কুরআনের সাথে লেগে থাকুন | রমাদানে কুরআন থেকে বিমুখ হবেন না। |
আসছে রমাদান,অনেক দীনি ভাই/বোন চান কুরআন খতম করার জন্য। কিন্তু কুরআন তিলওয়াত শুদ্ধ না হওয়ার কারনে অনেকেই তিলওয়াত করতে চান না।ফলে কুরআন থেকে বিমুখ হয়ে পড়েন।
যারা শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন না তাদের জন্য করনীয় কয়েকটি বিষয়ঃ
১.রমাদানে কুরআন শিখে ফেলুন,সর্বোচ্চ চেষ্টা চালান।ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে সেগুলো দেখে কুরআন শিখতে পারেন।বিশেষ করে "২৭ ঘন্টায় কুরআন শিক্ষা" এপ্স এবং ভিডিও দেখে শিখে নিতে পারেন ইন শা আল্লাহ।
২.তিলওয়াত শুনা।এটা খুবই গুরত্বপূর্ণ। যারা তিলওয়াত করতে পারবেন না তারা
নিয়মিত কমপক্ষে এক পারা তিলওয়াত শুনবেন।নিজ পছন্দ মত ক্বারী বাছাই করে
নিবেন ইন শা আল্লাহ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,
"যখন কুরআন পাঠ করা হবে,তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শ্রবণ করবে এবং চুপ করে থাকবে,তাহলে হয়ত তোমরা রহমত প্রাপ্ত হবে।"
[সূরা আল আ'রাফঃ২০৪ ]
সুবহানাল্লাহ! তিলওয়াত শুনলে কেবল নেকি পাওয়া যাবেনা বরং আল্লাহর রহমতও পাওয়া যাবে।এর চেয়ে বড় প্রতিদান আর কি হতে পারে!
রাসূল সা. বলেন,
" যে ব্যক্তি কুরআনের একটি আয়াত মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করবে,তার জন্য বহুগুন বর্ধিত সওয়াব লিখা হবে।"
[ মুসনাদে আহমাদ ২/৩৪১ ]
ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
"যদি কেউ আল্লাহর কিতাবের একট আয়াতও শ্রবণ করে,তাহলে তা কিয়াময়ের দিন নূর হবে।"
[ দারিমীঃ২/৫৩৬ ]
কিয়ামতের দিন হবে এক বিভীষিকাময় দিন,সেদিন চারদিক থাকবে অন্ধকার,এ অন্ধকারকে আলোকিত করবে কেবল আপনার এই তিলওয়াত শ্রবণ।
অনেক তাবেয়ীগন মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা তিলওয়াতের চেয়েও বেশি সওয়াবের মনে করতেন।
তাবিয়ী খালিদ ইবনু মা'দান বলেন,
"যে ব্যক্তি কুরআন তিলওয়াত করেন,তার জন্য রয়েছে একটি পুরষ্কার। আর যিনি তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করেন,তার জন্য দুটি পুরষ্কার।"
[ দারিমীঃ২/৫৩৬ ]
মূলত এখানে শ্রবণের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে।হতাশ হবেন না, বরং তিলওয়াত শুনুন মনোযোগ দিয়ে।যদি কেউ নিয়মিত এক পারা তিলওয়াত শুনতে না পারেন তবে আপনার পছন্দ মত ধারাবাহিক শুনতে থাকুন। আল্লাহ যেহেতু আপনাকে তার নিয়ামত বাড়িয়ে দিয়েছে, তাই আপনিও ইবাদতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। বেশি বেশি তিলওয়াত শুনুন।
৩.যারা ছোট সূরাগুলো পারেন সেগুলোই বেশি বেশি পড়তে থাকেন।যেমনঃ সূরা ইখলাস বার বার পড়তে পারেন। ৩ বার তিলওয়াত করলে এক খতম দেয়ার সমান সওয়াব পাবেন। ১০ বার পড়লে জান্নাতে আপনার জন্য একটা ঘর বানানো হবে।জান্নাতে ঘর বানানোর অর্থই হলো আপনার আবাস্থল জান্নাত।
৪.এগুলোর পাশাপাশি আরেকটা কাজ করতে পারেন, সুন্দর করে অযু করে এসে কুরআনের উপর হাত বুলান, হরফগুলো দেখতে থাকেন। এতেও রয়েছে সওয়াব।
মোদ্দাকথা রমাদানে কুরআন থেকে বিমুখ হবেন না। কোনো না কোনোভাবে লেগে থাকার চেষ্টা করুন।আগুনের নিকটবর্তী যত বেশি হবেন তত বেশি তাপ অনুভব করতে থাকবেন। তেমনি কুরআনের যত বেশি নিকটবর্তী হবেন তত বেশি হিদায়াতের বানী দ্বারা প্রভাবিত হবেন।
সবশেষে আবারও অনুরোধ, নিরাশ হবেন না, হতাশ হবেন না। তিলওয়াত করা,শুনা ছেড়ে দিবেন না, কুরআনের সাথে লেগে থাকুন,কুরআনী যিন্দেগী গড়ে তুলুন।
কার্টেসি :সহি আমল
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,
"যখন কুরআন পাঠ করা হবে,তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শ্রবণ করবে এবং চুপ করে থাকবে,তাহলে হয়ত তোমরা রহমত প্রাপ্ত হবে।"
[সূরা আল আ'রাফঃ২০৪ ]
সুবহানাল্লাহ! তিলওয়াত শুনলে কেবল নেকি পাওয়া যাবেনা বরং আল্লাহর রহমতও পাওয়া যাবে।এর চেয়ে বড় প্রতিদান আর কি হতে পারে!
