লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের আমল | শ্রেষ্ঠ ৪ টি দু‘আ, ৭ টি ইস্তিগফার ও ৪ টি দরুদ পড়ুন।

লইলাতুল কদর বা শবে কদরের আমল |  শ্রেষ্ঠ ৪ টি দু‘আ, ৭ টি ইস্তিগফার ও ৪ টি দরুদ পড়ুন।
লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের আমল |  শ্রেষ্ঠ ৪ টি দু‘আ, ৭ টি ইস্তিগফার ও ৪ টি দরুদ পড়ুন।

▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬
.
❑ ইস্তিগফার: [০১]
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে আর কাউকে এটি অধিক পরিমাণে পড়তে দেখিনি—
.
أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتوبُ إِلَيْهِ
[আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি]
.
অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। [সহিহ ইবনু হিব্বান: ৯২৮, হাদিসটি বিশুদ্ধ]
.

❑ ইস্তিগফার: [০২]
আয়িশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি বুঝতে পারি, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তাহলে ওই রাতে কী বলব?’ নবীজি বলেন, তুমি বলো—
.
اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ
[আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন কারীম, তু‘হিব্বুল ‘আফওয়া ফা’অ্ফু ‘আন্নী]
.
অর্থ: হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব! তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও। [তিরমিযি: ৩৫১৩, হাসান সহিহ]
.
(অন্য হাদিসে ‘কারীম’ শব্দটি নেই। মূলত দুটো হাদিসের বর্ণনাই সহিহ)
.
❑ ইস্তিগফার: [০৩]
ইবনু মাস‘ঊদ (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি এই দু‘আ পড়বে, তার গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হবে—যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নকারী হয়।’’ 
.
ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻻَ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ
.
[আসতাগফিরুল্লাহ আল্লাযি (অথবা আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাযি) লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল ‘হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি]
.
অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ব্যতীত কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই—তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী—এবং আমি তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। [আবু দাউদ: ১৫১৭, তিরমিযি: ৩৫৭৭, হাদিসটি বিশুদ্ধ]
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘‘আসতাগফিরুল্লাহাল ‘আযীম, আল্লাযি... (বাকি অংশে কোনো পরিবর্তন নেই)।’’ [তিরমিযি: ৩৫৭৭, হাসান]
.
❑ ইস্তিগফার: [০৪]
সাইয়িদুল ইসতিগফার অর্থাৎ এই ইস্তিগফারকে হাদিসে বলা হয়েছে ‘ইস্তিগফারের নেতা’।
.
ﺍَﻟﻠّٰﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲْ ﻟَﺎ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ
.
[আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতা ত’তু আ‘উযুবিকা মিন শাররি মা সনা’তু আবূ-উ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূ-উ বিযানবী, ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা] (অবশ্যই আরবি দেখে শিখুন, বাংলা উচ্চারণ সঠিক হয় না)
.
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমিই আমার রব। তুমি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমারই গোলাম। তুমি আমার কাছ থেকে যে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি নিয়েছো, সাধ্যানুযায়ী আমি তার ওপর চলবো। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছো তা স্বীকার করছি এবং আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এ দু‘আটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে, অতঃপর সেদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পড়বে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ [সহিহ বুখারি: ৬৩০৬]
.
❑ ইস্তিগফার: [০৫]
.
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
.
অর্থ: হে আমাদের রব, নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। [সূরা আ~লে ইমরান, আয়াত: ১৬]
.
❑ ইস্তিগফার: [০৬]
আদম (আ.) ও মা হাওয়া যখন ভুল করেন, তখন তাঁরা এই দু‘আ (ইসতিগফার) করেন এবং আল্লাহ্ তাঁদের দু‘আ কবুল করেন। 
.
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
.
‘‘হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হহয়ে যাব।’’ [সূরা আল আ‘রাফ, আয়াত: ২৩]
.
ইস্তিগফারের জন্য শ্রেষ্ঠ দু‘আগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। অসাধারণ দু‘আ!
.
❑ ইস্তিগফার: [০৭]
মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর চমৎকার দু‘আ (ইসতিগফার)। এর মাধ্যমে একই সাথে নিজের জন্য, বাবা-মার জন্য এবং সকল জীবিত ও মৃত ঈমানদারের জন্য দু‘আ করা হয়। খুবই গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ। 
.
رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ 
.
‘‘হে আমাদের রর! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন তুমি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিয়ো।’’ [সূরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪১]
.
❑ দরুদ: [০১]
.
সর্বশ্রেষ্ঠ দরুদ সেটিই, যা আমরা প্রত্যেক নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু...)-এর পর পড়ি। সেটি হলো: আল্লাহুম্মা সল্লি আলা.....শেষ পর্যন্ত। সবারই মুখস্থ আছে, তাই এখানে উল্লেখ করছি না। [সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম ও মুসনাদে আবু ইয়ালাসহ প্রায় সব হাদিসগ্রন্থেই আছে এটি]
.
❑ দরুদ: [০২]
.
اللهم صل على محمد، وعلى آل محمد
.
আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ, ওয়া 'আলা আ~লি মুহাম্মাদ।
.
(হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং মুহাম্মাদের পরিবারের উপর রহমত প্রেরণ করুন)
.
[নাসাঈ: ১২৯১; হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন শায়খ আলবানি (রাহ.)]
.
❑ দরুদ: [০৩]
.
أللهم صل على محمد، وَأَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
.
আল্লাহুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদ, ওয়া আনযিলহুল মাক্ব‘আদাল মুক্বাররাবা ‘ইনদাকা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ্।
.
(হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং কিয়ামতের দিন আপনার সন্নিকট তাঁকে স্থান দিন)
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে এটি বলবে, তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হবে।’’ [আহমাদ: ২/৩৫২, তাবারানি: ৫/২৫-২৬, আত তারগিব: ২/৫০২-৫০৩; হাদিসটিকে হাসান বলেছেন হাইসামি ও মুনযিরি (রাহ.)]
.
❑ দরুদ: [০৪]
.
اللهم صل على محمدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ، وَصَلِّ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ، وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ
.
আল্লাহুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদিন ‘আবদিকা ওয়া রাসূলিকা, ওয়া সল্লি ‘আলাল মুমিনী-না ওয়াল মুমিনা-ত, ওয়াল মুসলিমী-না ওয়াল মুসলিমা-ত। 
.
(হে আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদের উপর রহমত প্রেরণ করুন এবং সকল মুমিন-মুমিনা ও মুসলিম-মুসলিমার উপরও রহমত প্রেরণ করুন)
.
হাদিসে এসেছে, ‘‘যে-মুসলমানের দান-সাদাকাহ করার মতো কিছু নেই, সে যেন দু'আ করার সময় এটি বলে। এটি তার জন্য যাকাতস্বরূপ।’’ [সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯০৩, হাকিম: ৪/১৩০, মুসনাদে আবু ইয়ালা: ১৩৯৭; হাকিম ও যাহাবি (রাহ.) সহিহ বলেছেন। হাইসামি (রাহ.) হাসান বলেছেন]
.
❑ শ্রেষ্ঠ দু‘আ: [০১] 
.
আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা সকাল-সন্ধ্যায় এই বাক্যগুলো বলতেন—
.
​​​​​​​اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ، اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي 
.
[উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাহ। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল-‘আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়াদুনইয়া-ইয়া, ওয়া আহ্‌লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাসতুর ‘আওরা-তী]
.
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি—আমার দ্বীন ও দুনিয়ার; আমার পরিবার ও সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন। [আল-আদাবুল মুফরাদ: ১২০০, হাদিসটি সহিহ (হাদিসটি আরো দীর্ঘ)]
.
❑ শ্রেষ্ঠ দু‘আ: [০২]
.
উম্মে সালামা (রা.) বলেন—রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু'আটি সবচেয়ে বেশি পড়তেন, তা হলো–
.
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلٰي دِيْنِكَ
.
[মোটামুটি উচ্চারণ: ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূব! সাব্বিত ক্বালবী ‘আলা দীনিকা]
.
[অর্থ: হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের (ইসলামের) উপর অটল রাখুন।]
[তিরমিযি, হাদিস: ৩৫২২, হাসান]
.
❑ শ্রেষ্ঠ দু‘আ: [০৩]
.
اللَٰهُمَّ تَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ، وَأَحْيِنَا مُسْلِمِينَ، وَأَلْحِقْنَا بِالصَّالِحِينَ، غَيرَ خَزَايَا وَلَا مَفْتُونِينَ
.
[মোটিমুটি উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা তাওয়াফফানা মুসলিমীন, ওয়া আ‘হয়িনা মুসলিমীন, ওয়া আলহিক্বনা বিস স-লিহীন, গায়রা খাযা-য়া ওয়া লা মাফতূ-নীন]

