দুয়ারে বরকতময় রামাদান


মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন,
يَا أَيّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সাওম ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। (সূরা আল-বাকারাহ ২:১৮৩)
আবু হুরায়রা (رضي الله عنه‎‎) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (ﷺ) শপথ করে বলেন,
মুসলিমদের জন্য রমাদানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রামাদানের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা, মুমিনগণ এ মাসে ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করে। এটা মুমিনের জন্য গনীমত এবং পাপীর জন্য শাস্তি। (রাবী বলেন) অথবা বলেছেন, এটা মুমিনের জন্য গনীমত যা সে পাপীর কাছ থেকে পায়। (মুসনাদে আহমদ ৮৩৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, অধ্যায়ঃ সিয়াম, আহমদ শাকির তার তা’লীক-এ বলেন সনদ সহিহ)
প্রিয় মুসলিম উম্মাহ!
রামাদান মাস আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ নিয়ামত। এ মাসে মানবজাতির হিদায়াত ও জীবনবিধান হিসেবে যেমন নাযিল হয়েছে আল-কুরআন, তেমনি আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ হিসেবে এসেছে সিয়াম পালনের হুকুম। যখন রামাদানের আগমন হত তখন রাসূলে কারীম (ﷺ) অতিশয় আনন্দিত হতেন, তাঁর সাহাবাদের বলতেন,
“তোমাদের দরজায় বরকতময় মাস রমাদান এসেছে।”
এরপর তিনি এ মাসের কিছু ফযিলত বর্ণনা করে বলতেন “আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তোমাদের জন্য সিয়াম পালন ফরয করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। অভিশপ্ত শয়তানকে বন্দি করা হয়। এ মাসে রয়েছে একটি রাত (লাইলাতুল-ক্বদর) যা হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে মূলত সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো।” (সুনানে নাসাঈ ২১০৫)
সাহাবা (رضي الله عنهم) এবং সালাফগণ (رحمهم الله) এক রমাদানের পর অন্য রামাদানের জন্য অপেক্ষা করতেন, প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিতেন এবং এ মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে গুনাহ মাফ ও আল্লাহর অনুগ্রহ ও সাওয়াব অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ মনে করতেন। তা’লীমের সময় ব্যতীত তাঁরা নিজেদেরকে নির্জনে রেখে ইবাদতে মাশগুল থাকতে পছন্দ করতেন, আর বলতেন- রমাদান হল সাওম পালন, সালাত আদায়, সাদাকা দেয়া এবং কুরআন তিলাওয়াত করা।
এ মাসেই মুমিনগণ ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় অর্জন করে থাকে। এ মাসকে যুদ্ধের (জি-হা-দ) মাসও বলা হয় কারণ এ মাসে মুসলিমদের অনেক যুদ্ধ এবং কুরবানী সংগঠিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কা বিজয়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন, তখন তিনি এবং সমস্ত মুসলিম সিয়াম অবস্থায় ছিলেন, আর এ রামাদানেই বদরের যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এ সকল যুদ্ধে ইসলামের পতাকা সমুন্নত হয়েছিল; মূর্তি ও পৌত্তলিকতার, শিরক ও কুফরের পতাকা অবনমিত হয়েছিল।
রামাদানের সাওম পালনের মাধ্যমে মুসলিমরা তাকওয়া অর্জন করে যা পাপাচার, কুপ্রবৃত্তি ও মানুষের খেয়াল-খুশির অনুসরণে বাঁধা দিয়ে থাকে। এটা হল এমন বিষয় যা মানুষকে মানুষের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে বের করে আনে এবং আল্লাহর বিধানের সামনে মস্তক অবনত করতে সাহায্য করে।
