাজরে আসওয়াদ একটি জান্নাতী পাথর, যা প্রথমে খুব সাদা ছিল। এরপর মানুষের গুনাহের কারণে তা কালো হয়ে যায়। মানুষের গুনাহ যদি তাকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তাকে স্পর্শ করামাত্র সুস্থ হয়ে যেত। আমি জানতে চাই, কথাগুলো সহীহ কি না? হাদীস বা আছারে এ ধরনের কথা আছে কি না?
উত্তর
হ্যাঁ, কথাগুলো সহীহ। বিশুদ্ধ সূত্রে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের পাথর। প্রথমে এটি দুধের চেয়েও অধিক সাদা ছিল। পরে মানুষের গুনাহ তাকে কালো করে দিয়েছে। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ৮৭৭; সহীহ ইবনে খুযাইমা ৪/২২০; মুসনাদে আহমাদ ১/৩০৭, ৩২৯, ৩৭৩)
অন্য হাদীসে আছে, মানুষের গুনাহ যদি হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীমের পাথরকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তা স্পর্শ করলে (আল্লাহর পক্ষ হতে) তাকে সুস্থতা দান করা হত। (সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৫/৭৫; শরহুল মুহাযযাব ৮/৫১)
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৩০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

--- একটি প্রসিদ্ধ নাম। এর সঠিক উচ্চারণ কী? অনেকে এ...

প্রশ্ন
--- একটি প্রসিদ্ধ নাম। এর সঠিক উচ্চারণ কী? অনেকে এ নামটির প্রথম অক্ষর অর্থাৎ ফা যের দিয়ে পড়েন। আবার অনেকে যবর উচ্চারণ করেন। কোনটি সঠিক এবং এর অর্থ কী? এটি সাহাবী-তাবেয়ীদের কারো নাম ছিল কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
-- শব্দটির প্রথম অক্ষর যবর দিয়ে ‘ফাইরুয’ বলা যায়। আবার যের দিয়ে ‘ফীরুয’ ও বলা যায়। উভয় উচ্চারণ সহীহ। এটি মূলত ফার্সী শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে, বিজয়ী, সফল, কৃতকার্য। এটি একজন সাহাবীর নাম। তাঁর উল্লেখযোগ্য একটি কৃতিত্ব হল, তিনি নবুওয়তের মিথ্যা দাবীদার আসওয়াদ আনাসীকে হত্যা করেছিলেন।
সহীহ বুখারী ২/৬২৮; আলইসাবা ৫/৩৭৯; আলইস্তিআব ৩/১২৬৪; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫/১৩; ফাইরুযুল লুগাত ৯৪১; গিয়াসুল লুগাত ৩৮১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৯১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমাদের এলাকায় মাগরিবের পর থেকে পরদিন সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত...

প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় মাগরিবের পর থেকে পরদিন সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত স্বপ্ন বলা ও ব্যাখ্যা দেওয়া কুলক্ষণ বা দোষ মনে করা হয়। শরীয়তের এর কোনো ভিত্তি আছে কি?
উত্তর
না, এসময় স্বপ্ন বলতে এবং এর ব্যাখ্যা করতে শরীয়তের দৃষ্টিতে দোষের কিছু নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের পর পর সাহাবায়ে কেরাম থেকে স্বপ্ন শুনতেন এবং তার তা’বীর বর্ণনা করতেন।
কেউ স্বপ্নের ব্যাখ্যা বা তা’বীর জানতে চাইলে তার জন্য স্বপ্ন বলার উত্তম সময় এটিই। কেননা, এতে স্বপ্ন দেখা ও বলার মাঝে সময়ের ব্যবধান কম থাকে। ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
উমদাতুল কারী ২৪/১৭১;ইরশাদুস সারী ১৪/৪৯০; ফাতহুল বারী ১২/৪৫৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৮১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

জনৈক বক্তা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদার বর্ণনা দিতে...

প্রশ্ন
জনৈক বক্তা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, হাদীসে আছে ‘হাশরের দিন সর্বপ্রথম আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর থেকে উঠবেন।’ উক্ত কথাটি কি হাদীসে আছে? থাকলে সেই হাদীসটি উদ্ধৃতিসহ জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
উত্তর
হ্যাঁ, কথাটি হাদীসে আছে। হযরত আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি হব সকল আদম-সন্তানের সরদার এবং আমিই প্রথম কবর থেকে উঠব। আল্লাহর নিকট আমিই প্রথম সুপারিশ করব এবং আমার সুপারিশই প্রথম কবুল হবে।’
সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২২৭৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৬৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদ চুমু দেওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’...

প্রশ্ন
তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদ চুমু দেওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলার প্রচলন আছে। এটা কি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত? ফিকহ-ফাতাওয়ার কিতাবে কী আছে? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর
হ্যাঁ, প্রতি চক্করে হাজরে আসওয়াদ বরারব এসে সরাসরি বা ইশারায় চুমু খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা প্রমাণিত। সহীহ বুখারীসহ অন্যান্য কিতাবে আছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাওয়াফের মধ্যে যখনই হাজরে আসওয়াদে আসতেন তাকবীর অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে চুমু দিতেন, কিংবা লাঠি ইত্যাদি দিয়ে ইশারা করতেন। কিন্তু বিসমিল্লাহ বলাটা মারফূ হাদীসে নেই। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতেন।
সহীহ বুখারী ১/২১৯; মুসনাদে আহমদ ৫/৭২; মুসান্নাফ আবদুর রাযযযাক ৫/৩৩;সুনানে বায়হাকী ৫/৭৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৬৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

মাওলানা ওমর আলী রাহ. সম্পর্কে মাওলানা ইসহাক ওবায়দীর অভিব্যক্তিটি পড়ে...

