১. গরীবের
প্রয়োজন পূর্ণ করা; অভিশপ্ত পুঁজিতন্ত্রের মূলোৎপাটন করা; সম্পদ কুক্ষিগত করার মানসিকতাকে শেষ করে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য সৃষ্টি করা।
২. মুসলমানদের
সামগ্রিক শক্তি বৃদ্ধি করা; দারিদ্র বিমোচনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ
করা।
৩.
চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই সহ সবরকম অভাবজনিত অপরাধের মূলোৎপাটন করা। গরীব-ধনীর মাঝে সেতুবন্ধন
সৃষ্টি করা।
৪. সম্পদের বরকত ও
কার্যকারিতা বৃদ্ধি। নবীজী স. বলেন,
ما نقصت صدقة من مال যাকাতের সম্পদ কমে
না। [মুসলিম:৬৭৫৭, তিরমিযী:২০২৯] অর্থাৎ, হয়ত দৃশ্যতঃ সম্পদের পরিমাণ কমবে, কিন্তু আল্লাহ তাআলা এই স্বল্প সম্পদের মাঝেই বেশি সম্পদের কার্যকারী ক্ষমতা দিয়ে দিবেন।
৫. সম্পদের পরিধি
বৃদ্ধি করা। কেননা সম্পদ যখন যাকাতের মাধ্যমে অভাবীদের মাঝে বণ্টিত হয়, তখন এর উপকারিতার পরিধি বিস্তৃত হয়। আর
যখন তা ধনীর পকেটে কুক্ষিগত থাকে, তখন এর উপকারিতার পরিধিও সঙ্কীর্ণ হয়।
৬. যাকাত
প্রদানকারীর দান ও দয়ার গুণে গুণান্বিত হওয়া;
অন্তরে অভাবীর
প্রতি মায়া-মমতা সৃষ্টি হওয়া।
৭. কৃপণতার ন্যায়
অসৎ গুণ থেকে নিজেকে পবিত্র করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
خذ من أموالهم صدقة تطهرهم وتزكيهم بها
তাদের সম্পদ থেকে যাকাত গ্রহণ করো;
যেন তুমি সেগুলোকে
এর মাধ্যমে পবিত্র ও বরকতময় করতে পার। [৯:১০৩]
৮. সর্বোপরি আল্লাহর বিধান পালন করার মাধ্যমে ইহকাল ও
পরকালে তাঁর নৈকট্য লাভ করা।
0 Comments