তাই ফযিলতপূর্ণ এ মাসে আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া থেকে কখনো নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। এ জন্য পূর্ব থেকেই কিছু পরিকল্পনা-প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এর অংশ হিসেবে দু’টি কাজ গুরুত্বের সাথে করুন—
‌১. রামাদানের প্রারম্ভেই যথাসম্ভব পার্থিব কাজ কমিয়ে ফেলুন যাতে কাজের ব্যস্ততায় রামাদানের ফযিলতপূর্ণ সময় অবহেলায় কেটে না যায়। মহিলারাও যেন রামাদানের বরকত থেকে বঞ্চিত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। তাদেরকে আত্মশুদ্ধি এবং তাকওয়া অর্জনের নাসীহা প্রদান করুন। সাংসারিক কাজের ব্যস্ততা যেন রামাদানের অপরিহার্য কাজ এবং ইবাদাত থেকে মহিলাদের দূরে সরিয়ে না রাখে সে দিকে খেয়াল রাখুন। তাদের কাজগুলো হালকা করে দিন, অবসর সময়ে ঘরে অবস্থানকালে তাদের কাজে সাহায্য করুন। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এরূপই করতেন। (দ্রষ্টব্য শামায়েলে তিরমিজি)
‌২. রামাদান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে রামাদানের সিয়াম ও অন্যান্য ইবাদতের মাসয়ালা-মাসায়েল আলোচনা করুন এতে আপনি রামাদানের ইবাদতসমূহ সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি পাবে। রামাদান সম্পর্কে আপনি যত বেশি জানবেন ততো বেশি ইবাদাত করে আপনার প্রতিদানকে বহুগুণে বাড়িয়ে নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
রামাদানের দিনগুলোতে যেসব আমল বেশী বেশী করবেনঃ
‌১) রামাদানের সিয়াম যত্ন সহকারে পালন করুন। সাওম ভঙ্গ করে বা সাওমকে হালকা করে দেয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন। এসব কাজের আশপাশে না যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।
‌২) প্রতি ওয়াক্তের ফরয সালাত সময় মত আদায় করুন, সুন্নাত এবং নফল ইবাদাত আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব বাড়িয়ে দিন। এ মাসের ইবাদাতের সাওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। সন্তানদেরকেও ইবাদাতে অভ্যস্ত করে তুলুন। মহিলা সাহাবীগণ (رضي الله عنهم) তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের সাওম পালনে অভ্যস্ত করাতেন। বাচ্চারা কান্না করলে তাদের হাতে খেলনা দিতেন এতে তাদের কান্না থেমে যেত। আর এভাবেই বাচ্চারাও সাওম পালন করতো। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১৯৬০)
‌৩) তারতীলের সাথে বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত করুন। যথাসাধ্য কুরআন অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করবেন। এতে সালাতে খুশু-খুযু ও শ্রেষ্ঠ পাথেয় তাকওয়া বৃদ্ধি পাবে এবং কুরআন কেন নাযিল করা হয়েছে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কি কি বিধি-বিধান রয়েছে সেটা বুঝতে পারবেন। কুরআনের এ দরসে আপনার অধীনস্ত পরিবারবর্গকেও শামিল রাখুন। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ মাসে অধিক পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। (সহিহ মুসলিম)
‌৪) এ মাসে দান-সাদাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