প্রশ্ন
মাওলানা ওমর আলী রাহ. সম্পর্কে মাওলানা ইসহাক ওবায়দীর অভিব্যক্তিটি পড়ে বেশ উপকৃত হয়েছি। আল্লাহ তাআলা তাঁকে জাযায়ে খায়ের দান করুন আমীন। কিন্তু এই প্রবন্ধে ‘ইসলামী বিশ্বকোষ’কে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি আগে এটিকে এতটা গুরুত্ব দিতাম না। তাই প্রশ্ন জাগে, বাস্তবিকই কি এটি নির্ভরযোগ্য? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
সার্বিক বিবেচনায় এই বিশ্বকোষটিকে নির্ভরযোগ্য বলা মুশকিল। তবে এটাও ঠিক যে, কিছু বিষয়ের উত্তম ও নির্ভরযোগ্য কিছু প্রবন্ধ এতে রয়েছে। বিশেষত সঠিক চিন্তা-চেতনার অধিকারী মুহাক্কিক আলেম কর্তৃক যেসব প্রবন্ধ রচিত হয়েছে তা নিঃসন্দেহে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এর অধিকাংশই হচ্ছে প্রাচ্যবিদদের রচিত বিভিন্ন প্রবন্ধের হুবহু অনুবাদ। আর কিছু প্রবন্ধ এমনও আছে, যা অপরিপক্ক আলেম কর্তৃক রচিত, যাদের সরাসরি ইসলামী মাসাদির থেকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা নেই। যারা বিভিন্ন অনুবাদ ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কিতাবগুলো সামনে রেখে লিখে থাকেন। এ জাতীয় রচনা তথ্যের দিক থেকেও গ্রহণযোগ্য নয়, দ্বীন শিখা তো পরের কথা।
মাওলানা ওমর আলী রাহ.-এর একটি বিশেষ কীর্তি এই যে, যখন তিনি মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভীসহ অন্যান্য মুহাক্কিক আলেমের সোহবত লাভ করেন আর তাঁর কাছে প্রাচ্যবিদদের ইসলাম-বিদ্বেষ স্পষ্ট হয় সাথে এই রচনার অন্যান্য ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রতিও তার দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় তখন তিনি অনেক মেহনত করে এই মর্মে রেজুলেশন পাশ করিয়ে নেন যে, রচনাটি নতুনভাবে সংশোধন করা হবে। এর জন্য একটি‘সম্পাদনা বোর্ড’ও গঠন করা হয়।
আমার জানা মতে, এই বোর্ড এখনও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। যদি তাঁরা গভীরভাবে পুনঃসম্পাদনা করেন এবং সে অনুযায়ী সংকলনটি পুনঃপ্রকাশ করা হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ রচনাটির অবস্থাআগের চেয়ে ভালো হবে বলে আশা করা যায়।
মাওলানা ইসহাক ওবায়দী সাহেবও এই রচনাটিকে নির্ভরযোগ্য বলেননি; বরং তাঁর উদ্দেশ্য হল বাংলা ভাষা-যার রচনা-ভাণ্ডার ‘ইলমী’ কাজ থেকে প্রায় শূন্য-সে ভাষায় এই বিরাট সংকলন তৈরি হওয়াও কম কথা নয়?
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৬২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

করআন মজীদ তিলাওয়াতের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র নাম...

প্রশ্ন
করআন মজীদ তিলাওয়াতের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র নাম এলে তিলাওয়াত বন্ধ করে তাৎক্ষণিক দরূদ পড়তে হবে কি না?
উত্তর
উত্তম হল তিলাওয়াত বন্ধ না করা এবং তিলাওয়াত শেষে দরূদ পড়া। কারণ পরে পড়লেও দরূদ পড়ার হক আদায় হয়ে যায়। এছাড়া তিলাওয়াতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম এলে দরূদ পড়া জরুরি নয়।
রদ্দুল মুহতার ১/৫১৯; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২২৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৫৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

জনৈক ব্যক্তি বলেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরীর ও...

প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি বলেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরীর ও ঘাম থেকে কুদরতিভাবে সুগন্ধি বের হত। আর তিনি যে পথে চলতেন সে পথ সুরভিত হয়ে যেত। জানতে চাই, এ কথাটি সঠিক কি না?
উত্তর
হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি বৈশিষ্ট্য এই ছিল যে, তাঁর শরীর মুবারক ও ঘাম অত্যন্ত সুরভিপূর্ণ ছিল। এ বিষয়ে কয়েকটি হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল।
হযরত আনাস রা. বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘ্রাণ মেশক-আম্বরের সুঘ্রাণ থেকে অধিক সুবাসিত পেয়েছি। (সহীহ মুসলিম ২/২৫৭; সহীহ বুখারী ১/৫০৩; সুনানে দারেমী ১/৩৪)
হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সুলাইম রা.-এর ঘরে (দুপুর বেলা) ঘুমালেন। উম্মে সুলাইম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘাম নিয়ে শিশিতে সংরক্ষণ করলেন এবং ঘরের সুগন্ধির সাথে মিশিয়ে রাখলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগ্রত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, কী করছ? তিনি বললেন, আপনার ঘাম আমাদের আতরের সাথে মিশিয়ে রাখছি। কেননা, তা সকল আতরের চেয়ে অধিক সুবাসিত। (সহীহ মুসলিম ২/২৫৭)
হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘাম এত সুবাসিত ছিল যে, তিনি কোনো পথ অতিক্রম করার পর অন্য কোনো ব্যক্তি যদি ওই পথ অতিক্রম করত তাহলে সে বুঝতে পারত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই পথ অতিক্রম করেছেন।-সুনানে দারেমী ১/৩৪; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ১৪০৫৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৩৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

গ্রামদেশে একটি কথা বেশ প্রসিদ্ধ যে, পুরো পৃথিবী একটি ষাঁড়ের...

