মৃতের জন্য মাতম করে কাঁদা জায়েজ নয়, মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করা জায়েয নয়।



মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধঃ
باب تحريم النياحة على الميت, ولطم الخد وشق الجيب ونتف الشعر وحلقه, والدعاء بالويل والثبور عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: الميت يعذب في قبره بما نيح عليه। وفي رواية: «ما نيح عليه»। متفق عليه
উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, '' মৃত ব্যক্তিকে তার কবরের মধ্যে তার জন্য মাতম করে কান্না করার দরুন শাস্তি দেওয়া হয়। '' (বুখারী ও মুসলিম) অন্য এক বর্ণনায় আছে, যতক্ষণ তার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, [ততক্ষণ মৃত-ব্যক্তির আযাব হয়।] [1]
باب تحريم النياحة على الميت, ولطم الخد وشق الجيب ونتف الشعر وحلقه, والدعاء بالويل والثبور وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ليس منا من ضرب الخدود, وشق الجيوب, ودعا بدعوى الجاهلية»। متفق عليه
ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, '' সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে [শোকের সময়] গালে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিঁড়ে এবং জাহেলিয়াতের ডাকের ন্যায় ডাক ছাড়ে। '' (বুখারী ও মুসলিম) [ 2]
* [অর্থাৎ চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে মৃত ব্যক্তির বীরত্ব, দানশীলতা ও বিভিন্ন গুণ বর্ণনা করে, যেমন: ও আমার বাঘ! ও আমার চাঁদ! ও আমার রাজা! ইত্যাদি]  
باب تحريم النياحة على الميت, ولطم الخد وشق الجيب ونتف الشعر وحلقه, والدعاء بالويل والثبور وعن أبي بردة رضي الله عنه, قال: وجع أبو موسى رضي الله عنه, فغشي عليه, ورأسه في حجر امرأة من أهله, فأقبلت تصيح برنة فلم يستطع أن يرد عليها شيئا, فلما أفاق قال: أنا بريء ممن برىء منه رسول الله صلى الله عليه وسلم إن رسول الله صلى الله عليه وسلم بريء من الصالقة, والحالقة, والشاقة। متفق عليه
আবূ বুরদাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, [তাঁর পিতা] আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর [ঐ সময়] তাঁর মাথা তাঁর এক স্ত্রীর কোলে রাখা ছিল এবং সে চিৎকার করে কান্না করতে লাগল। তিনি [অজ্ঞান থাকার কারণে] তাকে বাধা দিতে পারলেন না। সুতরাং যখন তিনি চেতনা ফিরে পেলেন, তখন বলে উঠলেন, 'আমি সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত, যে মহিলা থেকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন, যে শোকে উচ্চ স্বরে মাতম করে কান্না করে, মাথা মুণ্ডন করে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ' (বুখারী ও মুসলিম) [3]
باب تحريم النياحة على الميت, ولطم الخد وشق الجيب ونتف الشعر وحلقه, والدعاء بالويل والثبور وعن المغيرة بن شعبة رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «من نيح عليه, فإنه يعذب بما نيح عليه يوم القيامة» متفق عليه
মুগীরাহ ইবনে শু'বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি যে, '' যার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, তাকে কিয়ামতের দিনে তার জন্য মাতম করার দরুন শাস্তি দেওয়া হবে। '' (বুখারী , মুসলিম) [4]
باب تحريم النياحة على الميت, ولطم الخد وشق الجيب ونتف الشعر وحلقه, والدعاء بالويل والثبور وعن أم عطية نسيبة رضي الله عنها, قالت: أخذ علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم عند البيعة أن لا ننوح। متفق عليه
উম্মে আত্বিআহ নুসাইবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'বায়আতের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এই অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন যে, আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করব না।' (বুখারী ও মুসলিম) [5]
باب تحريم النياحة على الميت, ولطم الخد وشق الجيب ونتف الشعر وحلقه, والدعاء بالويل والثبور وعن أبي مالك الأشعري رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «النائحة إذا لم تتب قبل موتها تقام يوم القيامة وعليها سربال من قطران, ودرع من جرب »। رواه مسلم
আবূ মালেক আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, '' মাতম-কারিণী মহিলা যদি মরণের পূর্বে তাওবাহ না করে, তাহলে আল-কাতরার পায়জামা এবং পাঁচড়ার জামা পরিহিতা অবস্থায় তাকে কিয়ামতের দিনে দাঁড় করানো হবে। '' ( মুসলিম) [6]
باب تحريم النياحة على الميت, ولطم الخد وشق الجيب ونتف الشعر وحلقه, والدعاء بالويل والثبور وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اثنتان في الناس هما بهم كفر: الطعن في النسب, والنياحة على الميت»। رواه مسلم
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, '' মানুষের মধ্যে দুটো আচরণ এমন পাওয়া যায়, যা তাদের ক্ষেত্রে কুফরীমূলক কর্ম; বংশে খোঁটা দেওয়া ও মৃতের জন্য মাতম করে কান্না করা। '' (মুসলিম) [7]
[1] সহীহুল বুখারী 1২88, 1২90, 1২9২, মুসলিম 9২7, তিরমিযী 100২, নাসায়ী 1853, 1858, ইবনু মাজাহ 1593, আহমাদ ২90388, 4850, 4939, 5২40, 6147 হাদিসের মানঃ সহিহ
[2] সহীহুল বুখারী 1২94, 1২97, 1২98, 3519, মুসলিম 103, তিরমিযী 999, নাসায়ী 186২, 1864, 1584, আহমাদ 3650, 4100, 4103, 4348, 4416 হাদিসের মানঃ সহিহ
[3] মুসলিম 104, নাসায়ী 1861, 1863, 1865-1867, আবূ দাউদ 3130, ইবনু মাজাহ 1586, আহমাদ 19041, 19053, 19119, 191২9, 19191, 19২30 হাদিসের মানঃ সহিহ
[4] সহীহুল বুখারী 1২91, মুসলিম 4, 933, তিরমিযী 1000, আহমাদ 17674, 17719, 17737, 17773 হাদিসের মানঃ সহিহ
[5] সহীহুল বুখারী 1306, 489২, 7২15, মুসলিম 936, নাসায়ী 4179, 4180, আবূ দাউদ 31২7, আহমাদ ২0২67, ২6753, ২6760 হাদিসের মানঃ সহিহ
[6] মুসলিম 934, ইবনু মাজাহ 1581, আহমাদ ২২386, ২২397, ২২405 হাদিসের মানঃ সহিহ
[7] 67, তিরমিযী 1001 মুসলিম, আহমাদ 7848, 8688, 9101, 9২91, 9397, 956২, 10057, 104২8, 10490 হাদিসের মানঃ সহিহ
মৃতের জন্য মাতম করে কাঁদা জায়েজ নয়।

Post a Comment

0 Comments