‌যথাসাধ্য আল্লাহর রাস্তায় এবং দ্বীনের কল্যাণের জন্য সবচেয়ে উত্তম খাতগুলোতে দান করার চেষ্টা করুন, এক্ষেত্রে চিন্তা করুন উম্মাহর এ কঠিন মুহূর্তে কোন খাতগুলো সবচেয়ে বেশি হকদার ও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কোন ভাইয়ের বা বোনের ঋণের বোঝা থাকলে তা হালকা করে দিন, সামর্থ্য থাকলে তা মাফ করে দিন অথবা ঋণ পরিশোধে সাহায্য করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ মাসে প্রবাহিত বায়ুর চেয়ে অধিক পরিমাণে দান করতেন। (সহিহ বুখারি ১৯০২)
‌যাকাতের অর্থ থাকলে রামাদানেই প্রদান করুন, এতে যাকাতের হক্ব আদায়ের সাথে সাথে সাওয়াবও বেশী হবে ইনশাআল্লাহ। রামাদানের শেষে (ঈদের সলাতের পূর্বে) ফিতরা আদায় করুন।
‌৫) রামাদানের রাত উঠে নিজেকে কিয়ামুল লাইলে অভ্যস্ত করুন। রামাদানের সালাত, সিয়ামের সূচনা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হওয়ার উপযুক্ত সময় হলো শেষ রাত। তাই শেষ রাতে জেগে উঠুন, আপনার পরিবারের সদস্যদেরকেও জাগিয়ে দিন। আল্লাহর ইবাদতে যথাসাধ্য সময় ব্যয় করুন। ভোর রাতে সাহরি খান, এতে বরকত রয়েছে। ইফতার করুন খেজুর এবং পানির দ্বারা এবং সাওমকারীদের ইফতার করান; বিশেষ করে অসহায়-গরীব মুসলিম ও মাজলুমদের মধ্যে খেজুর ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করুন।
‌৬) গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষের খোঁজ-খবর নিন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি ও দয়া প্রদর্শন করুন। বিশেষ করে নিজের গরীব আত্মীয়-স্বজনদের এবং দ্বীনের কারণে যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাদের খোঁজ-খবর রাখুন। তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন এবং সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। সিয়াম আমাদেরকে এরকমই শিক্ষা দেয়। কথা, কাজ, সম্পদ, সময় ইত্যাদি যার সামর্থ্য আছে তা দিয়েই আপনি সাহায্য-সহযোগিতা করুন, এতে লজ্জা বা সংকোচবোধ করবেন না কারণ, এতে রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে অসংখ্য প্রতিদান লাভের সুযোগ।
‌৭) সাওম পালন অবস্থায় দু’আ কবুল হয় বিশেষ করে ইফতারের আগ মুহূর্তে। তাই এ সময় বেশী বেশী করে দোয়া করুন; নিজের জন্যে, সকল মুসলিমদের জন্যে বিশেষভাবে সারা দুনিয়ার মাজলুম ও দ্বীনের সাহায্যকারীদের জন্যে বেশী করে দোয়া করুন। আল্লাহর কাছে একান্তে কান্নাকাটি করে বিনয়ের সাথে দোয়া করুন। নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যার যিকির-আযকারে মাশগুল থাকুন। আত্মসমালোচনা (মুহাসাবা- নিজের ভুল-ত্রুটিকে সংশোধনের জন্য, নিজের মৃত্যু ও আখিরাত, আমলের সংশোধন ও উন্নতিকরণে চিন্তা করা) করুন নিজের সকল গুনাহ, ভুল-ত্রুটির জন্য ও আল্লাহর কাছে খাঁটি মনে তাওবাহ করুন এবং কুফর-শিরক-বিদআত থেকে মুক্ত থাকার জন্য আল্লাহর কাছে হিদায়াত প্রার্থনা করুন।
‌৮) রামাদানের শেষ দশকে আল্লাহর ইবাদতে অধিক মনোযোগী হোন, সম্ভব হলে মসজিদে ইতিকাফ করুন। লাইলাতুল-ক্বদরের খোঁজে রাত জেগে ইবাদাত করুন। লাইলাতুল-ক্বদরের রাত এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম (সূরা আল-ক্বদর)।
‌“যে ব্যক্তি এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে মূলত সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল।” (সুনানে নাসাঈ ২১০৫)