প্রশ্ন
গ্রামদেশে একটি কথা বেশ প্রসিদ্ধ যে, পুরো পৃথিবী একটি ষাঁড়ের শিংয়ের উপর অবসি'ত। ষাঁড় যখন শিং নাড়া দেয় তখন পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয়। এটা নাকি হাদীস। আমাদের দেশের কোনো কোনো বক্তা খুব মুখরোচকভাবে বলে থাকেন। জানতে চাই তা সহীহ কি না?
উত্তর
এমন কথা কোনো হাদীসে নেই। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আল্লামা ইবনুল কাইয়েম রাহ. এবং আবু হাইয়ান রাহ. একে ভিত্তিহীন ও জাল বলেছেন।
-আলমানারুল মুনীফ পৃ. ৭৮; আলইসরাঈলিয়্যাত ওয়ালমাওযূআত ৩০৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমদের এলাকায় প্রচলন রয়েছে যে, বিয়ে উপলক্ষে কনের ইজিন নেওয়ার...

প্রশ্ন
আমদের এলাকায় প্রচলন রয়েছে যে, বিয়ে উপলক্ষে কনের ইজিন নেওয়ার সময় কনের দু’জন কফিল এবং বরের দু’জন কফিল উপস্থিত থাকতে হয়। তাদের উপসি'তিতে কোনো আলেম সাহেব খুতবা পড়ে নিয়মানুযায়ী ইজিন নেন। বরপক্ষে কফিলের উপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, সাক্ষী স্বরূপ তাদের উপস্থিতি জরুরি।
জানার বিষয় এই যে, কনের ইজিন নেওয়ার সময় বরপক্ষের উকিলের সাক্ষীস্বরূপ উপসি'তি শরীয়তসম্মত কি না? ইজিন নেওয়ার সময় বরপক্ষের সাক্ষীর থাকা জরুরি কি না।
উত্তর
মেয়ে থেকে বিয়ের ইজিন তথা অনুমতি নেওয়ার জন্য সাক্ষী থাকা অপরিহার্য নয়। একজন ব্যক্তিও মেয়ে থেকে অনুমতি নিয়ে এসে তার পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব বা কবুল করতে পারে। অবশ্য এক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা জরুরি নয়, তবে সাক্ষী থাকা ভালো। গায়রে মাহরাম পুরুষদের জন্য সরাসরি মেয়ে থেকে অনুমতি (ইজিন) নিতে যাওয়া বৈধ হবে না। আর ইজনের জন্য পাত্র পক্ষ থাকতেই হবে এমন কোনে আবশ্যকতা নেই।
-আলবাহরুর রায়েক ৩/৮২; রদ্দুল মুহতার ৩/২১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৩০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আড়তে যে সকল মালামাল বিক্রি করা হয় এর বিনিময়ে আড়তদার...

প্রশ্ন
আড়তে যে সকল মালামাল বিক্রি করা হয় এর বিনিময়ে আড়তদার ক্রেতা বিক্রেতা উভয় থেকে কমিশন গ্রহণ করে থাকে। এটা বৈধ কি না জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
আড়তের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আড়তদার কর্তৃক ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় থেকে কমিশন নেওয়া নাজায়েয নয়। কেননা তারা উভয়ই আড়ত ব্যবহার করছে। তবে কমিশনের পরিমাণ যুক্তিসঙ্গত হতে হবে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৫৩; আলবাহরুর রায়েক ৮/১১,২৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪১৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

লোকমুখে শোনা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিদরাতুল...

প্রশ্ন
লোকমুখে শোনা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত পৌঁছলেন তখন হযরত জিবরাঈল আ. এই বলে সামনে অগ্রসর হতে অক্ষমতা প্রকাশ করেন যে, আমি আর এক কদম অথবা আর এক চুল পরিমাণ অগ্রসর হলে আমার ডানাসমূহ জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে-একথা সহীহ কি না?
উত্তর
একথা ভিত্তিহীন। প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আবদুল্লাহ ইবনে সিদ্দীক আলগুমারী রাহ. বলেন, ‘‘এরূপ ধারণা করা নিকৃষ্টতম বাড়াবাড়ি যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছলেন তখন জিবরাঈল আ. পিছনে সরে গেলেন এবং বললেন, যদি আমি আর এক পা অগ্রসর হই তাহলে জ্বলে যাব। এটি একটি মিথ্যা ও বাজে কথা। বস্তুত সে রাতে জিবরাঈল আ. এক মুহূর্তের জন্যও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গ ত্যাগ করেননি। সিদরাতুল মুনতাহা এবং অন্যান্য স্থানেও তিনি তাঁর সাথেই ছিলেন।
শরহুল মাওয়াহেবে এই বর্ণনা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এগুলো নিঃসন্দেহে মিথ্যা।
শরহুল মাওয়াহিব ৮/২০০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪১০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

অনেকে বড়শিতে কেঁচো বা ছোট মাছ বিদ্ধ করে মাছ শিকার...

প্রশ্ন
অনেকে বড়শিতে কেঁচো বা ছোট মাছ বিদ্ধ করে মাছ শিকার করেন। এটা জায়েয আছে কি না?
উত্তর
বড়শিতে মাছ বা কেঁচো গাঁথার আগে তা মেরে নিলে তা দ্বারা মাছ ধরা জায়েয হবে। কিন্তু জ্যান্ত মাছ বা কেঁচো বড়শিতে গেঁথে মাছ শিকার করা জায়েয নয়।
সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৫১৩; সহীহ মুসলিম হাদীস : ৫০১৭; তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৪/৫৪০; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১৩/২৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪৭৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪০৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

অনেককে বলতে শোনা যায় যে, ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠার...

প্রশ্ন
অনেককে বলতে শোনা যায় যে, ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠার সময় শুধু سمع الله لمن حمده বলবেন। ربنا لك الحمد বলবেন না। এ কথাটি কি সঠিক?
উত্তর
ইমাম সাহেব রুকু থেকে দাঁড়িয়ে ربنا لك الحمد বলবে কি না-এ বিষয়ে একাধিক মত রয়েছে। তবে অগ্রগণ্য মত অনুযায়ী ইমামের জন্যও ربنا لك الحمد বলা উত্তম।
সহীহ বুখারী ১/১০৯; ফাতহুল কাদীর ১/২৬০; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৬; আসসিআয়াহ ২/১৮৬; সহীহ মুসলিম ১/১৯০; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৩/৪৪৩, হাদীস : ২৫৬২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৩১৯; ফাতহুল বারী ২/৩৩১; মাআরিফুস সুনান ৩/২৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৫৩৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৯০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

১৯৬১ সালে রচিত পারিবারিক আইনে দাদা থাকা অবস্থায় বাবা মারা...

