রোজ ডে, প্রপোজ ডে, চকলেট ডে, ভ্যালেন্টাইন ডে...

ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে প্রতিটি তারিখই কোন না কোন দিবসে আটকে আছে।  

আল্লাহর অবাধ্যতায় কাটে এই দিবসগুলি। পার্থিব ভোগ-বিলাস আর কুপ্রবৃত্তির চাহিদা পূরণে মত্ত থাকে তরুণ-তরুণী। 

দুনিয়াতে এই সাময়িক-সামান্য স্বাদ লাভের পর তাদের অনুভূতিটা হয়ত অনেক সুখকর হয়।কিন্তু এসব "ডে" এর ক্ষণিকের আনন্দটুকু যে তাদেরকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এক ভয়ংকর “ডে” এর মর্মান্তিক ফায়সালার দিকে- সেই অনুভূতি কি তাদের জাগ্রত হয়? 

এতো এতো “ডে” এর মধ্য দিয়ে আমরা কি “জাজমেন্ট ডে” তথা বিচার দিবসকে ভুলে যাচ্ছি! 

দুনিয়ার এসব দিবসে যেই শয়তানের প্ররোচনায় লিপ্ত হচ্ছি মহান রবের অবাধ্যতায়, সেই শয়তান কি “বিচার দিবস” এ আমাদের সাথী হবে? অনিশ্চিত পরিণামের সেই দিনটিতে সে কি আমাদের জন্য সুপরিণাম নিয়ে আসবে? নাকি অভিযোগের সব তীরগুলো আমাদের দিকেই ছুড়বে? 

হ্যাঁ, সেদিন এই ইবলিস তার সমস্ত কর্তৃত্ব অস্বীকার করবে। 
পাপের বোঝাগুলো আমাদেরই বহন করতে হবে। 
কারো উপর এর দায় চাপানো চলবে না।  
ইয়া নাফসী ইয়া নাফসী! 
কি ভয়ংকর অবস্থা! 

আজকের কাছে আসার গল্পকার আর ভালবাসার নাটকীয় অভিনেতা/নেত্রীরা আপনাকে চিনবে না। 

আজকে যেই গল্পদৃশ্য তৈরির জন্য পুরো মার্কেট আর কর্পোরেট জগত আপনাকে উদ্ধুদ্ধ করছে, সেদিন সেই গল্পের দায় তারা নিবে না। 

আপনিও জাহেল সেলিব্রেটিগুলোকে চিনতে পাবেন না। 
সবাই নিজের অনিশ্চিত পরিণাম নিয়ে চিন্তিত। 
জাহান্নাম নাকি জান্নাত। সাপ-বিচ্ছু নাকি হুর-গিলমান। 
উত্তপ্ত আগুন নাকি জান্নাতি ফাগুন।

আর শয়তান! ইবলিসটা সেদিন বলবে, “আল্লাহ তোমাদের সত্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর আমিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তোমাদের। (কিন্তু সেটা মিথ্যা) এখন সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছি। দুনিয়াতে তোমাদের উপর আমার কোন কর্তৃত্ব ছিল না। আমি কেবল তোমাদের সামান্য প্ররোচনা দিয়েছিলাম। তোমরা সেই প্ররোচনায় সাড়া দিয়েছিলে। সুতরাং আজ আমাকে দোষারোপ করে লাভ নেই। বরং নিজেদেরকেই দোষী ভাবো। আর আমি তোমাদের যে কোন পরিস্থিতি থেকেই রক্ষা করতে পারব না, তোমরাও আমাকে রক্ষার ক্ষমতা রাখো না। তোমরা ইতিপূর্বে আমাকে যেই শরীক বানিয়েছিলে (তাঁর সাথে), আমি তা অস্বীকার করছি। 

নিশ্চয় জালেমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাকর শাস্তি।” (সূরা ইবরাহীম ২২) 
.
লেখাঃ ইফতেখার সিফাত

কার্টিসি : পরকালের যত চিন্তা 


◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈

 প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।

১/ নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন।

২/ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন। না পারলে কয়েকটি সূরা হলেও পড়ুন।

৩/ যত বেশি সম্ভব  أَسْتَغْفِرُالله ( আস্তাগফিরুল্লা-হ) (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পড়ুন।

৪/ লা ইলাহা ইল্লালল্লাহ - জিকিরটি বেশি বেশি করুন।

৫/ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ (প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার) পাঠ করুন।

৬/ প্রতিদিন কিছু না কিছু দান-সদকাহ করার চেষ্টা করুন। সদকায়ে জারিয়া চালু করুন।

 

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]


ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্‌ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv
#ibtv99

Post a Comment

0 Comments