রোযা অবস্থায় কোমোথেরাপী ও ইঞ্জেকশন গ্রহনের বিধান | ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে কেমোথেরাপি দিলে কি রোজা ভেঙে যাবে? |
প্রশ্ন:
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে কেমোথেরাপি দিলে কি রোজা ভেঙে যাবে? এ ধরণের রোগীদের রোজা রাখার বিধান কি?
উত্তর:
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে যদি কেমোথেরাপি তথা ক্যান্সারের ঔষধ
রোগীর শিরার মাধ্যমে সরাসরি রক্তে দেওয়া হয় তাহলে তাতে ভঙ্গ হয়ে যাবে।
কেননা, এতে ওষুধ শিরা-উপশিরার মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং রক্তের
সাথে মিশে যায়।
.
এ ধরণের রোগীর যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে প্রতিটি রোযার বিনিময়ে একজন গরীব-অসহায় মানুষকে একবেলার খাবার দিলেই ফিদিয়া আদায় হয়ে যাবে। আর যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ফিদিয়া দেয়া যাবে না বরং সুস্থ হলে রোযা কাজ করতে হবে।
.
উল্লেখ্য যে, অনুরূপভাবে যে স্যালাইন বা ইনজেকশন পুষ্টির বিকল্প হিসেবে দেয়া হয় তাতেও রোযা ভঙ্গ হবে। অর্থাৎ রোগী যদি মুখ দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে না পারে তখন বিকল্প পন্থা হিসেবে শরীরে স্যালাইন বা ইনজেকশন দেয়া হয়। তাহলে এ প্রক্রিয়াটি ‘খাদ্য গ্রহণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং তাতে রোযা ভঙ্গ হবে।
.
অন্যান্য অসুখ-বিসুখে যদি মাংস পেশীতে ইনজেকশন দেয়া হয় তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না ইন শা আল্লাহ। (শাইখ সালেহ ফাউযান এর ফতোয়া-সংক্ষিপ্ত) আল্লাহু আলাম।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
লেখাঃ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
.
এ ধরণের রোগীর যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে প্রতিটি রোযার বিনিময়ে একজন গরীব-অসহায় মানুষকে একবেলার খাবার দিলেই ফিদিয়া আদায় হয়ে যাবে। আর যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ফিদিয়া দেয়া যাবে না বরং সুস্থ হলে রোযা কাজ করতে হবে।
.
উল্লেখ্য যে, অনুরূপভাবে যে স্যালাইন বা ইনজেকশন পুষ্টির বিকল্প হিসেবে দেয়া হয় তাতেও রোযা ভঙ্গ হবে। অর্থাৎ রোগী যদি মুখ দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে না পারে তখন বিকল্প পন্থা হিসেবে শরীরে স্যালাইন বা ইনজেকশন দেয়া হয়। তাহলে এ প্রক্রিয়াটি ‘খাদ্য গ্রহণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং তাতে রোযা ভঙ্গ হবে।
.
অন্যান্য অসুখ-বিসুখে যদি মাংস পেশীতে ইনজেকশন দেয়া হয় তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না ইন শা আল্লাহ। (শাইখ সালেহ ফাউযান এর ফতোয়া-সংক্ষিপ্ত) আল্লাহু আলাম।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
লেখাঃ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
আরো পড়ুনঃ
◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈
প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।
১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।
২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন।
৩/ যত বেশি সম্ভব أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পড়ুন।
৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।
৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।
৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
0 Comments