প্রশ্ন
১৯৬১ সালে রচিত পারিবারিক আইনে দাদা থাকা অবস্থায় বাবা মারা গেলে নাতী চাচাদের সাথে সম্পত্তি পাবে। প্রশ্ন হল সরকারী এ আইনের বলে নাতীর জন্য সম্পত্তি দাবি করা বৈধ হবে কি?
উত্তর
মোটেই না। তবে ওয়ারিশগণ স্বেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যদি কিছু দেয় তবে তা নেওয়া জায়েয হবে।
সূরা নিসা : ৭; আসসিরাজী ফিলমিরাছ পৃ. ২২; সহীহ বুখারী ২/৯৯৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৭৭৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৮৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

নামাযের প্রথম সারিতে দাঁড়ানো ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীস শরীফে বিভিন্ন ফযিলত...

প্রশ্ন
নামাযের প্রথম সারিতে দাঁড়ানো ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীস শরীফে বিভিন্ন ফযিলত বর্ণিত হয়েছে। প্রশ্ন হল কোনো নেতৃস্থানীয় লোক যেমন মন্ত্রী, এমপি বা অন্য কেউ যদি সামনের কাতারে দাঁড়ানো লোককে সরিয়ে দেয় এবং সে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সামনের কাতার থেকে সরে আসে তাহলে তাদের দু’জনের মধ্য থেকে বর্ণিত সওয়াবের অধিকারী কে হবে?
উত্তর
এক্ষেত্রে সামনে উপবিষ্ট মুসল্লীর সম্মতি থাকলে কিংবা সে নিজেই জায়গা ছেড়ে দিলে দু’জনই সামনের কাতারের সওয়াব পাবে। আর পূর্ব থেকে বসে থাকা মুসল্লীর সম্মতি ছাড়া তাকে সরিয়ে দিয়ে অন্য কেউ বসলে পরবর্তী ব্যক্তি সামনের কাতারের সওয়াব পাবে না; বরং অন্যের হক নষ্ট করার জন্য গুনাহগার হবে।
রদ্দুল মুহতার ১/৫৬৯; ইলাউস সুনান ৪/৩৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৮৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

বিশ বছর পূর্বে বাড়ি বানানোর উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরে একটি জমি...

প্রশ্ন
বিশ বছর পূর্বে বাড়ি বানানোর উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরে একটি জমি ক্রয় করি। এখন আমি ঐ জমিতে বাড়ি বানানোর কাজ শুরু করেছি। কিন্তু এক স্থানে গর্ত করতে গিয়ে মাটির নিচে একটি কঙ্কাল পাওয়া গেল। জমি-বিক্রেতাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলল, আমার জানামতে এখানে কোনো কবর ছিল না। যা দ্বারা বুঝা যায় এটি অনেক পুরাতন কবর।
আমার জানার বিষয় হল, এ অবস্থায় শরীয়তের দৃষ্টিতে আমার কী করণীয়? উল্লেখ্য, ঐ স্থানে আমার বাড়ি বানানো খুবই প্রয়োজন।
উত্তর
প্রশ্নোল্লিখিত অবস্থায় আপনি ঐ কঙ্কাল উঠিয়ে অন্যত্র দাফন করে দিতে পারেন। অথবা সেখানেও মাটির নিচে পুঁতে রেখে সমান করে দিয়ে উপরে বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন।
পারবেন।-ফাতহুল কাদীর ২/১০১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৪৭১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/১৭৫; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/৮০; রদ্দুল মুহতার ২/২৩৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৮২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমাদের এলাকায় প্রসিদ্ধ আছে যে, কারো বাড়িতে পেঁচা বসলে সেখানে...

প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় প্রসিদ্ধ আছে যে, কারো বাড়িতে পেঁচা বসলে সেখানে কোনো বিপদ হবে। পেঁচাকে অমঙ্গলজনক মনে করা হয়। জানতে চাই ঐ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী?
উত্তর
আপনাদের এলাকার ঐ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পেঁচা অন্যান্য পাখির মতোই একটি পাখি। এর সাথে কোনো অনিষ্ট জড়িত নেই এবং এটি কোনো অমঙ্গলের নিদর্শনও নয়। একে অমঙ্গলজনক মনে করা সম্পূর্ণ ভুল। ইসলামপূর্ব জাহেলী যুগেও একে অমঙ্গলজনক মনে করা হত। হাদীস শরীফে এই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে খণ্ডন করা হয়েছে এবং এই ধারণাকে শিরকী বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাই তা পরিহার করা কর্তব্য।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৫২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

ফুল সম্পর্কে জ্ঞানী-গুণীদের অনেক মন্তব্য পড়েছি, শুনেছি। নিশ্চয়ই নবী সাল্লাল্লাহু...

প্রশ্ন
ফুল সম্পর্কে জ্ঞানী-গুণীদের অনেক মন্তব্য পড়েছি, শুনেছি। নিশ্চয়ই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ফুল সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। আমি এ বিষয়ে একটি সহীহ হাদীস জানতে চাই।
উত্তর
হ্যাঁ, ফুল নিয়ে নবীজীর অনেক কথা হাদীসের গ্রন্থসমূহে রয়েছে। তন্মধ্যে একটি সহীহ হাদীস হল, হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কাউকে যদি ফুল পেশ করা হয় তাহলে ফিরিয়ে দিও না। কারণ ফুল বহন করতে সহজ এবং এতে সুঘ্রাণ রয়েছে।’
সহীহ মুসলিম হাদীস ২২৫৩; ফাতহুল বারী ১০/৩৮৩-৩৮৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৫১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

একটি সীরাত-গ্রন্থের শুরুর দিকে লেখা হয়েছে, ‘প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি...

