সহীহ বুখারী (তাওহীদ৫২০)
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা‘বার নিকটে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। আর কুরাইশের একদল তাদের মাজলিসে উপবিষ্ট ছিল। তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বললঃ তোমরা কি এই রিয়াকারকে লক্ষ করছ না? তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে অমুক গোত্রের উট যবহ্ করার স্থান পর্যন্ত যেতে পার? সেখান হতে গোবর, রক্ত ও নাড়িভুড়ি নিয়ে এসে অপেক্ষা করবে। যখন তিনি সাজদায় যাবেন, তখন এগুলো তার দুই কাঁধের মাঝখানে রেখে দিবে। এ কাজের জন্য তাদের চরম দুর্ভাগা ব্যক্তি (‘উক্ববাহ ইবনু আবূ মু‘আইত) উঠে দাঁড়াল (এবং তা নিয়ে আসলো)। যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদায় গেলেন তখন সে তাঁর দু’কাঁধের মাঝখানে সেগুলো রেখে দিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদাহ্য় স্থির রয়ে গেলেন। এতে তারা পরস্পর হাসাহাসি করতে লাগলো। এমনকি হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ের উপর লুটোপুটি করতে লাগল। (এ অবস্থা দেখে) এক ব্যক্তি ফাতিমাহ (রাযি.)-এর নিকট গেলেন। তখন তিনি ছিলেন ছোট বালিকা। তিনি দৌড়ে চলে এলেন। তখনও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদাহ্য় স্থির ছিলেন। অবশেষে তিনি [ফাতিমাহ (রাযি.)] সেগুলো তাঁর উপর হতে ফেলে দিলেন এবং মুশরিকদের লক্ষ্য করে তিরস্কার করতে লাগলেন। যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলেন তখন তিনি বললেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর। ’’ হে আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর।’’ ‘‘আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর।’’ অতঃপর তিনি নাম নিয়ে বললেন, ‘‘হে আল্লাহ! তুমি ‘আমার ইবনু হিশাম, ‘উত্বাহ ইবনু রাবী‘আহ, শায়বাহ ইবনু রাবী‘আহ, ওয়ালীদ ইবনু ‘উত্বাহ, উমায়্যাহ ইবনু খালাফ, ‘উকবাহ ইবনু আবূ মু‘আইত এবং ‘উমারাহ ইবনু ওয়ালীদকে ধ্বংস কর।’’ ‘আবদুল্লাহ [ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.)] বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি এদের সকলকেই বদরের দিন নিহত লাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি। অতঃপর তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে বাদ্র কূপে নিক্ষেপ করা হয়। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ এই কুয়াবাসীদের উপর চিরস্থায়ী অভিসম্পাত। (২৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯৬)
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা‘বার নিকটে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। আর কুরাইশের একদল তাদের মাজলিসে উপবিষ্ট ছিল। তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বললঃ তোমরা কি এই রিয়াকারকে লক্ষ করছ না? তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে অমুক গোত্রের উট যবহ্ করার স্থান পর্যন্ত যেতে পার? সেখান হতে গোবর, রক্ত ও নাড়িভুড়ি নিয়ে এসে অপেক্ষা করবে। যখন তিনি সাজদায় যাবেন, তখন এগুলো তার দুই কাঁধের মাঝখানে রেখে দিবে। এ কাজের জন্য তাদের চরম দুর্ভাগা ব্যক্তি (‘উক্ববাহ ইবনু আবূ মু‘আইত) উঠে দাঁড়াল (এবং তা নিয়ে আসলো)। যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদায় গেলেন তখন সে তাঁর দু’কাঁধের মাঝখানে সেগুলো রেখে দিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদাহ্য় স্থির রয়ে গেলেন। এতে তারা পরস্পর হাসাহাসি করতে লাগলো। এমনকি হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ের উপর লুটোপুটি করতে লাগল। (এ অবস্থা দেখে) এক ব্যক্তি ফাতিমাহ (রাযি.)-এর নিকট গেলেন। তখন তিনি ছিলেন ছোট বালিকা। তিনি দৌড়ে চলে এলেন। তখনও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদাহ্য় স্থির ছিলেন। অবশেষে তিনি [ফাতিমাহ (রাযি.)] সেগুলো তাঁর উপর হতে ফেলে দিলেন এবং মুশরিকদের লক্ষ্য করে তিরস্কার করতে লাগলেন। যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলেন তখন তিনি বললেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর। ’’ হে আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর।’’ ‘‘আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর।’’ অতঃপর তিনি নাম নিয়ে বললেন, ‘‘হে আল্লাহ! তুমি ‘আমার ইবনু হিশাম, ‘উত্বাহ ইবনু রাবী‘আহ, শায়বাহ ইবনু রাবী‘আহ, ওয়ালীদ ইবনু ‘উত্বাহ, উমায়্যাহ ইবনু খালাফ, ‘উকবাহ ইবনু আবূ মু‘আইত এবং ‘উমারাহ ইবনু ওয়ালীদকে ধ্বংস কর।’’ ‘আবদুল্লাহ [ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.)] বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি এদের সকলকেই বদরের দিন নিহত লাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি। অতঃপর তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে বাদ্র কূপে নিক্ষেপ করা হয়। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ এই কুয়াবাসীদের উপর চিরস্থায়ী অভিসম্পাত। (২৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯৬)