‌৯) রমাদান মাসে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী আল কুরআন অবর্তীণ হয়েছে এবং এ মাসেই মুসলিমরা অনেক যুদ্ধ করেছেন, প্রাপ্ত হয়েছেন আল্লাহর অশেষ রহমত, নুসরত (সাহায্য) ও অনুগ্রহ। সুতরাং পিছিয়ে না থেকে আল্লাহর রহমত, নুসরত ও অনুগ্রহের সন্ধানে এগিয়ে আসুন, এ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ও আমলসমূহ নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করুন। এ মহান মানজিলে মাকসাদ হাসিলে নিজেকে আত্মনিয়োগ করুন। এই আহ্বানই প্রতিটি মুমিনদের প্রতি।
পরিশেষে, মনকে প্রশস্ত করুন, জিহবাকে সংযত রাখুন, অনর্থক কথা পরিহার করুন, অন্যায় এবং ঝগড়া থেকে দুরে থাকুন। অশ্লীল ও নির্লজ্জ কাজের নিকটবর্তী হবেন না। যদি বিচ্যুতির পথ দেখেন তবে নিজেকে সামলে নিন। আপনার মুসলিম ভাইয়ের থেকে যদি কষ্ট পান তাহলে ধৈর্যধারণ করুন। কখনো গীবত, চুগলখোরী ও মিথ্যাচার করবেন না। মুসলিমদের সাথে বিনয়ী আচরণ করুন, তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। এ কঠিন মুহূর্তে মুসলিমদের ঐক্য তথা আল-ওয়ালার খুবই প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট কোন ভুল কিংবা কোন কাজে যেন এ মহান ইবাদত নষ্ট হয়ে না যায় তার দিকে খেয়াল রাখুন। ইখতিলাফ কিংবা মতপার্থক্য থেকে নিজেকে হেফাজত করুন। শারিয়াহর সীমানার মধ্যে প্রত্যেকের‌ই ভিন্ন ভিন্ন মত, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে যা হলো ফুরুয়ী; তাই এক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ হক আলেমের দারস্ত হোন, তাকওয়া, বিনয়ী ও সহনশীলতার পথ অনুসরণ করুন। মনে রাখবেন, আমাদের ঐক্য মুনাফিক ও কাফিরদের অন্তরের জ্বালা সৃষ্টি করে আর আমাদের বিবাদ তাদের আনন্দিত করে। তাই ক্ষমার নীতি অবলম্বন করুন, অজ্ঞদেরকে এড়িয়ে চলুন। কেউ যদি আপনার সাথে ঝগড়া শুরু করে তবে আপনি তার মত করবেন না। বরং আপনি বলবেন, আমি সাওম অবস্থায় আছি।
উপরোক্ত আমলগুলো রামাদানের পরবর্তী সময়েও অব্যাহত রাখুন। মনে রাখবেন, কল্যাণমূলক কাজগুলো কেবল রামাদানের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় (রামাদানের নির্দিষ্ট আমলগুলো ব্যতীত)। বরং সব সময়ই তা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের রবের ডাকে সাড়া দিতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ
অর্থঃ মৃত্যু আসার পূর্ব পর্যন্ত আপনি আপনার রবের ইবাদতে নিয়োজিত থাকুন। (সূরা আল-হিজর ১৫:৯৯)
অতএব, মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদাত ও নৈকট্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে সাধ্যমতো নিয়োজিত থাকতে হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে অধিক পরিমাণে সাওয়াবের কাজ করার এবং তাঁর দ্বীনের উপর অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ দান করুন এবং অকল্যাণ থেকে হেফাজত। ইয়া আল্লাহ! আপনি যা পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট তা আমাদের দান করুন। আমীন।
মূলঃ আল-বুরকান টিম
সম্পাদনাঃ মুসলিম চিন্তাধার টিম

◈ ━━━━━━ ⸙ ━━━━━━ ◈

 প্রতিদিন কমপক্ষে নিম্নের আমলগুলো করুন।

 

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' 

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]


ইসলামিক বাংলা টিভি (Islamic Bangla Tv) - এর সঙ্গেই থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আল্লাহ্‌ সুবনাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন, ছুম্মা আমিন।
#ibtv #ibtv99 #islamic #islamicbangla

Post a Comment

0 Comments