প্রশ্ন
একটি সীরাত-গ্রন্থের শুরুর দিকে লেখা হয়েছে, ‘প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা হযরত রূকাইয়্যা রা. নিঃসন্তান অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।’ ঐ গ্রন্থেই শেষের দিকে লেখা হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে উসমান নামে রূকাইয়্যা রা.-এর একজন পুত্রসন্তান ছিল। জানতে চাই, কোন তথ্যটি সঠিক?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত গ্রন্থের দ্বিতীয় বক্তব্যই সঠিক। প্রথম বক্তব্যটি লেখা হয়েছে একটি দুর্বল বর্ণনার ভিত্তিতে, যা ঠিক নয়।
আলইসতিযকার ৪/১৮৪০; আলইসাবা ৭/৬৪৯; আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ৮/২৪২; সীরাতুন্নবী আল্লামা শীবলী নুমানী ২/২৭০; তারীখুল ইসলাম আল্লামা যাহাবী ৩/৬৭৭; আলমুনতাযাম ৩/১৩৮; উয়ূনুল আছার ২/৩৮০; আলকামিল ফিত তারীখ ২/১৭৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৪৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমাদের দেশে কোনো কোনো পীরের সামনে সিজদা করতে দেখা যায়।...

প্রশ্ন
আমাদের দেশে কোনো কোনো পীরের সামনে সিজদা করতে দেখা যায়। পীর গদ্দীনাশীন আর মুরীদ তাকে সামনে নিয়ে যমিনের উপর সিজদাবনত। এই দৃশ্য আমাদের দেশের এক পীরের আস্তানায় দেখতে পেলাম। এটা দেখে আমার মনে খুব ঘৃণার উদ্রেক হয়েছে। তাই আমি সেখান থেকে চলে আসি। জানতে চাই, যে সিজদা করেছে তার ঈমান কি নষ্ট হয়ে গেছে?
উত্তর
আল্লাহ তাআলা আপনার ঈমানী গায়রত আরো বৃদ্ধি করে দিন। তাদের উক্ত কুফরী আচরণকে ঘৃণা করে সেখান থেকে চলে আসা আপনার ঈমানের দলীল। এরা ছোট দাজ্জাল। সুকৌশলে মানুষের ঈমানকে ধ্বংস করার জন্য প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে। এদের ফাঁদ থেকে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হেফাযত করুন। আমীন।
সিজদা একমাত্র আল্লাহ তাআলারই হক। কোনো মানুষকে বা কারো মাজারকে কিংবা অন্য কোনো মাখলুককে সিজদা করা সম্পূর্ণ হারাম। যদি ইবাদত-উপাসনার নিয়তে সিজদা করে তাহলে কাফের হয়ে যাবে। যদি আদব ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য করে থাকে তাহলে শুধু এ কারণে সরাসরি কাফের না হলেও সে কুফুরির নিকটবর্তী হয়ে যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই কর্মের সঙ্গে এমন কিছু আকীদা-বিশ্বাসও থাকে, যা তাকে ঈমান থেকে খারিজ করে দেয়। তাই এ থেকে খালিস দিলে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৩; ইমদাদুস সায়েল পৃ. ১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৬৮; ইমদাদুল মুফতীন পৃ. ১৬৭-১৭০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

নামাযের মধ্যে কতটুকু অংশ জোরের জায়গায় আস্তে বা আস্তের জায়গায়...

প্রশ্ন
নামাযের মধ্যে কতটুকু অংশ জোরের জায়গায় আস্তে বা আস্তের জায়গায় জোরে পড়লে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে?
উত্তর
ছোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত পরিমাণ আস্তে পড়ার স্থানে জোরে বা জোরে পড়ার স্থানে আস্তে তিলাওয়াত করলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১৯৪; ফাতহুল কাদীর ১/৪৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১২৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৩৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

বিয়েতে যে সাক্ষী রাখা হয় তার জন্য কী কী শর্ত...

প্রশ্ন
বিয়েতে যে সাক্ষী রাখা হয় তার জন্য কী কী শর্ত রয়েছে? একজন বললেন, মেয়ের মাহরামদের থেকে একজনকে সাক্ষী রাখা আবশ্যক। আরেক ব্যক্তি বললেন, সাক্ষী একজন ছেলের পক্ষ থেকে একজন মেয়ের পক্ষ থেকে রাখতে হয়। উক্ত শর্তগুলো কি সঠিক? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য সাক্ষীর মাঝে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা আবশ্যক।
ক) জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া খ) প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া গ) মুসলমান হওয়া ঘ) শ্রবণশক্তিসম্পন্ন হওয়া ঙ) দুইজন পুরুষ, অন্যথায় একজন পুরুষ ও দুইজন নারী হওয়া ও চ) উভয় সাক্ষী একত্রে একই বৈঠকে সরাসরি ইজাব-কবুল শ্রবণ করা।
বর বা কনেপক্ষ থেকে সাক্ষী থাকতেই হবে-এটা আবশ্যকীয় নয়। এ ধরনের শর্তের কোনো শরয়ী ভিত্তি নেই। সাক্ষী বর ও কনেপক্ষ থেকে না হয়ে অন্য কেউ হতে পারে।
মাবসূত সারাখসী ৫/৩১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৬৭; রদ্দুল মুহতার ৩/২১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩২৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমি যেখানে থাকি সেখানে কয়েকটি অমুসলিম পরিবার রয়েছে। তাদের কেউ...