Narrated `Amr bin Maimun [??]: `Abdullah bin Mas`ud said,
"While Allah's Messenger (ﷺ) was praying beside the Ka`ba, there were
some Quraish people sitting in a gathering. One of them said, 'Don't you
see this (who does deeds just to show off)? Who amongst you can go and
bring the dung, blood and the Abdominal contents (intestines, etc.) of
the slaughtered camels of the family of so and so and then wait till he
prostrates and put that in between his shoulders?' The most unfortunate
amongst them (`Uqba bin Abi Mu'ait) went (and brought them) and when
Allah's Messenger (ﷺ) prostrated, he put them between his shoulders. The
Prophet remained in prostration and they laughed so much so that they
fell on each other. A passerby went to Fatima, who was a young girl in
those days. She came running and the Prophet (ﷺ) was still in
prostration. She removed them and cursed upon the Quraish on their
faces. When Allah's Messenger (ﷺ) completed his prayer, he said, 'O
Allah! Take revenge on Quraish.' He said so thrice and added, 'O Allah!
take revenge on `Amr bin Hisham, `Utba bin Rabi`a, Shaiba bin Rabi`a,
Al-Walid bin `Utba, Umaiya bin Khalaf, `Uqba bin Abi Mu'ait and `Umar a
bin Al-Walid." `Abdullah added, "By Allah! I saw all of them dead in the
battle field on the day of Badr and they were dragged and thrown in the
Qalib (a well) at Badr: Allah's Messenger (ﷺ) then said, 'Allah's curse
has descended upon the people of the Qalib (well).
أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ السُّورَمَارِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى قَالَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي
إِسْحَاقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ بَيْنَمَا
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يُصَلِّي عِنْدَ الْكَعْبَةِ
وَجَمْعُ قُرَيْشٍ فِي مَجَالِسِهِمْ إِذْ قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ أَلاَ
تَنْظُرُونَ إِلَى هَذَا الْمُرَائِي أَيُّكُمْ يَقُومُ إِلَى جَزُورِ آلِ
فُلاَنٍ فَيَعْمِدُ إِلَى فَرْثِهَا وَدَمِهَا وَسَلاَهَا فَيَجِيءُ بِهِ
ثُمَّ يُمْهِلُهُ حَتَّى إِذَا سَجَدَ وَضَعَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ
فَانْبَعَثَ أَشْقَاهُمْ فَلَمَّا سَجَدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
وَضَعَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ وَثَبَتَ النَّبِيُّ سَاجِدًا فَضَحِكُوا
حَتَّى مَالَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ مِنْ الضَّحِكِ فَانْطَلَقَ
مُنْطَلِقٌ إِلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَم وَهِيَ جُوَيْرِيَةٌ
فَأَقْبَلَتْ تَسْعَى وَثَبَتَ النَّبِيُّ سَاجِدًا حَتَّى أَلْقَتْهُ
عَنْهُ وَأَقْبَلَتْ عَلَيْهِمْ تَسُبُّهُمْ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ
صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ قَالَ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ
اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ ثُمَّ
سَمَّى اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِعَمْرِو بْنِ هِشَامٍ وَعُتْبَةَ بْنِ
رَبِيعَةَ وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ
وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ وَعُمَارَةَ بْنِ
الْوَلِيدِ قَالَ عَبْدُ اللهِ فَوَاللهِ لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ صَرْعَى
يَوْمَ بَدْرٍ ثُمَّ سُحِبُوا إِلَى الْقَلِيبِ قَلِيبِ بَدْرٍ ثُمَّ قَالَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأُتْبِعَ أَصْحَابُ الْقَلِيبِ
لَعْنَةً.
0 Comments