রাসূল সা. বলেন,
" যে ব্যক্তি কুরআনের একটি আয়াত মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করবে,তার জন্য বহুগুন বর্ধিত সওয়াব লিখা হবে।"
[ মুসনাদে আহমাদ ২/৩৪১ ]
ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
"যদি কেউ আল্লাহর কিতাবের একট আয়াতও শ্রবণ করে,তাহলে তা কিয়াময়ের দিন নূর হবে।"
[ দারিমীঃ২/৫৩৬ ]
কিয়ামতের দিন হবে এক বিভীষিকাময় দিন,সেদিন চারদিক থাকবে অন্ধকার,এ অন্ধকারকে আলোকিত করবে কেবল আপনার এই তিলওয়াত শ্রবণ।
অনেক তাবেয়ীগন মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা তিলওয়াতের চেয়েও বেশি সওয়াবের মনে করতেন।
তাবিয়ী খালিদ ইবনু মা'দান বলেন,
"যে ব্যক্তি কুরআন তিলওয়াত করেন,তার জন্য রয়েছে একটি পুরষ্কার। আর যিনি তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করেন,তার জন্য দুটি পুরষ্কার।"
[ দারিমীঃ২/৫৩৬ ]
মূলত এখানে শ্রবণের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে।হতাশ হবেন না, বরং তিলওয়াত শুনুন মনোযোগ দিয়ে।যদি কেউ নিয়মিত এক পারা তিলওয়াত শুনতে না পারেন তবে আপনার পছন্দ মত ধারাবাহিক শুনতে থাকুন। আল্লাহ যেহেতু আপনাকে তার নিয়ামত বাড়িয়ে দিয়েছে, তাই আপনিও ইবাদতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। বেশি বেশি তিলওয়াত শুনুন।
৩.যারা ছোট সূরাগুলো পারেন সেগুলোই বেশি বেশি পড়তে থাকেন।যেমনঃ সূরা ইখলাস বার বার পড়তে পারেন। ৩ বার তিলওয়াত করলে এক খতম দেয়ার সমান সওয়াব পাবেন। ১০ বার পড়লে জান্নাতে আপনার জন্য একটা ঘর বানানো হবে।জান্নাতে ঘর বানানোর অর্থই হলো আপনার আবাস্থল জান্নাত।
৪.এগুলোর পাশাপাশি আরেকটা কাজ করতে পারেন, সুন্দর করে অযু করে এসে কুরআনের উপর হাত বুলান, হরফগুলো দেখতে থাকেন। এতেও রয়েছে সওয়াব।
মোদ্দাকথা রমাদানে কুরআন থেকে বিমুখ হবেন না। কোনো না কোনোভাবে লেগে থাকার চেষ্টা করুন।আগুনের নিকটবর্তী যত বেশি হবেন তত বেশি তাপ অনুভব করতে থাকবেন। তেমনি কুরআনের যত বেশি নিকটবর্তী হবেন তত বেশি হিদায়াতের বানী দ্বারা প্রভাবিত হবেন।
সবশেষে আবারও অনুরোধ, নিরাশ হবেন না, হতাশ হবেন না। তিলওয়াত করা,শুনা ছেড়ে দিবেন না, কুরআনের সাথে লেগে থাকুন,কুরআনী যিন্দেগী গড়ে তুলুন।
কার্টেসি :সহি আমল
◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈
প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।
>>নিম্নের লিংক ক্লিক করে ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন<<
১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।
২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন।
৩/ যত বেশি সম্ভব أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) পড়ুন। দিনে কমপক্ষে ১০০ বার পড়ুন।
৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।
৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।
৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv
#ibtv99
#ibtv99
0 Comments