প্রশ্ন
আমি যেখানে থাকি সেখানে কয়েকটি অমুসলিম পরিবার রয়েছে। তাদের কেউ অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া যাবে কি? এক্ষেত্রে শরয়ী কোনো বাধা আছে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
অমুসলিম প্রতিবেশী বা আত্মীয়দের কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, খোঁজখবর নেওয়া শুধু জায়েযই নয়; বরং ইসলামের নির্দেশ ও প্রতিবেশীর হক হিসাবে গণ্য। নিষিদ্ধ হল অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়া, বা এমনভাবে মেলা-মেশা করা যে, নিজের দ্বীনের ক্ষতি হয়। তবে সেখানে গিয়ে নাজায়েয কোনো কিছুর সম্মুখীন হতে হলে যাবে না। এক্ষেত্রে দূর থেকেই খোঁজখবর নিবে। প্রয়োজনে সাহায্য-সহযোগিতাও করতে পারবে।
মুসনাদে আহমদ ৩/১৭৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৭১; হেদায়া (ফাতহুল কাদীর) ৮/৪৯৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৩৫; আলবাহরুর রায়েক ৮/২০৪; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৮ আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৮৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩০৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমার এক বন্ধু বলেছে যে, আমাকে একটি প্লট কিনে দে।...

প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু বলেছে যে, আমাকে একটি প্লট কিনে দে। আমি তাকে আমার এলাকার একটি প্লট দেখিয়েছি। তা সে পছন্দ করেছে এবং দর-দাম ঠিক করে বায়না করেছে। তখন আমি তাকে বলেছি যে, তোকে আমি জায়গা কিনে দিলাম তুই আমাকে চার রুমের বিদ্যুত সরবরাহের ক্ষমতা ধারণ করে এমন একটি আইপিএস কিনে দে। সে বলেছে যে, জায়গা বুঝে নেই তারপর কিনে দিব। তো সে আমাকে একটি আইপিএস দিয়েছে।
জানালে কৃতজ্ঞ হব যে, আমার জন্য কি তা নেওয়া ঠিক হয়েছে? আমি কি তা ব্যবহার করতে পারি?
উত্তর
হ্যাঁ, আপনার বন্ধু সন্তুষ্ট চিত্তে দিলে তা নেওয়া বৈধ হয়েছে। এক্ষেত্রে এটি আপনার কাজের পারিশ্রমিক গণ্য হবে। উল্লেখ্য, এ ধরনের কারবারে পারিশ্রমিক গ্রহণের ইচ্ছা থাকলে তা কাজের আগেই নির্ধারণ করে নেওয়া জরুরি। যেন পরবর্তীতে এ নিয়ে দ্বন্দ না হয়।
হ্যাঁ, আপনার বন্ধু সন্তুষ্ট চিত্তে দিলে তা নেওয়া বৈধ হয়েছে। এক্ষেত্রে এটি আপনার কাজের পারিশ্রমিক গণ্য হবে। উল্লেখ্য, এ ধরনের কারবারে পারিশ্রমিক গ্রহণের ইচ্ছা থাকলে তা কাজের আগেই নির্ধারণ করে নেওয়া জরুরি। যেন পরবর্তীতে এ নিয়ে দ্বন্দ না হয়।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩০৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

একবার অস্ত্র-যাদুঘরের সামনে সিগনালের সময় এক পানিওয়ালার কাছ থেকে এক...

প্রশ্ন
একবার অস্ত্র-যাদুঘরের সামনে সিগনালের সময় এক পানিওয়ালার কাছ থেকে এক বোতল পানি কিনেছিলাম। কিন্তু মূল্য পরিশোধের আগেই গাড়ি ছেড়ে দেয়। ফলে তাকে পানির মূল্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। সিগনাল পার হয়ে গাড়ি থামিয়ে তাকে খুঁজেছি কিন্তু তাকে পাইনি। এখনও তাকে খুঁজি তবে ক্ষণিকের দেখায় তার চেহারাও আমার মনে নেই, হয়তবা আমার চেহারাও তার মনে নেই। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু বিক্রেতার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাই আপনার করণীয় হল ঐ পানির মূল্য বিক্রেতার পক্ষ থেকে ছদকা করে দেওয়া।
আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৮৩; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১০/১৩৯; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১০/৬৬৬; মওসূআহ, ইবনে মাসউদ রা. পৃ. ৪৪১; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৫৩, ১৫৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/২৭১, ৩১৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৯৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

গ্রামে সাধারণত বাজার-হাট দূরে থাকে। তাই প্রয়োজনের সময় বাড়ির মহিলারা...

প্রশ্ন
গ্রামে সাধারণত বাজার-হাট দূরে থাকে। তাই প্রয়োজনের সময় বাড়ির মহিলারা একে অপরের কাছ থেকে আলু, পেয়াজ, বেগুন ইত্যাদি গণনার হিসাবে ধার নেয়। পরে নিজেদের বাজার এলে তা গণনা করে সমপরিমাণ পরিশোধ করে দেয়। এক্ষেত্রে সাধারণত ঐ বস'গুলো কিছু ছোট বড় হয়েই থাকে, তবে এর কারণে তাদের মাঝে কোনো ঝগড়া বা মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় না। এখন প্রশ্ন হল, এইভাবে করজ নেওয়া-দেওয়া জায়েয কি না?
উত্তর
কম-বেশির শর্ত না করে এমন লেনদেন করা জায়েয। তবে আগে শর্ত না করে সম্ভব হলে আদায় করার সময় কিছু বেশি দিয়ে দেওয়া ভালো।
আলমুগনী ইবনে কুদামা ৬/৪৩৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১১/৫৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৮৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২০২; কিতাবুল মাজমূ’ ১২/২৬৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৮৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

বাম হাতে পানি পান করার হুকুম কী? যদি ডান হাতে...

প্রশ্ন
বাম হাতে পানি পান করার হুকুম কী? যদি ডান হাতে ওজর থাকে তখন কিভাবে পান করবে?
উত্তর
বিনা ওজরে বাম হাতে পানি পান করা মাকরূহ। একাধিক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাম হাতে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন এবং ইরশাদ করেছেন যে, শয়তান বাম হাতে পানাহার করে। তবে ডান হাত ব্যবহারে অক্ষম হলে বাম হাতেও পানাহার করা যাবে।
সহীহ মুসলিম ২/১৭২; শরহে মুসলিম, ইমাম নববী ২/১৭২; ফাতহুল বারী ৯/৪৩৩; আততামহীদ, ইবনে আবদুল বার ১১/১১১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৮০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমাদের দেশে বিভিন্ন ধাতুর তৈরি নানা প্রকারের মূর্তি-ভাষ্কর্য ইত্যাদি পাওয়া...