.
[অর্থ: হে আল্লাহ! মুসলিম অবস্থায় আমাদের মৃত্যু দিও; মুসলিম অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখো; (মৃত্যুর পর) ভালো মানুষদের সাথে আমাদের জুড়ে দিয়ো; আমাদের অপদস্থ করো না এবং পরীক্ষায় ফেলো না] [বুখারি, আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস: ৬৯৯, সহিহ]
.
❑ শ্রেষ্ঠ দু‘আ: [০৪]
.
اَللّٰهُمَّ أَحْسِنْ عَاقِبَتَنَا فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، وَأجِرْنَا 
مِنْ خِزْيِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الآخِرَةِ
.
আল্লাহুম্মা আ‘হসিন ‘আ-ক্বিবাতানা, ফিল উমূ-রি কুল্লিহা, ওয়া আজিরনা— মিন খিযয়িদ দুনইয়া, ওয়া ‘আযা-বিল আ-খিরাহ
.
[অর্থ: হে আল্লাহ! সকল কাজে আমাদের উত্তম পরিণতি দাও। আর আমাদের রক্ষা করো—দুনিয়ার লাঞ্ছনা-অপমান থেকে ও আখিরাতের আযাব থেকে]

.
বুসর ইবনু আরতাআ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এভাবে দু'আ পড়তে শুনেছি...(অতপর তিনি উপরের দু'আটি বর্ণনা করেন)।’’ 
[বুখারি, আত তারিখুল কাবির: ১/৩০, ২/১২৩, হাদিসটি হাসান]

Post a Comment

0 Comments