প্রশ্ন
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধাতুর তৈরি নানা প্রকারের মূর্তি-ভাষ্কর্য ইত্যাদি পাওয়া যায়। যা বাসা-বাড়িতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাজিয়ে রাখা হয়। প্রশ্ন হল, এসব প্রতিকৃতি ভাষ্কর্য ক্রয় করা ও সাজিয়ে রাখা বৈধ হবে কি?
উত্তর
যে কোনো প্রাণীর মূর্তি, প্রতিকৃতি, ভাষ্কর্য ইত্যাদি তৈরি করা হারাম। এগুলো ক্রয়-বিক্রয় করা, প্রদর্শনী করা বা ঘরে দৃশ্যমান অবস্থায় সাজিয়ে রাখা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সুতরাং এসব থেকে বিরত থাকা জরুরি।
সূরা মায়েদা : ৯০; সহীহ বুখারী ২/৮৮০; ফাতহুল বারী ১০/৩৯৭; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৪/১৫৫; উমদাতুল কারী ২২/৭০; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩০৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২১৫, ৫/৩৫৯; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭; আলমাদখাল, ইবনুল হাজ্জ ১/২৭৩; আলমুগনী ইবনে কুদামা ১০/২০২; রদ্দুল মুহতার ১/৬৪৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমার এক বন্ধু আছে। সে মেঘমালা, গাছপালা, নদী-নালা ইত্যাদি প্রাকৃতিক...

প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু আছে। সে মেঘমালা, গাছপালা, নদী-নালা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দৃশ্য আর্ট করে। এমনিভাবে বিভিন্ন আল্পনা ও নকশা তৈরি করে। তবে সে প্রাণীর ছবি আঁকে না। জানার বিষয় এই যে, প্রাণীর ছবিমুক্ত এ ধরনের চিত্রাঙ্কন করা বা এগুলো ঘরে সাজিয়ে রাখার শরঈ বিধান কী?
উত্তর
প্রাণীর ছবি অঙ্কন করা নাজায়েয। কিন্তু গাছ-তরুলতা ও প্রাণীর ছবিমুক্ত প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলি আঁকা নাজায়েয নয়। এ ধরনের চিত্র ঘরে সাজিয়ে রাখাও বৈধ।
সহীহ মুসলিম ২/২০২; শরহে মুসলিম নববী ২/২০১; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৪/১৬৫; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১০/৪০০, হাদীস ১৯৪৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩০৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭-২৮; আল মুহীতুল বুরহানী ৮/৮৮; আলমুগনী ইবনে কুদামা ১০/১৯৯, ২০১; আদ্দুররুল মুখতার ১/৬৪৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমাদের এলাকার জনৈক ব্যক্তি তার ছেলের নাম ‘আবদুন নবী’ রেখেছে।...

প্রশ্ন
আমাদের এলাকার জনৈক ব্যক্তি তার ছেলের নাম ‘আবদুন নবী’ রেখেছে। জানতে চাই, এই নাম রাখা বৈধ কি না? ‘নবীর বান্দা’ অর্থের কারণে ঈমান নষ্ট হবে কি না?
উত্তর
‘আবদুন নবী’ নাম রাখা জায়েয নয়। হাদীস শরীফে এ ধরনের নাম রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। ‘আবদ’ অর্থ বান্দা গোলাম। মানুষ আল্লাহর বান্দা, রাসূলের নয়। আল্লাহ তাআলার নামের শুরুতেই কেবল ‘আবদ’ সংযোজন করে নাম রাখা যায়। আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান, আবদুল করীম ইত্যাদি।
আর আবদ শব্দ যেহেতু অনুগামী অর্থেও ব্যবহৃত হয় তাই এ ধরনের ব্যাখ্যার অবকাশ থাকার কারণে উক্ত নাম রাখা দ্বারা ঈমান নষ্ট হবে না।
মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১৩/২৪৩; তুহফাতুল মওদুদ পৃ. ১০০; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৬২; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৬৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

...

প্রশ্ন
...
উত্তর
শেয়ার সংক্রান্ত আপনার প্রশ্নটি স্পষ্ট নয়। আপনি ফোনে অথবা সরাসরি সাক্ষাতে মাসআলা জেনে নিতে পারেন।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৫৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

আমাদের বাড়িতে একটি পিতলের গ্লাস আছে। আমরা তাতে পানি পান...

প্রশ্ন
আমাদের বাড়িতে একটি পিতলের গ্লাস আছে। আমরা তাতে পানি পান করি। কিছু দিন আগে একটি বইয়ে পেলাম যে, পিতলের পাত্রে পানি পান করা নিষেধ। এরপর থেকে আমি ঐ গ্লাসে পানি পান করি না। এ ব্যাপারে সঠিক মাসআলা জানতে চাই।
উত্তর
পিতলের পাত্রে পানাহার করা জায়েয আছে। তাই পিতলের ঐ গ্লাসটি ব্যবহার করতে পারবেন।
সহীহ বুখারী ১/৩২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/২০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৪৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

৫/৬ বছর ধরে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা হল, জরায়ু...

প্রশ্ন
৫/৬ বছর ধরে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা হল, জরায়ু বের হয়ে যায়। সন্তান গর্ভে থাকাকালীন সমস্যাটা বাড়তে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে সমস্যাটা আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ...
উত্তর
আপনার প্রশ্নের উত্তর সরাসরি ফতোয়া বিভাগে যোগাযোগ করে কিংবা ফোনে জেনে নিতে পারেন।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৪৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

কাবা গৃহ পুনঃনির্মাণের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বয়স...

প্রশ্ন
কাবা গৃহ পুনঃনির্মাণের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বয়স কত ছিল? হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের বিষয়ে সৃষ্ট বিবাদ কীভাবে নিরসন হল? এর পিছনে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর
কাবা গৃহ পুনঃনির্মাণের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বয়স ছিল ৩৫ বছর। হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের বিষয়ে সৃষ্ট বিবাদ নিরসন কল্পে একটি সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয় যে, আগামীকাল যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম কাবাঘরের দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সেই এ ব্যাপারে ফয়সালা পেশ করবে। তার ফয়সালাকে সকলে খোদায়ী ফয়সালা হিসেবে মেনে নিবে। আল্লাহ তাআলার কুদরতে পরের দিন সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবেশ করলেন। তাকে দেখে সকলে সমবেত কণ্ঠে বলে উঠল এই যে আমাদের প্রিয় ‘আল আমীন’! আমরা সকলে তার প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি একটি চাদর বিছিয়ে স্বহস্তে পাথরটি চাদরের উপর রেখে দিলেন। এরপর প্রত্যেক গোত্রের প্রতিনিধিকে বললেন, তারা যেন প্রত্যেকে চাদরের এক প্রান্ত ধরে পাথরটি দেয়ালের কাছে নিয়ে যায়। তারা যখন নিয়ে গেল তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বহস্তে পাথরটি উঠিয়ে যথাস্থানে স্থাপন করলেন।
আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ২/২৬৩; আলকামিল ফিততারীখ ২/৪২, ৪৫; তারীখুল ইসলাম যাহাবী ১/৫৩-৫৪; আলমুনতাযাম ফী তারীখিল মুলূকি ওয়ালউমাম ইবনে জাওযী ২/৩২১, ৩২৪; সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ২/১৭২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৪১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

জনৈক ব্যক্তি হালাল-হারাম উভয় ধরনের সম্পদ দ্বারা একটি ঘর তৈরি...

প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি হালাল-হারাম উভয় ধরনের সম্পদ দ্বারা একটি ঘর তৈরি করেছে এবং এতে হারাম মালের পরিমাণ কম। জানতে চাই, সে ঘর ব্যবহার করা শরীয়তসম্মত কি না? শরীয়তসম্মত না হলে জায়েয হওয়ার কোনো পন্থা আছে কি?
উত্তর
হারাম মাল অল্প হোক বা বেশি তা ভোগ করা যাবে না। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঘরটি তৈরিতে যেহেতু কম হলেও হারাম মালের মিশ্রণ রয়েছে; তাই পূর্ণ হালাল উপায়ে উপকৃত হতে চাইলে যে পরিমাণ হারাম মাল ব্যয় করা হয়েছে তার মালিক জানা থাকলে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর মালিক জানা না থাকলে তার পক্ষ হতে ঐ পরিমাণ অর্থ সদকা করে দিতে হবে। এ পন্থা অবলম্বন করলে ঐ ঘর থেকে উপকৃত হওয়া বৈধ হবে।
মাবসূত সারাখসী ১০/১৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪২; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৯২; হাশিয়া তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১৯২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৩৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

দাড়ি এক মুষ্ঠি রাখা ওয়াজিব। তা কি চার আঙ্গুল পরিমাণ...

প্রশ্ন
দাড়ি এক মুষ্ঠি রাখা ওয়াজিব। তা কি চার আঙ্গুল পরিমাণ রাখলেই যথেষ্ট কি না? কেউ বলেন, পাঁচ আঙ্গুলে এক মুষ্ঠি। তাই পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা হতে হবে। এখন এর শরয়ী সমাধান কী? উত্তর দিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
উত্তর
মুষ্ঠি আর চার আঙ্গুল এক কথা নয়। হাতের মুষ্ঠি চার আঙ্গুলের চেয়ে লম্বা। হাদীসে মুষ্ঠি দাড়ির অতিরিক্ত কাটার কথা আছে। তাই থুতনির নিচ থেকে দাড়ি মুঠ করে ধরে মুষ্ঠির নিচের দাড়ি কাটতে পারবে।
সহীহ বুখারী হাদীস : ৫৮৯২; ফাতহুল বারী ১০/৩৬২; উমদাতুল কারী ২২/৪৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১৩/১১২; শরহু মুসলিম নববী ১/১২৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪০৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৫৮; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮০, ৮/২০৪; ফাতহুল মুলহিম ১/৪২১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার

ফতোয়া নং: ৫২১৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ

কাফেরদের সন্তান যদি নাবালেগ অবস্থায় মারা যায় তাহলে তারা জান্নাতে...

প্রশ্ন
কাফেরদের সন্তান যদি নাবালেগ অবস্থায় মারা যায় তাহলে তারা জান্নাতে যাবে না জাহান্নামে? এ বিষয়ে আমাদের মাঝে বিতর্ক রয়েছে। দয়া করে বরাতসহ জানাবেন।
উত্তর
কাফের-মুশরিকদের নাবালেগ সন্তান মারা গেলে তাদরে সাথে কি আচরণ করা হবে-এ বিষয়ে উলামায়ে কেরামের বিভিন্ন মত রয়েছে। জান্নাতে যাবে-এ মতটি অধিক শক্তিশালী। তবে এর সঠিক ফয়সালা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। এটি এমন কোনো বিষয় নয়, যা জানার উপর শরীয়তের কোনো আমল নির্ভরশীল। তদ্রূপ এটা এমন কোনো আকীদাগত বিষয় নয়, যা জানা জরুরি; বরং এ জাতীয় বিষয় নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া ঠিক নয়। এটা অনর্থক কাজে লিপ্ত হওয়ার অন-র্ভুক্ত।
উমদাতুল কারী ৮/২১২-২১৩, তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৫/৫০২; লামিউদ দারারী ২/১৩৭; রদ্দুল মুহতার ২/১৯২; ফাতাওয়া উসমানী ১/৫২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার

Post a Comment

0 Comments